Category: রাজ্য

Get West Bengal News, Bengali Breaking News, Latest News in Bengali only from মাধ্যম | Madhyom, Bengali News Portal for সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ বাংলা সংবাদ, বাংলা খবর

  • Bangladesh Unrest: বাংলাদেশে হিন্দুদের নিরাপত্তার দাবিতে পেট্রাপোল সীমান্তে আজ প্রতিবাদ-সভা শুভেন্দুর

    Bangladesh Unrest: বাংলাদেশে হিন্দুদের নিরাপত্তার দাবিতে পেট্রাপোল সীমান্তে আজ প্রতিবাদ-সভা শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাংলাদেশে (Bangladesh Unrest) গ্রেফতার হওয়া সন্ন্যাসী চিন্ময়কৃষ্ণ দাসের মুক্তি ও হিন্দুদের নিরাপত্তার দাবিতে আজ সোমবার ভারত-বাংলাদেশ পেট্রাপোল সীমান্তে প্রতিবাদ সভা করবেন শুভেন্দু অধিকারী। রাজ্যের বিরোধী দলনেতার (Suvendu Adhikari) এই সভায় উপস্থিত থাকবেন বিজেপির একাধিক বিধায়ক এবং বহু সাধু, গোসাঁইদের। প্রসঙ্গত, এই সভা হবে সনাতনী ঐক্য পরিষদের ব্যানারে। সভা নিয়ে বনগাঁ উত্তরের বিধায়ক অশোক কীর্তনিয়া বলেন, ‘‘সভায় বিজেপির কোনও পতাকা, ব্যানার থাকবে না। সভা হচ্ছে সনাতনী ঐক্য পরিষদের পক্ষ থেকে।’’ প্রসঙ্গত, গতকালই বাংলাদেশ থেকে ভারতে আসার পথে ৫৪ ইসকন ভক্তকে আটকে দেয় সেদেশের প্রশাসন। এনিয়ে শুরু হয়েছে বিতর্ক। এই আবহে ওয়াকিবহাল মহল মনে করছে, শুভেন্দুর প্রতিবাদ সভার জেরে পেট্রাপোল সীমান্ত অবরুদ্ধ হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকছে।

    বাংলাদেশিরাও (Bangladesh Unrest) ক্ষোভ উগরে দেন ইউনূস সরকারের বিরুদ্ধে 

    সে কারণে রবিবারই আরও বেশি করে বাংলাদেশিদের দেশে ফিরতে দেখা যায়। বাংলাদেশ (Bangladesh Unrest) যাওয়ার আগে ইউনূসের সরকারের ওপর ক্ষোভ উগরে দেন অনেকেই। বাংলাদেশ থেকে দেশে ফিরে মতুয়া ভক্ত গোলক বলেন, ‘‘গুরুধামে আরও কয়েক দিন থাকার কথা ছিল। কিন্তু জীবনের আশঙ্কায় দ্রুত ফিরে আসতে বাধ্য হলাম।’’ তাঁর কথায়, ‘‘ভারতীয়দের এখন ওই দেশে দেখলেই গালিগালাজ করা হচ্ছে। ওষুধের দোকান থেকে ভারতীয় বলে আমাকে ওষুধ পর্যন্ত দেওয়া হচ্ছিল না। অনেক অনুরোধ করে এক পাতা ওষুধ কিনতে পেরেছি।’’

    আটকে দেওয়া হয় ৫৪ জন ইসকন ভক্তকে

    অন্যদিকে, ইসকনের ৫৪ জন সদস্যকে রবিবার বেনাপোল সীমান্তে আটক করে বাংলাদেশের (Bangladesh Unrest) ইমিগ্রেশন পুলিশ। বৈধ কাগজপত্র থাকলেও আটক করা হয় তাঁদের যশোরে বাংলাদেশের বেনাপোল চেকপোস্ট পেরিয়ে বনগাঁর পেট্রাপোল সীমান্ত দিয়ে ভারতে প্রবেশের পর আটকে দেওয়া হয় তাঁদের। ইউনূস সরকারের এমন আচরণেই বোঝা যাচ্ছে, সেদেশে সংখ্যালঘুরা ঠিক কতটা অসুরক্ষিত। বেনাপোলে বাংলাদেশ সরকারের ইমিগ্রেশন বিভাগের অফিসার ইমতিয়াজ আহসানুল কাদের ভুঁইয়া সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, ইসকন সদস্যদের কাছে বৈধ পাসপোর্ট, ভিসা থাকলেও বিদেশে যাওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় বিশেষ সরকারি অনুমতি ছিল না। অন্যদিকে, সৌরভ তপনদার চেলি নামে এক ইসকন সদস্যের বক্তব্য, বিশেষ সরকারি অনুমতির বিষয়টি তাদের কাছে স্পষ্ট করেনি ইমিগ্রেশন অফিসার।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • North Sikkim: ডিসেম্বরের প্রথম দিনেই খুলে গেল উত্তর সিকিমের দুয়ার, পর্যটকদের মানতে হবে একাধিক নিয়ম

    North Sikkim: ডিসেম্বরের প্রথম দিনেই খুলে গেল উত্তর সিকিমের দুয়ার, পর্যটকদের মানতে হবে একাধিক নিয়ম

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ডিসেম্বরের প্রথম দিনে রবিবার থেকে পর্যটকদের (Tourist) জন্য খুলে গেল উত্তর সিকিমের (North Sikkim) দুয়ার। ভ্রমণবিলাসী দর্শকদের জন্য খুশির খবর। তবে এবার থেকে ভ্রমণে যেতে পর্যটকদেরকে মানতে হবে একাধিক নিয়ম। কয়েকদিন ধরেই রাস্তা খুলে দেওয়ার একটা বিরাট সম্ভাবনা তৈরি হয়েছিল। পর্যটনকে (Tourist) ঘিরে এখন ব্যবসায়ীদের মধ্যেও উচ্ছ্বাসের বাতাবরণ লক্ষ্য করা গিয়েছে।

    খুলে গেল টুং নাগা রুট (North Sikkim)

    ২০২৩ সাল থেকেই নানা সময়ে ধস, বন্যা এবং প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে রাজ্যটি। সিকিমের (North Sikkim) সব থেকে বড়সড় প্রভাব পড়েছে মঙ্গন জেলায়। মূল ভূখণ্ড থেকে কার্যত বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছিল এই জেলা। লোনার্ক হ্রদ বিপর্যয়ের পরে উত্তর সিকিম যাওয়ার রাস্তা বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। এবার রবিবার থেকেই খুলে গেল টুং নাগা রুট। এই রাস্ত দিয়েই উত্তর সিকিমের চুংথাং, লাচেন, লাচুংয়ের মতো অত্যন্ত আকর্ষণীয় জায়গাগুলিতে যেতে হয়। তবে রাস্তা খুললেও একাধিক বিধিনিষেধ মেনে চলতে হবে। ইতিমধ্যে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে সকাল ১০টার মধ্যে গাড়িগুলিকে মঙ্গন বাজার এলাকা অতিক্রম করতে হবে।

    আরও পড়ুনঃ উত্তর-পূর্ব ভারতে ৮টি ‘আইকনিক’ পর্যটন কেন্দ্রের উন্নয়নে ৮০০ কোটির প্রকল্প কেন্দ্রের

    সকাল সাড়ে ৯টার মধ্যে পাস সংগ্রহ করতে হবে

    সংস্কার কাজে কোনও রকম বাধাপ্রদান করলে কড়া ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে স্পষ্ট জানিয়েছে সিকিম (North Sikkim) সরকার। তবে এখন মঙ্গন থেকে চুংথাং যাওয়ার রাস্তায় শুধুমাত্র গাড়ি চলাচল করতে পারবে। মূলত যানজট এড়াতেই এমন পদক্ষেপ বলে জানানো হয়েছে। সেই সঙ্গে আরও বলা হয়, বেড়াতে গেলে একদিন আগে অথবা যেদিন বেড়াতে যাবেন সেদিন সকাল সাড়ে ৯টার মধ্যে পাস সংগ্রহ করতে হবে। পর্যটকদের এসইউভি গাড়ি ব্যবহারের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ছোট গাড়ি ব্যবহার করতে নিষেধ করা হয়েছে। খারাপ পরিস্থিতি কাটিয়ে ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হয়ে উঠেছে উত্তর সিকিম। রাস্তা মেরামতির কাজ অনেকটাই হয়েছে। ডিসেম্বর থেকে দরজা খুলে যাওয়ায় পর্যটক মহলে খুশির হাওয়া।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Weather Update: নিম্নচাপ কাটতে শুরু করেছে, ডিসেম্বর থেকেই নামবে পারদ, পড়বে জাঁকিয়ে শীত

    Weather Update: নিম্নচাপ কাটতে শুরু করেছে, ডিসেম্বর থেকেই নামবে পারদ, পড়বে জাঁকিয়ে শীত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যে বঙ্গোপসাগরে নিম্নচাপ (Weather Update) কাটতে শুরু করেছে। এবার শীতের প্রভাব বাড়তে শুরু করবে। আলিপুর আবহাওয়া দফতর সূত্রে খবর, ডিসেম্বরেই কলকাতার পারদ নামতে (Low Pressure) শুরু করবে। শনিবার কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল স্বাভাবিকের চেয়ে প্রায় পাঁচ ডিগ্রি বেশি। রবিবার কিছুটা তাপমাত্রা কমেছে। উপকূল সংলগ্ন কিছু জেলায় হালকা বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।

    তাপমাত্রা কমতে পারে সপ্তাহের শেষে (Weather Update)

    দক্ষিণ-পশ্চিম বঙ্গোপসাগরে নিম্নচাপ (Weather Update) এবং ঘূর্ণিঝড়ের কারণে বাংলায় শীতের পথে বাধা দেখা দিয়েছিল। উত্তরের শীতল বাতাস প্রবেশে ব্যাপক বাধা সৃষ্টি হয়েছিল। নিম্নচাপের (Low Pressure) কারণে সাগর থেকে জালীয় বাষ্প ঢুকতে শুরু করেছিল স্থলভাগে। কলকাতা সহ দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে তাপমাত্রা বেড়ে গিয়েছিল। তবে এই সপ্তাহের শেষে নতুন করে ফের তাপমাত্রা কমতে পারে। বাড়বে শীতের দাপট।

    পারদ ক্রমেই নামবে

    শনিবার কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা (Weather Update) ছিল ২২.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা স্বাভাবিকের চেয়ে প্রায় ৫ ডিগ্রি বেশি। সারা দিনই এদিন শহর এবং শহরতলিতে বৃষ্টি হয়েছে। রবিবার পারদ কিছুটা নামলেও কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি। রবিবার তাপমাত্রা ১৯.১ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং স্বাভাবিকের চেয়ে ১.৬ ডিগ্রি বেশি। রবিবার দক্ষিণবঙ্গের উপকূলের জেলা দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পূর্ব মেদিনীপুর, পশ্চিম মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রামে বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। একই ভাবে পশ্চিম মেদিনীপুর, পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, পশ্চিম বর্ধমান এবং বীরভূমে কুয়াশার ব্যাপক সম্ভাবনা রয়েছে। ঝাড়গ্রামে তাপমাত্রা ছিল ১৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস, মগড়ায় ১৫.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস, কৃষ্ণনগরে ১৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত তাপমাত্রা নেমে গিয়েছিল।

    আরও পড়ুনঃ‘ ‘বাংলাদেশে হিন্দুদের ওপর আক্রমণ কিছুতেই মেনে নেওয়া হবে না’’, মিছিলে হুঙ্কার শুভেন্দুর

    উত্তরবঙ্গে শুকনো আবহাওয়া

    অপর দিকে উত্তরবঙ্গের দার্জিলিং, জলপাইগুড়ি, উত্তর দিনাজপুর, দক্ষিণ দিনাজপুর, এবং মালদাতে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির (Weather Update) সম্ভাবনা রয়েছে। উত্তরের সর্বত্র থাকবে শুকনো আবহাওয়া। বৃষ্টির তেমন সম্ভাবনা নেই। তবে তাপমাত্রার পরিবর্তনে বড়সড় পরিবর্তনের তেমন ইঙ্গিত নেই।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: ‘‘বাংলাদেশে হিন্দুদের ওপর আক্রমণ কিছুতেই মেনে নেওয়া হবে না’’, মিছিলে হুঙ্কার শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: ‘‘বাংলাদেশে হিন্দুদের ওপর আক্রমণ কিছুতেই মেনে নেওয়া হবে না’’, মিছিলে হুঙ্কার শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাংলাদেশে (Bangladesh) হিন্দুদের ওপর লাগাতার আক্রমণ চলছে। সে দেশে মঠ-মন্দিরগুলিকেও ভাঙচুর করা হচ্ছে, এই আবহে গত ২৮ নভেম্বর বঙ্গীয় হিন্দু জাগরণ মঞ্চ নামের একটি সংগঠন বিক্ষোভ দেখায় কলকাতায়। গতকাল শনিবার বাংলাদেশের হিন্দুদের ওপর আক্রমণ বন্ধের দাবি ও সন্ন্যাসী চিন্ময়কৃষ্ণ দাসের অবিলম্বে মুক্তির দাবিতে কলকাতায় মিছিল করলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। শনিবার সন্ধ্যায় এই মিছিল শুরু হয় বাঘাযতীন মোড় থেকে। শেষ হয় যাদবপুর বাস ৮বি বাসস্ট্যান্ডে। শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari) পাশাপাশি এই মিছিলে দেখা যায় সন্দেশখালি বিজেপি নেত্রী রেখা পাত্রকেও।

    কী বললেন বিরোধী দলনেতা (Suvendu Adhikari)?

    বিরোধী দলনেতা বলেন, ‘‘বাংলাদেশের হিন্দুদের ওপর আক্রমণ কিছুতেই মেনে নেওয়া হবে না। ভারতীয় জনতা পার্টি ও আরএসএস সবসময় তাঁদের পাশে আছে।’’ পাশাপাশি চিন্ময়কৃষ্ণ দাসকে গ্রেফতারের জন্য ইউনূস সরকারকে কাঠগড়ায় তুলে শুভেন্দুর দাবি, ‘‘এভাবে বেশিদিন ওঁকে আটকে রাখা যাবে না। হিন্দুদের ওপর আক্রমণ কিছুতেই মেনে নেওয়া যায় না।’’

    ইউনূস সরকারের সঙ্গে তুলনা মমতার শাসনকে

    মহম্মদ ইউনূস সরকারের সঙ্গে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের শাসনের তুলনা করেন বিরোধী দলনেতা (Suvendu Adhikari)। তিনি বলেন,‘‘বাংলাদেশের (Bangladesh) মতো একই হাল পশ্চিমবঙ্গের। সেখানেও হিন্দুদের ওপর লাগাতার অত্যাচার চালানো হচ্ছে। হিন্দুদের উপর অত্যাচার কিছুতেই মেনে নেওয়া হবে না। হিন্দুদের একজোট হয়ে এর প্রতিবাদ করতে হবে।’’

    বুধবার বাংলাদেশের ডেপুটি হাই-কমিশনারের দফতরে গিয়েছিলেন শুভেন্দু 

    প্রসঙ্গত, গত বুধবারই বিধানসভা থেকে বিজেপি বিধায়করা গিয়েছিলেন কলকাতায় বাংলাদেশের ডেপুটি হাই-কমিশনারের দফতরে। সেখানে দাবিপত্র জমা দিয়ে বের হন শুভেন্দু। পরে তিনি সাংবাদিকদের বলেছিলেন, ‘‘চিন্ময় প্রভু কোনও অপরাধ করেননি। কোনও অপরাধ আদালতে প্রমাণ হয়নি। তার পরেও তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অবিলম্বে তাঁকে মুক্তি দিতে হবে। ডেপুটি হাই-কমিশনার আমাদের বক্তব্য শুনেছেন। আমাদের পরামর্শ নিয়েছেন। আমরা উদ্বেগ ব্যক্ত করেছি। ওঁরা দিল্লির দূতাবাসের সঙ্গে কথা বলে ওঁদের দেশের বিদেশ দফতরে জানাবেন।’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • Pankaj Dutta: প্রয়াত প্রাক্তন আইজি পঙ্কজ দত্ত, স্তব্ধ হয়ে গেল আপোষহীন কণ্ঠস্বর

    Pankaj Dutta: প্রয়াত প্রাক্তন আইজি পঙ্কজ দত্ত, স্তব্ধ হয়ে গেল আপোষহীন কণ্ঠস্বর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রয়াত হলেন রাজ্য পুলিশের প্রাক্তন আইজি পঙ্কজ দত্ত (Pankaj Dutta)। শনিবার বারাণসীর একটি হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। জানা গিয়েছে, বারাণসীর থিওসফিক্যাল সোসাইটি অফ ইন্ডিয়ার একটা অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়েছিলেন পঙ্কজ দত্ত। সেই অনুষ্ঠানে যাওয়ার সময়ই তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন। এরপর তাঁকে ভর্তি করা হয়েছিল বারাণসীর একটা হাসপাতালে। একমাসেরও বেশি সময় ধরে ওই হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন। শনিবার প্রয়াত হন তিনি।

    স্পষ্টবক্তা হিসেবে অত্যন্ত পরিচিত ছিলেন

    জানা গিয়েছে, ২০১১ সালে রাজ্য পুলিশের (Pankaj Dutta) আইজি পদে থাকাকালীন অবসরগ্রহণ করেন পঙ্কজ দত্ত। স্পষ্টবক্তা হিসেবে অত্যন্ত পরিচিত ছিলেন তিনি। এদিকে পঙ্কজ দত্ত প্রতি সন্ধ্যায় টেলিভিশনের টকশোয়ে অংশ নিতেন। সেখানে আপোশহীন বক্তব্য রাখতেন তিনি। এজন্য তাঁকে নানা সময়ে নানা সমালোচনা সহ্য করতে হয়েছে, চাপের মুখেও পড়তে হয়েছে। শাসকদলের নানা অনিয়মের বিরুদ্ধে বিভিন্ন সময় সোচ্চার হয়েছিলেন তিনি। আরজি করকাণ্ডের পর তাঁর একটি মন্তব্য ঘিরে চাপানউতোর শুরু হয়েছিল। একাধিক থানায় তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগও দায়ের হয়। তেমনই একটি অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে বড়তলা থানায় ডেকে পাঠানো হয়েছিল প্রাক্তন এই আইপিএস অফিসারকে। অভিযোগ, বেশ কয়েক ঘণ্টা থানায় বসিয়ে রাখা হয়েছিল তাঁকে। কিন্তু, চা-বিস্কুট তো দূরের কথা, জলও দেওয়া হয়নি। ওই ঘটনা নিয়ে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে সরব হয়েছিলেন বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। ওই ঘটনার পর তিনি কিছুটা মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছিলেন। পরে, বারাণসীর একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিতে গিয়ে অসু্স্থ হয়ে পড়েন। সেখানকার হাসপাতালে চিকিৎসা চলাকালীনই তাঁর মৃত্যু হয়।

    আরও পড়ুন: দক্ষিণ ভারতে ধেয়ে আসছে ‘ফেনজল’, ল্যান্ডফল বিকেলেই, কলকাতায় মেঘলা আকাশ

    বিভিন্ন মহলে শোকের ছায়া

    এদিকে পঙ্কজ দত্তের (Pankaj Dutta) প্রয়াণে বিভিন্ন মহলে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। আইনজীবী জয়ন্তনারায়ণ চট্টোপাধ্যায় সংবাদমাধ্যমে বলেন, পঙ্কজ দত্ত চলে গেলেন এই খবরে আমরা অত্যন্ত বিষণ্ণ হয়ে পড়েছি। আগাগোড়া তিনি গঠনমূলক সমালোচনা করে গিয়েছেন। তিনি বার বার মুখ খুলেছেন। বটতলা থানায় ডেকে নিয়ে গিয়ে তাঁকে হেনস্থা করা হয়েছিল।আমি বার বার অনুরোধ করেছিলাম ওঁকে ছেড়ে দিন। এরপর তিনি বারাণসীতে গিয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েন। পঙ্কজদার মতো মানুষ বার বার ফিরে আসুন। বাঙালি পরে বুঝতে পারবে কী ক্ষতি হয়ে গেল। চিত্রশিল্পী সমীর আইচ বলেন, যেভাবে শাসকদল তাঁর কণ্ঠস্বরকে রোধ করলেন, তা ভাবতে পারছি না। শাসকদল তাদের কুচক্রে থাকা কিছু মানুষকে দিয়ে যেভাবে অভব্যতা করেছিল তা ভাবতে পারছি না। আজ বাঙালির অত্যন্ত বেদনাময় দিন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Bangladeshi National Arrested: জাল নথির চক্র ফাঁস! পার্ক স্ট্রিটের হোটেল থেকে গ্রেফতার বাংলাদেশি

    Bangladeshi National Arrested: জাল নথির চক্র ফাঁস! পার্ক স্ট্রিটের হোটেল থেকে গ্রেফতার বাংলাদেশি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পার্ক স্ট্রিট (Park Street) এলাকার হোটেল থেকে গ্রেফতার বাংলাদেশি নাগরিক (Bangladeshi National Arrested)। নাম ভাঁড়িয়ে ভারতীয় পাসপোর্ট বানিয়ে দিব্যি কাজ করছিলেন পার্ক স্ট্রিটের ওই হোটেলে।

    সেলিম মাতব্বর (Bangladeshi National Arrested)

    পুলিশ জানিয়েছে, বছর বিয়াল্লিশের ওই বাংলাদেশির নাম সেলিম মাতব্বর। বছর দুয়েক আগে বেআইনিভাবে সীমান্ত পেরিয়ে বাংলাদেশ থেকে এ দেশে এসেছিলেন তিনি। তারপর মিশে গিয়েছিলেন কলকাতার জনস্রোতে। তাঁর কাছ থেকে উদ্ধার হয়েছে একটি ভারতীয় পাসপোর্ট, আধার কার্ডের জেরক্স। এই সব নথিপত্রে তাঁর নাম হিসেবে লেখা হয়েছে রবি শর্মা। জন্মস্থান হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে রাজস্থান। দিল্লির একটি ঠিকানাও রয়েছে। বাংলাদেশি ওই নাগরিকের ভারতীয় ওই পাসপোর্টটি জাল, না কি নাম ভাঁড়িয়ে বানানো, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।

    বাড়ি বাংলাদেশে

    জানা গিয়েছে, পুলিশের টানা জেরায় সেলিম নামের ওই বাংলাদেশি জানিয়েছেন, তাঁর বাড়ি বাংলাদেশের মাদারিপুরে। তিনি সেই দেশের একটি রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সক্রিয়ভাবে যুক্ত ছিলেন। রাজনৈতিক ঝামেলার কারণে বাড়ি ছেড়ে সীমান্ত পেরিয়ে নদিয়া জেলায় ঢোকেন। এরপর দালালের সাহায্যে কিছুদিন গা ঢাকা দিয়ে সেখানে ছিলেন। পরে ভুয়ো তথ্য দিয়ে পাসপোর্টও বানিয়েছিলেন। তার পরেই চলে আসেন কলকাতায়। হোটেলে কাজও জুটিয়ে নেন। ১৪ ফরেনার্স অ্যাক্ট ও জালিয়াতির ধারায় মামলা রুজু হয়েছে বলে পুলিশ সূত্রে খবর (Bangladeshi National Arrested)।

    আরও পড়ুন: “মোদি অনেক ভালো কাজ করেছেন”, বললেন আন্তর্জাতিক লগ্নিকারী জিম রজার্স

    সেলিম গ্রেফতার হওয়ায় বাংলায় যে ক্রমেই অনুপ্রবেশ বাড়ছে, তা আরও একবার প্রমাণ হয়ে গেল বলে দাবি রাজনৈতিক মহলের। তাদের দাবি, ভোট ব্যাঙ্কের স্বার্থে এ রাজ্যের শাসক দল তত্ত্বতালাশ করে দেখে না বাংলাদেশ থেকে কারা আসছে। উল্টে তাঁদের দলেরই এক শ্রেণির নেতানেত্রী ভুয়ো নথিপত্র তৈরিতে সাহায্য করেন অনুপ্রবেশকারীদের। সেই জাল কাগজপত্র নিয়েই অনুপ্রবেশকারীরা ছড়িয়ে পড়ে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে। পরে আস্তে আস্তে মিশে যায় ভারতের জনস্রোতে। এদের একটা বড় অংশ বাংলায় থেকে গেলেও, অনেকেই চলে যায় ঝাড়খণ্ডে। সেখানে আদিবাসীদের বিয়ে করে জমি হাতিয়ে নেয় বলেও অভিযোগ। বিরোধীদের সেই সব অভিযোগ যে নিছক কল্পনা প্রসূত নয়, জাল নথি বানিয়ে খাস কলকাতায় দুবছর ধরে চাকরি করে তা প্রমাণ করে দিলেন (Park Street) অনুপ্রবেশকারী সেলিম (Bangladeshi National Arrested)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

     
     
  • Bangladesh Crisis: ওপার বাংলায় তেরঙার অসম্মান, বাংলাদেশের রোগী দেখবে না কলকাতার হাসপাতাল

    Bangladesh Crisis: ওপার বাংলায় তেরঙার অসম্মান, বাংলাদেশের রোগী দেখবে না কলকাতার হাসপাতাল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতের হাত ধরেই স্বাধীন হয়েছিল বাংলাদেশ। পদ্মা-পাড়ের স্বাধীনতা আন্দোলনে ভারতীয়দের অবদান অনস্বীকার্য। সেই বাংলাদেশেই এখন ভারতের জাতীয় পতাকা মাড়িয়ে চলছে যাতায়াত। তাও আবার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে, পরিকল্পিত ভাবে। দ্বিধাহীনভাবে তার ওপর দিয়ে হেঁটে যাচ্ছে পড়ুয়ারা। ছবি ভাইরাল হয়ে ছড়িয়ে গিয়েছে গোটা বিশ্বে। জনরোষ বাড়ছে এপার বাংলায়। এবার বাংলাদেশি রোগীদের চিকিৎসা পরিষেবা দেওয়া বন্ধের ঘোষণা করল কলকাতার একটি হাসপাতাল। একই পথে হেঁটে বাংলাদেশি রোগী দেখা বন্ধ করলেন এক চিকিৎসকও।

    হাসাপাতালে নিষেধাজ্ঞা

    উত্তর কলকাতার মানিকতলা এলাকার জেএন রায় হাসপাতালের পক্ষ থেকে সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি বিবৃতি জারি করা হয়েছে। সে বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়, ‘‘আপাতত বাংলাদেশি রোগী দেখা বন্ধ। ভারতের চিকিৎসায় সুস্থ থেকে ভারতের জাতীয় পতাকার অবমাননা, এটা হতে পারে না।’’ সংশ্লিষ্ট হাসপাতালের ডিরেক্টর শুভ্রাংশু ভক্তের কথায়, ‘‘কারণটা খুব স্পষ্ট। যারা আমাদের দেশের সাহায্য নিয়ে স্বাধীনতা অর্জন করল, সেখানকার বর্তমান প্রজন্ম ভারতের জাতীয় পতাকার অবমাননা করছে। এমনটা মেনে নেওয়া যায় না। তাদের জন্য আমাদের দরজা খোলা রাখার দরকার নেই বলেই মনে করি। গোটা বিশ্ব দেখছে বাংলাদেশে কী হচ্ছে। ওখানকার মানুষ এর পরও কোন মুখে এখানে আসছে?’’

    ‘ডক্টর্স ওথ’-এর অবমাননা 

    এই মুহূর্তে কোনও বাংলাদেশি রোগী এই হাসপাতালে ভর্তি নেই। তবে নতুন করে আর ওপার বাংলার কোনও রোগী ভর্তি নিচ্ছে না জেএন রায় হাসপাতাল। কোনও রকম এনকোয়্যারি এলে স্পষ্টভাবে সিদ্ধান্তের কথা জানিয়ে ফিরিয়ে দেওয়া হচ্ছে। এতে কোনওভাবেই ‘ডক্টর্স ওথ’-এর অবমাননা হচ্ছে, বলে মনে করেন না চিকিৎসক শুভ্রাংশু ভক্ত। তিনি বলেন, ‘‘আমাদের সিদ্ধান্ত যদি অমানবিক হয় তাহলে ওখানে যা হচ্ছে তা কি মানবিক? আমরা যে সিদ্ধান্ত নিয়েছি, ধীরে ধীরে আরও অনেকে এই সিদ্ধান্ত নেবেন।’’

    ভারত-বিরোধী স্লোগান বাংলাদেশে

    বাংলাদেশ না পাকিস্তান বোঝা দায়! পদ্মা-পাড়ে এখন ভারতবিরোধী স্লোগান উঠছে মুহুর্মুহু। অথচ নীরব ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকার। সে দেশে প্রতিদিন লাঞ্ছিত, নিগৃহীত হচ্ছে লক্ষ লক্ষ হিন্দু। তছনছ করা হচ্ছে একাধিক মঠ, মন্দির। সে দেখে সংখ্যালঘুদের অধিকার চেয়ে আন্দোলন করা সন্ন্যাসী চিন্ময়কৃষ্ণ জেলবন্দি। এই ঘটনায় প্রতিবাদের ঢেউ উঠেছে ভারতে। বাংলাদেশ থেকে ভারতে বহু রোগী চিকিৎসা করাতে আসেন। কিন্তু এই পরিস্থিতিতে বাংলাদেশ থেকে আসা রোগী দেখা বন্ধ রাখলেন স্ত্রী রোগ বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ইন্দ্রনীল সাহা। 

    চিকিৎসকের প্রতিবাদ

    সোশ্যাল মিডিয়ায় চিকিৎসক ইন্দ্রনীল সাহা বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি ইঞ্জিনিয়ারিং অফ টেকনোলজি’র (বিইউইটি) ভারতীয় পতাকায় পা দিয়ে চলে যাওয়ার ছবিটি পোস্ট করেছেন।  দেশের পতাকার অসম্মানের প্রতিবাদে তিনি লিখেছেন, ‘‘বিইউইটি ইউনিভার্সিটির প্রবেশপথে ভারতীয় জাতীয় পতাকা বিছিয়ে রাখা! চেম্বারে বাংলাদেশের রোগী দেখা আপাতত বন্ধ রাখছি ৷ আগে দেশ, পরে রোজগার৷ আশা রাখব, সম্পর্ক স্বাভাবিক না হওয়া অবধি অন্য চিকিৎসকরাও তাই করবেন৷’’ তাঁর এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন নেটিজেনদের অনেকেই। বাংলাদেশ থেকে বিশাল সংখ্যায় মানুষ এদেশে বিশেষত কলকাতায় আসে চিকিৎসা করাতে। কলকাতা শহরের বিভিন্ন জায়গায় থেকে তাঁরা সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা করান। কিন্তু তাঁরাই ফিরে গিয়ে ভারতের বিরুদ্ধে আওয়াজ তোলেন। যার প্রতিবাদ এবার ধরা পড়ল শহরের হাসপাতালে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • Dengue: রাজ্যে হু হু করে বাড়ছে ডেঙ্গি, ২ দিনে মৃত্যু তিনজনের, এক সপ্তাহে আক্রান্ত ১ হাজার!

    Dengue: রাজ্যে হু হু করে বাড়ছে ডেঙ্গি, ২ দিনে মৃত্যু তিনজনের, এক সপ্তাহে আক্রান্ত ১ হাজার!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নভেম্বরের শেষেও ভয় ধরাচ্ছে ডেঙ্গি (Dengue)। শীতের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে রাজ্যে বাড়ছে ডেঙ্গির প্রকোপ। সূত্রের খবর, গত দু’দিনে বেলেঘাটা আইডি হাসপাতালে ডেঙ্গির সংক্রমণে এক স্বাস্থ্য কর্মী-সহ তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। তবে, বেসরকারি সূত্রের খবর, চলতি মাসে অন্তত পাঁচ-ছ’জনের ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে। সূত্রের খবর, ডেঙ্গির সংক্রমণে মৃত্যু হয়েছে গড়িয়ার এক বাসিন্দার। তিনি স্বাস্থ্য দফতরের কর্মী। এছাড়াও বেলেঘাটা আইডিতে ডেঙ্গির সংক্রমণ নিয়ে ভর্তি থাকা উত্তর ২৪ পরগনা জেলার দুই রোগীরও মৃত্যু হয়েছে। জেলায় জেলায় আক্রান্তের সংখ্যা হু হু করে বাড়ছে। যা চরম আতঙ্কের।

    রাজ্যে আক্রান্তের সংখ্যা কত?

    স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, এক সপ্তাহে রাজ্যে ডেঙ্গি (Dengue) আক্রান্তের সংখ্যা প্রায় ১ হাজার। এর আগে গত ৯ নভেম্বর কলকাতার জোড়াবাগান থানা এলাকায় ডেঙ্গির সংক্রমণে এক তরুণের মৃত্যু হয়েছিল ডেঙ্গির। তবে সাম্প্রতিক পরিসংখ্যান ঘিরে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে স্বাস্থ্য দফতরের অন্দরেও। যেহারে মশার উপদ্রব বাড়ছে তাতে সংক্রমণের সংখ্যা আরও বৃদ্ধির আশঙ্কাও করা হচ্ছে। স্বাস্থ্য দফতরের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, রাজ্যে চলতি বছরে ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা প্রায় ২৮ হাজার। এর মধ্যে গত ১৯ নভেম্বর থেকে ২৫ নভেম্বর- এক সপ্তাহের মধ্যেই রাজ্যের প্রায় এক হাজার মানুষ ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়েছেন। 

    ২ সপ্তাহে আক্রান্ত ২ হাজার!

    রাজ্যে শেষ ২ সপ্তাহে নতুন করে ডেঙ্গিতে (Dengue) আক্রান্ত হয়েছেন প্রায় চার হাজার জন। স্বাস্থ্য দফতরের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, চলতি বছরে ৪ নভেম্বর পর্যন্ত রাজ্যে ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হন ২৩ হাজার ২২৭ জন। উদ্বেগের বিষয়, তারপর ৪ নভেম্বর থেকে ১৮ নভেম্বর পর্যন্ত, মাত্র ১৪ দিনে সেই সংখ্যাটাই বেড়ে হয়েছে ২৭ হাজার ১৪২। এর মধ্যে সরকারি হাসপাতালে টেস্ট করানোর পর ডেঙ্গি পজিটিভ হয়েছেন ২১ হাজার ২০৯ জন। বেসরকারি হাসপাতাল এবং ল্যাব থেকে ডেঙ্গি টেস্টের পর রিপোর্ট পজিটিভ এসেছে ৫ হাজার ৯৩৩ জনের।

    গত চার মাসের আক্রান্তের পরিসংখ্যান

    স্বাস্থ্য দফতরের পরিসংখ্যান বলছে, গত জুলাই মাসে রাজ্যে ডেঙ্গি (Dengue) আক্রান্ত হন ১ হাজার ৮৮৮ জন। অগাস্টে আক্রান্ত হন ৪ হাজার ৫১৬ জন। সেপ্টেম্বরে রাজ্যে ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ৭ হাজার ১৯৯। অন্যদিকে, অক্টোবরে নতুন করে আক্রান্ত হন ৭ হাজার ৫১ জন এবং নভেম্বরের ১৮ তারিখ পর্যন্ত ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়েছেন ৪ হাজার ২২৩ জন।

    সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত মুর্শিদাবাদে

    এর মধ্যে সব থেকে বেশি ডেঙ্গি (Dengue) আক্রান্ত হয়েছে মুর্শিদাবাদে। এখানে আক্রান্তের সংখ্যা ৫ হাজার ১৪৭। দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে মালদা, এখানে আক্রান্তের সংখ্যা ২ হাজার ৩৩৩। পাশাপাশি, ২ হাজার ২৭৮ জন আক্রান্ত হওয়ায় তৃতীয় স্থানে রয়েছে উত্তর ২৪ পরগনা। এই তালিকাতে ষষ্ঠ স্থানে রয়েছে কলকাতা। এখানে ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়েছেন ৯৭৩ জন। শীত বাড়লে কমতে পারে ডেঙ্গির প্রকোপ, এমন মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

    আরও পড়ুন: দক্ষিণ ভারতে ধেয়ে আসছে ‘ফেনজল’, ল্যান্ডফল বিকেলেই, কলকাতায় মেঘলা আকাশ

    ম্যালেরিয়ার উপদ্রবও

    ডেঙ্গির (Dengue) পাশাপাশি ম্যালেরিয়ার উপদ্রবও দেখা দিয়েছে রাজ্যের ৮টি জেলায়। এর মধ্যে রয়েছে আলিপুরদয়ার, মালদা, দিনাজপুর, ঝাড়গ্রাম, পুরুলিয়া, বিষ্ণপুর স্বাস্থ্য জেলা। ম্যালেরিয়ায় আক্রান্তের সংখ্যা ১১ হাজার ছাড়িয়েছে। এর আগে পুজোর সময় ডেঙ্গির পাশাপাশি চিকুনগুনিয়া নিয়েও আতঙ্কের পরিবেশ তৈরি হয়েছিল। স্বাস্থ্য দফতর সূত্রের খবর, পুজোর আগে থেকেই মালদা, মুর্শিদাবাদের একাংশে অজানা জ্বরের উপদ্রব দেখা দিয়েছিল। জ্বরের সঙ্গে মাথা ধরা, অসহ্য হাতে পায়ে ব্যথা। তবে প্রথমের দিকে অনেকেই এটিকে সাধারণ জ্বর ভেবেছিলেন। কিন্তু কারও কারও দু’সপ্তাহ পরেও জ্বর বা মাথা ব্যথার প্রকোপ না কমায় নতুন করে ব্লক স্বাস্থ্য দফতরের পক্ষ থেকে আক্রান্তদের রক্তের নমুনা সংগ্রহ করা হয়। তখনই জানা যায়, সাধারণ কোনও জ্বর নয়, গ্রামের অনেকেই চিকুনগুনিয়ায় আক্রান্ত। ফলে মশাবাহিত মারণ রোগের মোকাবিলায় শুরু হয়েছে মশা নিধন পর্ব। স্বাস্থ্য দফতরের তরফে জোর দেওয়া হয়েছে সচেতনতা প্রচারেও।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Abhijit Ganguly: ‘‘ইউনূসের নোবেল ফিরিয়ে নেওয়া উচিত’’, বাংলাদেশ ইস্যুতে বিস্ফোরক অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়

    Abhijit Ganguly: ‘‘ইউনূসের নোবেল ফিরিয়ে নেওয়া উচিত’’, বাংলাদেশ ইস্যুতে বিস্ফোরক অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সন্ন্যাসী চিন্ময় কৃষ্ণ দাসকে গ্রেফতারির প্রতিবাদে অশান্ত হয়ে উঠেছে বাংলাদেশ। ভারতেও বিক্ষোভ আন্দোলন হচ্ছে। ইতিমধ্যেই রাস্তায় নেমে প্রতিবাদ জানিয়েছে বঙ্গ বিজেপি। সোমবার সীমান্ত অবরুদ্ধ করার ডাক দিয়েছে বিজেপি। এই আবহের মধ্যে মহম্মদ ইউনূসকে কড়া বার্তা দিলেন প্রাক্তন বিচারপতি তথা বিজেপি সাংসদ অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় (Abhijit Ganguly)।

    ইউনূসের নোবেল ফিরিয়ে নেওয়া উচিত (Abhijit Ganguly)

    অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় (Abhijit Ganguly) বলেন, ‘‘অত্যন্ত অন্যায় হয়েছে বাংলাদেশে। বাংলাদেশ সরকার এই নিয়ে বিশেষ কিছু করছে বলে মনে হচ্ছে না। এই ইউনূস, যিনি নোবেল শান্তি পুরস্কার পেয়েছিলেন, আমার মনে হয়, এই ইউনূস যেভাবে গত ৯০ দিন ধরে চালাচ্ছেন, একটা বেআইনি সরকার চলছে, কারণ তাঁদের প্রধানমন্ত্রী পদত্যাগ করেননি এখনও। যেভাবে অন্য ধর্মের ওপর, বিশেষত হিন্দু ধর্মের ওপর যে আক্রমণ চলছে, তাতে আমি মনে করি নোবেল কমিটির এই মুহূর্তে তাঁর নোবেল পুরস্কার ফিরিয়ে নেওয়া উচিত। আপনারা হয়ত আমায় জিজ্ঞেস করতে পারেন, নোবেল কমিটির এই রুল আছে কিনা? আমি বলতে পারব না। কিন্তু একটা সাধারণ নিয়ম আছে, কোনও কর্তৃপক্ষ, যদি কোনও একটা কাজ করতে চান, অর্থাৎ কোনও একটা কাজ করানোর ক্ষমতা থাকে, তাহলে তার সেই কাজ নাকচ করানোরও ক্ষমতা থাকে।’’

    আরও পড়ুন: দক্ষিণ ভারতে ধেয়ে আসছে ‘ফেনজল’, ল্যান্ডফল বিকেলেই, কলকাতায় মেঘলা আকাশ

    ইসকনকে নিষিদ্ধ করার আবেদন খারিজ

    ইতিমধ্যেই বাংলাদেশে ইসকনকে নিষিদ্ধ করার আবেদন খারিজ করেছে সেদেশের হাইকোর্ট। সরকারের কোর্টে বল ঠেলে বিচারপতিরা বলেন, ‘‘দেশের জনগণের প্রাণ ও সম্পত্তি, কারও যেন কোনও ক্ষতি না হয়, এটা সবারই চিন্তা।’’ এই পরিস্থিতিতে বাংলাদেশি হিন্দুদের পাশে থাকার বার্তা দিয়ে কলকাতায় মিছিল করে, বঙ্গীয় হিন্দু জাগরণ। মহম্মদ ইউনূসের অন্তর্বর্তী সরকারের আমলে, বাংলাদেশে সংখ্যালঘু হিন্দুদের ওপর লাগাতার অত্যাচার চলছে। রাষ্ট্রদ্রোহিতার মামলায় সন্ন্যাসী চিন্ময়কৃষ্ণ দাসের গ্রেফতারিতে তা চরম আকার নিয়েছে। ভারতের পক্ষ থেকে ঘটনার তীব্র নিন্দা করা হয়েছে। ঢাকাকে বার্তা দিয়েছে দিল্লি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: ‘‘বাংলা বঞ্চিত নয়, জনগণকে বঞ্চিত করছে তৃণমূল’’, তথ্য তুলে ধরে তোপ শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: ‘‘বাংলা বঞ্চিত নয়, জনগণকে বঞ্চিত করছে তৃণমূল’’, তথ্য তুলে ধরে তোপ শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক:  একশো দিনের কাজ থেকে আবাস যোজনা। তৃণমূল জমানায় নানা প্রকল্পে দুর্নীতি সামনে এসেছে। কেন্দ্রীয় বঞ্চনার মিথ্যা দাবি তুলে সুর চড়াতে দেখা গিয়েছে তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্বকে। এই আবহে ফের একবার তথ্য দিয়ে তৃণমূলের বিরুদ্ধে সুর চড়ালেন বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। ‘‘বাংলা বঞ্চিত নয়, জনগণকে বঞ্চিত করছে তৃণমূল’’

    কী বললেন শুভেন্দু (Suvendu Adhikari)?

    এদিন সাংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) বলেন, ‘‘তৃণমূলের মালিকরা বারেবারে বলে বিজেপির জমিদাররা ৪.৬ লক্ষ কোটি টাকা কর নিয়েছে। ১.৬ লক্ষ কোটি টাকার নায্য পাওনা আটকে রেখেছে। ভারত সরকার ২০১৮-১৯ সাল থেকে ২০২২-২৩ সাল পর্যন্ত ৬.৪৮ লক্ষ কোটি টাকা পর্যন্ত পশ্চিমবঙ্গ সরকারকে দিয়েছে।’’

    কেন্দ্রের সুদের টাকায় মেলা-খেলা 

    তৃণমূল সরকারকে (West Bengal) তীব্র আক্রমণ করে শুভেন্দুর (Suvendu Adhikari) দাবি, ‘‘আসলে এরা আগে সেন্ট্রালের শেয়ার নিয়ে অ্যাকাউন্টে রেখে দিত। তার সুদের টাকায় খেলা-মেলা-দান-ভাতা এসব করতো। কেন্দ্র এটাকে আটকে দিয়েছে। ফাইন্যান্সিয়াল ডিসিপ্লিন চালু করেছে। যার মধ্যে এরা আসতে রাজি নয়। কারণ এটা তো আলাদা রাজ্য। এখানে আলাদা জাতীয় বাংলা সঙ্গীত রয়েছে, আলাদা পতাকা, আলাদা সংবিধান, পুজো-পার্বনের আলাদা নিয়ম।’’

    থমকে একাধিক কেন্দ্রীয় প্রকল্প

    একাধিক কেন্দ্রীয় প্রকল্প মমতা সরকার বাংলায় চালু করেনি। এনিয়েও ক্ষোভ প্রকাশ করেন শুভেন্দু (Suvendu Adhikari)। এর পাশাপাশি যে প্রকল্পগুলি চলছে, সেগুলির বাস্তবায়ন নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন বিরোধী দলনেতা। শুভেন্দু অধিকারী বলেন, ‘‘মোদিজীর কাছ থেকে ৮২ লক্ষের কাছাকাছি শৌচালয় পেয়েছে পশ্চিমবঙ্গ। কিন্তু, কে পেয়েছে শৌচালয় কেউ জানে না। বাংলায় ৮৩ লক্ষের বেশি পিএম কিষাণ পাচ্ছে না। কেন পাঠানো হচ্ছে না নাম? কেন সেন্ট্রাল স্কিমগুলি চালু হচ্ছে না? আপনার কার্ড বাইরে চলে না কিন্তু আপনি কেন আয়ুষ্মান ভারত অন্তত বাইরে চালু করছেন না? বিশ্বকর্মা যোজনা নিয়ে ডিএম-দের দিয়ে মিটিং করাচ্ছেন না। তার কোনও উত্তর নেই।’’

    বাংলা বঞ্চিত নয়, বাংলার জনগণকে তৃণমূল কংগ্রেস বঞ্চিত করছে  

    তৃণমূলের বিরুদ্ধে সুর আরও চড়িয়ে বিরোধী দলনেতা (Suvendu Adhikari) বলেন, ‘‘বেলডাঙার এক প্রধান একা ১৭টি বাড়ি নিয়েছেন। কাবিলপুরের প্রধান সাগরদিঘির একা আত্মীয়-স্বজন মিলে ৩৫টি বাড়ি নিয়েছেন। কারণ পঞ্চায়েত মন্ত্রী নিজে দুর্নীতিগ্রস্ত। এরা বাইরে আছে এটাই আশ্চর্যের। এদের ভিতরে থাকার কথা। প্রত্যেকটা লোক দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত। দুর্নীতিগ্রস্ত রাজ্য সরকার সাধারণ মানুষের অধিকার কেড়ে নিচ্ছে শুধুমাত্র রাজনৈতিক কারণে। বাংলা বঞ্চিত নয়। বাংলার জনগণকে তৃণমূল কংগ্রেস বঞ্চিত করছে।’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share