Category: দেশ

Get updates on India News Headlines National News from the Madhyom news portal madhyom.com, West Bengal leading news portal Madhyom.com

  • Amit Shah: রাজ্যসভায় কংগ্রেস-তৃণমূলকে তুলোধনা শাহের, কী বললেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী?

    Amit Shah: রাজ্যসভায় কংগ্রেস-তৃণমূলকে তুলোধনা শাহের, কী বললেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ইউপিএ-জমানায় প্রধানমন্ত্রীর জাতীয় ত্রাণ তহবিলের অপব্যবহারের বিষয়টি প্রকাশ্যে আনলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah)। পিএম- কেয়ার্স ফান্ড (PM Cares) সম্পর্কে মিথ্যা তথ্য ছড়ানোর জন্য বিরোধী দলগুলিকে (Congress) কড়া ভাষায় আক্রমণও শানিয়েছেন তিনি। ২০২৪ সালের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা (সংশোধনী) বিলের ওপর আলোচনায় রাজ্যসভায় বক্তব্য রাখছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।

    বিনা প্রমাণে অভিযোগ করে পালিয়ে যাওয়ার সংস্কৃতি (Amit Shah)

    সেখানেই তিনি বলেন, দুর্যোগ ত্রাণের জন্য বরাদ্দকৃত অর্থ নেহরু-গান্ধী পরিবার দ্বারা নিয়ন্ত্রিত রাজীব গান্ধী ফাউন্ডেশনে ডাইভার্টেড হয়েছিল। রাজ্যসভায় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিল পাশ হওয়ার সময় শাহ কংগ্রেসকে তাদের তহবিল ব্যবস্থাপনার ব্যর্থতা সম্পর্কে জবাব দিতে চ্যালেঞ্জ করেন এবং একটি দুর্নীতিগ্রস্ত ব্যবস্থা চালানোর অভিযোগ তোলেন যেখানে ক্ষমতাসীন দলের সভাপতি গুরুত্বপূর্ণ আর্থিক সম্পদ নিয়ন্ত্রণ করতেন। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, “বিনা প্রমাণে অভিযোগ করে পালিয়ে যাওয়ার সংস্কৃতি তৈরি হয়েছে। কিন্তু এটি সংসদ, রাস্তার প্রতিবাদ নয়। যদি আপনারা অভিযোগ করেন, তাহলে আপনাদের উত্তরও শুনতে হবে।”

    বিরোধীদের অভিযোগ খণ্ডন

    পিএম-কেয়ার্স তহবিলে স্বচ্ছতার অভাব রয়েছে বলে বিরোধীদের তোলা অভিযোগ খণ্ডন করে দিয়ে শাহ বলেন, ‘‘এই তহবিল প্রধানমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, প্রতিরক্ষামন্ত্রী এবং অর্থমন্ত্রীর দ্বারা পরিচালিত হয়, যেখানে কঠোর আর্থিক তদারকি ব্যবস্থা রয়েছে। এটি কংগ্রেসের (Congress) আমলের পিএমএনআরএফের সম্পূর্ণ বিপরীত, যেখানে কংগ্রেস সভাপতি সরাসরি সদস্য ছিলেন। এটি একটি রাজনৈতিক পরিবারকে তহবিল নিয়ন্ত্রণ ও নয়ছয় করার সুযোগ দিয়েছে।’’  শাহ (Amit Shah) জানান, কীভাবে ইউপিএ সরকার পিএমএনআরএফের তহবিল রাজীব গান্ধী ফাউন্ডেশনে পাচার করেছিল। এই ফাউন্ডেশনের বিরুদ্ধে বিদেশি অনুদান, ধর্মান্তরণ গোষ্ঠী এবং পাবলিক সেক্টর আন্ডারটেকিংয়ের সঙ্গে সংযোগের অভিযোগ রয়েছে (Congress)। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, “আপনারা স্বচ্ছতার কথা বলেন? আপনার দল জিপ থেকে বোফোর্স থেকে ২জি—এতগুলি কেলেঙ্কারিতে জড়িত। ভারতের মানুষ আপনার ইতিহাস জানেন।” বিরোধীদের উদ্দেশে তাঁর প্রশ্ন, কেন দুর্যোগ ত্রাণের সরকারি অর্থ নেহরু-গান্ধী পরিবার নিয়ন্ত্রিত একটি ফাউন্ডেশনে পাঠানো হচ্ছিল?

    তৃণমূল কংগ্রেসকেও নিশানা

    মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দল তৃণমূল কংগ্রেসকেও নিশানা করেন শাহ। পশ্চিমবঙ্গে দুর্যোগ ত্রাণ তহবিল বিতরণ না করার অভিযোগ তুলে প্রতিবাদ জানিয়েছিল তৃণমূল। বাংলার শাসক দলের প্রতিনিধিদের সেই অভিযোগ খণ্ডন করে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, মোদি সরকারের আমলে কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন সরকারগুলির তুলনায় রাজ্যে দুর্যোগ ত্রাণ বরাদ্দ ৩০০ গুণ বৃদ্ধি পেয়েছে (Amit Shah)। বিরোধী দলগুলির অতিরিক্ত তহবিলের দাবিকেও প্রত্যাখ্যান করে শাহ স্পষ্ট করে দেন, দুর্যোগ ত্রাণ তহবিল আসল সংকট মোকাবিলার জন্য—খয়রাতির জন্য নয়। প্রসঙ্গত, এটি পশ্চিমবঙ্গের মতো রাজ্যগুলির দিকে সরাসরি ইঙ্গিত, যেখানে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কেন্দ্রীয় তহবিলের অপব্যবহার এবং দুর্যোগপ্রবণ এলাকার নাগরিকদের ত্রাণ না দেওয়ার জন্য সমালোচনার মুখে পড়েছেন। শাহের এই খয়রাতির অভিযোগ শোনার পরেই ওয়াকআউট করেন রাজ্যসভায় তৃণমূলের প্রতিনিধিরা। যদিও বলতেই থাকেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। বলেন (Amit Shah), “আপনাদের (TMC) ব্যাখ্যা করতে হবে কেন আপনারা আরও তহবিল চান অথচ আগে যেসব তহবিল পেয়েছেন সেগুলি বিলি করতে ব্যর্থ হন।”

    আপনাদের রাজ্যে অনেক দাঙ্গা হয়?

    তৃণমূল কংগ্রেসের তরফে দাবি করা হয়, সংশোধনীতে দুর্যোগের সংজ্ঞার অধীনে দাঙ্গাকেও অন্তর্ভুক্ত করা হোক। তৃণমূলের এই দাবি পত্রপাঠ খারিজ করে দেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। তিনি বলেন, “দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা আর দাঙ্গার মধ্যে কী সম্পর্ক? এটার কারণ কি আপনাদের রাজ্যে অনেক দাঙ্গা হয়, তাই?” তাঁর এই মন্তব্যে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয় বিরোধী দলের সদস্যদের মধ্যে, বিশেষত তৃণমূলের সদস্যদের মধ্যে। কারণ তাঁদের বিরুদ্ধে পশ্চিমবঙ্গে আইন-শৃঙ্খলাহীনতা ও রাজনৈতিক হিংসার অভিযোগ রয়েছে। রাজ্যসভার সভাপতি জগদীপ ধনখড় ডিসরাপশনের অনুমতি না দেওয়ায় তৃণমূলের সাংসদরা সভা থেকে ওয়াকআউট করেন।

    ‘চ্যাম্পিয়ন অফ দ্য আর্থ’

    সংশোধনীটি ডিফেন্ড করতে গিয়ে অমিত শাহ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও জলবায়ু পরিবর্তনে ভারতের ক্রমবর্ধমান বৈশ্বিক নেতৃত্বের কথাও তুলে ধরেন। তিনি সভাকে স্মরণ করিয়ে দেন, মোদিকে রাষ্ট্রসংঘের তরফে ‘চ্যাম্পিয়ন অফ দ্য আর্থ’ খেতাবে ভূষিত করা হয়েছিল, যা পরিবেশ সংরক্ষণ ও দুর্যোগ মোকাবিলায় তাঁর প্রচেষ্টার স্বীকৃতি (Amit Shah)। এদিন শাহ ব্যাখ্যা করেছেন কীভাবে ইন্দোনেশিয়া, বাংলাদেশ, মলদ্বীপ এবং ইতালির মতো দেশগুলিকে দুর্যোগ ত্রাণে সহায়তা করে মানবিক সহায়তায় একটি বৈশ্বিক নেতা হিসেবে তার অবস্থান শক্তিশালী করেছে ভারত।

    ২০২৪ সালের ডিসেম্বরে লোকসভায় পাস হওয়া দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা (সংশোধনী) বিল, ২০২৪, বিরোধী দলগুলির আপত্তি সত্ত্বেও রাজ্যসভায় ভোটে পাশ হয়ে যায়। কংগ্রেস ও তার সহযোগীদের প্রস্তাবিত বেশ কয়েকটি সংশোধনী সরাসরি খারিজ হয়ে যায়। শাহ বলেন, “যদি কোনও ভবন মেরামত না করা হয়, তা ধসে পড়বে। একইভাবে, আইনগুলিকেও আপডেট করতে হবে (Congress)। এতে আপত্তি করার কী আছে (Amit Shah)?”

  • Sahkar Taxi: উবের-ওলা’র সঙ্গে টক্কর! কেন্দ্র আনছে ‘সহকার ট্যাক্সি’, ফোনে আঙুল ছোঁয়ালেই মিলবে গাড়ি-বাইক-রিকশা

    Sahkar Taxi: উবের-ওলা’র সঙ্গে টক্কর! কেন্দ্র আনছে ‘সহকার ট্যাক্সি’, ফোনে আঙুল ছোঁয়ালেই মিলবে গাড়ি-বাইক-রিকশা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ওলা-উবেরের রমরমা শেষের পথে। ওলা বা উবেরের মতো অ্যাপ ক্যাবকে টক্কর দিতে কেন্দ্র আনছে ‘সহকার ট্যাক্সি’ (Sahkar Taxi) পরিষেবা। খুব শীঘ্রই এই ক্যাব পরিষেবা আনা হবে বলে সংসদে ঘোষণা করলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। সমবায়-ভিত্তিক এই পরিষেবা ক্যাব চালকদের সরাসরি সুবিধা দেবে। ওলা এবং উবরের মতো অ্যাপ-ভিত্তিক পরিষেবার আদলে তৈরি এই উদ্যোগটি সমবায় সমিতিগুলিকে চালকদের আয় থেকে মধ্যস্থতাকারীদের কোনও কর ছাড়াই দু’চাকার যান, ট্যাক্সি, রিকশা এবং চার চাকার যানবাহন রেজিস্টারের অনুমতি দেবে।

    আসছে সমবায় ট্যাক্সি পরিষেবা

    স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ জানিয়েছেন, প্রধানমন্ত্রী মোদির ‘সহকার সে সমৃদ্ধি’ অর্থাৎ সহযোগিতায় সমৃদ্ধিলাভের যে স্বপ্ন তাকেই সত্যি করে তুলবে এই পরিষেবা। এদিন অমিত শাহ বলেন, ‘‘এটা একটা স্লোগানমাত্র নয়। সমবায় মন্ত্রক গত সাড়ে তিন বছর ধরে একে সার্থক করে তুলতে চেষ্টা করে চলেছে। আর কয়েকমাসের মধ্যে এক প্রধান সমবায় ট্যাক্সি পরিষেবা (Sahkar Taxi) শুরু হয়ে যাবে। যা থেকে সরাসরি লাভবান হবেন চালকরা।” কেননা এক্ষেত্রে কোনও মধ্যস্থতাকারী থাকবেন না। ফলে সরাসরি লভ্যাংশ তাঁদের কাছেই যাবে।

    কেন এই ভাবনা

    ওলা, উবরের ক্রমবর্ধমান মূল্যবৃদ্ধির কারণেই এই প্রকল্প আনছে কেন্দ্র সরকার। আইফোন বা অ্যান্ড্রয়েড ডিভাইসের মাধ্যমে বুকিং করতে গেলে রাইডের ভাড়ায় তারতম্য হয় বলে সম্প্রতি এক অ্যাপ ক্যাব ব্যবহারকারী অভিযোগ জানান। এর পরই কেন্দ্রীয় গ্রাহক সুরক্ষা কর্তৃপক্ষ (সিসিপিএ) সম্প্রতি উভয় কোম্পানিকে নোটিশ জারি করে। অভিযোগের জবাবে, ওলা বৈষম্যের দাবি অস্বীকার করেছে। সিসিপিএ-কে তাদের দাবি, “আমাদের সব গ্রাহকের জন্য সমমূল্য কাঠামো রয়েছে। ব্যবহারকারীর মোবাইল ফোনের অপারেটিং সিস্টেমের ভিত্তিতে কোনও পার্থক্য করা হয় না।” উবেরও অভিযোগ অস্বীকার করে বলেছে, “দাম কোনও যাত্রীর ফোন মডেলের উপর নির্ভর করে নির্ধারিত হয় না। আমরা কোনও যাত্রীর ফোন প্রস্তুতকারকের উপর ভিত্তি করে দাম নির্ধারণ করি না।” ভোক্তা বিষয়ক মন্ত্রী প্রহ্লাদ জোশী এই বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করেছেন। এই ধরনের বৈষম্যমূলক দাম নির্ধারণকে “অনৈতিক ব্যবসায়িক পদ্ধতি” হিসেবে দাবি করেছেন।

  • PM Modi: স্বাধীনতা দিবসে ব্রাত্য ‘বঙ্গবন্ধু’! মুক্তিযুদ্ধের কথা মনে করিয়ে ইউনূসকে চিঠি মোদির

    PM Modi: স্বাধীনতা দিবসে ব্রাত্য ‘বঙ্গবন্ধু’! মুক্তিযুদ্ধের কথা মনে করিয়ে ইউনূসকে চিঠি মোদির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “এই দিনটি আমাদের দুই দেশের ইতিহাস ও ত্যাগের দলিল। যা আমাদের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের ভিত তৈরি করেছে।” বাংলাদেশের (1971 Liberation War) অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মহম্মদ ইউনূসকে লেখা চিঠিতে এ কথাই স্মরণ করিয়ে দিলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। ইউনূসকে লেখা চিঠিতে তিনি লিখেছেন, “বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ সব সময় আমাদের সম্পর্কের পথপ্রদর্শক আলো। আমরা এই দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক এগিয়ে নিয়ে যেতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।”

    উপেক্ষিত মুজিব (PM Modi)

    বুধবার, ২৬ মার্চ স্বাধীনতা দিবস পালন করে বাংলাদেশ। এদিন ইউনূস সরকার স্বাধীনতা ঘোষণার কথা উল্লেখ করে। যদিও কার অবদানে দেশ স্বাধীনতা পেল, কীভাবেই বা স্বাধীন হল দেশ, প্রেক্ষিতই বা কী – এসবের কোনও উল্লেখই ছিল না রাষ্ট্রপতি কিংবা প্রধান উপদেষ্টার ভাষণে। অথচ, পাকিস্তানে কারাবন্দি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে আলোকবর্তিকা করে স্বাধীনতার লড়াই শুরু করেছিলেন মুক্তিযোদ্ধারা। ন’মাসের প্রাণপণ লড়াই শেষে আসে কাঙ্খিত স্বাধীনতা। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের এই মুক্তিযুদ্ধে যে ভারতের বিরাট অবদান ছিল, তা ইতিহাস স্বীকৃত। হাসিনা-উত্তর জমানায় বাংলাদেশবাসীকে সেই ইতিহাসও ভুলিয়ে দেওয়ার চেষ্টা চলছে বলে অভিযোগ। একইভাবে, অত্যন্ত সচেতনভাবে মুক্তিযুদ্ধে বঙ্গবন্ধুর অবদানকে অস্বীকার করার চেষ্টাও চলছে বলে অভিযোগ।

    মোদির শুভেচ্ছা-বার্তায় মুক্তিযুদ্ধের উল্লেখ

    দেশের স্বাধীনতা দিবসে মুজিবের নামোল্লেখ না থাকায় যারপরনাই ক্ষুব্ধ বাংলাদেশবাসীর একাংশ। এদিনই অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ইউনূসকে চিঠি লিখে স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে শুভেচ্ছা জানান প্রধানমন্ত্রী। সেই চিঠিটিই প্রকাশ করেছে বাংলাদেশে ভারতের হাই-কমিশন। তার পরেই প্রকাশ্যে আসে সেদিন ইউনূসকে লেখা চিঠিতে ঠিক কী লিখেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞদের মতে, ইউনূসকে লেখা চিঠিতে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের প্রসঙ্গ উত্থাপন করে প্রধানমন্ত্রী মনে করিয়ে দিয়েছেন একাত্তরের ওই লড়াইয়ে ভারতের অবদানের কথা। প্রধানমন্ত্রীর পাশাপাশি রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুও বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি মহম্মদ শাহাবুদ্দিনকেও স্বাধীনতা দিবসের শুভেচ্ছা জানিয়ে ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে দীর্ঘ সম্পর্কের কথা উল্লেখ করেন।

    সরানো হল মুজিবের ছবি

    এদিকে, দেশে তো বটেই, বিদেশি কূটনৈতিক ভবনগুলি থেকেও সরিয়ে ফেলা হয় মুজিবের ছবি। কলকাতা উপ-দূতাবাস ও নানা দেশের যে সব কূটনৈতিক ভবনে শেখ মুজিবের ভাস্কর্য রয়েছে, বেশ কিছুদিন আগেই সেগুলি কাপড়ে ঢেকে দেওয়া হয়েছিল। এদিন প্রায় সব দূতাবাসে স্বাধীনতা দিবসে রাষ্ট্রপতি, প্রধান উপদেষ্টা এবং বিদেশ উপদেষ্টার লিখিত ভাষণ পাঠ করা হয়। পরে হয় আলোচনা সভা। সেখানেও ব্রাত্যই ছিলেন মুজিব। অবশ্য পাকিস্তানের নামোল্লেখ করা হয়নি। তার পরিবর্তে ব্যবহার করা হয়েছে ‘দখলদার’ শব্দটি (PM Modi)।

    স্বাধীনতা দিবসে ‘মাতৃভূমি অথবা মৃত্যু’র ছবি!

    স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে একটি তথ্যচিত্র তৈরি করেছে বাংলাদেশের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রকের চলচ্চিত্র ও প্রকাশনা অধিদফতর। আধ ঘণ্টার ওই তথ্যচিত্রটি সব কূটনৈতিক ভবনে দেখানোর নির্দেশ দেওয়া হয়। ইউরোপের একটি দেশের বাংলাদেশি কূটনীতিক জানান, ‘মাতৃভূমি অথবা মৃত্যু’ শীর্ষক এই তথ্যচিত্রটিতে একাত্তরের স্বাধীনতা আন্দোলনের কথাই নেই। পুরোটাই শেখ হাসিনা সরকারের বিরুদ্ধে জুলাই অভ্যুত্থানের কাহিনি। তিনি বলেন, এই তথ্যচিত্র দেখিয়ে দিয়েছে, ইউনূস সরকার এবং তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা মাহফুজ আলমের কাছে একাত্তর নয়, জুলাই আন্দোলনই স্বাধীনতা আন্দোলন। তিনি জানান, সরকারি তথ্যচিত্রটিতে সেন্সরের সাধারণ নিয়মটুকুও মেনে চলা হয়নি। অবাধে দেখানো হয়েছে হিংসা, রক্ত, রাস্তায় পড়ে থাকা রক্তাক্ত দেহের ক্লোজ আপ এবং ছিন্নভিন্ন দেহাংশও। এর সবগুলিই দর্শককে আতঙ্কিত করে তোলে। কলকাতার উপ-দূতাবাস ও আগরতলার সহকারি দূতাবাসেও মুজিব এবং ইন্দিরা গান্ধীর ছবিও সরিয়ে ফেলা হয়েছে। এই দুই জায়গায়ই দেখানো হয়েছে ‘মাতৃভূমি অথবা মৃত্যু’।

    মোদির চিঠি

    বাংলাদেশে অবস্থিত (1971 Liberation War) ভারতীয় হাইকমিশনের শেয়ার করা এক বার্তায় বাংলাদেশবাসীকে শুভেচ্ছা জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী (PM Modi) লিখেছেন, “এই দিনটি আমাদের দুই দেশের ইতিহাস ও ত্যাগের দলিল। যা আমাদের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের ভিত তৈরি করেছে। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের চেতনা আমাদের সম্পর্ককে পরিচালিত করে চলেছে, যা অনেক ক্ষেত্রেই সমৃদ্ধ হয়েছে এবং আমাদের জনগণের জন্য সুনির্দিষ্ট সুবিধা দিয়েছে। শান্তি, স্থিতিশীলতা ও সমৃদ্ধির জন্য আমাদের অভিন্ন আকাঙ্খা এবং একে অপরের স্বার্থ ও উদ্বেগের প্রতি পারস্পরিক সংবেদনশীলতার ভিত্তিতে আমরা এই অংশীদারিত্বকে আরও বিকশিত করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।”

    প্রসঙ্গত, ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় ভারত পূর্ব পাকিস্তানের (অধুনা বাংলাদেশ) জনগণকে সামরিক, কূটনৈতিক ও মানবিক সাহায্য দিয়েছিল। পাক সেনার বিরুদ্ধে যুদ্ধ করেছিল ভারতীয় সেনা। যার ফলে ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর ঢাকায় পরাজয় ঘটে পাকিস্তানের (1971 Liberation War)। ‘দখলদার’ মুক্ত হয় বাংলাদেশ (PM Modi)।

  • EPFO: এটিএম-ইউপিআই দিয়ে জুন থেকেই তোলা যাবে পিএফ-এর টাকা, সর্বাধিক কত?

    EPFO: এটিএম-ইউপিআই দিয়ে জুন থেকেই তোলা যাবে পিএফ-এর টাকা, সর্বাধিক কত?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ইপিএফও (EPFO) গ্রাহকদের জন্য সুখবর। বদলে যাচ্ছে পিএফের (PF Withdrawal) গোলকধাঁধা। এমপ্লয়িজ প্রভিডেন্ট ফান্ড অর্গানাইজেশন আনতে চলেছে যুগান্তকারী এক নতুন সিস্টেম। এবার ইউপিআই (UPI)-র মাধ্যমেও তোলা যাবে প্রভিডেন্ট ফান্ডের টাকা। আগামী জুন মাস থেকেই ইপিএফও সদস্যরা ইউপিআই এবং এটিএম কার্ড ব্যবহার করে সরাসরি তুলতে পারবেন ইপিএফের টাকা। জানিয়ে দিলেন কেন্দ্রীয় শ্রম ও রোজগার মন্ত্রকের সচিব সুমিতা দাওরা।

    নতুন ব্যবস্থায় কী কী পরিবর্তন

    ন্যাশনাল পেমেন্টস কর্পোরেশন অব ইন্ডিয়া সুপারিশে সম্মতি দিয়েছে শ্রম মন্ত্রক। আগামী জুন মাস থেকেই ইপিএফে (EPFO) নতুন সিস্টেম বা ব্যবস্থা চালু হতে চলেছে। কেন্দ্র ইপিএফও-৩.০ আনার পরিকল্পনা করছে। এটি কার্যকর হলে ইপিএফও-র নিয়মে অনেক পরিবর্তন হবে। তখন বিনিয়োগকারীরা প্রভিডেন্ট ফান্ড থেকে টাকা তোলা এবং বিনিয়োগে আরও বেশি সুবিধা পাবেন। কেন্দ্রীয় শ্রম ও রোজগার মন্ত্রকের সচিব সুমিতা দাওরা বলেন, চলতি বছরের মে মাসের শেষ ভাগ বা জুন মাসের শুরু থেকেই প্রভিডেন্ট ফান্ডের টাকা ইউপিআই ও এটিএম থেকে তোলা যাবে। সরাসরি ইউপিআই অ্যাপ থেকেই পিএফ অ্যাকাউন্টের (PF Withdrawal) ব্যালেন্স দেখা যাবে। তিনি আরও জানান, অটোমেটেড সিস্টেমের মাধ্যমে পিএফের গ্রাহকরা তৎক্ষণাৎ ১ লক্ষ টাকা পর্যন্ত তুলতে পারবেন। গ্রাহকরা চাইলে অন্য ব্যাঙ্কেও পিএফের ফান্ড ট্রান্সফার করা যাবে।

    মাল্টি-ফ্যাক্টর অথেনটিকেশনের ব্যবস্থা

    ক্লেম প্রসেসিংয়ের সময়ও কমিয়ে দেওয়া হয়েছে। এবার পিএফের (PF Withdrawal) টাকা তোলার আবেদন করলে, মাত্র তিনদিনের মধ্যে তা অ্যাপ্রুভ হয়ে যাবে। নতুন এই ব্যবস্থা চালু হলে পিএফের টাকা তোলার ক্ষেত্রে অনলাইন বা অফলাইনে অ্যাপ্রুভালের জন্য দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করতে হবে না। আবেদন করলেই দ্রুত টাকা পাওয়া যাবে। এই কার্ডে মাল্টি-ফ্যাক্টর অথেনটিকেশনের ব্যবস্থা থাকবে। টাকা তুলতে গেলে মোবাইলে ওটিপি আসবে। সেই ওটিপি দিলেই টাকা তোলা যাবে। বর্তমানে ৯৫ শতাংশ ক্লেমই অটোমেটেড হয়ে গিয়েছে। আগামিদিনে এই প্রক্রিয়া আরও সহজ করা হবে। শ্রম মন্ত্রকের সেক্রেটারি জানান, গ্রাহকদের আরও সুবিধার জন্যই এই ব্যবস্থা করা হচ্ছে। এবার থেকে পিএফ গ্রাহকরা সহজেই বাড়ি তৈরি, উচ্চশিক্ষা ও বিয়ের জন্য টাকা তুলতে পারবেন।

     

     

     

     

     

  • Yogi Adityanath: “১০০ মুসলিম পরিবারের মধ্যে ৫০ জন হিন্দু সুরক্ষিত কি?” প্রশ্ন যোগী আদিত্যনাথের

    Yogi Adityanath: “১০০ মুসলিম পরিবারের মধ্যে ৫০ জন হিন্দু সুরক্ষিত কি?” প্রশ্ন যোগী আদিত্যনাথের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক:উত্তরপ্রদেশে সংখ্যালঘুরা সবচেয়ে নিরাপদে রয়েছেন বলে দাবি করলেন মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ (Yogi Adityanath)। তাঁর দাবি, একশো হিন্দু পরিবারের মধ্যে একটি মুসলিম পরিবার নিরাপদ বোধ করবে, কিন্তু বিপরীতে এটা হয় না। সম্প্রতি বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের উপরে হওয়া হামলা এবং মন্দির ভাঙার ঘটনার উদাহরণ দিয়ে যোগী আদিত্যনাথ বলেন, “একটা মুসলিম পরিবার ১০০ হিন্দু পরিবারের মাঝে সুরক্ষিত অনুভব করে। তাদের ধর্মাচরণের স্বাধীনতা রয়েছে। কিন্তু ৫০ জন হিন্দু কি ১০০টি মুসলিম পরিবারের মাঝে সুরক্ষিত অনুভব করবে? না। বাংলাদেশ তার উদাহরণ। এর আগে পাকিস্তান এই উদাহরণ ছিল।”

    উত্তরপ্রদেশে সবাই সুরক্ষিত

    গত আট বছর ধরে উত্তরপ্রদেশে ক্ষমতায় রয়েছেন যোগী (Yogi Adityanath)। সেখানে সংখ্যালঘুদের অবস্থা নিয়ে প্রশ্ন করলে, মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “উত্তর প্রদেশে মুসলিমরা সবথেকে সুরক্ষিত। যদি হিন্দুরা সুরক্ষিত থাকে, তবে ওরাও সুরক্ষিত থাকবে। ২০১৭ সালের আগে এখানে যদি কোনও দাঙ্গা হত, হিন্দুর দোকান পুড়ত, তবে মুসলিমদের দোকানও জ্বলত। যদি হিন্দু পরিবারের বাড়ি জ্বলত, তবে মুসলিমদের বাড়িও জ্বলত। ২০১৭ সালের পর দাঙ্গা বন্ধ হয়ে গিয়েছে।” যোগীর কথায়, “১০০ হিন্দু পরিবারের মধ্যে একটি মুসলিম পরিবার থাকলে, তারা সুরক্ষিত। নিজেদের ধর্ম পালনের স্বাধীনতা থাকে তাদের। কিন্তু ১০০ মুসলিম পরিবারের মধ্যে ৫০ জন হিন্দু সুরক্ষিত কি? সুরক্ষিত নন। বাংলাদেশই উদাহরণ। এর আগে উদাহরণ ছিল পাকিস্তান”

    মন্দির-মসজিদ বিতর্ক

    সম্প্রতিই একাধিক রাজ্যে মন্দির-মসজিদ নিয়ে যে বিতর্ক তৈরি হয়েছে, সেই বিষয়েও মুখ খোলেন যোগী আদিত্যনাথ (Yogi Adityanath)। হিন্দু ধর্মীয় স্থানে মসজিদ তৈরি করা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন তিনি। বলেন যে এটা ইসলামিক নীতির বিরুদ্ধে। উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী আশ্বাস দেন যে সম্বলে যত সম্ভব মন্দির পুনরুদ্ধার করবেন তারা। যোগী বলেন, “সম্ভলে ৬৪টি তীর্থক্ষেত্র রয়েছে। আমরা ৫৪টির খোঁজ পেয়েছি। যাই হোক না কেন, আমরা খুঁজে বের করব। গোটা বিশ্বকে দেখাব, সম্ভলে কী হয়েছে।”

  • Tejas Mk 1A: তেজস-মার্ক ১এ যুদ্ধবিমানের প্রথম এফ৪০৪ ইঞ্জিন ভারতের হাতে তুলে দিল জিই

    Tejas Mk 1A: তেজস-মার্ক ১এ যুদ্ধবিমানের প্রথম এফ৪০৪ ইঞ্জিন ভারতের হাতে তুলে দিল জিই

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নয়াদিল্লি-ওয়াশিংটন সম্পর্কে নয়া মোড় আনল তেজস মার্ক-১এ (Tejas Mk 1A)। দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি যুদ্ধবিমানের জন্য আমেরিকা থেকে চলে এল এফ৪০৪ আইএন২০ ইঞ্জিন (F404 IN20 Engines)। ওই ইঞ্জিনের নির্মাতা সংস্থা জেনারেল ইলেকট্রিকস (জিই) অ্যারোস্পেস। প্রথম ইঞ্জিনটি মঙ্গলবার পাঠিয়েছে বলে তেজস নির্মাণকারী রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা ‘হ্যাল’ (হিন্দুস্তান অ্যারোনটিক্যাল লিমিটেড) জানিয়েছে।

    চলতি বছরে মোট ১২টি এফ৪০৪ ইঞ্জিন সরবরাহ

    হ্যাল-এর তরফে জানানো হয়েছে, চলতি বছরে মোট ১২টি এফ৪০৪ ইঞ্জিন সরবরাহ করতে পারে জিই। এরপর থেকে প্রতি বছর ২০টি করে ইঞ্জিন সরবরাহ করতে পারে জিই। উল্লেখ্য, ২০২১ সালে জিই-র সঙ্গে ৯০টি এফ৪০৪ আইএন২০ ইঞ্জিনের (F404 IN20 Engines) জন্যে ৭১৬ মিলিয়ন ডলারের (প্রায় ৬১৫০ কোটি টাকা) চুক্তি করেছিল হ্যাল। প্রাথমিক ভাবে ২০২৩ সালের শেষপর্ব থেকে ইঞ্জিন সরবরাহ করার কথা ছিল। কিন্তু তা হয়নি। ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট হওয়ার পরে শুল্ক নিয়ে টানাপোড়েনের আবহে পুরো প্রক্রিয়া ঘিরে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছিল। এমনকি, ভারতকে ইঞ্জিন সরবরাহের ক্ষেত্রে ট্রাম্প সরকার বিধিনিষেধ বলবৎ করতে পারে বলেও আশঙ্কা তৈরি হয়েছিল। যদিও শেষ পর্যন্ত এ সংক্রান্ত সমস্ত জটিলতা কেটে গিয়েছে বলে প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে।

    বায়ুসেনার হাতে শীঘ্রই তেজস

    প্রসঙ্গত, ২০২৪-২৫ অর্থবর্ষে বায়ুসেনাকে ১৬টি তেজস মার্ক-১এ যুদ্ধবিমান (Tejas Mk 1A) সরবরাহ করার কথা ছিল হ্যালের। তবে মার্কিন সংস্থা জেনারেল ইলেকট্রিকের জেরে সেই লক্ষ্য পূরণ করতে ব্যর্থ হয়েছে হ্যাল। রিপোর্ট অনুযায়ী, তেজস যুদ্ধবিমান ভারতে তৈরি করা হলেও এর ইঞ্জিন সরবরাহ করার কথা জেনারেল ইলেকট্রিকের। তবে তারা সময় মতো ইঞ্জিন (F404 IN20 Engines) সরবরাহ করছে না। আর তাই পূর্বনির্ধারিত সময় মতো বায়ুসেনর হাতে তেজস যুদ্ধবিমান তুলে দিতে ব্যর্থ হয়েছে হ্যাল। আগামী কয়েক বছরে ৩০০-রও বেশি তেজস (Tejas Mk 1A) যুদ্ধবিমান শামিল করার পরিকল্পনা রয়েছে বায়ুসেনার ফাইটার স্কোয়াড্রনগুলিতে। কিন্তু সরবরাহ থমকে যাওয়ায় ক্ষোভপ্রকাশ করেছিলেন ভারতীয় বায়ুসেনার প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল এপি সিং।

  • Finance Bill: লোকসভায় পাশ হল নয়া অর্থ বিল, এসেছে ৩৫টি বদল! জানেন কী কী?

    Finance Bill: লোকসভায় পাশ হল নয়া অর্থ বিল, এসেছে ৩৫টি বদল! জানেন কী কী?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক:  লোকসভায় পাশ হয়ে গেল নতুন অর্থ বিল ২০২৫ (Finance Bill)। কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন (Nirmala Sitharaman) এই নয়া অর্থ বিলকে করদাতাদের ক্ষেত্রে সুবিধেজনক বলে দাবি করেছেন এবং তিনি জানিয়েছেন যে, ব্যক্তিগত আয়কর সংগ্রহে ১৩.১৪ শতাংশ বৃদ্ধির ফলে বেশ কিছু তথ্যের উপর ভিত্তি করে এই বিল পাশ করা হয়েছে যা বাস্তবসম্মত। লোকসভায় (Lok Sabha) মঙ্গলবার এছাড়াও একাধিক বিল পাশ করানো হয়েছে। ‘এক দেশ এক নির্বাচন’ নিয়ে জয়েন্ট পার্লামেন্টারি কমিটির (JPC) সময়সীমা ২০২৫-এর বর্ষাকালীন অধিবেশন পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে। নিম্ন কক্ষে বয়লার বিলও পাশ হয়ে গিয়েছে।

    নয়া অর্থ বিলে সুবিধা

    অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন (Nirmala Sitharaman) বলেছেন যে এই বিল করের স্থিতিশীলতা (Tax Certainty) নিশ্চিত করতে এবং ব্যবসা করার সুবিধা (Ease of Doing Business) বাড়াতে আনা হয়েছে। তিনি বলেছেন যে এই বিলে অভূতপূর্ব কর ছাড় (Tax Relief) দেওয়া হয়েছে এবং বিদেশি সম্পত্তির উপর কর সংগ্রহ বাড়ানোর জন্য নতুন নিয়ম তৈরি করা হয়েছে। সীতারামন বলেছেন যে, এই বিলটি (Finance Bill) ২০৪৭ সালের মধ্যে উন্নত ভারত (Viksit Bharat 2047) গড়ার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির লক্ষ্যের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ। এর মাধ্যমে সরকার ট্যাক্স সংক্রান্ত একাধিক সংস্কার করেছে, যা সাধারণ মানুষ ও ব্যবসায়ীদের স্বস্তি দেবে।

    অর্থ বিলে নানা বদল (Finance Bill)

    নয়া অর্থ বিলে বৈদ্যুতিন গাড়ির ব্যাটারি এবং মোবাইল ফোনের যন্ত্রাংশের উপর থেকে আমদানি কর বাতিল করা হয়েছে। এখন বৈদ্যুতিন গাড়ির ব্যাটারির ৩৫টি যন্ত্রাংশ এবং মোবাইল ফোনের ব্যাটারির ২৮টি যন্ত্রাংশ সম্পূর্ণ বিনামূল্যেই পাওয়া যাবে। আয়কর রিটার্নের ১৪৩ (১) ধারায় নয়া নিয়ম চালু করা হয়েছে। আয়কর বিভাগ এখন থেকে গত বছরের জমা করা আয়কর রিটার্নে ভুল সংশোধন করবে এবং আগামী রিটার্নে এগুলি সংশোধিত হবে। নয়া বিল (Finance Bill) অনুযায়ী ১ এপ্রিল ২০২৫ থেকে অনলাইন বিজ্ঞাপনের উপরে ৬ শতাংশ ডিজিটাল ট্যাক্স বাতিল করা হবে।

    প্রয়োজনীয় সংশোধনী

    নির্মলা সীতারামন জানিয়েছেন যে, এবার থেকে করদাতারা তাদের বছরে ১২ লাখ টাকা আয় পর্যন্ত কর ছাড় পাবেন। গত কয়েক বছরে ব্যক্তিগত আয়কর সংগ্রহের হার ২০ শতাংশ হারে বেড়ে গিয়েছে। তিনি জানিয়েছেন, ২০২৫-২৬ অর্থবর্ষে অনুমান করা হয়েছে ব্যক্তিগত আয়কর সংগ্রহ হবে ১৩.৬ লক্ষ কোটি টাকা। আর চলতি অর্থবর্ষের জন্য আয়কর সংগ্রহের পরিমাণ হতে পারে ১২.২ লক্ষ কোটি টাকা। কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী আরও জানিয়েছেন যে ১১ হাজার ১৬২ জন করদাতা তাদের রিটার্ন সংশোধন করে বৈদেশিক সম্পদের ফর্ম পূরণ করে ১১ হাজার ২৫৯ কোটি টাকার সম্পদের ঘোষণা করেছেন।

    নতুন আয়কর আইন নিয়ে বিতর্ক

    নতুন আয়কর আইন নিয়ে ইতিমধ্যেই বিতর্ক শুরু হয়েছে। কেন্দ্রের দাবি, ১৯৬১ সালের আয়কর আইনে পরিবর্তন করবে নতুন বিল (Finance Bill)। বিল পেশ করে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘‘আয়কর আইনের ধারা কমিয়ে ৫৩৬-এ নামিয়ে আনা হবে।’’ আয়করের নিয়ম সরল করবে নতুন বিল, এমনটাই মত কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রীর। গত ১ এপ্রিল নির্মলা সীতারামন যে বাজেট পেশ করেছিলেন তাতে বেশ কিছু সংশোধনীর প্রস্তাব এসেছিল। সেগুলির মধ্যে ৩৫টি গৃহীত হয়েছে। সেই সংশোধনী-সহ অর্থবিল (Finance Bill) হিসাবে বাজেটটি লোকসভায় পাশ হল। এর পর বাজেট রাজ্যসভায় পাশ হলেই বাজেট অধিবেশন শেষ হয়ে যাব। বাজেটে ৫০.৬৫ লক্ষ কোটি টাকা ব্যয়ের কথা বলা হয়েছে, যা চলতি অর্থবর্ষের তুলনায় ৭.৪ শতাংশ বেশি।

    ‘এক দেশ, এক নির্বাচন’ 

    লোকসভায় ‘এক দেশ, এক নির্বাচন’ নিয়ে জয়েন্ট পার্লামেন্টারি কমিটির (JPC) রিপোর্ট পেশ করার সময়সীমা বাড়ানো হয়েছে। JPC-র চেয়ারম্যান পিপি  চৌধুরী (PP Chaudhary) সংবিধান (১২৯তম সংশোধন) বিল ২০২৪ এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল আইন (সংশোধন) বিল ২০২৪-এর উপর রিপোর্ট পেশ করার জন্য সময়সীমা ২০২৫ সালের বর্ষাকালীন অধিবেশন পর্যন্ত বাড়ানোর প্রস্তাব রাখেন, যা লোকসভা মঞ্জুর করেছে। সরকারের দাবি, এই বিল দেশে নির্বাচনী প্রক্রিয়াকে সুবিন্যস্ত করার দিকে একটি বড় পদক্ষেপ হবে, যার ফলে লোকসভা ও বিধানসভা নির্বাচন একসঙ্গে করানো সম্ভব হবে।

    বয়লার বিল 

    লোকসভায় বয়লার বিল-ও পাশ হয়েছে, যা এর আগে রাজ্যসভা (Rajya Sabha) থেকে অনুমোদন পেয়েছিল। বাণিজ্য ও শিল্পমন্ত্রী পীযূষ গোয়েল (Piyush Goyal) এই বিলটি পেশ করেন। সরকারের বক্তব্য, এই বিল ব্যবসা করার সুবিধা বাড়াতে আনা হয়েছে, যা এমএসএমই সেক্টরের বয়লার ব্যবহারকারীদের সুবিধা দেবে। এই বিলে একাধিক পুরনো নিয়ম বাতিল করা হয়েছে এবং জন বিশ্বাস অ্যাক্ট ২০২৩-এর অধীনে অপরাধের জন্য শাস্তির নিয়ম সরল করা হয়েছে।

  • LCH Prachand: ৪৫ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে ১৫৬টি দেশীয় অ্যাটাক হেলিকপ্টার কিনতে চলেছে কেন্দ্র!

    LCH Prachand: ৪৫ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে ১৫৬টি দেশীয় অ্যাটাক হেলিকপ্টার কিনতে চলেছে কেন্দ্র!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দেশের প্রতিরক্ষাকে জোরদার করতে গত সপ্তাহেই ৬১ হাজার কোটি টাকার সামরাস্ত্র ও যুদ্ধ সরঞ্জাম কেনায় সবুজ সঙ্কেত দিয়েছে মোদি মন্ত্রিসভা। শীঘ্রই আরও একটি চুক্তিতে অনুমোদন দিতে পারে কেন্দ্র। সূত্রের খবর, দেশে তৈরি লাইট কমব্যাট হেলিকপ্টার ‘প্রচণ্ড’-র (LCH Prachand) ১৫৬টি ইউনিট কিনতে রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা হিন্দুস্থান অ্যারোনটিক্স লিমিটেড (হ্যাল)-এর সঙ্গে প্রায় ৪৫ হাজার কোটি টাকার চুক্তি করতে পারে কেন্দ্র। এই হাল্কা অ্যাটাক হেলিকপ্টারগুলি (Light Combat Helicopters Deal) ভারতীয় স্থলসেনা ও ভারতীয় বায়ুসেনার জন্য কেনা হবে।

    দ্বিমুখী যুদ্ধের প্রস্তুতি!

    কয়েকদিন আগেই, ভারতীয় সেনাপ্রধান আশঙ্কা প্রকাশ করেছিলেন যে, বর্তমান সময়ে ভারতের সামনে দ্বিমুখী যুদ্ধ পরিস্থিতির তৈরি হওয়াটা কোনও কল্পনা নয়। আজকের দিনে দাঁড়িয়ে এর সম্ভাবনা যথেষ্ট পরিমাণে রয়েছে। ফলে, ভারতকে দুই দিকেই (চিন ও পাকিস্তান) প্রতিরক্ষাকে জোরদার করে রাখতে হবে। সদা-সর্বদা প্রস্তুত থাকতে হবে যে কোনও দিন দ্বিমুখী সংঘাত পরিস্থিতির জন্য। আর সেই জন্য, সামরিক দিকগুলোয় যেখানে যা দুর্বলতা বা ফাঁকফোকড় রয়েছে, তা দ্রুত ভরাট করতে হবে। সূত্রের দাবি, পাকিস্তান ও চিন সীমান্তে নিরাপত্তা অভিযান বাড়ানোর জন্য প্রতিরক্ষা মন্ত্রক এই হেলিকপ্টারগুলি অধিগ্রহণের পক্ষে জোরালোভাবে সওয়াল করছে।

    এলসিএইচ প্রচণ্ড দেশের গর্ব (LCH Prachand)

    জানা গিয়েছে, ২০২৪ সালের জুনে মাসে, হিন্দুস্থান অ্যারোনটিক্স লিমিটেড (HAL) ১৫৬টি লাইট কমব্যাট হেলিকপ্টার (Light Combat Helicopters Deal) নির্মাণের জন্য একটি দরপত্র পেয়েছিল। সেই নিয়ে আলোচনা-পর্ব মেটার পর এখন তা চূড়ান্ত অনুমোদনের পর্যায়ে রয়েছে। এই ১৫৬টি হেলিকপ্টারের মধ্যে ৯০টি ভারতীয় স্থলসেনার জন্য এবং ৬৬টি ভারতীয় বায়ুসেনার জন্য বরাদ্দ করা হবে। এই প্রস্তাব অনুমোদন পেলে, ভারতের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা আরও সুরক্ষিত হবে। একইসঙ্গে, প্রতিরক্ষা উৎপাদনে দেশে জোয়ার আসবে, যা মোদি সরকারের আত্মনির্ভর ভারত-এর (Atmanirbhar Bharat) পক্ষে জোরালো সওয়াল হবে এবং একইসঙ্গে ভারতে কর্মসংস্থান তৈরি হবে।

    এক নজরে হ্যাল এলসিএইচ প্রচণ্ড-র বৈশিষ্ট্য ও গুণাবলি

    ‘প্রচণ্ড’ (LCH Prachand) বিশ্বের একমাত্র আক্রমণকারী বা অ্যাটাক হেলিকপ্টার, যা ৫,০০০ থেকে ১৬,৪০০ ফুট উচ্চতায় অবতরণ ও উড়তে সক্ষম। সিয়াচেন হিমবাহ ও পূর্ব লাদাখের মত অতি উচ্চ এলকায় যুদ্ধের জন্য এগুলি আদর্শ।

    অধিক উচ্চতার অভিযানে দক্ষতার পাশাপাশি, প্রচণ্ড হেলিকপ্টারগুলি আকাশ থেকে ভূমি এবং আকাশ থেকে আকাশে নিক্ষেপযোগ্য ক্ষেপণাস্ত্রে সজ্জিত।

    প্রচণ্ড চপারগুলো ডেটা চিপ দিয়ে সংযুক্ত, যা তাদের নেটওয়ার্ক-কেন্দ্রিক অভিযানে অংশগ্রহণ করার ক্ষমতা দেয়। ডেটা চিপগুলির জন্য এই কপ্টারগুলি সামরিক অভিযানে সমন্বয় গঠনের মাধ্যমে বাহিনীর শক্তিবৃদ্ধিতে সহায়ক হয়ে ওঠে।

    এলসিএইচ প্রচণ্ডকে (LCH Prachand) ২০২২ সালের অক্টোবর মাসে ভারতীয় বায়ুসেনায় আনুষ্ঠানিকভাবে অন্তর্ভুক্ত করা হয়।

    মেক ইন ইন্ডিয়া-য় জোর, গুরুত্ব আত্মনির্ভর ভারত-কে

    মেক ইন ইন্ডিয়া (Make in India) উদ্যোগকে আরও প্রসারিত করতে এবং আত্মনির্ভর ভারত (Atmanirbhar Bharat) প্রোগ্রামের মাধ্যমে প্রতিরক্ষা উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করতে ইতিমধ্যেই হ্যালকে ৮৩টি এলসিএ তেজস যুদ্ধবিমান তৈরির জন্য একটি অর্ডার দিয়েছে এবং আরও ৯৭টি যুদ্ধবিমান চূড়ান্ত করার প্রক্রিয়ায় রয়েছে। তার মধ্যেই, এবার ১৫৬টি এলসিএইচ-এর (LCH Prachand) বরাত পেতে চলেছে রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থাটি। কেন্দ্রের নিরাপত্তা সংক্রান্ত মন্ত্রিসভার পরিষদ বা কেবিনেট কমিটি অন সিকিউরিটি ৩০৭টি অ্যাডভান্সড টাওড আর্টিলারি গান সিস্টেম (এটিএজিএস) কেনার জন্য ৭ হাজার কোটি টাকার একটি চুক্তিও অনুমোদন করেছে, যা বুধবার স্বাক্ষরিত হওয়ার জন্য প্রত্যাশিত। এই হাউইৎজারগুলি ভারত ফোর্জ এবং টাটা গ্রুপ দ্বারা উৎপাদিত হবে।

  • Amit Shah: “উপত্যকায় বিচ্ছিন্নতাবাদ এখন অতীত,” ঘোষণা করলেন শাহ

    Amit Shah: “উপত্যকায় বিচ্ছিন্নতাবাদ এখন অতীত,” ঘোষণা করলেন শাহ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “উপত্যকায় বিচ্ছিন্নতাবাদ (Separatism) এখন অতীত।” মঙ্গলবার কথাগুলি বললেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah)। এদিনই তিনি হুরিয়তের দুটি শাখা সংগঠনের মূল স্রোতে ফেরার খবর সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেন। সেখানেই তিনি জানিয়ে দেন ভূস্বর্গে বিচ্ছিন্নতাবাদ এখন অতীত।

    জম্মু- কাশ্মীরে শান্তি ফেরানোর উদ্যোগ (Amit Shah)

    ২০১৪ সালে কেন্দ্রের কুর্সিতে বসেই জম্মু- কাশ্মীরে শান্তি ফেরাতে কোমর বেঁধে নামেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। একদিকে যেমন উপত্যকায় উন্নয়নের জোয়ার বইয়ে দেওয়া হয়, তেমনি অন্যদিকে সেখান থেকে প্রত্যাহার করে নেওয়া হয় ৩৭০ ধারা। এই জোড়া ফলায় মেলে সাফল্য। গত ১০ বছরে উপত্যকায় নিত্য কমছে অশান্তির হার। এবার বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন হুরিয়ত কনফারেন্সের দুটি শাখা সংগঠন হিংসার রাস্তা ছেড়ে সমাজের মূল স্রোতে ফিরল। সোশ্যাল মিডিয়ায় সে কথাই ঘোষণা করেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।

    কী বলছেন শাহ

    সোশ্যাল মিডিয়া শাহ লিখেছেন, “কাশ্মীরে বিচ্ছিন্নতাবাদ এখন ইতিহাস। মোদিজির সবকা সাথের নীতি উপত্যকা থেকে বিচ্ছিন্নতাবাদকে ছুঁড়ে ফেলে দিয়েছে। হুরিয়তের দুই শাখা সংগঠন সমস্ত রকম বিচ্ছিন্নতাবাদী কার্যকলাপ ছাড়ার সিদ্ধান্ত ঘোষণা করল।” তিনি লিখেছেন, “এই দুই সংগঠনকে সমাজের মূল ধারায় স্বাগত। আমি এই ধরনের সব সংগঠনকেই বিচ্ছিন্নতাবাদ ভুলে দেশের ঐক্যের স্বার্থে কাজ করার আহ্বান জানাচ্ছি। উন্নত, শান্ত ও ঐক্যবদ্ধ ভারত গড়ার লক্ষ্য প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির দূরদৃষ্টিরই সুফল এটা।”

    গত কয়েক দশক ধরে কাশ্মীরে ভারত বিরোধী আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছিল বিচ্ছিন্নতাাদীরা। এদের নেতৃত্ব দিচ্ছিল হুরিয়ত। তারা কাশ্মীরকে ভারত থেকে আলাদা করার চেষ্টা চালিয়ে গিয়েছে প্রকাশ্যেই। ভূস্বর্গ থেকে ৩৭০ ধারা লোপ পাওয়ার পর অবশ্য বদলে যায় ছবিটা। ভূস্বর্গে প্রকৃত শান্তি ফেরাতে ধরপাকড় শুরু করে কেন্দ্র (Amit Shah)। তার পরেই বেপাত্তা হয়ে যায় হুরিয়ত পন্থী নেতাদের মাথারা। এঁদের অনেকেই আবার পরে ফেরেন সমাজের মূল স্রোতে। কেবল হুরিয়ত নয়, বিচ্ছিন্নতাবাদী আরও অনেক সংগঠনই ফিরেছে মূল ধারায়। সেই তালিকায় এবার জুড়ল হুরিয়তের দুই সংগঠনের নাম।

    গত ২১ মার্চ রাজ্যসভায় বক্তৃতা দিতে গিয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছিলেন, “মোদি সরকার নিষ্ঠুরভাবে জঙ্গিদের আত্মীয় যারা সরকারি চাকরি করছিলেন, তাঁদের চাকরি থেকে বরখাস্ত করেছে। সহানুভূতিশীলরা দিল্লি ও শ্রীনগরের জেরে রয়েছে। আরও একটি সময় ছিল যখন জঙ্গিদের (Separatism) গৌরবান্বিত করা হত। আর নয়। আজ তারা যেখানে মারা যায়, সেখানেই সমাহিত করা হয় (Amit Shah)।”

  • Sonia Gandhi: কেজিবি ও সোরোসের সঙ্গে যোগসাজশ! ভারতকে দুর্বল করার সব চেষ্টা করেন সোনিয়া গান্ধী

    Sonia Gandhi: কেজিবি ও সোরোসের সঙ্গে যোগসাজশ! ভারতকে দুর্বল করার সব চেষ্টা করেন সোনিয়া গান্ধী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সোনিয়া গান্ধী (Sonia Gandhi) হলেন সেই রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব যিনি একবার আবেগে আপ্লুত হয়ে বলেছিলেন, “আমার রাজীবকে ফিরিয়ে দাও, তাহলে আমি ফিরে যাব। যদি তাকে ফিরিয়ে দিতে না পারো, তবে আমাকে মাটির সঙ্গে মিশে যেতে দাও।” রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের একাংশের মতে, বাস্তবে তিনি এমন একটি দীর্ঘমেয়াদি মিশন পরিচালনা করেছেন যা ভারতকে ভিতর (KGB Ties) থেকে গভীরভাবে দুর্বল করে দিয়েছে। রাশিয়ার কেজিবির সঙ্গে কথিত যোগসাজশ থেকে শুরু করে বিশ্ববাদী জর্জ সোরোসের সঙ্গে গভীর আঁতাত, বছরের পর বছর ধরে তাঁর কর্মকাণ্ড একটি সুপরিকল্পিত চেষ্টার ছবি তুলে ধরে—যার লক্ষ্য দেশের সামাজিক-রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কাঠামোকে ধ্বংস করা।

    টার্নিং পয়েন্ট (Sonia Gandhi)

    বিশেষজ্ঞদের মতে, ২০০৪ সালে ক্ষমতায় তাঁর উত্থান ভারতের ইতিহাসে একটি টার্নিং পয়েন্ট। এরপর আসে একের পর এক সুপরিকল্পিত পদক্ষেপ—হিন্দু সংগঠনগুলিকে টার্গেট করা, ধর্মান্তরণকে মদত দেওয়া, জাতীয় নিরাপত্তাকে ক্ষুণ্ণ করা এবং ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে বিদেশি হস্তক্ষেপকে সহজ করা। একটি কম্প্রোমাইজড মিডিয়া ব্যবস্থা এবং গভীরভাবে প্রোথিত আমলাতান্ত্রিক নেটওয়ার্কের সমর্থনে তিনি রেখে গিয়েছেন প্রতারণা, বিভাজন ও ধ্বংসের উত্তরাধিকার। রাজীব গান্ধী হত্যার আগে কংগ্রেস পার্টি ও ভারতের শাসন ব্যবস্থার ওপর সোনিয়ার নিয়ন্ত্রণ প্রায় ছিল না বললেই চলে। ১৯৯১ সালে ক্ষমতায় আসেন পিভি নরসিমহা রাও, যিনি তাঁকে সম্পূর্ণভাবে প্রান্তিক করে দিয়েছিলেন। অটল বিহারী বাজপেয়ীর শাসনকালেও (১৯৯৯–২০০৪) সোনিয়া রাজনৈতিকভাবে অপ্রাসঙ্গিক হয়ে পড়েছিলেন। কিন্তু ২০০৪ সালে কংগ্রেস-নেতৃত্বাধীন ইউপিএ ক্ষমতায় আসার পর ভয়ঙ্কর সূক্ষ্মতায় প্রকাশ পেতে শুরু করে সোনিয়ার দশকের পর দশক ধরে চালানো মিশনটি।

    কেজিবি-কংগ্রেস যোগ

    ঠান্ডা লড়াইয়ের সময়ের সোভিয়েত গোয়েন্দা দলিলগুলি ইঙ্গিত দেয় যে কংগ্রেস পার্টির সঙ্গে গভীর যোগাযোগ ছিল কেজিবির। এর মধ্যে সোনিয়াও অন্তর্ভুক্ত। রিপোর্টগুলি থেকে জানা যায়, কেজিবি অফশোর অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে কংগ্রেসের অ্যাকাউন্টে টাকা পাচার করত এবং রাজীব ও সোনিয়ার এই তহবিলে প্রবেশাধিকার ছিল। ১৯৯১ সালে সোভিয়েত ইউনিয়নের পতন এই সংযোগকে সাময়িকভাবে থামিয়ে দিয়েছিল। কিন্তু ২০০৪ সালে সোনিয়ার উত্থানের ফলে একই ধরনের বিদেশি প্রভাব ফের মাথাচাড়া দেয়। ২০০৫ সালে সোনিয়ার (Sonia Gandhi) চাপে ইউপিএ সরকার ৯৩তম সংবিধান সংশোধনী আনে, যা হিন্দু-পরিচালিত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলিকে সরকারের নিয়ন্ত্রণে আনার পাশাপাশি সংখ্যালঘু-পরিচালিত প্রতিষ্ঠানগুলিকে সম্পূর্ণ সুরক্ষা দেয়। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, এটি ছিল হিন্দুত্ব থেকে দলিত ও আদিবাসীদের বিচ্ছিন্ন করার একটি কৌশলগত প্রচেষ্টা—ব্রিটিশযুগের ‘ডিভাইড অ্যান্ড রুল (ভাগ কর ও শাসন কর)’ পলিশিরই প্রতিধ্বনি।

    হিন্দু স্কুলগুলিকে দুর্বল করা

    ২০০৯ সালে শিক্ষার অধিকার আইন হিন্দু-পরিচালিত স্কুলগুলির আরও ক্ষতি করে। এটি সাধারণ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলিতে অর্থনৈতিকভাবে দুর্বল শ্রেণীর জন্য ২৫ শতাংশ সংরক্ষণের বিধান দেয়। কিন্তু সংখ্যালঘু-পরিচালিত প্রতিষ্ঠানগুলিকে এই আইনের আওতা থেকে মুক্ত রাখা হয়। ফলস্বরূপ, বহু হিন্দু স্কুল আর্থিক সঙ্কটে পড়ে বন্ধ হয়ে যায়। অন্যদিকে খ্রিস্টান মিশনারি ও ইসলামিক প্রতিষ্ঠানগুলি বিদেশি অর্থায়ন ও রাষ্ট্রীয় সুরক্ষা পেয়ে ফুলেফেঁপে ওঠে (KGB Ties)।

    রেহাই পায়নি স্কুলের প্রার্থনাও

    ২০১৯ সালে কেন্দ্রীয় বিদ্যালয়গুলির প্রার্থনা থেকে ‘অসতো মা সদগময়’ বাদ দেওয়ার জন্য একটি আবেদন দাখিল করা হয়। এটিকে সোনিয়া গান্ধীর আর একটি প্রচেষ্টা হিসেবে দেখা হয়েছিল যাতে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলি থেকে হিন্দু সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য মুছে ফেলা যায়। ইউপিএ শাসনেই দূরদর্শনের লোগো থেকে ‘সত্যম শিবম সুন্দরম’ অপসারণ করা হয়, যা ভারতের রাষ্ট্রীয় সম্প্রচারকের সাংস্কৃতিক চেতনাকে মুছে ফেলার একটি প্রয়াস (Sonia Gandhi)।

    হিন্দু ধর্মকে ভেতর থেকে ভাঙার চেষ্টা

    এই শিক্ষাক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞার কারণে অনেক হিন্দু সম্প্রদায়—যেমন কর্ণাটকের লিঙ্গায়েত এবং সাই ভক্ত সম্প্রদায়—স্বতন্ত্র ধর্ম হিসেবে স্বীকৃতি দাবি করতে শুরু করে। এটি কংগ্রেসের কৌশলেরই একটি অংশ ছিল, যারা স্বাধীনতার পর শিখ, জৈন ও বৌদ্ধদের হিন্দু ধর্ম থেকে আলাদা করেছিল। সোনিয়ার মূল লক্ষ্য ছিল হিন্দু সমাজকে বিভক্ত করা, যাতে ধর্মান্তর ও বিদেশি প্রভাব সহজে ডানা মেলতে পারে।

    রাম সেতু এফিডেভিট: হিন্দু বিশ্বাসে আঘাত

    ২০০৭ সালে সোনিয়ার সরকার সুপ্রিম কোর্টে একটি এফিডেভিট জমা দিয়ে ঘোষণা করে যে ভগবান রাম, ভগবান হনুমান ও মা সীতা ‘কাল্পনিক চরিত্র’। তাই রাম সেতুর কোনও ধর্মীয় তাৎপর্য নেই। এটি হিন্দু বিশ্বাসের ওপর সরাসরি একটি আঘাত। কিন্তু বিজেপির প্রবল প্রতিবাদের মুখে পড়ে সরকার এই বক্তব্য প্রত্যাহার করতে বাধ্য হয়।

    হিন্দু সন্ত্রাস’ ষড়যন্ত্র: ভুয়া শত্রু তৈরি

    ২০০৬ সালের আগে ‘হিন্দু সন্ত্রাস’ শব্দটি শোনেনি বিশ্ব। কিন্তু মালেগাঁও ও সমঝোতা এক্সপ্রেস বোমা হামলার পরে সোনিয়ার সরকার হিন্দু গোষ্ঠীকে ফাঁসানোর জন্য প্রচার শুরু করে, যাতে তাদের জঙ্গি হুমকি হিসেবে চিত্রিত করা যায়। অবশ্য আদালতে এই মিথ্যা মামলাগুলো ভেস্তে যায়। কিন্তু কংগ্রেস ইতিমধ্যেই ইসলামিস্ট জঙ্গি গোষ্ঠী ও হিন্দু সংগঠনগুলোর মধ্যে একটি মিথ্যা সমতা তৈরি করতে সফল হয় (KGB Ties)।

    সোনিয়া গান্ধী যখন থেকে ছড়ি ঘোরাতে শুরু করেন, সেই পর্বে সবচেয়ে বিপজ্জনক পদক্ষেপগুলির মধ্যে একটি ছিল ভারতীয় সেনাবাহিনীকে ধর্মীয় ভিত্তিতে বিভক্ত করার চেষ্টা। সাচার কমিটি রিপোর্টে সেনাবাহিনীতে মুসলিম প্রতিনিধিত্বের ‘তদন্ত’ করার সুপারিশ করা হয়, যা সশস্ত্র বাহিনীর মধ্যে বিভেদ সৃষ্টির চেষ্টা হিসেবে বিবেচিত হয়েছিল। জাতীয়তাবাদী শক্তির তীব্র প্রতিক্রিয়ায় সরকার এই পরিকল্পনা বাতিল করতে বাধ্য হয়। কিন্তু এটি কংগ্রেসের ভারতের প্রতিরক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলিকে দুর্বল করার ইচ্ছাকেই প্রকাশ করে (Sonia Gandhi)।

    মন্দির লুট করার পাশাপাশি গির্জায় অর্থায়ন

    আরটিআই অনুসন্ধানে জানা গিয়েছে, কংগ্রেস-নেতৃত্বাধীন সরকারগুলি, বিশেষ করে কর্নাটকে, হিন্দু মন্দিরগুলি সরকারি নিয়ন্ত্রণ ও শোষণের অধীনে থাকা সত্ত্বেও গির্জাগুলিতে কোটি কোটি টাকা বরাদ্দ করেছিল। এই সুস্পষ্ট বৈষম্য ধর্মান্তরকে উৎসাহিত করেছিল এবং বিদেশি অর্থায়নে পরিচালিত ধর্মপ্রচারকদের অবাধে সম্প্রসারণের সুযোগ করে দিয়েছিল।

    কাঞ্চির শঙ্করাচার্যের গ্রেফতারি

    ২০০৪ সালে দীপাবলির রাতে কাঞ্চির শঙ্করাচার্য জয়েন্দ্র সরস্বতীকে মিথ্যা অভিযোগের ভিত্তিতে গ্রেফতার করা হয়। প্রথমে তামিলনাড়ুর জয়ললিতা সরকারের পদক্ষেপ বলে মনে করা হলেও, পরে প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায় জানান, এটি সোনিয়া গান্ধীর কেন্দ্রীয় সরকারের দ্বারা পরিচালিত হয়েছিল। কারণ? শঙ্করাচার্য ছিলেন খ্রিস্টান মিশনারিদের ধর্মান্তরণের প্রধান বাধা। সোনিয়ার দীর্ঘদিনের বিদেশি শক্তিগুলির সঙ্গে যোগসাজশ নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে, বিশেষ করে জর্জ সোরোস এবং ফোরাম অফ ডেমোক্র্যাটিক লিডার্স ইন এশিয়া প্যাসিফিক (এফডিএল-এপি)-এর সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক প্রকাশ্যে আসার পর (KGB Ties)।

    সোনিয়া-সোরোস যোগ

    নথিপত্র থেকে জানা গিয়েছে, সোনিয়া, রাজীব গান্ধী ফাউন্ডেশন এবং জর্জ সোরোসের ওপেন সোসাইটি ফাউন্ডেশনের মধ্যে গভীর যোগ ছিল। সোরোস একজন স্বঘোষিত গ্লোবালিস্ট। তিনি প্রকাশ্যে ‘মোদীকে ক্ষমতা থেকে সরানোর’ মিশন ঘোষণা করেছেন। ভারত-বিরোধী একাধিক উদ্যোগে অর্থায়নও করেছেন তিনি (Sonia Gandhi)।

    সোরোসের ওপেন সোসাইটি ফাউন্ডেশনের ভাইস প্রেসিডেন্ট সালিল শেট্টি রাহুল গান্ধীর ভারত জোড়ো যাত্রায় সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করেছিলেন। অর্গানাইজড ক্রাইম অ্যান্ড কোরাপশন রিপোর্টিং প্রজেক্ট, যা ক্রমাগত নরেন্দ্র মোদি-বিরোধী প্রচার চালাচ্ছে, তার ৫০ শতাংশ অর্থ আসে মার্কিন বিদেশ দফতর থেকে। সোনিয়ার রাজনৈতিক কার্যক্রম এবং পশ্চিমি ডিপ স্টেটের অ্যাজেন্ডার মধ্যে এই সরাসরি সংযোগ কোনও কাকতালীয় ঘটনা নয়—এটি ভারতকে অস্থিতিশীল করার একটি সুপরিকল্পিত বৃহত্তর চক্রান্তের অংশ। তাঁর কথিত কেজিবি-সংযোগ থেকে শুরু করে সোরোস-মদতপুষ্ট গ্লোবালিস্ট (KGB Ties) শক্তিগুলির সঙ্গে তাঁর গভীর আঁতাত, সোনিয়া গান্ধীর শাসনকালকে সুপরিকল্পিত বিশ্বাসঘাতকতার ইতিহাস বলেই চিহ্নিত করে (Sonia Gandhi)।

LinkedIn
Share