Category: বিদেশ

Get updates on World News Headlines International News from the Madhyom news portal madhyom.com, West Bengal leading news portal Madhyom.com

  • G20 Summit: জি২০ শীর্ষ সম্মেলনে বৈশ্বিক উন্নয়নকে কেন্দ্র করে ছ’টি নয়া উদ্যোগের প্রস্তাব মোদীর

    G20 Summit: জি২০ শীর্ষ সম্মেলনে বৈশ্বিক উন্নয়নকে কেন্দ্র করে ছ’টি নয়া উদ্যোগের প্রস্তাব মোদীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দক্ষিণ আফ্রিকার জোহানেসবার্গে অনুষ্ঠিত জি২০ (G20 Summit) নেতাদের শীর্ষ সম্মেলনে বৈশ্বিক উন্নয়নকে কেন্দ্র করে ছ’টি নয়া উদ্যোগ প্রস্তাব করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (PM Modi)। এগুলির মধ্যে রয়েছে, গ্লোবাল ট্র্যাডিশনাল নলেজ রিপোজিটরি, আফ্রিকা স্কিলস মাল্টিপ্লায়ার ইনিশিয়েটিভ, গ্লোবাল হেলথকেয়ার রেসপন্স টিম, ড্রাগ–টেরর নেক্সাস মোকাবিলা উদ্যোগ, ওপেন স্যাটেলাইট ডেটা পার্টনারশিপ এবং ক্রিটিক্যাল মিনারেলস সার্কুলারিটি ইনিশিয়েটিভ। তিনি বলেন, “এই উদ্যোগগুলি সর্বাঙ্গীণ উন্নয়নে সহায়তা করবে।” তিনি এও জানান, ভারতের সভ্যতাগত মূল্যবোধ ভবিষ্যতের পথ নির্দেশ করতে পারে।

    কী বললেন প্রধানমন্ত্রী (G20 Summit)

    জি২০ গ্লোবাল ট্র্যাডিশনাল নলেজ রিপোজিটরি সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “ঐতিহ্যগত জ্ঞান যা সুদীর্ঘকাল ধরে টেকসই জীবনযাপনের পরীক্ষিত মডেল উপস্থাপন করে, তা নথিভুক্ত করা হবে এবং ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কাছে পৌঁছে দেওয়া হবে।” তিনি বলেন, “ভারতের এই ক্ষেত্রে সমৃদ্ধ ইতিহাস রয়েছে। এটি আমাদের সম্মিলিত জ্ঞানকে আরও সুস্বাস্থ্য ও মঙ্গল অর্জনের জন্য ভবিষ্যতে পৌঁছে দিতে সাহায্য করবে।” তিন দিনের সফরে দক্ষিণ আফ্রিকায় গিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। যোগ দিয়েছেন জি২০ (G20 Summit) শীর্ষ সম্মেলনে। সেখানেই তিনি বলেন, “আফ্রিকার উন্নয়ন বৈশ্বিক অগ্রগতির জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং ভারত সব সময়ই আফ্রিকার পাশে থেকেছে। আফ্রিকা স্কিলস মাল্টিপ্লায়ার ইনিশিয়েটিভে একটি ট্রেইন–দ্য–ট্রেইনার মডেল গ্রহণ করা হবে, যার লক্ষ্য আগামী দশকে আফ্রিকায় এক মিলিয়ন প্রশিক্ষিত ও শংসাপত্রপ্রাপ্ত ট্রেইনার তৈরি (PM Modi) করা।”

    যৌথ লক্ষ্য

    প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আমাদের যৌথ লক্ষ্য হল আগামী দশ বছরে আফ্রিকায় দশ লক্ষ প্রশিক্ষণ-প্রাপ্ত প্রশিক্ষক তৈরি করা। এই প্রশিক্ষকরাই পরে লাখ লাখ যুবককে প্রশিক্ষণ দেবেন। এই উদ্যোগ একটি ব্যাপক প্রভাব ফেলবে। এটি স্থানীয় সক্ষমতা বৃদ্ধি করবে এবং আফ্রিকার দীর্ঘমেয়াদি উন্নয়নকে আরও শক্তিশালী করবে।”  জি২০ গ্লোবাল হেলথকেয়ার রেসপন্স টিম গঠনেরও প্রস্তাব দেন প্রধানমন্ত্রী। তাঁর মতে, এটি স্বাস্থ্য জরুরি অবস্থার সময় শক্তিশালী প্রতিক্রিয়া দিতে সাহায্য করবে। তিনি বলেন, “স্বাস্থ্য জরুরি অবস্থায় এবং প্রাকৃতিক দুর্যোগের মুখে আমরা এক সঙ্গে কাজ করলে আরও শক্তিশালী হই। আমাদের লক্ষ্য হওয়া উচিত জি২০ সদস্য দেশের প্রশিক্ষিত চিকিৎসা বিশেষজ্ঞদের নিয়ে একটি দল গঠন করা, যারা যে কোনও বৈশ্বিক স্বাস্থ্য সঙ্কট বা প্রাকৃতিক দুর্যোগের সময় দ্রুত মোতায়েন হতে প্রস্তুত থাকবে।” মাদক পাচার রোধ এবং ফেন্টানিলের মতো বিপজ্জনক পদার্থের বিস্তার বন্ধ করতে ড্রাগ-টেরর নেক্সাস মোকাবিলায় একটি জি-২০ (G20 Summit) উদ্যোগ গঠনেরও পরামর্শ দেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী।

    মোদির পরামর্শ

    তিনি বলেন, “এই উদ্যোগের আওতায় আমরা অর্থনীতি, শাসনব্যবস্থা এবং নিরাপত্তা সম্পর্কিত বিভিন্ন সরঞ্জামকে একত্র করতে পারি। তবেই মাদক-সন্ত্রাস অর্থনীতিকে দুর্বল করা সম্ভব।” জি২০ ওপেন স্যাটেলাইট ডেটা পার্টনারশিপের প্রস্তাব দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “জি২০ মহাকাশ সংস্থাগুলির স্যাটেলাইট তথ্য উন্নয়নশীল দেশগুলির জন্য কৃষি, মৎস্য এবং দুর্যোগ ব্যবস্থাপনার মতো কাজের ক্ষেত্রে উন্মুক্ত করা যেতে পারে।” তিনি ক্রিটিক্যাল মিনারেলস সার্কুলারিটি ইনিশিয়েটিভ গঠনের প্রস্তাবও দেন, যা পুনর্ব্যবহার, আরবান মাইনিং, সেকেন্ড-লাইফ ব্যাটারি প্রকল্প এবং অন্যান্য উদ্ভাবনকে উৎসাহিত করবে (PM Modi)। এই উদ্যোগের লক্ষ্যই হল সরবরাহ শৃঙ্খলা নিরাপত্তা শক্তিশালী করা এবং পরিবেশবান্ধব উন্নয়নের পথ তৈরি করা (G20)।

  • G20 Summit: জি২০ শীর্ষ সম্মেলনে বৈশ্বিক উন্নয়নকে কেন্দ্র করে ছ’টি নয়া উদ্যোগের প্রস্তাব মোদীর

    G20 Summit: জি২০ শীর্ষ সম্মেলনে বৈশ্বিক উন্নয়নকে কেন্দ্র করে ছ’টি নয়া উদ্যোগের প্রস্তাব মোদীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দক্ষিণ আফ্রিকার জোহানেসবার্গে অনুষ্ঠিত জি২০ (G20 Summit) নেতাদের শীর্ষ সম্মেলনে বৈশ্বিক উন্নয়নকে কেন্দ্র করে ছ’টি নয়া উদ্যোগ প্রস্তাব করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (PM Modi)। এগুলির মধ্যে রয়েছে, গ্লোবাল ট্র্যাডিশনাল নলেজ রিপোজিটরি, আফ্রিকা স্কিলস মাল্টিপ্লায়ার ইনিশিয়েটিভ, গ্লোবাল হেলথকেয়ার রেসপন্স টিম, ড্রাগ–টেরর নেক্সাস মোকাবিলা উদ্যোগ, ওপেন স্যাটেলাইট ডেটা পার্টনারশিপ এবং ক্রিটিক্যাল মিনারেলস সার্কুলারিটি ইনিশিয়েটিভ। তিনি বলেন, “এই উদ্যোগগুলি সর্বাঙ্গীণ উন্নয়নে সহায়তা করবে।” তিনি এও জানান, ভারতের সভ্যতাগত মূল্যবোধ ভবিষ্যতের পথ নির্দেশ করতে পারে।

    কী বললেন প্রধানমন্ত্রী (G20 Summit)

    জি২০ গ্লোবাল ট্র্যাডিশনাল নলেজ রিপোজিটরি সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “ঐতিহ্যগত জ্ঞান যা সুদীর্ঘকাল ধরে টেকসই জীবনযাপনের পরীক্ষিত মডেল উপস্থাপন করে, তা নথিভুক্ত করা হবে এবং ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কাছে পৌঁছে দেওয়া হবে।” তিনি বলেন, “ভারতের এই ক্ষেত্রে সমৃদ্ধ ইতিহাস রয়েছে। এটি আমাদের সম্মিলিত জ্ঞানকে আরও সুস্বাস্থ্য ও মঙ্গল অর্জনের জন্য ভবিষ্যতে পৌঁছে দিতে সাহায্য করবে।” তিন দিনের সফরে দক্ষিণ আফ্রিকায় গিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। যোগ দিয়েছেন জি২০ (G20 Summit) শীর্ষ সম্মেলনে। সেখানেই তিনি বলেন, “আফ্রিকার উন্নয়ন বৈশ্বিক অগ্রগতির জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং ভারত সব সময়ই আফ্রিকার পাশে থেকেছে। আফ্রিকা স্কিলস মাল্টিপ্লায়ার ইনিশিয়েটিভে একটি ট্রেইন–দ্য–ট্রেইনার মডেল গ্রহণ করা হবে, যার লক্ষ্য আগামী দশকে আফ্রিকায় এক মিলিয়ন প্রশিক্ষিত ও শংসাপত্রপ্রাপ্ত ট্রেইনার তৈরি (PM Modi) করা।”

    যৌথ লক্ষ্য

    প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আমাদের যৌথ লক্ষ্য হল আগামী দশ বছরে আফ্রিকায় দশ লক্ষ প্রশিক্ষণ-প্রাপ্ত প্রশিক্ষক তৈরি করা। এই প্রশিক্ষকরাই পরে লাখ লাখ যুবককে প্রশিক্ষণ দেবেন। এই উদ্যোগ একটি ব্যাপক প্রভাব ফেলবে। এটি স্থানীয় সক্ষমতা বৃদ্ধি করবে এবং আফ্রিকার দীর্ঘমেয়াদি উন্নয়নকে আরও শক্তিশালী করবে।”  জি২০ গ্লোবাল হেলথকেয়ার রেসপন্স টিম গঠনেরও প্রস্তাব দেন প্রধানমন্ত্রী। তাঁর মতে, এটি স্বাস্থ্য জরুরি অবস্থার সময় শক্তিশালী প্রতিক্রিয়া দিতে সাহায্য করবে। তিনি বলেন, “স্বাস্থ্য জরুরি অবস্থায় এবং প্রাকৃতিক দুর্যোগের মুখে আমরা এক সঙ্গে কাজ করলে আরও শক্তিশালী হই। আমাদের লক্ষ্য হওয়া উচিত জি২০ সদস্য দেশের প্রশিক্ষিত চিকিৎসা বিশেষজ্ঞদের নিয়ে একটি দল গঠন করা, যারা যে কোনও বৈশ্বিক স্বাস্থ্য সঙ্কট বা প্রাকৃতিক দুর্যোগের সময় দ্রুত মোতায়েন হতে প্রস্তুত থাকবে।”

    মাদক পাচার রোধে জোর

    মাদক পাচার রোধ এবং ফেন্টানিলের মতো বিপজ্জনক পদার্থের বিস্তার বন্ধ করতে ড্রাগ-টেরর নেক্সাস মোকাবিলায় একটি জি-২০ (G20 Summit) উদ্যোগ গঠনেরও পরামর্শ দেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, “এই উদ্যোগের আওতায় আমরা অর্থনীতি, শাসনব্যবস্থা এবং নিরাপত্তা সম্পর্কিত বিভিন্ন সরঞ্জামকে একত্র করতে পারি। তবেই মাদক-সন্ত্রাস অর্থনীতিকে দুর্বল করা সম্ভব।” জি২০ ওপেন স্যাটেলাইট ডেটা পার্টনারশিপের প্রস্তাব দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “জি২০ মহাকাশ সংস্থাগুলির স্যাটেলাইট তথ্য উন্নয়নশীল দেশগুলির জন্য কৃষি, মৎস্য এবং দুর্যোগ ব্যবস্থাপনার মতো কাজের ক্ষেত্রে উন্মুক্ত করা যেতে পারে।” তিনি ক্রিটিক্যাল মিনারেলস সার্কুলারিটি ইনিশিয়েটিভ গঠনের প্রস্তাবও দেন, যা পুনর্ব্যবহার, আরবান মাইনিং, সেকেন্ড-লাইফ ব্যাটারি প্রকল্প এবং অন্যান্য উদ্ভাবনকে উৎসাহিত করবে (PM Modi)। এই উদ্যোগের লক্ষ্যই হল সরবরাহ শৃঙ্খলা নিরাপত্তা শক্তিশালী করা এবং পরিবেশবান্ধব উন্নয়নের পথ তৈরি করা (G20)।

  • Tejas Fighter Jet Crashes: মার্কিন ইঞ্জিনের ত্রুটির জন্যই কি দুর্ঘটনার কবলে তেজস না অন্য কারণ? ঠিক কী ঘটেছিল?

    Tejas Fighter Jet Crashes: মার্কিন ইঞ্জিনের ত্রুটির জন্যই কি দুর্ঘটনার কবলে তেজস না অন্য কারণ? ঠিক কী ঘটেছিল?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ইঞ্জিনের ত্রুটির জন্যই দুবাইয়ে দুর্ঘটনার কবলে পড়ল তেজস (Tejas Fighter Jet Crashes), এমনই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। তবে, বায়ুসেনার তরফে এ নিয়ে এখনও কোনও সরকারি ভাবে বিবৃতি দেওয়া হয়নি। দুবাইয়ে এয়ার শো চলাকালীন শুক্রবার ভেঙে পড়েছে ভারতের তৈরি যুদ্ধবিমান তেজস। মৃত্যু হয়েছে পাইলট উইং কমান্ডার নমনশ স্যায়ালের। ভারতীয় প্রযুক্তিতে তৈরি হলেও তেজসের ইঞ্জিন এসেছে আমেরিকার সংস্থা জেনারেল ইলেকট্রিক থেকে। মনে করা হচ্ছে, শেষ মুহূর্তে তেজসের ইঞ্জিনটিতে কোনও কারণে আগুন ধরে গিয়েছিল। পাইলট তাই আর পরিস্থিতি সামাল দিতে পারেননি।

    কীভাবে ঘটল দুর্ঘটনা

    শুক্রবার দুবাইয়ের স্থানীয় সময় দুপুর ২টো ৮ মিনিটে তেজস (Tejas Fighter Jet Crashes) ভেঙে পড়ার পর বায়ুসেনা বিবৃতি জারি করে পাইলটের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করে। ভিডিয়োতে দেখা গিয়েছে, আকাশে উড়তে উড়তে আচমকা নীচে নামতে শুরু করছে ভারতীয় যুদ্ধবিমান। কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে সজোরে আছড়ে পড়ছে মাটিতে এবং তাতে আগুন জ্বলে উঠছে। পুরু কালো ধোঁয়ায় ঢেকে গিয়েছিল দুবাইয়ের ওই এলাকার আকাশ। আগুনে বিস্ফোরণও চোখে পড়েছে বহু দূর থেকে। বিশেষজ্ঞদের একাংশ ভিডিয়ো দেখে জানিয়েছেন, শূন্যে তেজস নিয়ে একটি বিশেষ কৌশল দেখানোর পরিকল্পনা ছিল পাইলটের। যা ‘ব্যারেল রোল’ নামে পরিচিত। এই কৌশলে জেট এক বার উল্টে গিয়ে আবার সোজা হয় এবং গোলাকার কক্ষপথে ঘুরতে থাকে। যুদ্ধবিমানের পক্ষে এটি খুব একটা কঠিন কৌশল নয়, মত বিশেষজ্ঞদের। তবে এতে পাইলটকে সামান্য সময়ের জন্য বিমানের মধ্যে উল্টে থাকতে হয়। অর্থাৎ, তাঁর মাথা নীচে এবং পা উপরে চলে যায়। এই সময়েই তেজসে গোলমাল হয়েছে বলে প্রাথমিক ভাবে মনে করা হচ্ছে।

    তেজস নিয়ে ভুয়ো খবর

    সম্পূর্ণ ভারতীয় প্রযুক্তিতে নির্মিত তেজস (Tejas Fighter Jet Crashes) একটি লাইট কমব্যাট এয়ারক্র্যাফ্‌ট। এর ব্যর্থতার হার অত্যন্ত কম। ২৪ বছরের ইতিহাসে এই নিয়ে মাত্র দু’বার তেজস ভেঙে পড়ল। প্রসঙ্গত, দুর্ঘটনার এক দিন আগেই তেজস নিয়ে সমাজমাধ্যমে ছড়ানো কিছু খবরকে ভুয়ো বলে উড়িয়ে দিয়েছিল ভারত সরকার। সমাজমাধ্যমে রটে গিয়েছিল, দুবাইয়ের এয়ার শো-তে ভারত থেকে যে তেজস এমকে১ যুদ্ধবিমান পাঠানো হয়েছে, তার জ্বালানি লিক করছে। বক্তব্যের সপক্ষে কিছু ছবি এবং ভিডিয়োও ছড়িয়ে পড়েছিল। তাতে দেখা গিয়েছিল, তেজস থেকে তরল পদার্থ গড়িয়ে পড়ছে। পিআইবি-র তরফে জানানো হয়, এই খবর সম্পূর্ণ ভুয়ো। ভিডিয়োতে যে তরল দেখা গিয়েছে, তা আদৌ তেল নয়। জল। ইচ্ছাকৃত ভাবেই ওই জল ছাড়া হচ্ছিল। এটি নিয়মমাফিক প্রক্রিয়া।

    পিছনে কোনও অন্য কারণ

    শুক্রবার দুর্ঘটনার কবলে পড়ার আগেই তেজস (Tejas Fighter Jet Crashes) নিয়ে ভুয়ো খবর ছড়ানোয় সন্দেহ দানা বেঁধেছে। এর পিছনে কোনও চক্রান্ত কাজ করছে কি না তা-ও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এদিন দুবাইয়ে বিশেষ কৌশল উপস্থাপনের জন্য তেজস যুদ্ধবিমানটিকে প্রথমে বেশ খানিকটা উপরে তুলেছিলেন পাইলট। তার পর উল্টেও যান। উল্টে যাওয়ার পরেই বিমানটি নীচের দিকে নামতে শুরু করে। আর সোজা হয়ে উপরে উঠতে পারেনি। ওই সময় পাইলট বিমানের নিয়ন্ত্রণ হারান। মনে করা হচ্ছে, মাটির সঙ্গে বিমানের দূরত্ব অনেকটা কমে এসেছিল। তাই কৌশলটি সম্পূর্ণ করা যায়নি।

  • Pakistan: “ভারত-বিরোধী জঙ্গি কার্যকলাপের জন্য বাংলাদেশকে ব্যবহার করেছে পাকিস্তান”, তোপ হাসিনার প্রাক্তন সহকারীর

    Pakistan: “ভারত-বিরোধী জঙ্গি কার্যকলাপের জন্য বাংলাদেশকে ব্যবহার করেছে পাকিস্তান”, তোপ হাসিনার প্রাক্তন সহকারীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “২০০১ থেকে ২০০৬ সালের মধ্যে পাকিস্তান (Pakistan) ভারতবিরোধী জঙ্গি কার্যকলাপের জন্য বাংলাদেশকে ব্যবহার করেছে একটি ট্রানজিট পয়েন্ট হিসেবে।” অন্তত এমনই দাবি করলেন বাংলাদেশের প্রাক্তন মন্ত্রী মোহিবুল হাসান চৌধুরী। তাঁর দাবি, শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর তাদের উদ্দেশ্য হল বাংলাদেশকে (Bangladesh) পাকিস্তানের গুপ্তচর সংস্থা আইএসআইয়ের একটি ক্রীড়নক রাষ্ট্রে পরিণত করা।

    চৌধুরীর তোপ (Pakistan)

    সংবাদ মাধ্যমে সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে তিনি বলেন, “ইউনূস সরকার পাকিস্তানের উগ্রপন্থী বিভিন্ন গোষ্ঠী, যেমন, আইএসআই, সেনাবাহিনী, পাঞ্জাবি এলিটের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক গড়ে তুলেছে।” চৌধুরী বাংলাদেশের পদচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রাক্তন সহকারী। তিনি বাংলাদেশ আওয়ামি লিগের সাংগঠনিক সম্পাদকও। গত বছর হাসিনা সরকারের পতনের পর দেশ ছাড়তে বাধ্য করা হয় তাঁকে। এটাই সুগম করে ইউনূসের ক্ষমতা গ্রহণের পথ। পাকিস্তান ও বাংলাদেশের ক্রমবর্ধমান ঘনিষ্ঠতার প্রসঙ্গে চৌধুরী বলেন, “আমরা এ বিষয়ে কিছু বলতে চাই না। কারণ তারা শুধু পাকিস্তানের উগ্রপন্থী গোষ্ঠী আইএসআই, সেনাবাহিনী, পাকিস্তানের (Pakistan) পাঞ্জাবি এলিটের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ হতে চায়, যারা গত পঁচাত্তর বছর ধরে দেশটিকে শোষণ করে আসছে। এটি নীতি, মূল্যবোধ কিংবা বন্ধুত্বের বিষয় নয়। এটি বাংলাদেশের ওপর আধিপত্য প্রতিষ্ঠার বিষয়, বঙ্গবন্ধুর দেশকে একটি ক্রীড়নক দেশে পরিণত করার বিষয়।”

    হাসিনার এই প্রাক্তন সহকর্মীর অভিযোগ

    হাসিনার এই প্রাক্তন সহকর্মী মনে করিয়ে দেন, আওয়ামি লিগ যখন গণহত্যার অপরাধীদের বিচারের আওতায় আনার প্রক্রিয়া শুরু করে, তখন পাকিস্তান তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছিল। বাংলাদেশে তারা আইএসআই-সংক্রান্ত কার্যকলাপও শুরু করেছিল। তিনি বলেন, “২০০১ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত বিএনপি-জামায়াত দেশ পরিচালনা করার সময়, তারা বাংলাদেশকে ভারতবরোধী অস্ত্র, গোলাবারুদ ও সন্ত্রাস রফতানির ট্রানজিট পয়েন্ট হিসেবে ব্যবহার করেছিল।” চৌধুরীর মতে, এই ধরনের কার্যকলাপ ফের শুরু হয়েছে। তিনি বলেন, “বাংলাদেশ এমন একটি দেশ নয় যেখানে পাকিস্তান (Pakistan) খুব আন্তরিকভাবে গ্রহণযোগ্য, এবং পাকিস্তানের প্রতি তেমন সহানুভূতিও নেই। তবুও, হঠাৎ করেই সামরিক সহযোগিতা বৃদ্ধি পাচ্ছে। মানে, আমরা জানি পাকিস্তান সামরিক বাহিনী কী, এটা মূলত আইএসআইয়েরই একটি মুখোশ। অধিকাংশ (Bangladesh) পাকিস্তানি সামরিক কর্তা ইন্টার-সার্ভিসেস ইন্টেলিজেন্সে কাজ করেন, যা তাঁদের প্রধান সামরিক গোয়েন্দা সংস্থা এবং বিদেশে সন্ত্রাস রফতানির জন্য পরিচিত।”

  • Sheikh Hasina: ইউনূস জমানায় রমরমা বাংলাদেশের ইসলামপন্থী দল জামাত ইসলামির, ভারতকে সতর্ক করলেন হাসিনা-পুত্র

    Sheikh Hasina: ইউনূস জমানায় রমরমা বাংলাদেশের ইসলামপন্থী দল জামাত ইসলামির, ভারতকে সতর্ক করলেন হাসিনা-পুত্র

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দিন দুই আগেই বাংলাদেশের দেশান্তরী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে (Sheikh Hasina) মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে আন্তর্জাতিক ট্রাইব্যুনাল। তার পরেই ভারতের উদ্দেশে বার্তা দিয়েছিল জামাত-ই-ইসলামি । জামাতের (Jamaat-E-Islami) সাধারণ সম্পাদক মিঞা গোলাম পরওয়ার বলেছিলেন, “প্রতিবেশী দেশ মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত পলাতক আসামিকে আশ্রয় দিয়ে অপরাধীর প্রতি পক্ষপাতিত্ব করেছে, যা ন্যায় বিচারের পরিপন্থী। আন্তর্জাতিক আইন মেনে হাসিনাকে বাংলাদেশে আইনের কাছে পাঠানোর আহ্বান জানাচ্ছি।”

    জামাতের বাড়বাড়ন্ত (Sheikh Hasina)

    এমন পরিস্থিতিতে পদ্মা পারে জামাতের বাড়বাড়ন্ত নিয়ে ভারতকে সতর্ক করলেন হাসিনা-পুত্র সজীব ওয়াজেদ। তিনি বলেন, “বর্তমান প্রশাসনের অধীনে বাংলাদেশে যে পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে, সে দিকে মনোযোগ দেওয়া উচিত ভারতের।” তাঁর দাবি, বাংলাদেশের সর্ববৃহৎ ইসলামপন্থী দল জামাত ইসলামি এখন ইউনূস নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকারের অধীনে আরও বেশি প্রভাব বিস্তার করেছে। তিনি বলেন, “এই গোষ্ঠী প্রচুর দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিকে মুক্তি দিয়েছে। অথচ পূর্বতন সরকার জঙ্গি কার্যকলাপের দায়ে কারাদণ্ড দিয়েছিল তাদের। হাসিনা-পুত্রের মতে, এসব মুক্তি আঞ্চলিক নিরাপত্তার জন্য গুরুতর ঝুঁকি তৈরি করছে। তিনি জানান, ভারত সরকার এই সব ঘটনা সম্পর্কে অবগত এবং তারা এটাও বুঝতে পারছে যে এগুলির সম্ভাব্য প্রভাব পড়তে পারে ভারতের নিরাপত্তা স্বার্থেও। ওয়াজেদ এও বলেন, “বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের রাজত্বে বাংলাদেশে লস্কর-ই-তৈবার নেটওয়ার্কও আগের চেয়ে অনেক বেশি স্বাধীনভাবে কাজ করছে।” তাঁর দাবি, এই সংগঠন আবার সক্রিয় হয়ে উঠেছে এবং নিরাপত্তা সংস্থাগুলি লস্করের বাংলাদেশ শাখা এবং দিল্লির সাম্প্রতিক জঙ্গি হামলার মধ্যে যোগসূত্র খুঁজে পেয়েছে।

    ভারতের জন্য গুরুতর উদ্বেগের

    তিনি বলেন (Sheikh Hasina), “এই ঘটনাগুলি ভারতের জন্য গুরুতর উদ্বেগের কারণ হওয়া উচিত।” তাঁর মতে, দণ্ডপ্রাপ্ত জঙ্গিদের মুক্তি এসব নেটওয়ার্ককে আরও শক্তিশালী করেছে। ওয়াজেদ বলেন, “পরিস্থিতি পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে এই কার্যকলাপগুলি আঞ্চলিক নিরাপত্তা অংশীদারদের কঠোর নজরদারির দাবি রাখে।” ওয়াজেদ বলেন, “বাংলাদেশকে কেন্দ্র করে বাড়তে থাকা সন্ত্রাস-সম্পর্কিত উদ্বেগ নিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সম্ভবত কড়া নজর রাখছেন। ভারতীয় নেতৃত্ব বোঝেন যে প্রতিবেশী দেশে এই উগ্রবাদী সংগঠনগুলি ভারতের জন্যও মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়াচ্ছে (Jamaat-E-Islami)।” হাসিনা-পুত্র বলেন, “ভারত সরকার সব সময় আইনি ও গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া অনুসরণ করে সংবেদনশীল আঞ্চলিক পরিস্থিতির মোকাবিলা করে।”

    হাসিনার ঘনিষ্ঠ বিভিন্ন সূত্রের অভিযোগ

    এদিকে, বাংলাদেশের পদচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ঘনিষ্ঠ বিভিন্ন সূত্রের অভিযোগ, ২০২৪ সালের ছাত্র–নেতৃত্বাধীন গণঅভ্যুত্থানে হাসিনা ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর থেকেই বাংলাদেশকে ক্রমেই অস্থিরতার দিকে ঠেলে দেওয়া হয়েছে। তাদের দাবি, দেশকে সম্পূর্ণ উগ্রবাদিতার দিকে ঠেলে দেওয়া হচ্ছে। তাদের দাবি, “দেশটি এখন এমন উগ্রপন্থীদের হাতে রয়েছে, যাদের পেছনে মদত রয়েছে আন্তর্জাতিক জঙ্গি গোষ্ঠীগুলিরও।” অন্তর্বর্তী সরকারের বৈধতাও প্রত্যাখ্যান করেছে তারা। তাদের দাবি, “বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান মহম্মদ ইউনূস একজন পুতুল। তিনি সেই অনুযায়ী কাজ করছেন, যেভাবে তাঁকে দিয়ে করানো হচ্ছে।”

    জামাতের চিন সফর

    প্রসঙ্গত, চলতি (Sheikh Hasina) বছরের জুলাই মাসে ফের চিন সফরে গিয়েছিল বাংলাদেশের মৌলবাদী সংগঠন জামাত ইসলামির একটি প্রতিনিধি দল। ৯ সদস্যের ওই দলের নেতৃত্ব দিয়েছিলেন সংগঠনের প্রধান সফিকুর রহমান। মাসখানেকর মধ্যে ওটাই ছিল তাদের দ্বিতীয় চিন সফর। বাংলাদেশের ওই মৌলবাদী সংগঠনের ঘন ঘন চিনে যাতায়াতকে ভালো চোখে দেখেননি আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞরাও। তখনই তাঁরা জানিয়েছিলেন, চিন-জামাতের সখ্যতা বাংলাদেশের গণতন্ত্রপ্রেমী মানুষের জন্য আদৌ কোনও ভালো ইঙ্গিত দেয় না। একই সঙ্গে এটি সুখকরও নয় (Jamaat-E-Islami)।

    চিনা দূতাবাসে জামাত নেতারা

    এর আগে ঢাকায় থাকা তাদের দূতাবাসে জামাত নেতাদের আমন্ত্রণ জানিয়েছিল চিন। ওই ঘটনাকে মোটেই ভালো চোখে দেখেনি ভারত। কারণ জামাত প্রকাশ্যেই নানা সময় ভারত বিরোধী মন্তব্য করে থাকে। সেক্ষেত্রে চিন জামাতকে ভারত-বিরোধী কার্যকলাপে উসকানি দেওয়ার কাজে ব্যবহার করতে পারে। যদিও এনিয়ে ভারত কিংবা বাংলাদেশের সরকারের তরফে কোনও বিবৃতি দেওয়া হয়নি (Sheikh Hasina)। বাংলাদেশে সাধারণ নির্বাচন আসন্ন। এই নির্বাচন হতে পারে শেখ হাসিনার দল আওয়ামি লিগের ‘নৌকা’ বাদ দিয়েই। তবে এই নির্বাচনে আনুপাতিক প্রতিনিধিত্ব করার দাবি জানিয়েছিল জামাত। গত ১৯ জুলাই বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকায় একটি প্রকাশ্য সমাবেশ থেকে এনিয়ে নিজেদের অবস্থানও স্পষ্ট করেছে এই মৌলবাদী সংগঠনটি। শুধু তাই নয়, ঢাকার ওই সমাবেশ থেকেই জামাত ইসলামি জানিয়ে (Jamaat-E-Islami) দিয়েছে, বাংলাদেশের পরবর্তী সরকার ও সংসদকে কাজ করতে হবে ইসলামি বিধি-বিধান অনুযায়ী (Sheikh Hasina)।

    এহেন আবহে হাসিনা-পুত্রের ভারতের প্রতি এই সতর্কবার্তা তাৎপর্যপূর্ণ বই কি!

  • Sheikh Hasina: হাসিনাকে মৃত্যুদণ্ড বাংলাদেশের আদালতের, কী বললেন পদচ্যুত প্রধানমন্ত্রী?

    Sheikh Hasina: হাসিনাকে মৃত্যুদণ্ড বাংলাদেশের আদালতের, কী বললেন পদচ্যুত প্রধানমন্ত্রী?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাংলাদেশের (Bangladesh) প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে (Sheikh Hasina) মৃত্যুদণ্ড দিল আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। বিচারপতি গোলাম মর্তুজা মজুমদার, বিচারপতি মহম্মদ শফিউল আলম মাহমুদ এবং বিচারক মহম্মদ মোহিতুল হক এনাম চৌধুরীর ট্রাইব্যুনালের দেওয়া সেই রায় সরাসরি সম্প্রচারিতও হয়েছে। হাসিনার পাশাপাশি মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে বাংলাদেশের প্রাক্তন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খানকেও। রাজসাক্ষী হওয়ায় শাস্তি ছোট করা হয়েছে প্রাক্তন পুলিশ কর্তা আল মামুনের। কিছু ক্ষেত্রে ক্ষমা প্রদর্শন করে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে তাঁকে। হাসিনাকে তিনটি অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে। এক, উসকানি দেওয়া, দুই হত্যার নির্দেশ এবং তিন, দমনপীড়ন আটকানোর ক্ষেত্রে পুলিশকে নিষ্ক্রিয় করে রাখা। ঢাকা আদালতের ঘোষিত মৃত্যুদণ্ডের তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন হাসিনা। সোমবার রায় ঘোষণার পরেই তিনি আদালতের এই রায়কে কারচুপিপূর্ণ, আগে থেকেই ঠিক করে রাখা এবং গণতান্ত্রিক ম্যান্ডেটহীন, অনির্বাচিত সরকারের সৃষ্টি বলে অভিহিত করেন।

    প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীর দাবি (Sheikh Hasina)

    রায় ঘোষণার পর রীতিমতো বিবৃতি দিয়ে বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীর দাবি, তাঁর বিরুদ্ধে আনা মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগগুলির স্বপক্ষে কোনও প্রমাণ নেই। বরং তাঁর আমলে মানবাধিকার এবং উন্নয়নমূলক অনেক কাজ হয়েছে। সেজন্য তিনি গর্বিতও। আওয়ামি লিগ সুপ্রিমোর দাবি, এই রায় দেওয়া হয়েছে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে, তাও আবার একটি অনির্বাচিত সরকারের অধীনস্থ অবৈধ ট্রাইব্যুনাল সেই রায় দিয়েছে। মৃত্যুদণ্ডের রায় প্রত্যাখ্যান করে হাসিনা বলেন, “এই রায় অন্তর্বর্তীকালীন সরকারে থাকা চরমপন্থী ব্যক্তিদের নির্লজ্জতা ও খুনি মনোভাবের প্রতিফল মাত্র। বাংলাদেশের শেষ নির্বাচিত প্রধানমন্ত্রীকে অপসারণ করতে এবং আওয়ামি লিগকে রাজনৈতিকভাবে ভেঙে দিতে এই কাজ করা হয়েছে (Bangladesh)।”

    অভিযোগ অস্বীকার

    হাসিনা লিখেছেন, “আমার বিরুদ্ধে আনা ট্রাইব্যুনালের সব অভিযোগ সম্পূর্ণভাবে অস্বীকার করছি। গত বছরের জুলাই-অগাস্টে যত জনের মৃত্যু হয়েছে, সেজন্য আমি শোকাহত। কিন্তু আমি কিংবা কোনও রাজনৈতিক নেতা কখনওই কোনও আন্দোলনকারীকে হত্যা করার নির্দেশ দিইনি। আমাকে আদালতে আত্মপক্ষ সমর্থনের কোনও সুযোগই দেওয়া হয়নি। শুধু তাই নয়, আমাকে নিজের পছন্দ মতো আইনজীবীও বেছে নেওয়ার সুযোগ দেওয়া হয়নি। এই ট্রাইব্যুনাল পক্ষপাতদুষ্ট।” বঙ্গবন্ধুর কন্যা হাসিনা (Sheikh Hasina) বলেন, “মহম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তীকালীন প্রশাসন নিজেদের ব্যর্থতা ঢাকতে হাতিয়ার করেছে দেশের বিচার বিভাগকে। এভাবে তারা একজোট হয়েছে আওয়ামি লিগের বিরুদ্ধে। বিশ্বের কোনও প্রকৃত পেশাদার আইনজীবী বাংলাদেশের ট্রাইব্যুনালের এই রায় সমর্থন করবেন না।”

    ইউনূসের আমল

    বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীর কথায়, “ইউনূসের আমলে বাংলাদেশ আরও বিশৃঙ্খল, সহিংস এবং সামাজিকভাবে পশ্চাদগামী একটি শাসন ব্যবস্থায় পরিণ হয়েছে, যেখানে পদে পদে নারী ও সংখ্যালঘুদের ওপর আক্রমণ, ভিন্নমতের দমনপীড়ন চলছে। অর্থনীতিও ভেঙে পড়েছে। অথচ ক্ষমতায় থাকার জন্য এতদিন ধরে ইচ্ছাকৃতভাবে নির্বাচনে দেরি করেছেন ইউনূস। নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছেন আওয়ামি লিগকে।” বিবৃতিতে হাসিনা লিখেছেন, “বৈধ ট্রাইব্যুনালে উপযুক্ত প্রমাণ-সহ বিচারপ্রক্রিয়ার মুখোমুখি হতে আমি ভয় পাই না। তবে আমি জানি, অন্তর্বর্তী সরকার এই চ্যালেঞ্জ মানবে না। কারণ তারা জানে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে মামলা গেলে তারা আমায় অব্যাহতি দেবে (Bangladesh)।”

    এই আদালত অবৈধ

    বাংলাদেশের বিভিন্ন আদালত এবং থানায় এখনও পর্যন্ত হাসিনার বিরুদ্ধে ৫৮৬টি মামলা দায়ের হয়েছে (Sheikh Hasina)। ৩৯৭ দিন ধরে বিচারপ্রক্রিয়া চলার পর সোমবার সাজা ঘোষণা হয়েছে ওই মামলায়। ট্রাইব্যুনালের রায় প্রসঙ্গে বাংলাদেশ আওয়ামি লিগের প্রেসিডিয়াম সদস্য জাহাঙ্গির কবীর নানক বলেন, “এই আদালত অবৈধ। বাংলাদেশের জনগণ এই রায় প্রত্যাখ্যান করছে। আগামিকাল সারা বাংলাদেশে সকাল-সন্ধ্যা শাটডাউন হবে। যতক্ষণ না অবৈধ ইউনূস সরকার পদত্যাগ করবে, আমাদের সংগ্রাম ততই তীব্র হবে। একদিন হাসিনা বীরের বেশে বাংলার জনগণের প্রিয় দল হিসেবে ফিরবেন। আমাদের জয় অবশ্যম্ভাবী।”

    প্রতিক্রিয়া হাসিনা পুত্রের

    ঘটনায় প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন হাসিনা-পুত্র সজীব ওয়াজেদও। তিনি থাকেন আমেরিকার ওয়াশিংটনে। তিনি বলেন, “আমার মা ভারতে নিরাপদ আছেন। ভারত তাঁকে পুরো নিরাপত্তা দিচ্ছে।” ওয়াজেদ বলেন, “আমরা আওয়ামি লিগ ছাড়া নির্বাচন হতে দেব না। আমাদের আন্দোলন আরও শক্তিশালী হবে, আরও বিস্তৃত হবে এবং আমরা যে কোনও কিছু করতে প্রস্তুত। আন্তর্জাতিক সংস্থা কিছু না করলে, নির্বাচনের আগে হিংসা দেখা দেওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে, অনিবার্য হয়ে উঠবে মুখোমুখি সংঘর্ষ।‘’ তিনি (Sheikh Hasina) বলেন, “দলীয় নিষেধাজ্ঞা বহাল থাকলে আরও আন্দোলন হবে।” যদিও সরকারি মুখপাত্র জানিয়েছেন, আওয়ামি লিগের ওপর নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের কোনও পরিকল্পনা সরকারের নেই (Bangladesh)।

  • Bangladesh Crisis: জ্বলছে বাংলাদেশ, ককটেল বোমা, গাড়িতে আগুন! আজ হাসিনার রায় ঘোষণা

    Bangladesh Crisis: জ্বলছে বাংলাদেশ, ককটেল বোমা, গাড়িতে আগুন! আজ হাসিনার রায় ঘোষণা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ক্রমেই উত্তপ্ত হচ্ছে বাংলাদেশ (Bangladesh Crisis)। আজ, সোমবার প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার (Sheikh Hasina) বিরুদ্ধে জুলাই গণহত্যা মামলায় রায় ঘোষিত হবে। রায় শোনাবে বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। তার আগের রাতে দফায় দফায় উত্তেজনা ছড়াচ্ছে বাংলাদেশে। রবিবার রাতে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের এক উপদেষ্টার বাড়ির কাছে ককটেল বিস্ফোরণ হয়েছে। বিস্ফোরণ হয়েছে ঢাকায় জাতীয় নাগরিক পার্টি -র কার্যালয়ের সামনেও।কে বা কারা এই ককটেল হামলা চালিয়েছে, তা এখনও স্পষ্ট নয়।

    বাংলাদেশ জুড়ে ‘লকডাউন’ কর্মসূচি

    রবিবার থেকে দু’দিন ব্যাপী বাংলাদেশ জুড়ে ‘লকডাউন’ কর্মসূচি ডেকেছে হাসিনার দল আওয়ামি লীগ। বর্তমানে এই দলটির রাজনৈতিক কার্যক্রম বাংলাদেশে নিষিদ্ধ। শুরু হয়েছে ধরপাকড়ও। এরই মধ্যে ঢাকার বিভিন্ন জায়গায় ককটেল বোমা বিস্ফোরণ ঘটতে শুরু করেছে। দফায় দফায় অশান্তির খবর আসছে বাং। ঢাকা-সহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তে গাড়ি, বাস, সরকারি প্রতিষ্ঠানের সামনে আগুন ধরিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠছে বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে। এমনকি, অ্যাম্বুল্যান্সেও ককটেল হামলার খবর মিলেছে। পরিস্থিতি সামাল দিতে রবিবার সন্ধ্যায় দেখামাত্র গুলির নির্দেশ দিয়েছে ঢাকা পুলিশ। বলা হয়েছে, কোথাও কাউকে মানুষ, গাড়ি বা পুলিশের উপর অগ্নিসংযোগ বা ককটেল ছুড়তে দেখলেই গুলি করতে হবে। কিন্তু তার পরেও একাধিক জায়গা থেকে এই ধরনের হামলার খবর এসেছে।

    সকাল ১১টা থেকে রায়দান প্রক্রিয়া শুরু

    গত বছর ৫ অগাস্ট হাসিনা গণঅভ্যুত্থানের চাপে পড়ে দেশ ছাড়তে বাধ্য হন। ইস্তফা দেন প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকেও। সেই থেকে তিনি ভারতে রয়েছেন। জুলাই মাসে বাংলাদেশের ছাত্রযুবদের আন্দোলনের সময় মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগ রয়েছে হাসিনার বিরুদ্ধে। অভিযোগ, তিনি আন্দোলনকারীদের হত্যার নির্দেশ দিয়েছিলেন। এই সংক্রান্ত মামলায় বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের তরফে আন্তর্জাতিক ট্রাইব্যুনালে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীর সর্বোচ্চ শাস্তি অর্থাৎ, মৃত্যুদণ্ডের আবেদন জানানো হয়েছে। বিচারপতি গোলাম মর্তুজা মজুমদার, বিচারপতি মহম্মদ শফিউল আলম মাহমুদ এবং বিচারক মহম্মদ মোহিতুল হক এনাম চৌধুরীর আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল সোমবার হাসিনার বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগগুলির রায় ঘোষণা করবেন। আজ প্রথম মামলার রায়দান। সকাল ১১টা থেকে রায়দান প্রক্রিয়া শুরু হবে। গোটা বাংলাদেশ জুড়ে সরকারি ও বেসরকারি সংবাদমাধ্যমে সরাসরি সম্প্রচার করা হবে হাসিনার বিরুদ্ধে রায়দান।

    রায়দানের বিরোধিতা বাংলাদেশ জুড়ে

    শুধু শেখ হাসিনা নন, এই মামলায় বাকি দুইজন অভিযুক্ত হলেন বাংলাদেশের প্রাক্তন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান এবং বাংলাদেশ পুলিশের প্রাক্তন আইজি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন। যদিও প্রাক্তন পুলিশকর্তা এই মামলায় রাজসাক্ষী হয়েছেন। বাংলাদেশের অ্যাটর্নি জেনারেল মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান এই মামলায় প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও প্রাক্তন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খানের মৃত্যুদণ্ডের সাজার দাবি করেছিলেন। বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগ আনা হয়েছিল দেশ ছাড়ার পরই। আজ আদালত কী রায় দেয়, তার দিকেই নজর। তবে তার আগে থেকেই জ্বলছে বাংলাদেশ। রবিবার, রাতভর বিক্ষোভ, হামলা চলে। এমনকী বন ও জলবায়ু পরিবর্তন উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসানের বাড়ির সামনেও ককটেল বোমা ছোড়া হয়। শ্যামপুর, গাবতলী, মহাখালী সহ একাধিক জায়গায় ককটেল বোমা ছোড়া হয়েছে। তবে বিশেষ ক্ষয়ক্ষতির খবর নেই। ককটেল বোমায় আহত হয়েছেন কয়েকজন।

    গুলি চালানোর নির্দেশ ইউনূসের

    রোষ আছড়ে পড়েছে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্ট মহম্মদ ইউনূসের তৈরি করা গ্রামীণ ব্যাঙ্কের উপরও। একাধিক গ্রামীণ ব্যাঙ্কে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়েছে। গাছ কেটে রাস্তা অবরোধও করা হয়। ছাত্রলিগও রাস্তায় নেমে মশাল মিছিল করেছে ঢাকা-বরিশালে। পরিস্থিতি সামাল দিতে ঢাকা, গোপালগঞ্জ, ফরিদপুর ও মাদারীপুরে মোতায়েন করা হয়েছে বিজিবি। পুলিশ ও সেনাও পথে নামানো হয়েছে। যদি সরকারি সম্পত্তি ভাঙচুর করা হয় বা সরকারি দফতরে হামলা করা হয়, তাহলে গুলি চালানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

     

     

     

  • Pakistan: ফের বালুচিস্তান থেকে লোপাট হয়ে যাচ্ছেন আস্ত মানুষ, প্রতিবাদ

    Pakistan: ফের বালুচিস্তান থেকে লোপাট হয়ে যাচ্ছেন আস্ত মানুষ, প্রতিবাদ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের বালুচিস্তান (Balochistan) থেকে লোপাট হয়ে যাচ্ছেন আস্ত মানুষ। স্থানীয়দের অভিযোগ, পাকিস্তানের (Pakistan) নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা তাঁদের জোর করে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে যাচ্ছে। তার পর থেকে আর খোঁজ মিলছে না তাঁদের। ঘটনার প্রতিবাদে বিক্ষোভ প্রদর্শন করছেন স্থানীয়রা। জোরালো হচ্ছে প্রিয়জনদের ফিরে পাওয়ার দাবিও।

    নিখোঁজ একই পরিবারের ২ (Pakistan)

    ‘দ্য বালুচিস্তান পোস্টে’র একটি রিপোর্টে বলা হয়েছে, পাকিস্তানি নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা কেচ জেলার বুলেদা তহসিলের মেনাজ এলাকায় এক বাড়িতে গভীর রাতে অভিযান চালিয়ে দুই ভাইকে আটক করে নিয়ে গিয়েছিল। তার পর আর খোঁজ মেলেনি তাঁদের। নিখোঁজ দু’জনের একজন জহির, অন্যজন ওয়াসিম। তাঁরা স্থানীয় বাসিন্দা রহিম জানের ছেলে। স্থানীয়রা জানান, তাঁরা দু’জনেই পেশায় কৃষক, কোনও ধরনের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডের সঙ্গে যুক্ত নন। তাঁদের পরিবার অবিলম্বে ওই দুই ভাইয়ের মুক্তির দাবি জানিয়েছে। আর একটি ঘটনায়, পাক সেনাবাহিনী ব্রাহুই ভাষার কবি আতা অঞ্জুমকে মাস্তুংয়ে তাঁর বাসভবন থেকে তুলে নিয়ে যায় বলে অভিযোগ। তাঁরও খোঁজ মিলছে না। বালুচ নিখোঁজ ব্যক্তিদের সংগঠন ভয়েস ফর বালুচ মিসিং পারসন্স ঘটনাটিকে সাংবিধানিক অধিকার লঙ্ঘন বলে আখ্যা দিয়ে সরকারের হস্তক্ষেপ দাবি করেছে (Pakistan)।

    নিখোঁজ চাঙ্গেজ ইমামও

    তুরবতেও ঘটেছে আরও একটি ঘটনা। সেখানে গত তিন দিন ধরে নিখোঁজ রয়েছেন চাঙ্গেজ ইমাম নামের এক ব্যক্তি। তিনি তুরবত কেন্দ্রীয় কারাগারের ওয়ার্ডার। তাঁর পরিবার জানিয়েছে, ১১ নভেম্বর দুপুর ১টার দিকে তুরবতে নিজের বাড়ি থেকে কাজে যাওয়ার জন্য বের হয়েছিলেন তিনি। আর ফিরে আসেননি। তাঁর মোটরসাইকেলটিও খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। ঘটনার প্রতিবাদে পুরো প্রদেশে অব্যাহত প্রতিবাদ। খুজদারে ৫ নভেম্বর নাল এলাকা থেকেও অপহৃত হন একজন। হুজাইফা গফ্ফার নামের ওই ব্যক্তির স্বজনরা বেশ কয়েক ঘণ্টা ধরে নাল সিপেক রোড অবরোধ করেন। প্রতিবাদকারীরা তাঁর নিরাপদ প্রত্যাবর্তনের দাবি জানান। তাঁদের পাশে থাকার আশ্বাস দেয় বালুচ ইয়কজেহতি কমিটি।

    ইউনিয়ন কাউন্সিল কিল্লি কোচা বুলেদার ভাইস চেয়ারম্যান পাজির নাসির প্লিজাই ৮ নভেম্বর দ্বিতীয়বারের (Balochistan) মতো নিখোঁজ হন। গত ৪ ফেব্রুয়ারি আটক করা হয়েছিল তাঁকে। কয়েক মাসের আন্দোলনের পর মুক্তি দেওয়া হয়েছিল। ফের নিখোঁজ হয়েছেন তিনি। ঘটনার প্রতিবাদে অবস্থান ধর্মঘট করে হক দো তেহরিক বালুচিস্তান (Pakistan)।

  • BBC: ট্রাম্পের কাছে ক্ষমা চাইল বিবিসি, তার পরেও আদালতে যাচ্ছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট!

    BBC: ট্রাম্পের কাছে ক্ষমা চাইল বিবিসি, তার পরেও আদালতে যাচ্ছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের (Donald Trump) কাছে ক্ষমা চাইল বিবিসি (BBC)। এই সংবাদ সংস্থার বিরুদ্ধে মানহানির মামলা করার হুমকি দিয়েছিলেন ট্রাম্প। তার পরেই ক্ষমা চেয়ে নেন বিবিসি কর্তৃপক্ষ। অবশ্য ভুল স্বীকার করে নিলেও, ট্রাম্পকে ক্ষতিপূরণ দিতে অস্বীকার করেছে বিবিসি। ব্রিটিশ এই সংবাদ সংস্থার দাবি, এই মানহানি মামলার কোনও ভিত্তি নেই। ট্রাম্প প্রশাসনকে লেখা একটি চিঠিতে সংস্থার তরফে চেয়ারম্যান সামির শাহ লিখেছেন, “সেই ভুল সিদ্ধান্তের জন্য বিবিসি ক্ষমাপ্রার্থী।” তাঁর দাবি, সংস্থাটি সাংবাদিকতা, ন্যায়পরায়ণতা এবং নিরপেক্ষতার ভিত্তিতে প্রতিষ্ঠিত।

    মানহানি মামলার হুঁশিয়ারি (BBC)

    ১৩ নভেম্বর বিবিসি তাদের কারেকশন অ্যান্ড ক্ল্যারিফিকেশন বিভাগে জানিয়েছে, প্যানোরামা অনুষ্ঠানটি সমালোচনার পর ফের পরীক্ষা করা হয়েছে। কারণ এতে ট্রাম্পের বক্তব্য বিকৃতভাবে উপস্থাপিত হয়েছিল। বিবিসির তরফে বিবৃতিতে জানানো হয়েছে,  “আমরা স্বীকার করি যে আমাদের সম্পাদনা অনিচ্ছাকৃতভাবে এমন ধারণা তৈরি করেছে যে আমরা বক্তৃতার একটি একটানা অংশ দেখাচ্ছি, অথচ বাস্তবে তা ছিল বক্তৃতার বিভিন্ন অংশ থেকে নেওয়া উদ্ধৃতি। এর ফলে ভুল ধারণা সৃষ্টি হয়েছে যে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প সরাসরি হিংসাত্মক কাজের আহ্বান জানিয়েছিলেন।” বিবিসির তরফে ক্ষমা চাওয়ার কারণ ট্রাম্প হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন যে, তিনি এক মিলিয়ন ডলারের মানহানির মামলা করবেন।

    ‘ফাইট লাইক হেল’

    প্রসঙ্গত, প্যানোরামায় ট্রাম্পের ২০২১ সালের জানুয়ারি মাসের বক্তৃতার বিভিন্ন অংশ জোড়া দিয়ে এমনভাবে দেখানো হয়েছিল যেন তিনি (Donald Trump) তাঁর সমর্থকদের ‘ফাইট লাইক হেল’ এবং তাঁর সঙ্গে ক্যাপিটল ভবনের দিকে মিছিল করতে উৎসাহিত করছেন (BBC)। ওই অনুষ্ঠানে ট্রাম্পকে বলতে শোনা গিয়েছে, “আমরা ক্যাপিটল ভবনের দিকে হাঁটব…আমি তোমাদের সঙ্গে থাকব। এবং আমরা লড়ব। আমরা ভীষণভাবে লড়ব।” এর পরেই ট্রাম্পের হুমকি এবং তার পর বিবিসি কর্তৃপক্ষের তরফে ক্ষমা চাওয়া হয়। ব্রিটিশ এই সংবাদ সংস্থা এও স্বীকার করেছে যে, প্যানোরামার অনুষ্ঠানটি এমন ভুল ধারণা দিয়েছিল যে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প সরাসরি হিংসার আহ্বান জানিয়েছিলেন। আর কখনওই ওই অনুষ্ঠানটি প্রচার করা হবে না বলেও আশ্বাস দিয়েছে বিবিসি।

    ক্যাপিটল হিলে হামলা

    প্রসঙ্গত, ২০২১ সালের মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ফল প্রকাশের পর হামলা হয় ওয়াশিংটনের ক্যাপিটল হিলে। অভিযোগ, সেখানে হামলা চালিয়েছিল উত্তেজিত জনতা। যদিও অভিযোগের আঙুল উঠেছিল ওই নির্বাচনে পরাজিত প্রার্থী তথা প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের দিকে। বিবিসির তরফে ট্রাম্পকে নিয়ে যে তথ্যচিত্র সম্প্রচার করা হয়, তাতে ক্যাপিটল হিলে হামলার ঘটনায় ট্রাম্পকে কার্যত কাঠগড়ায় তোলা হয় বলে অভিযোগ (BBC)। নির্বাচনী প্রচারে ট্রাম্প যেসব বক্তৃতা দিয়েছিলেন (Donald Trump), সেগুলি এমনভাবে সম্পাদনা করা হয়েছিল, যাতে মনে হয় ওই হামলায় প্রত্যক্ষভাবে উসকানি দিয়েছিলেন তিনি। আর এখানেই আপত্তি হোয়াইট হাউসের। প্রেস সচিবের দাবি, এভাবে মার্কিন প্রেসিডেন্টের ভাবমূর্তি কালিমালিপ্ত করা হয়েছে।

    প্রবল বিতর্ক

    বিবিসির ওই অনুষ্ঠান সম্প্রচারিত হতেই শুরু হয় প্রবল বিতর্ক। ঘটনার দায় ঘাড়ে নিয়ে সপ্তাহের প্রথমেই ইস্তফা দেন সংস্থার ডিরেক্টর জেনারেল টিম ডেভি ও খবর সম্প্রচার বিভাগের প্রধান ডেবোনার টারনেস। পরে ওয়াশিংটনের চাপে পড়ে দফায় দফায় ক্ষমাও চেয়েছে ব্রিটিশ এই সংবাদ সংস্থা। যদিও তারা সাফ জানিয়ে দিয়েছে, মানহানির জন্য আর্থিক ক্ষতিপূরণের শর্ত মানতে রাজি নয়।

    কী বললেন ট্রাম্প

    এর পরেই ট্রাম্প জানিয়ে দেন মামলা করার কথা (Donald Trump)। তিনি বলেন, “আমরা ১ বিলিয়ন থেকে ৫ বিলিয়ন ডলারের মামলা করব। সম্ভবত আগামী সপ্তাহের কোনও এক সময়। আমার মনে হয়, আমাকে এটা করতেই হবে। ওরা প্রতারণা করেছে, সেটা মেনে নিয়েও নিয়েছে। আমার মুখ থেকে বের হওয়া কথাগুলি বদলে দিয়েছে। ভুয়ো খবর কথাটা দারুন চালু। কিন্তু এ ক্ষেত্রে তা যথেষ্ট নয়। এটি তো ভুয়োর চেয়েও বেশি, এটি দুর্নীতি বিষয়ক। ওরা প্রায় এক ঘণ্টার ব্যবধানে বক্তৃতার দু’টি অংশ এক সঙ্গে কেটে নিয়েছিল। একটায় আমাকে খারাপ লোক বানিয়ে দিচ্ছিল, আর অন্যটা ছিল অত্যন্ত শান্ত একটি বক্তব্য।” ৪৭তম মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেন, “আপনি ভাবতে পারেন, বিবিসি ভুয়ো খবর প্রচার করে! এই ঘটনায় ব্রিটেনের মানুষও খুব রেগে গিয়েছে।” তিনি বলেন, “এই কেলেঙ্কারিতে স্যার কিয়ার স্টারমার খুবই লজ্জিত। এ নিয়ে আমি কথা বলব তাঁর সঙ্গে (BBC)।” ট্রাম্প বলেন, “তারা (বিবিসি) আমায় একটি সুন্দর চিঠি লিখেছে। বলেছে ক্ষমা প্রার্থনা করছি। কিন্তু আপনি যদি বলেন এটি অনিচ্ছাকৃত, তবে আমি মনে করি অনিচ্ছাকৃত হলে ক্ষমা করতে হয় না।”

  • Pakistan Espionage in Russia: এস-৪০০-এর প্রযুক্তি চুরির চেষ্টা! রাশিয়ায় ধরা পড়ল আইএসআই গুপ্তচর চক্র

    Pakistan Espionage in Russia: এস-৪০০-এর প্রযুক্তি চুরির চেষ্টা! রাশিয়ায় ধরা পড়ল আইএসআই গুপ্তচর চক্র

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পাকিস্তানের গোয়েন্দা সংস্থা ইন্টার-সার্ভিসেস ইন্টেলিজেন্স (আইএসআই)-এর একটি গুপ্তচর চক্র ভেঙে দিল রাশিয়া। এই নেটওয়ার্কটি রাশিয়া থেকে উন্নতমানের এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম ও সামরিক হেলিকপ্টার প্রযুক্তি পাচারের চেষ্টা করছিল বলে অভিযোগ। রাশিয়ার নিরাপত্তা সংস্থাগুলি পাকিস্তানের এই ষড়যন্ত্র আঁচ করেই প্রত্যাঘাত করে। রাশিয়ায় আইএসআই-এর এ ধরনের অভিযান এটাই প্রথম। দিল্লি বিস্ফোরণকাণ্ডকে কেন্দ্র করে ফের ভারত-পাকিস্তান সংঘাতের শঙ্কা তৈরি হয়েছে। তার মধ্যেই ইসলামাবাদের এক গুপ্তচরকে গ্রেফতার করল রাশিয়া। মস্কোর প্রতিরক্ষা প্রযুক্তি চুরি করতে তাঁকে রাওয়ালপিন্ডির ফৌজি জেনারেলরা কাজে লাগান বলে প্রাথমিক তদন্তে খবর। শেষ পর্যন্ত অবশ্য সেই ষড়যন্ত্র ভেস্তে দিতে সক্ষম হয় ক্রেমলিন।

    সেন্ট পিটার্সবার্গে রুশ নাগরিক গ্রেফতার

    পশ্চিমি গণমাধ্যমগুলির প্রতিবেদন অনুযায়ী, পাক গুপ্তচরবাহিনী ‘ইন্টার সার্ভিসেস ইন্টেলিজেন্স’ বা আইএসআইয়ের হয়ে চরবৃত্তির অভিযোগে সেন্ট পিটার্সবার্গ থেকে এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করে মস্কোর পুলিশ। অভিযুক্ত রুশ নাগরিক বলে জানা গিয়েছে। তাৎপর্যপূর্ণ বিষয় হল, পূর্ব ইউরোপের দেশটির প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের নিজের শহর হল সেন্ট পিটার্সবার্গ। সেখানে বসে ক্রেমলিনের প্রতিরক্ষা প্রযুক্তি ইসলামাবাদে পাচারের চেষ্টার চক্রান্তের খবর প্রকাশ্যে আসায় বিষয়টি নিয়ে হইচই পড়ে গিয়েছে। একটি কাউন্টার-এস্পিওনাজ (গুপ্তচরবিরোধী) অভিযানে সেন্ট পিটার্সবার্গ শহর থেকে ওই রুশ নাগরিককে গ্রেফতার করা হয়। ওই ব্যক্তির কাছ থেকে বেশ কিছু সংবেদনশীল নথি মেলে। অনুমান, তিনি ওই নথি পাচারের চেষ্টা করছিলেন। নথিগুলিতে রাশিয়ার এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম সম্পর্কিত গুরুত্বপূর্ণ তথ্যও ছিল বলে জানা গিয়েছে। রাশিয়ার গোয়েন্দা সংস্থাগুলি এখন আইএসআই-এর ওই চক্রের আন্তর্জাতিক যোগাযোগ ও তথ্য পাচারের রুট খতিয়ে দেখছে।

    ‘অপারেশন সিঁদুর’-এর সঙ্গে সম্পর্ক

    এই গুপ্তচর নেটওয়ার্কটি ‘অপারেশন সিঁদুরের’ কয়েক মাস পরেই তৈরি হয়। সূত্রের দাবি, ওই অভিযানে ব্যবহৃত উন্নত রুশ প্রযুক্তি, বিশেষ করে এস-৪০০ মিসাইল ডিফেন্স সিস্টেম, ভারতীয় বিমানবাহিনীর পক্ষে ‘গেম চেঞ্জার’ হিসেবে প্রমাণিত হয়েছিল। ভারত নাকি রাশিয়া থেকে আরও পাঁচটি এস-৪০০ সিস্টেম কেনার পরিকল্পনা করছে। তার আগে ওই সিস্টেমের খুঁটিনাটি জানতে চেয়েছিল ইসলামাবাদ। তাই এই চক্রান্ত বলে অনুমান। এর প্রভাব রুশ-পাক দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কে পড়তে পারে বলে মনে করছেন আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশ্লেষকেরা।

    পাকিস্তানের সঙ্গে কূটনৈতিক টানাপোড়েন

    এ ঘটনার মধ্যেই রাশিয়া ও পাকিস্তানের মধ্যে কূটনৈতিক উত্তেজনা আরও বেড়েছে। গত সপ্তাহে ইসলামাবাদে রুশ দূতাবাস পাকিস্তানের ইংরেজি দৈনিক ‘ফ্রন্টিয়ার পোস্ট’-এর একটি নিবন্ধের তীব্র সমালোচনা করে, যেখানে রাশিয়ার বিরুদ্ধে নেতিবাচক প্রচারণা চালানো হয়েছে বলে অভিযোগ তোলে মস্কো। চলতি বছরের নভেম্বরের শেষের দিকে রুশ সফরে যাওয়ার কথা রয়েছে পাক প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফের। তিনি মস্কো পৌঁছোনোর কয়েক দিন আগে আইএসআইয়ের চর গ্রেফতার হওয়ায় ইসলামাবাদের অস্বস্তি আরও বাড়ল। রাশিয়ার অভিযোগ অনুযায়ী, পাকিস্তানের কিছু প্রতিনিধি গোপন সামরিক প্রযুক্তি ও প্রতিরক্ষা নকশা সংগ্রহের চেষ্টা করছিল। এই প্রযুক্তি রাশিয়ার সামরিক সক্ষমতাকে আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রেও বাড়তি সুবিধা দেয়—এ কারণে রাশিয়া এই ধরনের তথ্য কঠোর গোপনীয়তার সঙ্গে রক্ষা করে। প্রতিরক্ষা প্রযুক্তি চুরির বিষয়টি প্রেসিডেন্ট পুতিনের পক্ষে মেনে নেওয়া কঠিন, বলছেন বিশ্লেষকেরা।

    পাকিস্তানের পদক্ষেপ, ক্ষুব্ধ রাশিয়া

    পাকিস্তান এখনও এই অভিযোগ সম্পর্কে আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া জানায়নি। ইসলামাবাদের তরফে সাধারণত এমন অভিযোগ অস্বীকার করার প্রবণতা দেখা যায়, এবং অনেক সময় “রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রসূত” বলে দাবি করা হয়। তবে বিশ্লেষকদের মতে, রাশিয়া যদি প্রকাশ্যে না বলেও অভ্যন্তরীণভাবে এমন অভিযোগ তোলে, তাহলে তা দুই দেশের সামরিক সম্পর্কের ওপর বড় প্রভাব ফেলবে। বিশ্ব রাজনীতিতে এখন রাশিয়া চায় নিজের প্রতিরক্ষা প্রযুক্তি ও সামরিক অবস্থানকে আগের চেয়ে আরও শক্তিশালী করতে। ইউক্রেন যুদ্ধের পর রাশিয়া যেভাবে নিজেদের প্রতিরক্ষা উন্নয়নে ব্যস্ত, সেই সময় পাকিস্তানের এমন পদক্ষেপকে অত্যন্ত “স্পর্শকাতর” বলে মনে করছে রুশ প্রশাসন।

    কেন রুশ প্রযুক্তি জানতে আগ্রহী ইসলামাবাদ

    সূত্রের খবর, অভিযুক্তের থেকে সামরিক হেলিকপ্টার এবং আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার (এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম) প্রযুক্তি সংক্রান্ত একগুচ্ছ নথি উদ্ধার করেন তদন্তকারীরা। এগুলি রাওয়ালপিন্ডির সেনা সদর দফতরে পাঠানোর কথা ছিল বলে জেরায় স্বীকার করেছেন ওই ব্যক্তি। তদন্তকারীদের একটি সূত্রকে উদ্ধৃত করে পশ্চিমি সংবাদমাধ্যমগুলি জানিয়েছে, ‘এমআই-৮’ শ্রেণির দু’টি সামরিক পরিবহণ হেলিকপ্টার এবং ‘এস-৪০০ ট্রায়াম্ফ’ আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার (এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম) প্রযুক্তি চুরির চেষ্টা করে অভিযুক্ত ব্যক্তি। মস্কোর ওই সামরিক কপ্টার ব্যবহার করে না এ দেশের ফৌজ। তবে ভারতীয় বিমানবাহিনীর বহরে রয়েছে ‘এস-৪০০’। গত মে মাসে ‘অপারেশন সিঁদুর’ এবং তাকে কেন্দ্র করে পাকিস্তানের সঙ্গে চলা চার দিনের সংঘাতে ‘পুরু বর্মে’ ভারতের আকাশকে ঢেকে দিয়েছিল ‘এস-৪০০’। শুধু তা-ই নয়, ইসলামাবাদের দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র এবং একাধিক লড়াকু জেটকে মাঝ-আকাশে ধ্বংস করে এই হাতিয়ার। এ দেশের গোয়েন্দাদের অনুমান, তার পরই সংশ্লিষ্ট আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাটির প্রযুক্তি বুঝে নিতে মরিয়া হয়ে ওঠে আইএসআই। সেন্ট পিটার্সবার্গে ধৃত ব্যক্তি এ ব্যাপারে তাঁদের কতটা সাহায্য করেছেন, তা অবশ্য স্পষ্ট নয়।

     

     

     

     

LinkedIn
Share