Category: বিদেশ

Get updates on World News Headlines International News from the Madhyom news portal madhyom.com, West Bengal leading news portal Madhyom.com

  • BrahMos Strike: ‘স্রেফ ৩০ সেকেন্ড সময় ছিল’! ব্রহ্মস হামলায় কাঁপে পাক সেনার ‘নার্ভ সেন্টার’, স্বীকার শেহবাজের উপদেষ্টার

    BrahMos Strike: ‘স্রেফ ৩০ সেকেন্ড সময় ছিল’! ব্রহ্মস হামলায় কাঁপে পাক সেনার ‘নার্ভ সেন্টার’, স্বীকার শেহবাজের উপদেষ্টার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতের ‘অপারেশন সিঁদুর’-এর (Operation Sindoor) সময় চাপে ছিল পাকিস্তানের সামরিক বাহিনী। এতদিনে সেই কথা মানলেন প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফের বিশেষ উপদেষ্টা রানা সানাউল্লাহ। এক টেলিভিশন সাক্ষাৎকারে তিনি জানান, ভারতের নিক্ষিপ্ত ব্রহ্মস সুপারসনিক মিসাইল (BrahMos Strike) যখন পাকিস্তানের চট্টগ্রামের নুর খান এয়ারবেসে আঘাত হানে, তখন পাকিস্তানের কাছে সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য সময় ছিল মাত্র ৩০ থেকে ৪৫ সেকেন্ড। মিসাইলটি পারমাণবিক কিনা তা নির্ধারণ করাই ছিল লক্ষ্য।

    ব্রহ্মস আক্রমণের প্রেক্ষাপট

    চলতি বছর ২২ এপ্রিল জম্মু-কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে এক ভয়াবহ জঙ্গি হামলায় পাকিস্তান ঘেঁষা সন্ত্রাসীরা ২৬ জন পর্যটককে হত্যা করে। এই ঘটনার জবাবে ভারত ৭ মে ‘অপারেশন সিঁদুর’ শুরু করে। লস্কর-ই-তইবা, জইশ-ই-মহম্মদ ও হিজবুল মুজাহিদিনের ঘাঁটি গুঁড়িয়ে দেয় ভারতীয় বাহিনী। নিহত হয় ১০০-র বেশি জঙ্গি। পাকিস্তান পাল্টা ড্রোন ও মিসাইল হামলা চালালে সেগুলি প্রতিহত করে ভারতীয় প্রতিরক্ষা। এরপর ভারত সোজাসুজি পাক সামরিক ঘাঁটি লক্ষ্য করে ব্রহ্মস হামলা চালায়। ৯ মে রাত থেকে ১০ মে ভোর পর্যন্ত একযোগে ১১টি পাকিস্তানি বিমানঘাঁটিতে হামলা হয়— যার মধ্যে ছিল সর্গোধা, রফিকি এবং সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ চকলালার নুর খান এয়ারবেস।

    কেন এত গুরুত্বপূর্ণ নুর খান ঘাঁটি?

    নুর খান এয়ারবেস পাকিস্তান বিমানবাহিনীর ভিআইপি ফ্লিট, তুরস্ক থেকে কেনা উন্নত ড্রোন (Bayraktar TB2), এবং স্ট্র্যাটেজিক কমান্ড সেন্টারের কেন্দ্রবিন্দু। এটি রাওয়ালপিন্ডিতে অবস্থিত পাকিস্তান সেনাবাহিনীর সদর দফতরের পাশেই। এমন স্পর্শকাতর স্থানে ভারতের এই সুপারসনিক হামলা ছিল নজিরবিহীন।

    ব্রহ্মসের গতি এবং পাকিস্তানের বিভ্রান্তি

    ব্রহ্মস একটি ইন্দো-রাশিয়ান যৌথভাবে তৈরি সুপারসনিক ক্রুজ মিসাইল। এটি মাক ২.৮–৩.০ (প্রায় ৩৪৫০ কিমি/ঘণ্টা) গতিতে ছুটে আসে এবং মাটির কাছাকাছি উড়ে আসায় সহজে ধরা যায় না। রানা সানাউল্লাহ বলেন, “এই মিসাইল যদি পারমাণবিক হতো, পাকিস্তানের সামনে সিদ্ধান্ত নেওয়ার সময় ছিল মাত্র ৩০ সেকেন্ড। পরিস্থিতিটা ছিল সত্যিই ভয়ানক।” তিনি এটিকে বিশ্ব যুদ্ধের প্রেক্ষাপট তৈরি করার মতো বিপজ্জনক পরিস্থিতি বলেও মন্তব্য করেন। স্যাটেলাইট চিত্রে দেখা যায়, নুর খান ঘাঁটিতে রানওয়ে ভাঙা, হ্যাঙ্গার বিধ্বস্ত, রাডার ইনস্টলেশন নষ্ট হয়ে গিয়েছে। একই ধ্বংসের ছবি দেখা যায় সর্গোধা, ভোলারি, রহিম ইয়ার খান, ও সুক্কুর ঘাঁটিতে। এই হামলায় পাকিস্তানের বিমান প্রতিরক্ষা কার্যত বিপর্যস্ত হয়। পাকিস্তান শুরুতে বিষয়টি অস্বীকার করলেও পরবর্তীতে উপপ্রধানমন্ত্রী ইসহাক দার স্বীকার করেন— “ভারত দুটি গুরুত্বপূর্ণ বিমানঘাঁটিতে হামলা করেছে।”

    যুদ্ধবিরতির বিতর্ক

    পাকিস্তান দাবি করে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প মধ্যস্থতা করে যুদ্ধবিরতি করান এবং তাঁকে শান্তির নোবেল পুরস্কারের জন্য মনোনীত করার কথাও বলেন রানা সানাউল্লাহ। তবে ভারতীয় বিদেশ মন্ত্রক তা খণ্ডন করে জানায়, পাকিস্তানের ডিরেক্টর জেনারেল অব মিলিটারি অপারেশন (DGMO) নিজেই যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব পাঠান। আসলে ভারতের হামলায় দিশেহারা হয়ে গিয়েছিল ইসলামাবাদ। রানা সানাউল্লাহ-এর কথা থেকেই তা স্পষ্ট। তবে পারমাণবিক হামলায় যে আশঙ্কার কথা রানা সানাউল্লাহ উল্লেখ করছেন, তা অমূলক। কারণ বিশেষজ্ঞদের মতে ভারতের পারমাণবিক অস্ত্র নীতির (No First Use) ভিত্তিতে পাকিস্তানের বোঝা উচিত ছিল, ব্রহ্মসে পারমাণবিক ওয়ারহেড থাকার সম্ভাবনা কম। এই কথা বলে পাকিস্তান পাকিস্তান আন্তর্জাতিকভাবে সহানুভূতি আদায় করতে চাইছে।

    পাকিস্তানের আতঙ্ক

    পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফও সম্প্রতি স্বীকার করে নিয়েছিলেন ভারতের ব্রহ্মস মিসাইলে বিপর্যস্ত হয়েছিল পাক বায়ুসেনা ঘাঁটি। যার মধ্যে ছিল রাওয়ালপিন্ডি বিমানবন্দর। আজারবাইজানে এক অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখার সময় তিনি পরিষ্কার জানিয়েছেন, পাক বায়ুসেনা ঘাঁটিতে হামলা চালিয়েছিল ভারত। পাকিস্তান তার আগেই হামলার মতলব কষেছিল। কিন্তু তাদের হতভম্ব করে আগেই হামলা চালিয়ে পাকিস্তানের সব রণকৌশল ব্যর্থ করে দিয়েছিল নয়াদিল্লি। এবার সেই পাক আতঙ্কের কথা জানালেন সানাউল্লাহও। এই ব্রহ্মস হামলা পাকিস্তানের নিরাপত্তা ব্যবস্থাকে কতটা অসহায় করে দিয়েছিল, রানা সানাউল্লাহর স্বীকারোক্তি থেকে তা জলের মতো পরিষ্কার।

  • India Greece Missile Deal: ‘জাতশত্রু’ গ্রিসকে ক্রুজ মিসাইল দিতে চলেছে ভারত! আতঙ্কিত তুরস্ক

    India Greece Missile Deal: ‘জাতশত্রু’ গ্রিসকে ক্রুজ মিসাইল দিতে চলেছে ভারত! আতঙ্কিত তুরস্ক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভয়ঙ্কর ভূমিকম্পে বিধ্বস্ত তুরস্ককে (Turkey) সবার আগে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছিল নরেন্দ্র মোদির ভারত। বিশেষ বিমানে করে ত্রাণ পাঠিয়েছিল নয়াদিল্লি। অথচ, পহেলগাঁও হত্যাকাণ্ডের জেরে যখন পাকিস্তান এবং পাক অধিকৃত কাশ্মীরে ভারত ‘অপারেশন সিঁদুর’ চালায়, তখন নয়াদিল্লির অবদান ভুলে গিয়ে মুসলিম রাষ্ট্র পাকিস্তানের পাশেই দাঁড়ায় ইসলামিক রাষ্ট্র তুরস্ক (India Greece Missile Deal)! উন্নত ড্রোন, অন্যান্য সামরিক যুদ্ধাস্ত্র এবং যুদ্ধ জাহাজ দিয়ে বন্ধু পাকিস্তানকে সাহায্য করেছিল তুরস্ক। সেই তুরস্ককেই এবার উপযুক্ত জবাব দিতে চলেছে ভারত! তুরস্কের জাতশত্রু গ্রিসকে লং রেঞ্জ ল্যান্ড অ্যাটাক ক্রুজ মিসাইল দিতে চলেছে ভারত। সাম্প্রতিক গ্রিস সফরের সময় ভারতীয় বিমান বাহিনীর প্রধান মার্শাল ভিআর চৌধুরি গ্রিসের বিমান বাহিনীর প্রধানের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। গ্রিক সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, উভয় দেশই প্রতিরক্ষা সহযোগিতা নিয়ে একটি চুক্তি সই করেছে। এই চুক্তির আওতায় ভারত থেকে গ্রিসে লং-রেঞ্জ ল্যান্ড অ্যাটাক ক্রুজ মিসাইল সরবরাহের একটি সম্ভাব্য চুক্তির কথাও উল্লেখ রয়েছে।

    ক্রুজ মিসাইল গ্রিসকে দেওয়ার প্রস্তাব (India Greece Missile Deal)

    তুরস্কের সংবাদসংস্থা টিআর হেবার জানিয়েছে, ডিআরডিও নির্মিত এই মিসাইল সরবরাহের প্রস্তাব দিয়েছে ভারত। যদিও ভারত বা গ্রিসের পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে এ বিষয়ে কোনও নিশ্চয়তা দেওয়া হয়নি। তবে বিভিন্ন সূত্র মারফত পাওয়া খবরে ওই সংবাদ মাধ্যম দাবি করেছে, ভারত ১,০০০ কিলোমিটারেরও বেশি দূরত্ব অতিক্রমে সক্ষম একটি ক্রুজ মিসাইল গ্রিসকে দেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছে। এই সম্ভাব্য মিসাইল দেওয়ার খবরে উদ্বেগ সৃষ্টি হয়েছে তুরস্কে। ভারতের কাছ থেকে গ্রিস এই ধরনের কৌশলগত অস্ত্র পেতে পারে, এমন আশঙ্কায় কাঁটা আঙ্কারা (তুরস্কের রাজধানী)। ভারতের এই মিসাইলটি বিমানঘাঁটি, প্রতিরক্ষা (Turkey) ব্যবস্থা, রাডার ইনস্টলেশন এবং অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ টার্গেটে অত্যন্ত নিখুঁতভাবে আঘাত হানতে পারে। এটাই মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে আঙ্কারার (India Greece Missile Deal)।

    ভারত-তুরস্ক সম্পর্ক

    এই জল্পনা এমন একটা সময়ে উঠেছে যখন ভারত-তুরস্ক সম্পর্ক অত্যন্ত উত্তেজনাপূর্ণ। অপারেশন সিঁদুরের সময় পাকিস্তানকে নানাভাবে সাহায্য করেছিল তুরস্ক। বস্তুত তার পরেই ভারত-তুরস্কের সম্পর্ক একেবারে তলানিতে গিয়ে ঠেকে। অপারেশন সিঁদুরের সময় ভারতের অস্ত্রের ক্ষমতা চাক্ষুষ করেছে তামাম বিশ্ব। তাই আরও বেশি করে ভয় পেয়েছে তুরস্ক। কারণ গ্রিস যদি ভারতের এলআর-এলএএসিএম মিসাইল পায়, তাহলে তারা তুরস্কের বিমান ঘাঁটিতে বড় ধরনের হামলা চালাতে পারবে। তখন পরিস্থিতি অনেকটা এমন হবে, যেমনটা হয়েছিল অপারেশন সিঁদুরের সময়। প্রসঙ্গত, অপারেশন সিঁদুরে ভারত বেছে বেছে আঘাত হেনেছিল পাকিস্তান ও পাক অধিকৃত কাশ্মীরের জঙ্গিঘাঁটিগুলিতে।

    এলআর-এলএএসিএম মিসাইলটি বৈশিষ্ট্য 

    প্রসঙ্গত, এলআর-এলএসিএম মিসাইলটি ব্রহ্মোস মিসাইলের মতোই তৈরি করা হয়েছে। এর প্রধান বৈশিষ্ট্য হল কম উচ্চতায় এবং অত্যন্ত উচ্চ গতিতে চলা, যার ফলে একে প্রতিহত করা অত্যন্ত কঠিন। এই ক্ষেপণাস্ত্রের পরিসর ১,০০০ কিলোমিটারেরও বেশি এবং এটি প্রচলিত ও অপ্রচলিত—উভয় ধরনের যুদ্ধাস্ত্র বহনে সক্ষম। এটি তৈরি করেছে ভারতের প্রতিরক্ষা গবেষণা ও উন্নয়ন সংস্থা। ২০২৪ সালে এর প্রথম পরীক্ষামূলক উৎক্ষেপণ হয় (Turkey)।

    তুরস্কের সংবাদ মাধ্যমে জল্পনা

    তুরস্কের সংবাদ মাধ্যম এই জল্পনা নিয়ে কড়া প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে। হেবারের একটি প্রতিবেদনের হেডলাইনই ছিল, “ভারত ১,০০০ কিমি রেঞ্জের ক্রুজ মিসাইল এজিয়ানে নিয়ে এসেছে! তারা তুরস্ককে টার্গেট বানাবে!” ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গ্রিস সম্ভবত ভারতের “অপারেশন সিঁদুরের কৌশলগত দিকগুলি বিশ্লেষণ করে তুরস্কে হামলার প্রস্তুতি নিচ্ছে। প্রতিবেদনটিতে এও দাবি করা হয়েছে, গ্রিস ভারতের রাফাল যুদ্ধবিমানের পারফরম্যান্স সংক্রান্ত তথ্য সংগ্রহ করেছে (India Greece Missile Deal)।

    গ্রিস ও তুরস্কের মধ্যে উত্তেজনা

    গ্রিস ও তুরস্কের মধ্যে উত্তেজনা নতুন নয়। এই দুই ন্যাটো সদস্য রাষ্ট্রের মধ্যে দীর্ঘদিনের প্রতিদ্বন্দ্বিতা রয়েছে। সামরিক সংঘর্ষ এবং আইজিয়ান সাগর, আকাশসীমা লঙ্ঘন, সাইপ্রাস ইস্যু এবং সাম্প্রতিককালে পূর্ব ভূমধ্যসাগরে জ্বালানি সম্পদের ওপর প্রতিযোগিতাকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা উঠেছে তুঙ্গে। একই সামরিক জোটের অংশ হওয়া এবং ইউরোপীয় (Turkey) ইউনিয়নের কিছু সহযোগিতা কাঠামো শেয়ার করা সত্ত্বেও, গ্রিস-তুরস্কের সম্পর্ক কার্যত সাপে-নেউলে (India Greece Missile Deal)।

    প্রসঙ্গত, পূর্ব ভূমধ্যসাগরের দ্বীপপুঞ্জকে কেন্দ্র করে প্রায়ই দ্বন্দ্বে জড়িয়ে পড়েছে গ্রিস আর তুরস্ক। গ্রিসের দাবি, কোস, সামোস, লেসবস-সহ পূর্ব এজিয়ান সাগরের বেশ কয়েকটি দ্বীপে অনুপ্রবেশ করাচ্ছে তুরস্ক। ওই দ্বীপগুলির ওপর দিয়ে তারা নাকি নিয়মিত যুদ্ধবিমানও ওড়ায়। ১৯২৩ সালে লুসানের চুক্তি অনুযায়ী, গ্রিস আর তুরস্কের বর্তমান (Turkey) সীমান্ত নির্ধারিত হয়েছিল। সেই চুক্তি অনুযায়ী লেসবস, চিওস, সামোসের নিয়ন্ত্রণ ক্ষমতা পেয়েছিল গ্রিস (India Greece Missile Deal)।

  • PM Modi in Trinidad and Tobago: নারী শক্তির প্রশংসা, লারা-নারাইনের গল্প! ত্রিনিদাদ-টোবাগোর সংসদে অকপট মোদি

    PM Modi in Trinidad and Tobago: নারী শক্তির প্রশংসা, লারা-নারাইনের গল্প! ত্রিনিদাদ-টোবাগোর সংসদে অকপট মোদি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ক্যারিবিয়ান ক্রিকেটের ভক্ত প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। ভারতীয়রাও ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেট দলের সমর্থক। শুধু যখন শচিন বনাম লারা খেলা হতো তখন বিষয়টা আলাদা। ত্রিনিদাদ ও টোবাগোর সংসদের যৌথ অধিবেশনে ভাষণ দিতে গিয়ে এ কথা বললেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। শুক্রবারের এই ঐতিহাসিক ভাষণে মোদি কূটনৈতিক বন্ধুত্বের পাশাপাশি ক্রিকেটপ্রেমের উল্লেখ করে বলেন, “আমাকে বলতেই হবে, ভারতীয়রা ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেট দলের অন্যতম উৎসাহী সমর্থক। আমরা তাদের জন্য মনপ্রাণ দিয়ে গলা ফাটাই — শুধু তখন নয়, যখন তারা ভারতের বিরুদ্ধে খেলছে।”

    ভারতীয় স্পন্দনের সঙ্গে ক্যারিবিয়ান ছন্দ

    ক্রিকেটের মাধ্যমে ভারত ও ক্যারিবিয়ান দেশের বন্ধুত্বের উষ্ণতা তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী মোদি। তাঁর মজার মন্তব্যে অধিবেশনকক্ষে হাসি ও করতালির রোল পড়ে যায়। প্রধানমন্ত্রী মোদি তাঁর বক্তব্যে ভারত ও ত্রিনিদাদ-টোবাগোর ঐতিহাসিক, সাংস্কৃতিক ও গণতান্ত্রিক বন্ধনের উল্লেখ করেন। তিনি বিশেষভাবে কৃতজ্ঞতা জানান ভারতীয় বংশোদ্ভূত প্রবাসীদের প্রতি, যাঁরা ক্যারিবিয়ান অঞ্চলে নানা ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখে চলেছেন। তিনি বলেন, “প্রায় ১৮০ বছর আগে দীর্ঘ ও কষ্টকর সমুদ্রযাত্রার পর ভারতীয়রা এই দেশে এসে পৌঁছেছিলেন। সেই ভারতীয় স্পন্দন আজ ক্যারিবিয়ান ছন্দের সঙ্গে একাকার হয়ে গিয়েছে। রাজনীতি থেকে কবিতা, ক্রিকেট থেকে বাণিজ্য—সব ক্ষেত্রে তাঁদের অবদান আজ গর্বের বিষয়।”

    ২৫ বছর আগের ঘটনা

    ক্রিকেটে ভারত ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের মধ্যে সুগভীর সম্পর্ক রয়েছে। তাই প্রধানমন্ত্রী মোদি সেখানে পৌঁছনোর পরে ক্রিকেটারদের কথাও উল্লেখ করেন। ত্রিনিদাদ ও টোবাগোতে ক্রিকেট খুব জনপ্রিয়। এখান থেকে অনেক কিংবদন্তি ক্রিকেটার এসেছেন। যাঁদের মধ্যে বিশ্বের অন্যতম সেরা ব্যাটার ব্রায়ান লারাও রয়েছেন। তাঁকে নিয়ে প্রধানমন্ত্রী একটি ঘটনাও শোনান। তিনি বলেন, “২৫ বছর আগে যখন আমি এখানে এসেছিলাম, তখন সবাই লারার পুল শট, তাঁর কাট শটের প্রশংসা করতে ক্লান্ত হতো না।” প্রধানমন্ত্রী এর পরে পুরান এবং নারাইনেরও প্রশংসা করেন, এই দুজনেই ভারতে হওয়া বিশ্বের বৃহত্তম ক্রিকেট লিগ, ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগেও (IPL) খেলেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আজ সুনীল নারাইন এবং নিকোলাস পুরান আমাদের যুবকদের মধ্যে উৎসাহ জোগান, সেই থেকে এখনও পর্যন্ত আমাদের বন্ধুত্ব আরও দৃঢ় হয়েছে।”

    নেতৃত্বে নারী শক্তি

    ত্রিনিদাদ ও টোবাগোর নেতৃত্বে নারী শক্তির প্রশংসা করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “এই দেশের জনগণ দু’জন অসাধারণ নারী নেত্রীকে তাদের সর্বোচ্চ পদে নির্বাচিত করেছেন — রাষ্ট্রপতি এবং প্রধানমন্ত্রী। তাঁরা নিজেদের ভারতীয় বংশোদ্ভূত হিসেবে গর্বের সঙ্গে পরিচয় দেন।” ত্রিনিদাদ ও টোবাগো সংসদে নারীদের উল্লেখযোগ্য উপস্থিতিতেও খুশি হন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, “এই সংসদে এত নারী সদস্য দেখে আমি আনন্দিত। ভারতে নারীদের প্রতি শ্রদ্ধা, সংস্কৃতির অন্তর্গত। আমাদের পবিত্র স্কন্দ পুরাণেও বলা হয়েছে — একটি কন্যা সন্তান দশটি পুত্র সন্তানের সমান আনন্দ বয়ে আনে। আমরা আধুনিক ভারতের নির্মাণে নারী শক্তি বৃদ্ধির চেষ্টা করছি।” তিনি আরও বলেন, “অন্তরীক্ষ থেকে ক্রীড়া, স্টার্টআপ থেকে বিজ্ঞান, শিক্ষা থেকে উদ্যোগ, বিমান চলাচল থেকে সশস্ত্র বাহিনী — সর্বত্র নারীরা ভারতের ভবিষ্যৎ নির্মাণে নেতৃত্ব দিচ্ছেন।”

    গণতন্ত্রের জয়গান

    এদিন ত্রিনিদাদ ও টোবাগোর সংসদের যৌথ অধিবেশনে ভাষণ দিতে গিয়ে গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের প্রসঙ্গ টেনে প্রধানমন্ত্রী মোদি বলেন, “ভারতের কাছে গণতন্ত্র শুধু একটি রাজনৈতিক মডেল নয়, বরং একটি জীবনধারা। আমাদের হাজার বছরের ঐতিহ্য রয়েছে। এখানে উপস্থিত বহু সংসদ সদস্যের পূর্বপুরুষ বিহার থেকে এসেছিলেন, যা ছিল মহাজনপদের — প্রাচীন প্রজাতন্ত্রের — কেন্দ্র।” তিনি যোগ করেন, “আমাদের দুই দেশই ঔপনিবেশিক শাসনের ছায়া থেকে উঠে এসে সাহসের কালি ও গণতন্ত্রের কলমে নিজেদের গল্প নিজেরাই লিখেছে।”

    মোদিকে বিশেষ সম্মান

    উত্তর অতলান্তিক সাগরের ছোট্ট দু’টি দ্বীপ! আর তা নিয়েই ত্রিনিদাদ অ্যান্ড টোবাগো, একটা রাষ্ট্র। সেখান থেকেই বিশেষ সম্মানেও ভূষিত হলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। শুক্রবার প্রধানমন্ত্রী মোদিকে ‘অর্ডার অফ দ্য রিপাবলিক অফ ত্রিনিদাদ অ্যান্ড টোবাগো’ সম্মানে ভূষিত করা হয়েছে। তিনি হলেন দ্বীপরাষ্ট্রটির প্রথম বিদেশি নেতা, যিনি এই মর্যাদা পেলেন। প্রধানমন্ত্রী মোদির ঝুলিতে এখন ২৫টি আন্তর্জাতিক সম্মাননা। ত্রিনিদাদ ও টোবাগোর রাষ্ট্রপতি ক্রিস্টিন কাঙ্গালু প্রধানমন্ত্রী মোদিকে ত্রিনিদাদ ও টোবাগোর সর্বোচ্চ জাতীয় পুরস্কার প্রদান করেছেন। পুরস্কার গ্রহণ করে প্রধানমন্ত্রী মোদি বলেন, “আমি এই সম্মান ভারতের ১৪০ কোটি মানুষের পক্ষ থেকে গ্রহণ করছি। এই পুরস্কার দুই দেশের মধ্যকার দীর্ঘস্থায়ী বন্ধুত্বের বন্ধনের প্রতীক।” তিনি আরও বলেন, “এই সম্পর্কের মূলে রয়েছে আমাদের যৌথ ইতিহাস ও সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য, যা ১৮০ বছর আগে এই দেশে আগত ভারতীয়দের মাধ্যমে গড়ে উঠেছে।” প্রধানমন্ত্রী মোদির এই ঐতিহাসিক সফরের মাধ্যমে ভারত ও ত্রিনিদাদ-টোবাগোর সম্পর্ক আরও দৃঢ় হবে বলেই আশাবাদী দুই দেশ।

  • Bangladesh Crisis: বাংলাদেশে ফের খুন হিন্দু, ইউনূস জমানায় হচ্ছেটা কী?

    Bangladesh Crisis: বাংলাদেশে ফের খুন হিন্দু, ইউনূস জমানায় হচ্ছেটা কী?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শান্তিতে নোবেল পুরস্কার পাওয়া মহম্মদ ইউনূসের জমানায় ফের হিন্দু খুন (Bangladesh Crisis)! বৃহস্পতিবার ঘটনাটি ঘটে সিলেট বিভাগের হবিগঞ্জ শহরে (Hindu)। সূত্রের খবর, সদ্য মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট পরীক্ষা দিয়েছিল বছর ষোলোর কিশোর জনি দাস। এদিন গভীর রাতে আচমকাই তাদের বাড়িতে ঢুকে পড়ে অস্ত্র হাতে অজ্ঞাতপরিচয় এক ব্যক্তি।

    দুষ্কৃতীকে বাধা দেয় জনি (Bangladesh Crisis)

    জনি প্রথমে তাকে বাধা দেয়। সে চিৎকার করে দাদা সাগর দাস জয়কে ঘুম থেকে জাগিয়ে তোলে। দুই ভাইয়ে আগন্তুককে বাধা দেয়। ধারালো অস্ত্র হাতে ওই ব্যক্তি দুই ভাইয়ের ওপরই হামলা চালায়। আচমকাই দুষ্কৃতিটি বারবার জনিকে ছুরি দিয়ে আঘাত করতে থাকে। জখম হন সাগরও। তাঁদের চিৎকারে ছুটে আসেন প্রতিবেশীরা। চম্পট দেয় দুষ্কৃতী। স্থানীয়রাই দুই ভাইকে উদ্ধার করে নিয়ে যান হাসপাতালে। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক জনিকে মৃত ঘোষণা করেন। তার ভাই সাগর বর্তমানে ভর্তি রয়েছেন হবিগঞ্জ সদর হাসপাতালে। তাঁর অবস্থা স্থিতিশীল বলেই হাসপাতাল সূত্রে খবর।

    হিন্দু খুনে ফের আতঙ্ক বাংলাদেশে

    জনির মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়তেই একই সঙ্গে শোক এবং আতঙ্কের সৃষ্টি হয়েছে বাংলাদেশে। বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলে সংখ্যালঘুদের ওপর হিংসা ও ক্রমবর্ধমান নিরাপত্তাহীনতার ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছে সে দেশের বুদ্ধিজীবি সম্প্রদায়ের একাংশও। হবিগঞ্জ থানার ওসি সজল সরকার বলেন, “আমার মনে হয় ওই ব্যক্তি চুরি করতে (Bangladesh Crisis) ওই বাড়িতে গিয়েছিল। বাধা পেয়ে নির্মমভাবে ছুরি দিয়ে আঘাত করে। বিস্তারিত জানা যাবে তদন্ত শেষ হলে।” শুক্রবার দুপুর পর্যন্তও আততায়ীকে শনাক্ত করা যায়নি। পুলিশ জানিয়েছে, তদন্ত শুরু হয়েছে।

    আততায়ীকে (Hindu) দ্রুত গ্রেফতারের দাবি জানিয়েছে জনির পরিবার, বন্ধু-বান্ধব এবং বাংলাদেশে বসবাসকারী হিন্দুরা। পরিবারের দাবি, লেখাপড়ায় জনি অত্যন্ত মেধাবী ছিল। সব সময় তার মুখে লেগে থাকত হাসি। সে ছিল পরিশ্রমী ছেলেও। তাই তার এই অকাল মৃত্যু মেনে নিতে পারছেন না স্বজনরা।

    জনির মৃত্যুর পর ফের একবার প্রশ্ন উঠছে (Hindu), ইউনূস জমানায় আদৌ কি নিরাপদ বাংলাদেশের সংখ্যালঘুরা (Bangladesh Crisis)?

  • PM Modi in Trinidad and Tobago: ভারতীয় শিকড়ের প্রশংসা, ত্রিনিদাদ অ্যান্ড টোবাগোর প্রধানমন্ত্রীকে ‘বিহারের মেয়ে’ বললেন মোদি

    PM Modi in Trinidad and Tobago: ভারতীয় শিকড়ের প্রশংসা, ত্রিনিদাদ অ্যান্ড টোবাগোর প্রধানমন্ত্রীকে ‘বিহারের মেয়ে’ বললেন মোদি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আত্মিকভাবে একে অপরের সাথে যুক্ত ভারত ও ত্রিনিদাদ। ক্যারিবিয়ান এই দ্বীপপুঞ্জে ৪০ শতাংশ মানুষই ভারতীয় বংশোদ্ভূত। ত্রিনিদাদ অ্যান্ড টোবাগোর প্রধানমন্ত্রী কমলা প্রসাদ বিসেসারকে বিহারের মেয়ে বলে সম্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi in Trinidad and Tobago)৷ তাঁর জন্য উপহার হিসেবে সরযু নদী এবং মহাকুম্ভের পবিত্র জলও নিয়ে এসেছেন বলে জানালেন মোদি৷ পাঁচটি দেশ সফরের দ্বিতীয় ধাপে বৃহস্পতিবার ত্রিনিদাদ ও টোবাগো পৌঁছছেন ভারতের মোদি। পিয়ারকো আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে তাঁকে স্বাগত জানান ত্রিনিদাদ ও টোবাগোর প্রধানমন্ত্রী কমলা প্রসাদ-বিসেসর। তাঁকে ঘিরেই আয়োজন করা হয়েছিল এক জাঁকজমকপূর্ণ আনুষ্ঠানিক অভ্যর্থনা ও গার্ড অফ অনার।

    বিহারের মেয়ে কমলা

    ত্রিনিদাদ ও টোবাগো সফরের সময় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi in Trinidad and Tobago) সে দেশের প্রধানমন্ত্রী কমলা প্রসাদ-বিসেসরকে “বিহারের মেয়ে” বলে অভিহিত করেন। স্থানীয় ভারতীয় সম্প্রদায়ের উদ্দেশ্যে ভাষণ দিতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী মোদি বলেন, কমলা প্রসাদ-বিসেসরের পূর্বপুরুষরা বিহারের বক্সার জেলা থেকে এসেছিলেন এবং তিনিও সেই স্থান পরিদর্শন করেছেন। মোদি বলেন, “আমরা শুধু রক্ত বা পদবিতে নয়, আত্মিকভাবে একে অপরের সাথে যুক্ত। ভারত তোমাদের দিকে তাকিয়ে আছে, তোমাদের সাদরে স্বাগত জানায়। কমলা জির পূর্বপুরুষরা বিহারের বক্সার থেকে এসেছিলেন। তিনি নিজেও সেখানে গিয়েছেন। মানুষ তাঁকে বিহারের মেয়ে বলে মনে করে।” তাই কমলার জন্য মোদি উপহার হিসেবে নিয়ে গিয়েছেন মহাকুম্ভের পবিত্র জল এবং রাম মন্দিরের একটি প্রতিরূপ। প্রধানমন্ত্রী নিজের হাতে উপহার তুলে দিয়েছেন সেই দেশের প্রধানমন্ত্রী কমলা প্রসাদ বিসেসারের হাতে। এদিন কমলা প্রসাদ বিসেসারের সঙ্গে বৈঠকও করেন মোদি। এই বৈঠক দুই দেশের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক আরও দৃঢ় করবে বলে মত বিশেষজ্ঞদের।

    বিহার থেকে নতুন সম্ভাবনার সূচনা

    কমলা প্রসাদ-বিসেসরের রাজনৈতিক জীবন বহু ঐতিহাসিক প্রথমের সাক্ষী। ১৯৮৭ সালে রাজনীতিতে প্রবেশ করেন কমলা। ত্রিনিদাদ ও টোবাগোর প্রথম মহিলা প্রধানমন্ত্রী, অ্যাটর্নি জেনারেল ও বিরোধী দলনেত্রী হন তিনি। এছাড়া তিনি কমনওয়েলথ নেশনসের প্রথম মহিলা চেয়ারপার্সন। ভারত ও উপমহাদেশের বাইরের প্রথম ভারতীয় বংশোদ্ভূত প্রধানমন্ত্রী তিনি। এ প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী মোদি বলেন, “বিহারের ঐতিহ্য ভারতের গর্ব, সারা বিশ্বের গর্ব… বিহার বহু শতাব্দী ধরে বিভিন্ন ক্ষেত্রে পৃথিবীকে পথ দেখিয়ে এসেছে। ২১শ শতাব্দীতেও বিহার থেকে নতুন সম্ভাবনার সূচনা হবে।” উল্লেখ্য, ২০১২ সালে বিহারের বক্সারের ভেলপুরের গ্রামের বাড়িতে গিয়েছিলেন ত্রিনিদাদ অ্যান্ড টোবাগোর প্রধানমন্ত্রী কমলা প্রসাদ৷

    গিরমিতিয়া সম্প্রদায়ের কথা

    ত্রিনিদাদে প্রবাসী ভারতীয়দের অনুষ্ঠানে আলাদা করে গিরমিতিয়া সম্প্রদায়ের কথাও তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী মোদি ৷ উনিশ ও বিশ শতাব্দীতে বিহার এবং উত্তরপ্রদেশ থেকে বহু শ্রমিককে ব্রিটেন অধীনে থাকা কয়েকটি দেশে নিয়ে গিয়েছিল ব্রিটিশরা ৷ সেই সূত্র ধরেই অন্য আরও কয়েকটি জায়গার মতো ত্রিনিদাদ অ্যান্ড টোবাগোয় ভারতীয়দের আসা ৷ এ প্রসঙ্গ তুলে ধরে মোদি বলেন, “প্রবাসী ভারতীয় দিবসে আমি গিরমিতিয়া সম্প্রদায়কে সম্মান জানাতে উদ্যোগ নিয়েছি ৷ তাঁদের জন্য যা যা করা দরকার সেটা আমি করেছি ৷” তাঁর মতে, এ দেশে ভারতীয় আসা এবং তারপর নিজের যোগ্যতায় দেশের উন্নতিতে সামিল হওয়ার নেপথ্যে আছে লড়াকু মানসিকতা ৷

    ভারতীয় পোশাকে স্বাগত মোদি

    প্রধানমন্ত্রী মোদি ত্রিনিদাদ ও টোবাগোতে পৌঁছনোর পর সেখানকার প্রধানমন্ত্রী কমলা প্রসাদ বিসেসার ঐতিহ্যবাহী ভারতীয় পোশাকে তাঁকে স্বাগত জানিয়েছেন। ভারতের প্রধানমন্ত্রীর এই সফরকে সম্মান জানানোর জন্য ত্রিনিদাদ ও টোবাগো তাদের সর্বোচ্চ জাতীয় পুরস্কার ‘দ্য অর্ডার অফ দ্য রিপাবলিক অফ ত্রিনিদাদ ও টোবাগো’ পুরস্কারে সম্মানিত করা হয় নরেন্দ্র মোদিকে। হোটেলে পৌঁছনোর পরে প্রবাসী ভারতীয়রা তাঁকে ‘ভারত মাতা কি জয়’ ও ‘মোদি, মোদি’ ধ্বনিতে স্বাগত জানান। এক অর্কেস্ট্রা পারফরম্যান্সের পর পরিবেশিত হয় ভজন। এই সফরের সময় প্রধানমন্ত্রী মোদি ত্রিনিদাদ ও টোবাগোর রাষ্ট্রপতি ক্রিস্টিন কার্লা কাংগালুর সঙ্গেও বৈঠক করবেন। সে দেশের সংসদের যৌথ অধিবেশনে ভাষণ দেওয়ারও কথা প্রধানমন্ত্রী মোদির।

    বেনারস, পাটনা, কলকাতা ও দিল্লির নামে রাস্তা ত্রিনিদাদে

    প্রধানমন্ত্রী মোদি তাঁর ২৫ বছর আগের ত্রিনিদাদ সফরের স্মৃতিও স্মরণ করেন এবং বলেন, সেই সময় থেকে দুই দেশের বন্ধুত্ব আরও দৃঢ় হয়েছে। তিনি দুই দেশের সাংস্কৃতিক সংযোগের কথাও উল্লেখ করেন, জানিয়ে দেন ত্রিনিদাদে বেনারস, পাটনা, কলকাতা ও দিল্লির নামেও রাস্তার নামকরণ হয়েছে। মোদি বলেন, “এই দ্বীপে নবরাত্রি, মহাশিবরাত্রি ও জন্মাষ্টমী উৎসাহ, শ্রদ্ধা ও গর্বের সঙ্গে পালন করা হয়। চৌতাল ও বৈঠক গান এখানেও সমানভাবে জনপ্রিয়। আমি এখানে অনেক পরিচিত মুখ দেখতে পাচ্ছি।” বৃহস্পতিবার মোদির ত্রিনিদাদ আগমনে তাঁকে রাজকীয় অভ্যর্থনা দেওয়া হয়। পিয়ারকো আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে তাঁকে স্বাগত জানান প্রধানমন্ত্রী কমলা প্রসাদ-বিসেসর, সঙ্গে ছিলেন ৩৮ জন মন্ত্রী ও চারজন সংসদ সদস্য। তাঁকে গার্ড অফ অনারও প্রদান করা হয়।

    ত্রিনিদাদে ভারতের ছোঁয়া

    ত্রিনিদাদ ও টোবাগোর প্রায় ৪০% মানুষ ভারতীয় বংশোদ্ভূত। ভারতের বিদেশ মন্ত্রকের তথ্য অনুযায়ী, দেশটিতে প্রায় ৫,৫৬,৮০০ জন ভারতীয় বংশোদ্ভূত মানুষ বসবাস করেন। এর মধ্যে প্রায় ১,৮০০ জন এনআরআই, বাকিরা স্থানীয় নাগরিক যাদের পূর্বপুরুষরা ১৮৪৫ থেকে ১৯১৭ সালের মধ্যে চুক্তিভিত্তিক শ্রমিক হিসেবে ভারতে থেকে সেখানে গিয়েছিলেন। যদিও ত্রিনিদাদ ও টোবাগো আয়তনে ভারতের জোধপুর থেকেও ছোট, তবুও দেশটির সংস্কৃতি ও অর্থনীতিতে ভারতীয় সম্প্রদায়ের অবদান অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তাঁদের খাবার, সংগীত, ভাষা ও ধর্মীয় উৎসবে এখনও স্পষ্টভাবে ভারতীয় ঐতিহ্যের ছাপ দেখা যায়। প্রধানমন্ত্রী মোদি এদিন ঘোষণা করেন, ত্রিনিদাদ ও টোবাগোতে বসবাসরত ভারতীয় বংশোদ্ভূত ষষ্ঠ প্রজন্মকেও এবার থেকে ওভারসিজ সিটিজেন অব ইন্ডিয়া (OCI) কার্ড প্রদান করা হবে।

    ত্রিনিদাদে হিন্দুত্বের বিকাশ

    এটি প্রধানমন্ত্রী মোদির প্রথম ত্রিনিদাদ ও টোবাগো সফর এবং ১৯৯৯ সালের পর প্রথমবার কোনও ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী দ্বিপাক্ষিক সফরে এই দেশে এলেন। মোদির কথায়, “ভারত এবং ত্রিনিদাদ ও টোবাগোর বন্ধুত্ব আগামী দিনে আরও ভাল জায়গায় পৌঁছক, এই কামনা করি।” ত্রিনিদাদের প্রবাসী ভারতীয়দের উদ্দেশে মোদি বলেন, “শ্রী রামের প্রতি আপনাদের বিশ্বাসের কথা জানি। ভগবান রামের পবিত্র শহর এত সুন্দর যে তার মহিমা বিশ্বজুড়ে প্রশংসিত। আমি নিশ্চিত যে আপনারা সকলেই রামলালার অযোধ্যায় প্রত্যাবর্তনকে অত্যন্ত আনন্দের সাথে স্বাগত জানিয়েছেন। আপনারা অযোধ্যায় রাম মন্দির নির্মাণের সময় পবিত্র জল এবং শিলা পাঠিয়েছিলেন, তার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।” এরপরই মোদি বলেন, “আপনারা সকলেই জানেন, এ বছরের শুরুর দিকে মহাকুম্ভ মেলা হয়েছিল ৷ আমার সৌভাগ্য আমি সেই জল আপনাদের জন্য নিয়ে আসতে পেরেছি ৷”

  • S Jaishankar: ‘সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে দৃঢ়প্রতজ্ঞ’, আমেরিকায় মার্কিন গোয়েন্দা প্রধানদের সঙ্গে বৈঠক জয়শঙ্করের

    S Jaishankar: ‘সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে দৃঢ়প্রতজ্ঞ’, আমেরিকায় মার্কিন গোয়েন্দা প্রধানদের সঙ্গে বৈঠক জয়শঙ্করের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কোয়াড সম্মেলনে যোগ দিতে আমেরিকা গিয়েছেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর (S Jaishankar)। বুধবার (স্থানীয় সময়) ওয়াশিংটন ডিসিতে এফবিআই পরিচালক কাশ (কাশ্যপ) প্যাটেলের সঙ্গে বৈঠকও করেন তিনি। ওই বৈঠকে সংঘবদ্ধ অপরাধ, মাদক পাচার এবং সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে ভারত ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে সহযোগিতার জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন তিনি। পরে এ নিয়ে এক্স হ্যান্ডেলে পোস্টও করেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী।

    কী লিখলেন জয়শঙ্কর?

    লেখেন, “আজ এফবিআই ডিরেক্টর কাশের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে ভালো লাগল। সংঘবদ্ধ অপরাধ, মাদক পাচার এবং সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে আমাদের দৃঢ় সহযোগিতার জন্য কৃতজ্ঞ।” এর আগে একটি বৈঠকে ভারতের বিদেশমন্ত্রী জয়শঙ্কর ও মার্কিন জাতীয় গোয়েন্দা পরিচালক তুলসি গাবার্ড বৈশ্বিক পরিস্থিতি ও দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতা নিয়ে আলোচনা করেন। তার পরেই এক্স হ্যান্ডেলে তিনি লিখেছিলেন, “আজ দুপুরে ওয়াশিংটন ডিসিতে মার্কিন জাতীয় গোয়েন্দা পরিচালক তুলসি গাবার্ডের সঙ্গে সাক্ষাতে আনন্দিত হলাম। বৈশ্বিক পরিস্থিতি ও আমাদের দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতা নিয়ে ভালো আলোচনা হয়েছে।”

    ক্রিস রাইটের সঙ্গেও বৈঠক

    মঙ্গলবার (স্থানীয় সময়) ওয়াশিংটন ডিসিতে জয়শঙ্কর সাক্ষাৎ করেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জ্বালানি মন্ত্রী ক্রিস রাইটের সঙ্গে। ভারতের জ্বালানি খাতে যে ট্রান্সফর্মেশন চলছে, তা নিয়ে আলোচনা করেন তাঁরা। দুই নেতা ভারত ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে আরও গভীর জ্বালানি অংশীদারত্বের সম্ভাবনা নিয়ে আলোচনা করেন (S Jaishankar)। এক্স হ্যান্ডেলে জয়শঙ্কর লিখেছেন, “আজ সন্ধ্যায় ওয়াশিংটন ডিসিতে মার্কিন জ্বালানি সচিব ক্রিস রাইটের সঙ্গে একটি ফলপ্রসূ আলোচনা হয়েছে। ভারতে বর্তমানে যে জ্বালানি ট্রান্সফর্মেশন চলছে, তা নিয়ে আলোচনা করেছি। ভারত ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে আরও গভীর অংশীদারিত্বের সুযোগ নিয়ে কথা হয়েছে।”

    জয়শঙ্করের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা সচিব পিট হেগসেথেরও। এক্স হ্যান্ডেলে তিনি লিখেছেন, “আজ ওয়াশিংটন ডিসিতে ডিফেন্স সেক্রেটারি পিট হেগসেথের সঙ্গে দেখা করে ভালো লাগল। ভারত-যুক্তরাষ্ট্র প্রতিরক্ষা অংশীদারত্বকে আরও এগিয়ে নেওয়ার বিষয়ে একটি ফলপ্রসূ আলোচনা হয়েছে, যা পারস্পরিক স্বার্থ, সক্ষমতা ও দায়িত্বের ওপর ভিত্তি করে গড়ে উঠছে (S Jaishankar)।”

  • PM Modi in Ghana: ঘানার জাতীয় সর্বোচ্চ সম্মানে ভূষিত মোদি, দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্যিক চুক্তি স্বাক্ষর

    PM Modi in Ghana: ঘানার জাতীয় সর্বোচ্চ সম্মানে ভূষিত মোদি, দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্যিক চুক্তি স্বাক্ষর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এবার মোদি ম্যাজিক ঘানায়। তিন দশকে প্রথম ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী হিসেবে ঘানায় পা রেখেছেন নরেন্দ্র মোদি (PM Modi in Ghana)। সে দেশের দ্বিতীয় জাতীয় সর্বোচ্চ অসামরিক সম্মানও পেলেন প্রধানমন্ত্রী মোদি। বুধবার পঞ্চদেশ সফরের প্রথমে ঘানা গিয়েছেন তিনি। এটি পশ্চিম আফ্রিকায় তাঁর প্রথম দ্বিপাক্ষিক সফর। আক্রার কোটোকা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে তাঁকে ২১টি তোপধ্বনির মাধ্যমে কুর্নিশ জানানো হয়। ‘হরে রাম হরে কৃষ্ণ’ স্তোত্র গেয়ে ভারতের প্রধানমন্ত্রীকে হোটেলে স্বাগত জানান ঘানার কচিকাঁচারা।

    ভারত ও ঘানার মধ্যে ঐতিহাসিক সম্পর্কের ভিত্তি

    ব্রাজিলের রিও ডি জেনেইরোতে ব্রিকস সম্মেলনে যোগ দেবেন প্রধানমন্ত্রী। তাঁর আগেই বুধবার ঘানা গিয়েছেন তিনি। এদিন ঘানার প্রেসিডেন্ট জন মাহামা প্রধানমন্ত্রী মোদিকে ‘অফিসার অফ দ্য অর্ডার অফ দ্য স্টার অফ ঘানা’ (Officer of the Order of the Star of Ghana) প্রদান করেন। রাষ্ট্রীয় সম্মানে ভূষিত হওয়ার পর প্রধানমন্ত্রী মোদি বলেন,‘‘ঘানার জাতীয় সম্মানে ভূষিত হওয়া আমার জন্য অত্যন্ত গর্ব ও সম্মানের বিষয়। আমি প্রেসিডেন্ট মাহামা, ঘানা সরকার এবং ঘানার জনগণের প্রতি আন্তরিক কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। ১৪০ কোটি ভারতীয়ের পক্ষ থেকে আমি বিনীতভাবে এই সম্মান গ্রহণ করছি। এই সম্মান আমাদের তরুণদের আকাঙ্ক্ষা, তাদের উজ্জ্বল ভবিষ্যতের প্রতি, আমাদের সমৃদ্ধ সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্য ও ঐতিহ্যের প্রতি এবং ভারত ও ঘানার মধ্যে ঐতিহাসিক সম্পর্কের প্রতি উৎসর্গ করছি।’’ এরই সঙ্গে তিনি জানিয়েছেন, এই সম্মানের ফলে দুই দেশের মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে তাঁর দায়িত্ব আরও বৃদ্ধি পেল।

    উষ্ণতার আলিঙ্গন

    আক্রায় পা রেখেই এদিন ঘানার প্রেসিডেন্ট জন মাহামাকে বুকে জড়িয়ে ধরলেন প্রধানমন্ত্রী মোদি। তাঁকে স্বাগত জানিয়ে আলিঙ্গন করেন ঘানার প্রেসিডেন্টও। সেখানে গার্ড অফ অনার দেওয়া হয় প্রধানমন্ত্রীকে। স্থানীয় রীতি মেনেও অভ্যর্থনা করা হয় তাঁকে। বিমানবন্দর থেকে হোটেলে পৌঁছতেই মোদিকে ঘিরে ‘হরে রাম হরে কৃষ্ণ’ স্তোত্র গাইতে শুরু ঘানার বাচ্চারা। হাসিমুখে তাদের গান শোনেন প্রধানমন্ত্রী, সেই ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী মোদি ঘানার মাটিতে উষ্ণ অভ্যর্থনার জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। বলেন প্রেসিডেন্টের বিমানবন্দরে আসা তাঁর জন্য অত্যন্ত সম্মানের বিষয়। যৌথ বিবৃতি জারি করার সময়, প্রধানমন্ত্রী মোদি বলেন, ‘‘ভারত-ঘানা বন্ধুত্বের মূলে রয়েছে আমাদের ভাগ করা মূল্যবোধ, সংগ্রাম এবং একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক ভবিষ্যতের জন্য স্বপ্ন। যা অন্যান্য দেশগুলিকেও অনুপ্রাণিত করেছে।’’

    গুরুত্বপূর্ণ ঘোষণা

    বুধবারই ঘানার প্রেসিডেন্টের সঙ্গে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন প্রধানমন্ত্রী। ভারত-ঘানা দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক, আর্থিক-প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে দুই দেশের আদানপ্রদান নিয়ে আলোচনা হয় সেখানে। তিনি ঘানাকে একটি প্রাণবন্ত গণতন্ত্র এবং পশ্চিম আফ্রিকার “আশার আলো” হিসেবে প্রশংসা করেছেন। এই সফরে দুই দেশের মধ্যে অনেক গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী মোদি বলেন, ‘‘আজ আমরা ঘানার জন্য আইটেক (ITEC) এবং আইসিসিআর (ICCR) স্কলারশিপ দ্বিগুণ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। তরুণদের বৃত্তিমূলক শিক্ষার জন্য একটি দক্ষতা উন্নয়ন কেন্দ্র প্রতিষ্ঠার জন্য কাজ করা হবে। কৃষি খাতে, আমরা প্রেসিডেন্ট মহামার ফিড ঘানা কর্মসূচিতে সহযোগিতা করতে পেরে খুশি হব।’’ এর পাশাপাশি, জন ঔষধি কেন্দ্রের মাধ্যমে ঘানার নাগরিকদের সাশ্রয়ী মূল্যের এবং নির্ভরযোগ্য স্বাস্থ্যসেবা প্রদানের প্রস্তাব দেন মোদি। ভ্যাকসিন উৎপাদনে সহযোগিতা নিয়েও আলোচনা হয়।

    দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যে জোড়

    প্রধানমন্ত্রী জানান, আগামী পাঁচ বছরের মধ্যেভারত-ঘানা দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য দ্বিগুণ করার লক্ষ্য স্থির করা হয়েছে।  মোদি বলেন, “ভারত শুধু ঘানার উন্নয়নের অংশীদার নয়, সহযাত্রী। ভারতীয় সংস্থাগুলি ঘানায় ৯০০টির বেশি প্রকল্পে প্রায় ২০০ কোটি মার্কিন ডলার বিনিয়োগ করেছে। আজ আমরা দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য দ্বিগুণ করার লক্ষ্যে অঙ্গীকারবদ্ধ হয়েছি।” ফিনটেক (FinTech) খাতে, ঘানার সঙ্গে ভারতের ইউপিআই ডিজিটাল পেমেন্ট ব্যবস্থার অভিজ্ঞতা ভাগ করে নেওয়ার আগ্রহ প্রকাশ করেন মোদি। এছাড়াও, গুরুত্বপূর্ণ খনিজ সম্পদের অনুসন্ধান ও খননের ক্ষেত্রেও ভারতীয় সংস্থাগুলি ঘানার সঙ্গে কাজ করবে বলে জানান তিনি। ভারতের জি২০ সভাপতিত্বকালে আফ্রিকান ইউনিয়নের স্থায়ী সদস্যপদ লাভ করাকে “গর্বের বিষয়” বলে মন্তব্য করেন প্রধানমন্ত্রী মোদি। ঘানা, পশ্চিম আফ্রিকার দ্রুত বর্ধনশীল অর্থনীতির একটি, ভারতের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বাণিজ্যিক অংশীদার। ভারতের কাছে ঘানার প্রধান রফতানি পণ্য সোনা। ঘানা বর্তমানে একটি বড় অর্থনৈতিক পুনর্গঠন প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে যাচ্ছে, এবং মোদি এই বিষয়ে ঘানাকে সবরকম সহায়তার আশ্বাস দিয়েছেন।

    সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে লড়াই

    সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে ঘানার সহযোগিতার প্রশংসা করে প্রধানমন্ত্রী মোদি (Narendra Modi) বলেন যে, দুই দেশ সন্ত্রাসবাদ দমনে সহযোগিতা আরও জোরদার করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। রাষ্ট্রসঙ্ঘের সংস্কারের ক্ষেত্রেও দুই দেশে দৃষ্টিভঙ্গি এক। সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে দুই দেশ একমত হয়েছে। মোদি বলেন, “সন্ত্রাসবাদ মানবতার শত্রু। এই প্রেক্ষাপটে আমরা সন্ত্রাসবিরোধী সহযোগিতা আরও জোরদার করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।” “ঐক্যের মাধ্যমে নিরাপত্তা” মন্ত্রে দুই দেশ এগিয়ে যাবে বলে জানান মোদি। এই খাতে সশস্ত্র বাহিনীর প্রশিক্ষণ, সামুদ্রিক নিরাপত্তা, প্রতিরক্ষা সরবরাহ ও সাইবার নিরাপত্তায় সহযোগিতা বাড়ানো হবে। ঘানা থেকে আজ, বৃহস্পতিবার ত্রিনিদাদ, টোবাগোর উদ্দেশে রওনা দেবেন মোদি। আগামী শনিবার সেখান থেকে পৌঁছবেন আর্জেন্টিনায়। তারপর ব্রাজিলে আয়োজিত ব্রিকস সম্মেলনে যোগ দেবেন প্রধানমন্ত্রী। সবশেষে নামিবিয়া সফরে যাবেন তিনি।

  • Mali: কারখানা থেকে তিন ভারতীয়কে অপহরণ করে নিয়ে গেল জঙ্গিরা, মালির ঘটনায় উদ্বেগে ভারত

    Mali: কারখানা থেকে তিন ভারতীয়কে অপহরণ করে নিয়ে গেল জঙ্গিরা, মালির ঘটনায় উদ্বেগে ভারত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পশ্চিম আফ্রিকার দেশ মালিতে (Mali) তিন ভারতীয় নাগরিকের অপহরণের ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে নয়াদিল্লি। বর্তমানে এই দেশটির একাধিক অঞ্চলে জঙ্গি হামলার ঘটনা বেড়েছে। ভারতের বিদেশমন্ত্রক ঘটনাটিকে ‘নিন্দনীয় হিংসা’ অভিহিত করে ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছে। অপহৃতদের উদ্ধার ও নিরাপদে ফিরিয়ে আনার জন্য সব ধরনের পদক্ষেপ করার আহ্বান জানিয়েছে মালির সরকারকে (Al Qaeda)।

    বিদেশমন্ত্রকের বক্তব্য (Mali)

    বিদেশমন্ত্রক জানিয়েছে, মালির কায়েসে অবস্থিত ডায়মন্ড সিমেন্ট ফ্যাক্টরিতে কর্মরত তিন  ভারতীয় শ্রমিককে ১ জুলাই অপহরণ করা হয়। ওইদিন একদল সশস্ত্র দুষ্কৃতী ওই ফ্যাক্টরিতে হামলা চালিয়ে অপহরণ করে তিন ভারতীয় নাগরিককে। খবর পাওয়ার পরেই অপহরণকারীদের উদ্ধার করতে তৎপর হয় নয়াদিল্লি। ভারত মালির সরকারকে আহ্বান জানায় যাতে অপহৃত ভারতীয় নাগরিকদের “নিরাপদ ও দ্রুত” মুক্তির জন্য প্রয়োজনীয় সব পদক্ষেপ নেওয়া হয়।

    গভীর উদ্বেগ প্রকাশ

    বিদেশমন্ত্রকের তরফে জারি করা এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে “মালি প্রজাতন্ত্রের কায়েস শহরের ডায়মন্ড সিমেন্ট ফ্যাক্টরিতে কর্মরত তিন ভারতীয় নাগরিককে অপহরণের ঘটনায় বিদেশ মন্ত্রক গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করছে। ঘটনাটি ঘটে ২০২৫ সালের ১ জুলাই, যখন একদল সশস্ত্র হামলাকারী কারখানাটিতে হামলা চালায় এবং জোর করে ওই তিন ভারতীয় নাগরিককে অপহরণ করে নিয়ে যায় (Mali)।”

    যদিও বুধবার রাত পর্যন্ত কোনও গোষ্ঠী এই অপহরণের দায় স্বীকার করেনি। তবে আল-কায়েদার সঙ্গে যোগ রয়েছে জামাআত নুসরাত আল-ইসলাম ওয়াল-মুসলিমিন (JNIM) নামে এক সংগঠনের।  মঙ্গলবার এরাই মালির বিভিন্ন জায়গায় সংঘটিত হামলার দায় স্বীকার করেছে। বিদেশমন্ত্রক জানিয়েছে, মালির রাজধানী বামাকোয় অবস্থিত ভারতীয় দূতাবাস সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ, স্থানীয় আইন প্রয়োগকারী সংস্থা এবং ডায়মন্ড সিমেন্ট ফ্যাক্টরির কর্তৃপক্ষের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখছে। অপহৃত ভারতীয় নাগরিকদের পরিবারের সঙ্গেও দূতাবাসের তরফে নিয়মিত যোগাযোগ রাখা হচ্ছে। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ভারত সরকার এই নিন্দনীয় সহিংস ঘটনার কঠোর নিন্দা করছে (Al Qaeda) এবং মালি সরকার যাতে দ্রুত ও নিরাপদে অপহৃত ভারতীয়দের মুক্তির জন্য সবরকম প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়, সেই আহ্বানও জানাচ্ছে (Mali)।”

  • Iskon Temple Attack: ভিতরে দর্শনার্থীদের ভিড়, আমেরিকার ইসকন মন্দিরে পরপর গুলি! তদন্ত চাইল ভারত

    Iskon Temple Attack: ভিতরে দর্শনার্থীদের ভিড়, আমেরিকার ইসকন মন্দিরে পরপর গুলি! তদন্ত চাইল ভারত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাংলাদেশ নয় এবার আমেরিকা। ইসকনের শ্রীশ্রী রাধা কৃষ্ণ মন্দিরে (Iskon Temple Attack) চলল গুলি। আমেরিকার ইউটাহ্ প্রদেশের স্প্যানিশ ফর্ক শহরের ইসকনের শ্রীশ্রী রাধা কৃষ্ণ মন্দিরে (ISKCON Sri Sri Radha Krishna Temple in Spanish Fork) গুলিবর্ষণের ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়াল। রাতের অন্ধকারে পরপর গুলি চলেছে এই বিখ্যাত মন্দির চত্বরে। পুলিশ ও মন্দির কর্তৃপক্ষের অনুমান, এটি পূর্বপরিকল্পিত অপরাধ। ঘটনায় আতঙ্কিত ও ক্ষুব্ধ হিন্দু সম্প্রদায়। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের উটাহ প্রদেশে অবস্থিত ইসকন মন্দিরে গুলি চালানোর ঘটনার কড়া প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে ভারত।

    ভক্তদের উপস্থিতিতেই গুলি

    ইসকনের (Iskon Temple Attack) তরফে জানানো হয়েছে, গত কয়েক দিনে মন্দির চত্বরে ২০-৩০ রাউন্ড গুলি ছোড়া হয়। গুলিতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে মন্দিরের বেশ কিছু মূল্যবান কাঠের কারুকার্য ও স্থাপত্য। ঘটনার সময় মন্দিরের ভিতরে ভক্ত ও অতিথিরা উপস্থিত ছিলেন। কোনও প্রাণহানির খবর না থাকলেও, বহু মানুষের জীবন বিপন্ন হতে পারত বলে মনে করা হচ্ছে। ইসকনের তরফে জারি করা বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, ১৮ জুন রাতে মন্দির চত্বর থেকে বিকট শব্দ ও ধোঁয়া লক্ষ্য করেন মন্দিরে উপস্থিত সকলে। পরের দিনে মন্দিরের জানালা এবং আর্চের অংশে গুলির চিহ্ন পাওয়া যায়। নিরাপত্তা বেষ্টনীর ঠিক বাইরে থেকে ২০টিরও বেশি গুলির খোল উদ্ধার করেছে পুলিশ। জানা গিয়েছে, বিদ্বেষমূলক এই হামলার ঘটনায় এখনও পর্যন্ত স্থানীয় পুলিশ কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি। তবে ঘটনার তদন্ত চলছে। এর আগে একাধিক ঘটনায় আমেরিকায় হিন্দু মন্দিরে হামলা হয়েছে। তবে বেশিভাগ ক্ষেত্রেই খালিস্তানিরা কালি দিয়ে মন্দিরের দেওয়ালে ভারত বিরোধী স্লোগান লিখেছে বা ভাঙচুর চালিয়েছে। এভাবে গুলি চালানোর ঘটনা এর আগে সাম্প্রতিককালে ঘটেনি।

    ভারতের কড়া প্রতিক্রিয়া

    সান ফ্রান্সিসকোতে ভারতের কনস্যুলেট এই ঘটনার কড়া নিন্দা জানিয়েছে। এক বিবৃতিতে ভারত জানিয়েছে, “আমরা ইউটাহ্ শহরের স্প্যানিশ ফর্কের ইসকন মন্দিরে (Iskon Temple Attack) গুলি চালানোর এই ঘটনার তীব্র নিন্দা করছি। আমরা সকল ভক্ত ও মন্দির কর্তৃপক্ষকে পূর্ণ সমর্থন জানাচ্ছি এবং স্থানীয় প্রশাসনের কাছে দ্রুত অভিযুক্তদের খুঁজে বের করে উপযুক্ত শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।” এর আগেও, চলতি বছরের মার্চ মাসে ক্যালিফোর্নিয়ার চিনো হিলসের বিখ্যাত বিএপিএস (Bochasanwasi Akshar Purushottam Swaminarayan Sanstha) মন্দিরে ভাঙচুর চালানো হয়েছিল। সেই ঘটনার সঙ্গে ‘খালিস্তান গণভোট’-এর যোগ ছিল বলে অভিযোগ। স্থানীয় হিন্দু সংগঠনগুলো বারবার এ ধরনের হামলার বিরুদ্ধে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ দাবি করে এসেছে। কৃষ্ণ মন্দিরের সভাপতি স্থানীয় সংবাদমাধ্যমকে জানান, “এই হামলা পরিকল্পিত এবং এটি সরাসরি ঘৃণার ফলাফল।” উল্লেখ্য, দুই দশকের পুরনো এই ইসকন মন্দির দোল-খেলার জন্য পরিচিত।

  • India China Relation: “ভারত-চিন সীমান্ত বিরোধ জটিল”, কবুল চিনের, তবে ‘আলোচনায় প্রস্তুত’, জানাল বেজিং

    India China Relation: “ভারত-চিন সীমান্ত বিরোধ জটিল”, কবুল চিনের, তবে ‘আলোচনায় প্রস্তুত’, জানাল বেজিং

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বদলাচ্ছে ভূ-রাজনৈতিক পরিস্থিতি। তাই কি বদলাচ্ছে চিনও (India China Relation)! কারণ সোমবার বেজিংয়ের তরফে একটি মন্তব্য, যাতে তারা স্বীকার করে নিয়েছে ভারত-চিন সীমান্ত বিরোধ (Border Dispute) জটিল। তবে এই সমস্যার সমাধান জটিল হলেও, ভারত-চিন সীমান্ত নির্ধারণ নিয়ে আলোচনায় প্রস্তুত তারা। এর পাশাপাশি তারা যে সীমান্ত এলাকায় শান্তি বজায় রাখতেও আগ্রহী, তাও জানিয়ে দিয়েছে ড্রাগন।

    প্রতিরক্ষা মন্ত্রীদের বৈঠকের ফাঁকে পার্শ্ববৈঠক (India China Relation)

    ২৬ জুন কুইংদাওয়ে সাংহাই কো-অপারেশন অর্গানাইজেশন (এসসিও)-র প্রতিরক্ষা মন্ত্রীদের বৈঠকের ফাঁকে পার্শ্ববৈঠক হয় ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংয়ের সঙ্গে চিনের প্রতিরক্ষামন্ত্রী দং জুনের। সেই বৈঠকে রাজনাথ সীমান্তে বিশ্বাসযোগ্য পরিবেশ গড়ে তোলার ওপর জোর দেন এবং গ্রাউন্ডে অ্যাকশনের মাধ্যমে আস্থা ফেরানোর বার্তা দেন। এই বৈঠকের প্রেক্ষিতেই সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে চিনের বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র মাও নিং বলেন, “সীমান্ত সংক্রান্ত প্রশ্নটি অত্যন্ত জটিল। এটা এক দিনে মিটবে না। তবে ইতিমধ্যেই দুই দেশের মধ্যে একাধিক স্তরে যোগাযোগের জন্য নির্দিষ্ট ব্যবস্থা তৈরি হয়েছে, যা একটি ইতিবাচক দিক।”

    কী বললেন মাও নিং

    মাও নিং জানান, দুই দেশের মধ্যে বিশেষ প্রতিনিধি স্তরের আলোচনার একটি ফোরাম রয়েছে এবং সেখানে রাজনৈতিক মানদণ্ড ও দিশা নির্দেশক নীতি নিয়ে একমত হওয়া গিয়েছে। তিনি বলেন, “চিন আলোচনার মাধ্যমে সীমান্ত নির্ধারণ এবং সীমান্ত ব্যবস্থাপনা নিয়ে ভারতের সঙ্গে আলোচনায় আগ্রহী। শান্তিপূর্ণ ও স্থিতিশীল সীমান্ত রক্ষায় যৌথভাবে কাজ করতে আমরা প্রস্তুত।” চিনের বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র বলেন, “আমরা আশা করি ভারতও চিনের সঙ্গে একই পথে চলবে এবং যোগাযোগ অব্যাহত রেখে সীমান্তে শান্তি রক্ষায় কাজ করবে।”

    ২৩টি বৈঠক

    ভারত ও চিন (India China Relation) দুই দেশের মধ্যে বিশেষ প্রতিনিধিদের মধ্যে সব মিলিয়ে এ পর্যন্ত ২৩টি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। তাহলে সীমান্ত বিরোধ সমাধানে এত সময় লাগছে কেন (Border Dispute)? এই প্রশ্নের উত্তরেই মাও নিং বলেন, “সীমান্ত প্রশ্নটি জটিল এবং এটি সমাধান করতে সময় লাগবে।” ভারত-চিন সীমান্ত বিরোধ সমাধানের জন্য কোনও সময়সীমা নির্ধারণ করা যেতে পারে কিনা, জানতে চাইলে মাও নিং বলেন, “আমরা আশা করি, ভারত-চিনের সঙ্গে একই বিষয়ে কাজ করবে। জটিল বিষয়গুলিতে কথা বলা চালিয়ে যাবে যাতে সীমান্ত এলাকায় শান্তি ও স্থিতিশীলতা বজায় রাখা যায়।”

    ভারতের সঙ্গে যোগাযোগ

    গত সেপ্টেম্বরে চিনা বিদেশমন্ত্রী ওয়াং ই এবং ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভালের মধ্যে ২৩তম বিশেষ প্রতিনিধিদের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছিল। সেই বৈঠকে দুই দেশই ২০২৪ সালের বিচ্ছিন্নতা চুক্তি নিশ্চিত করেছিল, যাতে সংশ্লিষ্ট এলাকায় টহল এবং পশুচারণ ফের শুরু করার অনুমতি মেলে। মাও নিং বলেন (India China Relation), “চিন সীমা নির্ধারণ আলোচনা এবং সীমান্ত ব্যবস্থাপনা-সহ বিভিন্ন বিষয় (Border Dispute) নিয়ে ভারতের সঙ্গে যোগাযোগ বজায় রাখতে প্রস্তুত। সীমান্ত এলাকায় শান্তি ও স্থিতিশীলতা এক সঙ্গে রক্ষা করতে এবং সীমান্ত পারাপার বিনিময় সহযোগিতা এগিয়ে নিতেও আগ্রহী চিন।”

    আকসাই চিন দখল

    এশিয়া মহাদেশের দুই বৃহত্তম দেশ হল ভারত ও চিন। দুই দেশের মধ্যে সীমান্ত রয়েছে ৩ হাজার ৪৮৮ কিলোমিটার। এই সীমান্ত নিয়েই দুই দেশের মধ্যে কয়েক দশক ধরে চলছে বিরোধ। এই সীমান্ত বিরোধ কেবল উভয় দেশকেই প্রভাবিত করে না, সমগ্র এশিয়া মহাদেশের শান্তি এবং নিরাপত্তাকেও প্রভাবিত করে। অনেক আগেই পশ্চিম লাদাখের আকসাই চিন দখল করেছে চিন। লাদাখের এই অংশটি ভারতের। যদিও চিন মনে করে এটি জিনজিয়াং প্রদেশের একটি অংশ। চিন পূর্বাঞ্চলীয় অরুণাচলপ্রদেশকে তাদের অংশ বলে দাবি করে। তাদের মতে, এটি তিব্বতেরই অংশ (India China Relation)।

    ভারত-চিন বিরোধ

    ২০১৭ সালে ডোকলামে চিন ও ভারতের মধ্যে বিরোধ বাঁধে। চিন ভারত-ভুটান-চিন ট্রাই-জংশনে রাস্তা তৈরির চেষ্টা করলে বাধা দেয় ভারত। এর পর ৭৩ দিন ধরে চোখে চোখ রেখে ঠায় দাঁড়িয়েছিল দুই দেশের সেনা (Border Dispute)। এর ঠিক তিন বছর পরে ২০২০ সালের ১৫-১৬ জুন গালওয়ান উপত্যকায় প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখায় চিন ও ভারতীয় জওয়ানরা মুখোমুখি হন। সেবার দু’দেশের সেনাদের মধ্যে সংঘর্ষও হয়েছিল। এই সংঘর্ষে একজন কমান্ডার-সহ শহিদ হন ২০জন ভারতীয় সেনা। ২০২২ সালে তাওয়াংয়ে ফের সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে ভারত ও চিনে সেনাবাহিনী। উত্তরপ্রদেশের তাওয়াংয়ে ওই সংঘর্ষ হয়। তার পর থেকে দু’দেশেই রয়ে গিয়েছে সীমান্তে (Border Dispute) উত্তেজনা। যে উত্তেজনা প্রশমনে বরাবর সক্রিয় হয়েছে ভারত (India China Relation)।

LinkedIn
Share