Category: রাজ্য

Get West Bengal News, Bengali Breaking News, Latest News in Bengali only from মাধ্যম | Madhyom, Bengali News Portal for সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ বাংলা সংবাদ, বাংলা খবর

  • SIR in Bengal: রাজ্যে এখনও ২৬ লক্ষ ভোটারের নাম ম্যাপিং-এ মেলেনি! কী হবে এদের, কী বলছে কমিশন?

    SIR in Bengal: রাজ্যে এখনও ২৬ লক্ষ ভোটারের নাম ম্যাপিং-এ মেলেনি! কী হবে এদের, কী বলছে কমিশন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আগামী বছর বাংলায় বিধানসভা নির্বাচন। রাজ্যে এসআইআর (SIR in Bengal) প্রক্রিয়া প্রায় শেষের পথে। এখন হিসেব-নিকেশের পালা। ফর্ম বিলি করার পর সংগ্রহ করার কাজও প্রায় শেষ হয়ে গিয়েছে। ইতিমধ্যেই প্রায় ৬ কোটি ভোটারের ডিজিটাইজেশনের কাজ শেষ হওয়ার পথে। সূত্রের খবর, এখনও পর্যন্ত ডিজিটাইজেশনের পর ১৪ লক্ষ নাম বাদ পড়েছে। আর এবার সামনে এল আরও একটি হিসেব। কমিশন (Election Commission) সূত্রে জানা গিয়েছে, ২৬ লক্ষ ভোটারের ম্যাপিং হয়নি। চলতি এসআইআর প্রক্রিয়ায় বুধবার দুপুর পর্যন্ত রাজ্যে ৬ কোটির বেশি এনুমারেশন ফর্ম ডিজিটাইজেশন হয়েছে। পরবর্তী পর্যায়ে সেগুলি ম্যাপিংয়ের আওতায় আনা হয়। তাতে দেখা যায় আপাতত রাজ্যের ২৬ লক্ষ ভোটারের নাম শেষ এসআইআরের সঙ্গে ম্যাপিং করানো যাচ্ছে না।

    ম্যাপিং কী, কীভাবে হয়

    এসআইআর-এর (SIR in Bengal) নিয়ম হল, ২০০২-এর সমীক্ষার লিস্টের সঙ্গে নাম মেলাতে হবে। যদি কোনও ভোটার ২০০২-এর পরে ভোটার হয়ে থাকেন, সে ক্ষেত্রে ওই সমীক্ষার লিস্টে থাকা বাবা-মা বা দাদু-দিদার নাম মেলাতে হবে। এটাই হল ম্যাপিং। সেই ম্যাপিং-এ ২৬ লক্ষ নাম মেলেনি বলেই জানা যাচ্ছে। অর্থাৎ ৫ শতাংশের নাম মেলেনি। এ বছর প্রকাশিত সর্বশেষ ভোটার তালিকার সঙ্গে ২০০২ সালে শেষ এসআইআর-তালিকা ইতিমধ্যেই মিলিয়ে দেখা হয়েছে। দুই তালিকায় কত জনের নাম অভিন্ন, দেখা হয় তা। সঙ্গে দেখা হয়, এখনকার ভোটার তালিকায় থাকা কোনও ভোটারের মা-বাবার নাম গত এসআইআরের তালিকায় রয়েছে কি না। এই মিল পাওয়া গেলে সংশ্লিষ্টরা চিহ্নিত হয়ে যান এমনিতেই। এবার ম্যাপিংয়ে অন্য রাজ্যকেও জুড়ে দেওয়া হয়েছে বলে রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক (সিইও)-এর দফতর সূত্রে এ কথা জানা গিয়েছে। কমিশন জানিয়েছে, ২০০২ সাল থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত রাজ্য ধরে ধরে বিভিন্ন পর্যায়ে দেশে এসআইআর হয়েছিল। তখনকার তালিকায় কোনও ভোটার বা তাঁর পরিবারের নাম থাকলেও, পরে তাঁরা বাংলায় চলে আসেন। ফলে সেই সব ভোটারকেও ম্যাপিংয়ে আনা প্রয়োজন। কারণ, তাঁরাও দেশের নাগরিক। তাই বাংলার সঙ্গে অন্য রাজ্যের ভোটার তালিকা মিলিয়ে দেখা হয়েছে। সেখানেই এই ২৬ লক্ষের নাম উঠে এসেছে। তবে সংখ্যাটা আরও বাড়তে পারে। এখনও অনেক ডিজিটাইজেশনের কাজ বাকি। তাই সংখ্যাটা যে বাড়বে তা স্বাভাবিক।

    শুনানিতে ডাকা হবে ভোটারকে

    কমিশন (Election Commission) সূত্রে খবর, নাম মিলছে না মানেই চূড়ান্ত তালিকা থেকে বাদ যাবে এমনটা নয়। ২০০২-এর সঙ্গে ম্যাপিং না হলে শুনানিতে ডাকা হবে সংশ্লিষ্ট ভোটারকে। তাঁকে প্রমাণপত্র বা যোগ্য ভোটার হওয়ার জন্য নথিপত্র জমা করতে হবে। তাতে যদি কমিশন সন্তুষ্ট হয়, তাহলে নতুন এসআইআর তালিকায় জায়গা পাবে ওই ভোটারের নাম, নাহলে নাম বাদ যাবে। কমিশনের বক্তব্য, যাঁদের তথ্য মিলেছে, তাঁদের আলাদা করে কোনও নথিপত্র বা প্রমাণ দাখিল করতে হবে না। কমিশনের দেওয়া আবেদনপত্র (এনুমারেশন ফর্ম) ভর্তি করলেই চলবে। যাঁদের নামের মিল বা সূত্র পাওয়া যাবে না, তাঁদের ক্ষেত্রে নথিপত্র-যাচাই করা হবে। রাজ্যের ২৯৪টি বিধানসভা আসনে ভোটারের সংখ্যা প্রায় ৭ কোটি ৬৬ লক্ষ ৩৭ হাজারেরও বেশি। তার মধ্যে বুধবার পর্যন্ত বিলি হয়েছে ৭ কোটি ৬৪ লক্ষ ৬৮ হাজারেরও বেশি ফর্ম। অর্থাৎ, প্রায় ৯৯.৮ শতাংশ। ডিজিটাইজেশন হয়েছে ৬ কোটি ১ লক্ষ অর্থাৎ প্রায় সাড়ে ৭৮ শতাংশ এনুমারেশন ফর্ম।

  • Election Commission: রাজ্যে আসছেন নির্বাচন কমিশনের ৩ কর্তা, থাকবেন এসআইআর-এর কাজ শেষ হওয়া পর্যন্ত

    Election Commission: রাজ্যে আসছেন নির্বাচন কমিশনের ৩ কর্তা, থাকবেন এসআইআর-এর কাজ শেষ হওয়া পর্যন্ত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যে এসআইআর (SIR) কাজ চলছে। আগামী ডিসেম্বর মাসে এনুমারেশন ফর্ম জমা দেওয়ার শেষ দিন। তার আগেই রাজ্যের সিইও দফতরে তিন অফিসারকে পাঠাচ্ছে নির্বাচন কমিশন (Election Commission)। তবে নিবিড় সংশোধনী তালিকার কাজ শেষ না হওয়া পর্যন্ত তাঁদেরকে এই রাজ্যেই থাকতে হবে। তাঁরা সকলেই সিইও দফতরে নিযুক্ত থাকবেন এবং সমস্ত কাজ খতিয়ে দেখবেন। তবে এই তিন অফিসার দিল্লিত নির্বাচন সদনে কাজ করতেন বলে জানা গিয়েছে। কমিশন যে এই রাজ্যে এসআইআর-এর কাজে বিন্দুমাত্র গাফিলিতিকে বরদাস্ত করছে না সেই কথা আরও একবার প্রমাণিত হলো।

    রাজ্যে এসআর নিয়ে খুশি নয় তৃণমূল (SIR)

    জাতীয় নির্বাচন (Election Commission) দফতরের পক্ষে বলা হয়েছে, প্রিন্সিপাল সেক্রেটারি বিসি পাত্র, সেক্রেটারি সৌমজিৎ ঘোষ এবং আন্ডার সেক্রেটারি ভৈরব আগরওয়ালকে পশ্চিমবঙ্গের সিইও অফিসে পাঠানো হয়েছে। তাঁরা সকলে রাজ্যের সিইও-র অধীনে কাজ করবেন। এসআইআরের কাজ সম্পূর্ণ ভাবে শেষ না হওয়া পর্যন্ত এখানেই কাজ দেখভাল করবেন। এদিকে রাজ্যে এসআর নিয়ে খুশি নয় তৃণমূল। তৃণমূল সমর্থিত বিএলও-দের একাংশ অতিরিক্ত কাজের চাপের অভিযোগ তুলে সিইও-র অফিসে ব্যাপক বিক্ষোভ দেখায়। রীতিমতো অফিসের ভিতরে কয়েকজন ঢুকে অবস্থানও করে। আর তাতেই কমিশন অত্যন্ত চিন্তা ও উদ্বেগ প্রকাশ করছে দফতরের কর্মীদের নিরাপত্তা নিয়ে। গোটা ঘটনায় কলকাতা পুলিশের কাছে রিপোর্ট তলব করেছে জাতীয় নির্বাচন কমিশন।

    অ্যাকশেন টেকেন রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশ

    সিইও অফিসের দফতরে নিরাপত্তা নিয়ে রিপোর্ট তলব করেছে নির্বাচন কমিশন (Election Commission)। তাতে স্পষ্ট বলা হয়েছে দুদিনের মধ্যে আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। অবিলম্বে অ্যাকশেন টেকেন রিপোর্ট জমা দিতে হবে। গত ২৪ নভেম্বর হাতে রিপোর্ট পেয়েই কমিশনের এই সিদ্ধান্ত বলে জানা গিয়েছে। কলকাতা পুলিশেকে চিঠি পাঠিয়ে কমিশন জানিয়েছে, সিইও দফতরে যে পর্যায়ে নিরাপত্তা থাকা উচিত তা খুবই কম। ফলে সিইও, অতিরিক্ত সিইও, জয়েন্ট এবং ডেপুটি সিইও সহ সকল আধিকারিকদের নিরাপত্তা অত্যন্ত সংকটের মুখে। পরিস্থিতিকে মোটেই হালকা ভাবে নেওয়ার পক্ষপাতী নয় কমিশন। নিরাপত্তা ব্যবস্থায় সংশোধন জরুরি এবং দফতরের ভিতরে-বাইরে যাতায়াতকারী সব কর্মীর সুরক্ষাকে আগে প্রধান্য দিতে হবে। অবিলম্বে বাড়তি ব্যবস্থা নিতে হবে। কলকাতা পুলিশকে চিঠি লিখে কমিশনের স্পষ্ট নির্দেশ।

  • Weather Update: বঙ্গোপসাগরে জোড়া নিম্নচাপ! কলকাতা সহ দক্ষিণবঙ্গে বাড়বে তাপমাত্রা?

    Weather Update: বঙ্গোপসাগরে জোড়া নিম্নচাপ! কলকাতা সহ দক্ষিণবঙ্গে বাড়বে তাপমাত্রা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বঙ্গোপসাগরে ফের জোড়া নিম্নচাপের (Weather Update) সম্ভাবনা। ভারতীয় মৌসম ভবন জানিয়েছে, মলাক্কা প্রণালীতে ঘূর্ণিঝড় ‘সেনিয়ার’ জন্ম নিয়েছে। এবার ইন্দোনেশিয়ায় আছড়ে পড়বে এই ঘূর্ণিঝড়। তবে ঘূর্ণিঝড় সেনিয়ারের প্রভাব ভারতের মূলভূখণ্ডে পড়বে না। কিন্তু শ্রীলঙ্কা উপকূলে আরও একটি নিম্নচাপের জন্ম হয়েছে। ক্রমে ক্রমেই শক্তি বেড়ে উঠেছে। আবহাওয়া দফতরের কোনও খারাপ ইঙ্গিত না থাকলেও বঙ্গবাসীর জন্য খুব একটা ভয়ের কিছু নেই। এই মাসের শেষেই তাপমাত্রা বৃদ্ধির সম্ভাবনা রয়েছে।

    রাতে এবং ভোর বেলায় বেশ শীত (Weather Update)

    হাওয়া অফিস সূত্রে জানা গিয়েছে, আন্দামান এবং নিকোবর দ্বীপপুঞ্জে প্রবল বৃষ্টির (West Bengal Weather Report) সম্ভাবনা রয়েছে। পর্যটক এবং মৎস্যজীবীদের জন্য ইতিমধ্যেই সতর্কবার্তা জারি করা হয়েছে। তবে বাংলায় খুব একটা প্রভাব পরবে না বলে জানা গিয়েছে। দক্ষিণবঙ্গে বেশ কিছু জেলায় তাপমাত্রা সামান্য কমলেও আবহাওয়ার খুব একটা পরিবর্তন হয়নি। কলকাতায় এদিন সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসের আশেপাশে। দিনের বেলায় সামান্য শীত অনুভূত হলেও রাতে এবং ভোর বেলায় বেশ শীত অনুভূত হবে। একই ভাবে আগামী ৩-৪ দিন রাজ্যের উত্তর থেকে দক্ষিণবঙ্গের বেশিরভাগ জায়গায় সকালের দিকে হালকা কুয়াশা দেখা যাবে। হুগলি, উত্তর ২৪ পরগনা, দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পূর্ব মেদিনীপুর, পশ্চিম মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম, পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, পূর্ব বর্ধমান, পশ্চিম বর্ধমান, বীরভূম, মুর্শিদাবাদ এবং নদিয়ার আবহাওয়া শুষ্ক থাকবে। আগামী ২ ডিসেম্বর, মঙ্গলবার পর্যন্ত দক্ষিণবঙ্গের কোনও জেলায় বৃষ্টি হবে না।

    সকালে কুয়াশার ইঙ্গিত

    অপরদিকে উত্তরবঙ্গে আপাতভাবে বৃষ্টির (West Bengal Weather Report) কোনও সম্ভাবনা নেই। দার্জিলিংয়ে আজ সর্বনিম্ন তাপমাত্রা নেমেছে ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। সেখানে শুষ্ক আবহাওয়া বজায় থাকবে। কোচবিহার, জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ারে সকালের দিকে কুয়াশা থাকবে। উত্তরবঙ্গের সর্বত্র যেমন— বিশেষ করে উত্তর দিনাজপুর, মালদা, দক্ষিণ দিনাজপুরে আবহাওয়া শুষ্ক থাকবে। এখন শীতের আমেজ, সব জেলাতেই শুষ্ক আবহাওয়া এবং তাপমাত্রা স্বাভাবিকের কাছে।

  • SIR in Bengal: এসআইআরে বাদ পড়ল আরও নাম, মঙ্গলবার পর্যন্ত সংখ্যাটা প্রায় ১৪ লক্ষ

    SIR in Bengal: এসআইআরে বাদ পড়ল আরও নাম, মঙ্গলবার পর্যন্ত সংখ্যাটা প্রায় ১৪ লক্ষ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যে চলছে এসআইআর প্রক্রিয়া (SIR in Bengal)। আগামী ৯ ডিসেম্বর নতুন খসড়া ভোটার তালিকা প্রকাশ করবে কমিশন। তার আগে প্রতিদিনই ভোটার তালিকা থেকে বাদ যাচ্ছে লক্ষ লক্ষ ভোটার। মঙ্গলবার বেলা ১২টা পর্যন্ত প্রায় ১৪ লক্ষ ভোটার বাদ গিয়েছে বলে কমিশন সূত্রে খবর। প্রতিদিন যে হারে তালিকা থেকে নাম বাদ পড়ছে, তাতে সংখ্যাটা কোথায় গিয়ে দাঁড়াবে তা নিয়ে উদ্বিগ্ন কমিশনও।

    বাদ আরও কয়েক লক্ষ নাম

    কমিশন সূত্রে জানা গিয়েছে, এসআইআরে সোমবার পর্যন্ত ভোটারের নাম বাদ যাওয়ার হিসাব ছিল ১০ লক্ষ। ২৪ ঘণ্টা পর তা আরও কিছুটা বেড়েছে। মঙ্গলবার বেলা ১২টা পর্যন্ত পাওয়া তথ্য বলছে ওই সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৩ লক্ষ ৯২ হাজার। প্রতিদিনই লক্ষ লক্ষ এনুমারেশন ফর্ম কমিশনের সাইটে আপলোড করছেন বিএলওরা। ফলে প্রতিদিনই নাম বাদ দেওয়ার হিসেব বাড়বে। সব এনুমারেশন ফর্ম জমা হওয়ার পরে চূড়ান্ত হিসেব পাওয়া যাবে। সে ক্ষেত্রে বাদ পড়ার সংখ্যা যে অনেক বেশি হবে, তা এক প্রকার নিশ্চিত। বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) এদিনও বলেন, “আমি ৯৫ সাল থেকে ভোটে লড়ছি। আমি বলছি, লিখে রাখুন ১ কোটির উপর নাম বাদ যাবে। যদিও এখানে ১০০ শতাংশ এসআইআর হবে না। তারপরও এক কোটির উপর নাম বাদ যাবে। ১০০ শতাংশ হলে আর একটু বেশি নাম বাদ যেত।”

    বেশি নাম বাদ পড়তে পারে কলকাতাতেই

    গত ৪ নভেম্বর থেকে রাজ্যে এসআইআর প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। আগামী ৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত এনুমারেশন ফর্ম বিলি ও জমা নেওয়ার কাজ চলবে। সূত্রের খবর, রাজ্যের মধ্যে এখনও পর্যন্ত শতাংশের বিচারে সবচেয়ে বেশি নাম বাদ পড়তে পারে উত্তর এবং দক্ষিণ কলকাতায়। তার পরেই রয়েছে দক্ষিণ ২৪ পরগনা। তবে এখনও পর্যন্ত কোনও হিসেবই চূড়ান্ত নয়। যেসব তথ্যের ভিত্তিতে নাম বাদ যাওয়ার প্রাথমিক সংখ্যা মিলছে, সেগুলি হল, মৃত ভোটার, একাধিক জায়গায় নাম, স্থানান্তরিত এবং নিরুদ্দেশ ভোটার।

  • Suvendu Adhikari: পুলিশ সংগঠনকে ভোটের কাজে না-রাখার দাবি, কেন? প্রমাণ-সহ জ্ঞানেশ কুমারকে চিঠি শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: পুলিশ সংগঠনকে ভোটের কাজে না-রাখার দাবি, কেন? প্রমাণ-সহ জ্ঞানেশ কুমারকে চিঠি শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভোটের কাজে এ রাজ্যের পুলিশকে রাখা যাবে না! পশ্চিমবঙ্গ পুলিশ ওয়েলফেয়ার কমিটির বিরুদ্ধে দেশের মুখ‍্য নির্বাচন কমিশনারকে চিঠি দিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। নির্দিষ্ট তিন পুলিশ আধিকারিকের নাম করে এবং তাঁদের ভাষণের ভিডিয়ো পাঠিয়ে ওই অভিযোগ জানিয়েছেন তিনি। চিঠিতে বিরোধী দলনেতার দাবি, পুলিশ ওয়েলফেয়ার কমিটির সঙ্গে যুক্ত কাউকে যেন আগামী বিধানসভা নির্বাচনে ভোট সংক্রান্ত কোনও কাজে লাগানো না হয়।

    পুলিশের নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন

    মঙ্গলবার সাংবাদিক বৈঠক করে দিঘার পুলিশ ওয়েলফেয়ার কমিটির (Digha Police Welfare Committee) অনুষ্ঠানের প্রসঙ্গ টানেন শুভেন্দু অধিকারী। অভিযোগ করেন, সেই অনুষ্ঠান থেকে সরাসরি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) প্রশংসা করা হয়েছে। সেই প্রেক্ষিতেই পুলিশের নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে তাদের ভোটের কাজ থেকে বিরত রাখার দাবি জানিয়েছেন বিরোধী দলনেতা। সম্প্রতি পুলিশকর্মীদের ওই সংগঠনের আয়োজনে পূর্ব মেদিনীপুরের দিঘায় মহিলা পুলিশকর্মীদের একটি রাজ‍্য স্তরের সম্মেলন হয়েছে। সেই সম্মেলনে কলকাতা পুলিশের ডেপুটি কমিশনার পদমর্যাদার আধিকারিক তথা মুখ‍্যমন্ত্রীর ‘আস্থাভাজন’ হিসেবে পরিচিত শান্তনু সিং বিশ্বাস যে ভাষণ দিয়েছেন, শুভেন্দু মঙ্গলবার তার ভিডিও সাংবাদিক বৈঠক ডেকে দেখিয়েছেন। বিজিতাশ্ব রাউত নামে এক ইন্সপেক্টর এবং রুহুল আমিন আলি শাহ নামে এক সাব-ইন্সপেক্টরের ভাষণের অংশবিশেষও তিনি দেখান।

    ভিডিয়ো দেশের মুখ‍্য নির্বাচন কমিশনারকে পাঠানো হয়েছে

    শুভেন্দু জানান, ওই ভিডিয়ো দেশের মুখ‍্য নির্বাচন কমিশনার জ্ঞানেশ কুমারকে পাঠানো হয়েছে। মঙ্গলবার সকালেই ইমেল করে চিঠি ও ভিডিয়ো পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে তিনি জানিয়েছেন। সাংবাদিক বৈঠকে উল্লেখ না করলেও চিঠিতে রয়েছে পূর্ব মেদিনীপুরের পুলিশ সুপার সৌম্যদীপ ভট্টাচার্যের নামও। শুভেন্দু দাবি করেছেন, পুলিশ ওয়েলফেয়ার কমিটি কোনও ‘রাজনৈতিক সংগঠন’ নয়। সেই কারণেই তারা ‘রাজনৈতিক’ কথা বলতে পারে না। তাঁর কথায়, ‘‘সরকার লিখিত ভাবে এই সংগঠন তৈরি করে দিয়েছিল।’’ পশ্চিমবঙ্গ (West Bengal) ছাড়া অন্য কোনও রাজ্যের পুলিশ এমন আচরণ করে না বলেও দাবি করেছেন শুভেন্দু অধিকারী। তাঁর সংযোজন, এ রাজ্যের পুলিশ নিজেদের মর্যাদা, আত্মসম্মান জলাঞ্জলি দিয়ে তৃণমূল সরকারের (TMC Govt) হয়ে এমন কাজ করছেন।

    পুলিশকে ভোটের ডিউটিতে রাখা যাবে না

    পুলিশের নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে শুভেন্দু সাফ জানান, ওঁদের সরিয়ে নির্বাচন করতে হবে। দলদাস পুলিশকে ভোটের ডিউটিতে রাখা যাবে না। বিরোধী দলনেতা বলেন, ‘‘ফেব্রুয়ারি মাসে নির্বাচনী আচরণবিধি কার্যকর হয়ে যাবে বলে ধরে নিতে পারি। তখন থেকে শুরু করে ভোট সম্পন্ন হওয়া পর্যন্ত পশ্চিমবঙ্গ পুলিশ ওয়েলফেয়ার কমিটির সঙ্গে যুক্ত কেউ যাতে ভোটের কাজের সঙ্গে প্রত‍্যক্ষ বা পরোক্ষ ভাবে না থাকে, আমরা তা কমিশনকে নিশ্চিত করতে বলেছি।’’ তাঁর বক্তব্য, কমিশন যাতে এখন থেকেই বিকল্প ব‍্যবস্থার কথা ভেবে নিতে পারে এবং তার প্রস্তুতি নিতে পারে, সে কথা মাথায় রেখে আদর্শ আচরণবিধি কার্যকর হওয়ার তিন মাস আগেই তিনি কমিশনকে ওই বিষয়ে অবহিত করে রাখলেন। শুভেন্দুর কথায়, ‘’কেন্দ্রীয় বাহিনী সব কাজ পারবে না। কিছু কাজ পুলিশকেই করতে হয়। সেই কাজ অন‍্য রাজ‍্য থেকে পুলিশ এনে করাবে নাকি অন‍্য কোনও ব‍্যবস্থা করবে, তা নির্বাচন কমিশন এখন থেকে ভেবে নিক।’’

  • Governor CV Ananda Bose: হাকিমপুর সীমান্ত পরিদর্শন রাজ্যপালের, শাহের মন্ত্রককে রিপোর্ট দেবেন বোস

    Governor CV Ananda Bose: হাকিমপুর সীমান্ত পরিদর্শন রাজ্যপালের, শাহের মন্ত্রককে রিপোর্ট দেবেন বোস

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভুয়ো ভোটার বা আধার কার্ড তৈরি করে ভারতের যে কোনও প্রান্তে থাকলে অনুপ্রবেশকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। উত্তর ২৪ পরগনার হাকিমপুর সীমান্ত পরিদর্শন করে এমনটাই জানালেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস (Governor CV Ananda Bose)। তিনি জানান, সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশিদের পুশব্যাক এবং বর্তমানে হাকিমপুর সীমান্তের কী অবস্থা তা নিয়ে রিপোর্ট তৈরি করা হবে। শুধু হাকিমপুর নয় মুর্শিদাবাদেও যাবেন বলে জানিয়েছেন রাজ্যপাল। যে সীমান্তগুলি তিনি ঘুরে দেখবেন, সেখানকার পরিস্থিতি দেখে তৈরি করা হবে রিপোর্ট। এই রিপোর্ট স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের কাছে জমা করবেন।

    স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকে রিপোর্ট পাঠাবেন রাজ্যপাল

    রাজ্যে এসআইআর শুরু হতেই সম্প্রতি শিরোনামে আসে হাকিমপুর সীমান্তের চিত্র। প্রচুর মানুষকে ব্যাগ গুছিয়ে উত্তর ২৪ পরগনার হাকিমপুর সীমান্তে অপেক্ষা করতে দেখা যায়। সংবাদমাধ্যমের সামনে অনেকেই বলেছেন, তাঁরা অবৈধ ভাবে ভারতে প্রবেশ করেছেন। অনেকেরই কাছেই ভোটার, আধার কার্ড আছে, সরকারি সুযোগ সুবিধা পাচ্ছেন রাজ্যে। এমনকী খবর সংগ্রহ করতে গিয়ে সেখানে আক্রমণের মুখেও পড়তে হয় সংবাদমাধ্যমকে। এই আবহে সীমান্ত এলাকা পরিদর্শনের সিদ্ধান্ত নেন রাজ্যপাল। হাকিমপুরের সীমান্ত চৌকি, বিএসএফ ক্যাম্প, স্থানীয় প্রশাসনিক কর্তাব্যক্তিদের সঙ্গে বৈঠক করেন তিনি। তবে সেই বৈঠকে অনুপ্রেবশ সংক্ৰান্ত কী কী বিষয় উঠে এসেছে, তা নিয়ে এখনই বিস্তারিত কিছু বলতে চাননি রাজ্যপাল।

    হাকিমপুর সীমান্ত পরিদর্শনে রাজ্যপাল

    হাকিমপুরে একটি সাংবাদিক বৈঠকে রাজ্যপাল বলেন, ‘যাঁরা এই ধরনের ফেক ভোটার কার্ড ব্যবহার করছেন বা অনৈতিক ভাবে ভোটার বা আধার কার্ড বানিয়েছেন, তাঁরা অপরাধী। তাঁদের বিরুদ্ধে যথাযত আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’ এদিন রাজ্যপাল হাকিমপুর চেকপোস্টে নেমে ভারতীয় নাগরিকদের সঙ্গে কথা বলেন এবং তারপর ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তের কাঁটাতারের অংশে বিএসএফের তাৎপরতা এবং নজরদারি পরিদর্শনে যান। বিএসএফ সূত্রে খবর, কতজন বাংলাদেশিকে এখনও পর্যন্ত ওপারে পাঠানো হয়েছে, আইনশৃঙ্খলার দিক থেকে কতটা পুলিশ সাহায্য করছে, কীভাবে বাংলাদেশিরা গিয়ে হোল্ডিং এরিয়ায় কাছে ভিড় করছে, তাদের কতদিনের বসবাস- এই ধরনের একাধিক বিষয় রাজ্যপাল বিএসএফ আধিকারিকদের কাছ থেকে জেনে নেন। রাজ্যপালের (Governor CV Ananda Bose)সফরকে কেন্দ্র করে স্বরূপনগর থানার বিথারী হাকিমপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের হাকিমপুর সীমান্তে কড়া নিরাপত্তার বেষ্টনীতে মুড়ে ফেলা হয়। ১৪৩ নম্বর ব্যাটালিয়ান বিএসএফের ডিআইজি, সিও নিরাপত্তা ব্যবস্থা খতিয়ে দেখেন।

  • Suvendu on SIR: ‘‘জিহাদে মদত দিচ্ছে তৃণমূল, এরা আমাদের রেশন খাচ্ছে’’, রাজ্যে এসআইআর সফল করার ডাক শুভেন্দুর

    Suvendu on SIR: ‘‘জিহাদে মদত দিচ্ছে তৃণমূল, এরা আমাদের রেশন খাচ্ছে’’, রাজ্যে এসআইআর সফল করার ডাক শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যে অবৈধ অনুপ্রবেশ এবং এসআইআর নিয়ে ফের একবার রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেসকে (TMC) বিঁধলেন বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। তাঁর কথায়, তৃণমূল আদতে কোনও দলই নয়। অবৈধ ভোটাররা তৃণমূলের ভোটব্যাঙ্ক। জিহাদে মদত দিচ্ছে তৃণমূল। তাই এই দলটাকে ছেড়ে এসেছেন তিনি। মথুরাপুরে (Mathurapur) বিজেপির সভায় উপস্থিত হয়ে এমনই দাবি করেন শুভেন্দু (Suvendu on SIR)। একই সঙ্গে রাজ্যবাসীর কাছে এসআইআর সফল করার আহ্বান জানান।

    তৃণমূলের ভোটব্যাঙ্ক

    সীমান্তে গত কয়েকদিন ধরে ভিড় দেখা যাচ্ছে অবৈধ অনুপ্রবেশকারীদের। এসআইআর শুরু হওয়ার পর একে একে অনেকেই বাংলাদেশ ফিরে যাচ্ছেন। সেই আবহে এদিন মন্দিরবাজারের সভা থেকে এসআইআর সফল করার ডাক দেন বিরোধী দলনেতা। শুভেন্দু (Suvendu on SIR) বলেন, “অবৈধ রেশন কার্ড, অবৈধ ভোটার তালিকায় নাম উঠেছে। কয়েকদিন আগে আমি বলেছিলাম, গর্তে কার্বোলিক অ্যাসিড ঢেলে দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। পিলপিল করে সাপেরা বেরিয়ে আসছে। এই সন্দেশখালিতে দেখুন, শাহজাহান জেলের ভিতরে থেকে…কারণ মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের নিয়ন্ত্রণে থাকা জেল…মোবাইল ফোন ব্যবহার করে মাছ-মাংস খেয়ে…ওখান থেকে ফোনে ফোনে অবৈধ অনুপ্রবেশকারীদের নির্দেশ দিচ্ছেন, বিএলওকে কী ভাষা! আজ, এসআইআর সফল করুন আপনারা। কী হিন্দু, কী ভারতীয় মুসলিম একযোগে এসআইআর সফল করুন। নইলে এরা আমাদের রেশন খাচ্ছে। খাদ্য জিহাদ।” বিজেপি আগে থেকেই দাবি করে আসছে যে, এসআইআর হলে মৃত এবং ভুয়ো ভোটারের নাম বাদ যাবে যা আদতে তৃণমূল ভোটব্যাঙ্ক হিসেবে কাজে লাগিয়েছে।

    খাদ্য-জিহাদ, ল্যান্ড জিহাদ

    মথুরাপুরে (Mathurapur) বিজেপির সভায় উপস্থিত হয়েছিলেন শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu on SIR)। সেই সভামঞ্চ থেকেই তিনি বলেন, এক সময় তৃণমূল দলকে ছুড়ে ফেলে এসেছেন তিনি। এটা কোনও দলই নয়! শুভেন্দুর কথায়, ”আমি যদি সেদিন নন্দীগ্রামের মানুষকে নিয়ে লড়াই না করতাম তাহলে দিদি থেকে দিদিমা হয়ে যেতেন। মুখ্যমন্ত্রী হতে হত না।” স্পষ্টত এই মন্তব্যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে (Mamata Banerjee) নিশানা করেছেন তিনি। শুভেন্দুর কথায়, বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারী এবং রোহিঙ্গারা ঢুকে ন্যায্যদের রেশন ছিনিয়ে নিচ্ছে। এটাই খাদ্য জিহাদ (Food Jihad)। তারা পরপর জমি দখল করে নিচ্ছে, ল্যান্ড জিহাদ। বিধায়কের বক্তব্য, এইভাবে চলতে থাকলে গোটা রাজ্যটাই (West Bengal) এদের দখলে চলে যাবে। তাই সকলের উচিত, একজোট হয়ে এসআইআর-কে সমর্থন করা এবং তৃণমূল সরকারের অবসান ঘটাতে সাহায্য করা।

  • SIR in Bengal: এসআইআরে বাংলায় বাদ অন্তত ১০ লক্ষ নাম! কী বলছে কমিশন?

    SIR in Bengal: এসআইআরে বাংলায় বাদ অন্তত ১০ লক্ষ নাম! কী বলছে কমিশন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যে ভোটার তালিকার বিশেষ নিবিড় সংশোধন (SIR in Bengal)-এ আপাতত ১০ লক্ষ ভোটারের নাম বাদ পড়েছে বলে জানাল নির্বাচন কমিশন (Election Commission)। এখনও পর্যন্ত প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে ওই সংখ্যক ভোটারের নাম বাদ যাচ্ছে বলে কমিশনের প্রাথমিক ধারণা। বাদ পড়ার ক্ষেত্রে শতাংশের বিচারে উত্তর কলকাতা এগিয়ে রয়েছে। এসআইআর (SIR) শুরুর পর কমিশন জানিয়েছিল, বর্তমানে রাজ্যে মোট ভোটারের সংখ্য়া ৭ কোটি ৬৬ লক্ষের অধিক। ফর্ম বিলি ও জমা নেওয়ার কাজ চলছে। এদিন সাংবাদিক বৈঠকে সিইও মনোজ কুমার আগরওয়াল জানান, এখনও পর্যন্ত ডিজিটাইজড হয়েছে মোট ৪ কোটি ৫৫ লক্ষ ফর্ম। আর এখনও পর্যন্ত ১০ লক্ষ ৩৩ হাজার ভোটার তাঁদের ফর্ম সংশ্লিষ্ট বুথের বিএলওর কাছে জমা দেননি।

    সাড়ে ৬ লক্ষ মৃত ভোটার

    সোমবার রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক মনোজ কুমার আগরওয়াল সাংবাদিক বৈঠকে জানান, এখনও পর্যন্ত ৪ কোটি ৫৫ লক্ষ ফর্ম ডিজিটাইজড হয়েছে। কমিশন সূত্রে খবর, এখনও পর্যন্ত ডিজিটাইজেশনের পর ১০ লক্ষ নাম বাদ পড়েছে। কমিশন সূত্রে খবর, এখনও পর্যন্ত ডিজিটাইজেশনের ভিত্তিতে যে দশ লক্ষ নাম বাদ গিয়েছে, তার মধ্যে সাড়ে ৬ লক্ষ মৃত ভোটার। এছাড়া স্থানান্তরিত ভোটারও রয়েছেন। আবার অনেকে এনুমারেশন ফর্ম নেননি। কিংবা নিলেও বিএলও-কে ফর্ম জমা দেননি। উত্তর কলকাতায় ১০ শতাংশ নাম বাদ পড়েছে। কিছুদিন আগে আধার কর্তৃপক্ষ সিইও-কে জানিয়েছিল, রাজ্যের ৩৪ লক্ষ মৃতের আধার নিষ্ক্রিয় করা হয়েছে। কমিশনের বক্তব্য, প্রতি বছর ভোটার তালিকা আপডেটের জন্য সামারি রিভিশন হয়। সেখানেও অনেক মৃত ভোটারের নাম বাদ পড়েছে।

    মোট কতজন ভোটারের নাম বাদ

    কমিশন (Election Commission) সূত্রে খবর, প্রতি দিনই তথ্য আসছে। আপাতত বুথ লেভেল অফিসার (বিএলও)-দের প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে এই হিসেব মিলেছে। তাঁরা বাড়ি বাড়ি ঘুরে ফর্ম বিলি করতে গিয়ে এই তথ্য পেয়েছেন। সব এনুমারেশন ফর্ম (SIR in Bengal) জমা হওয়ার পরে চূড়ান্ত হিসেব পাওয়া যাবে। সে ক্ষেত্রে বাদ পড়ার সংখ্যা যে অনেক বেশি হবে, তা এক প্রকার নিশ্চিত। প্রথমে বুথে বুথে বিএলও-রা ফর্ম বিলি করেছেন। পরে পূরণ করা ফর্ম তাঁরা সংগ্রহ করেছেন। সেই সময় বিএলও-রা তথ্য পেয়েছেন, কাদের কাদের ফর্ম পূরণ না হয়েই ফেরত এল। এই ১০ লক্ষের মধ্যে ৬.৫ লক্ষ মৃত ভোটার রয়েছে। এ ছাড়াও রয়েছেন একাধিক জায়গায় নাম, স্থানান্তরিত এবং নিরুদ্দেশ ভোটারও। কমিশন সূত্রে খবর, চলতি সপ্তাহের মধ্যে পুরো তথ্য চলে আসার কথা। তখন এই সংখ্যাটি কত দাঁড়ায় তা দেখার। ২০২৫ সালের ২৭ অক্টোবরের তালিকা থেকে মোট কত নাম বাদ পড়ল তা জানা যাবে খসড়া তালিকা প্রকাশের পরে। আগামী ৯ ডিসেম্বর খসড়া তালিকা প্রকাশ করবে কমিশন।

    ৭ কোটি ৬৪ লক্ষের বেশি এনুমারেশন ফর্ম বিলি

    কমিশন (Election Commission) জানাচ্ছে, ২৪ নভেম্বর বিকেল ৫টা পর্যন্ত রাজ্যে ৯৯.৭৫ শতাংশ, অর্থাৎ ৭ কোটি ৬৪ লক্ষের বেশি এনুমারেশন ফর্ম বিলি করা হয়েছে। খুবই অল্প সংখ্যক ফর্ম বিতরণ বাকি রয়েছে। পূরণ করা ফর্ম ডিজিটাইজ করা হয়ে গিয়েছে ৪ কোটির বেশি (৫৯.৪ শতাংশ)। এখনও পর্যন্ত ওই কাজ চলছে। সোমবার সাংবাদিক বৈঠকে রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক (সিইও) মনোজ আগরওয়াল বলেন, ‘‘আমরা ভোটারদের কাছে অনুরোধ করেছি, যত তাড়াতাড়ি সম্ভব এনুমারেশন ফর্ম জমা দিন। ৪ ডিসেম্বর শেষ দিন, তার কোনও পরিবর্তন হয়নি।’’ কমিশনের তথ্য বলছে, এখনও প্রায় ২ লক্ষ মানুষের হাতে ফর্ম পৌঁছনো বাকি। মোট ভোটারের ২.৫ শতাংশের ম্যাপিং-ও বাকি রয়েছে। হাতে এখনও এক সপ্তাহের বেশি সময় রয়েছে। দ্রুত কাজ চলছে বলে জানান মুখ্যনির্বাচনী আধিকারিক।

    কোন জেলায় কী রকম কাজ

    কমিশনের (Election Commission) তরফে আরও জানানো হয়েছে, এখনও পর্যন্ত এসআইআরের যা কাজ হয়েছে, তাতে রাজ্যের পাঁচটি জেলা এগিয়ে রয়েছে। পূর্ব বর্ধমানে ৬৬.৪৭ শতাংশ, আলিপুরদুয়ারে ৬৬.৪১ শতাংশ, উত্তর দিনাজপুরে ৬৫.৪৩ শতাংশ, মালদহে ৬৬.২৩ শতাংশ এবং পূর্ব মেদিনীপুরে ৬৫.২৭ শতাংশ কাজ হয়ে গিয়েছে। নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, রাজ্যের মধ্যে সবচেয়ে ভাল কাজ হয়েছে উত্তর ২৪ পরগনার গোসাবায়। রাজ্যে এখনও পর্যন্ত ১২১ জন বিএলও। ইতিমধ্যেই ১০০ শতাংশ কাজ সেরে ফেলেছেন। বিএলও-দের ভূয়সী প্রশংসা শোনা গিয়েছে মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের মুখে। তিনি বলেন, ‘‘বিএলও-রা প্রচুর কাজ করছেন। তাঁরাই এসআইআরের হিরো!’’

    বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর দাবি

    এসআইআর (SIR in Bengal) পর্বে বার বার রাজ্যে  ‘অনুপ্রবেশ’ -এর কথা বলেছে বিজেপি। রবিবার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী ফের দাবি করেছেন, এসআইআর হলে এক কোটি ভোটারের নাম বাদ যাবে। তাতে মৃত ভোটার, একাধিক জায়গায় থাকা এক নামের পাশাপাশি বাদ পড়বেন অনুপ্রবেশকারীরাও।

  • Suvendu Adhikari: বর-বউয়ের বাবা একই! এসআইআর চালু হতেই প্রকাশ্যে জালিয়াতি

    Suvendu Adhikari: বর-বউয়ের বাবা একই! এসআইআর চালু হতেই প্রকাশ্যে জালিয়াতি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তিনি সম্পর্কে জামাই। অথচ ভোটার কার্ডে তাঁকে দেখানো হয়েছে ছেলে হিসেবে। আর মেয়ের জৈবিক বাবাও তিনি। যার অর্থ দাঁড়ায়, এই (Suvendu Adhikari) পরিবারে বিয়ে হয়েছে ভাই-বোনের মধ্যেই (SIR)। আজ্ঞে না, বাবার নামের জায়গায় শ্বশুরের নাম দিয়ে দিব্যি বানানো হয়েছে ভোটার কার্ড। এসআরএরের গুঁতোয় এমন ঘটনাই প্রকাশ্যে এল।

    শ্বশুরকে বাবা বানিয়ে ভোটার কার্ড (Suvendu Adhikari)

    ঘটনাটি খুলে বলা যাক। রাজ্যে এসআইআর চালু হতেই ভারতে অনুপ্রবেশকারী বাংলাদেশিরা হাকিমপুরের মতো সীমান্ত দিয়ে পিলপিল করে পালাতে শুরু করেছে। এই সময়ই ঝুলি থেকে বের হচ্ছে একের পর এক বেড়াল। তবে শ্বশুরকে বাবা বানিয়ে ভোটার কার্ড বানানোর জালিয়াতির পর্দা ফাঁস করে দিয়েছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা তথা নন্দীগ্রামের বিধায়ক বিজেপির শুভেন্দু অধিকারী। তৃণমূল পরিচালিত রাজ্য সরকারকে নিশানা করে দীর্ঘ একটি পোস্টও করেছেন শুভেন্দু। ক্যাপশনে তিনি লিখেছেন, ‘এসআইআরের ধাক্কায় শ্বশুর যখন বাবা’। এর স্বপক্ষে প্রমাণ দিতে ভোটার তালিকার ছবিও দিয়েছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা।

    স্বামীর বাবা আর স্ত্রীয়ের বাবা একজনই

    এক্স হ্যান্ডেলে তিনি লিখেছেন, “ভোটার তালিকায় স্বামীর বাবা আর স্ত্রীয়ের বাবা যে একজনই, এসআইআরের দৌলতে তা-ও দেখতে হচ্ছে। যদিও বঙ্গেশ্বরীর রাজত্বে কোনও কিছুই অসম্ভব নয়। এসআইআর চালু হওয়ার পরে এ রাজ্যে নিত্য নতুন রঙ্গ তামাশা দেখছে জনগণ। উত্তর ২৪ পরগনার বনগাঁ দক্ষিণ বিধানসভার রামনগর (Suvendu Adhikari) গ্রাম পঞ্চায়েতের ২৬৫ নম্বর বুথের ভোটার মণিরুজ্জামান মণ্ডল ও আর্জিনা মণ্ডল স্বামী-স্ত্রী। মণিরুজ্জামান ওই বুথেরই তৃণমূল নেতা, আর আর্জিনা আইসিডিএস কর্মী এবং তৃণমূল কর্মী। তাঁদের দু’জনের পিতার নামই মিজানুর মণ্ডল। জানা গিয়েছে, আর্জিনার জন্মদাতা হলেন মিজানুর। ওই বুথটি আবার রামনগর গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান ও তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতি বাসুদেব ঘোষের বুথ। এই বাসুদেবের ছেলেই আবার ওই বুথের বিএলও। মনিরুজ্জামান আবার বাসুদেবের ডানহাত বলে এলাকায় পরিচিত। অভিযোগ উঠেছে, এই বিএলও-ই কারসাজি করে মণিরুজ্জামান ও মিজানুরকে ম্যাপিংয়ে বাবা ও ছেলে হিসেবে দেখিয়েছেন।” তিনি লেখেন, “দিকে দিকে ভাড়া করা বাবা-মায়ের ছড়াছড়ি (SIR)। সঠিকভাবে এসআইআরের কাজ সম্পন্ন হলে এই ধরনের ভুয়ো ভোটার ধরা পড়বে (Suvendu Adhikari), পশ্চিমবঙ্গের জনসংখ্যাও কমে যাবে।”

     

  • PM Modi: এবার লক্ষ্য বঙ্গ, ডিসেম্বরেই নির্বাচনী প্রচারে রাজ্যে আসছেন প্রধানমন্ত্রী

    PM Modi: এবার লক্ষ্য বঙ্গ, ডিসেম্বরেই নির্বাচনী প্রচারে রাজ্যে আসছেন প্রধানমন্ত্রী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অঙ্গ জয় হয়ে গিয়েছিল। জয় হয়ে গিয়েছে কলিঙ্গও। এবার বিজেপির শ্যেনদৃষ্টি পশ্চিমবঙ্গে (West Bengal)। সেই কারণেই শুরু হয়ে গিয়েছে জমি তৈরির কাজ। আগামী বছর রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন (PM Modi)। তবে কবে ভোট ঘোষণা হবে, সে পর্যন্ত অপেক্ষা করতে রাজি নয় পদ্ম শিবির। তার ঢের আগেই রাজ্যে নির্বাচনী প্রচার-অভিযান শুরু করে দিচ্ছেন দলের কান্ডারি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এই ডিসেম্বর মাস থেকেই বস্তুত বাংলা চষে বেড়াবেন প্রধানমন্ত্রী। এই মাসেই কয়েকটি জনসভা করবেন তিনি। তবে কেবল প্রধানমন্ত্রী কিংবা কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের মতো হেভিওয়েটদের দিয়ে জনসভাই নয়, জনসংযোগের জন্য দলের পরম্পরাগত কর্মসূচি রথযাত্রাও করতে চলেছে বিজেপি। রাজ্যের পাঁচটি প্রান্ত থেকে সূচনা হবে পাঁচটি রথযাত্রার।

    ১৪ থেকে ১৫টি জনসভা (PM Modi)

    সংসদের শীতকালীন অধিবেশন শুরু হতে চলেছে ১ ডিসেম্বর থেকে। চলবে ওই মাসেরই ১৯ তারিখ পর্যন্ত। এই অধিবেশন চলাকালীনই কোনও শনিবার কিংবা রবিবার বঙ্গ সফরে আসতে পারেন প্রধানমন্ত্রী। গেরুয়া শিবির সূত্রে খবর, ডিসেম্বর মাস থেকে শুরু করে নির্বাচনের প্রচার বন্ধ না হওয়া পর্যন্ত এ রাজ্যে ১৪ থেকে ১৫টি জনসভা করতে পারেন প্রধানমন্ত্রী (PM Modi)। পদ্মশিবির সূত্রে খবর, সম্ভাবনাময় এলাকা বেছে বেছে সভার আয়োজন করা হবে। বিজেপির এক নেতা বলেন, “সম্ভাবনাময় আসন মানে আমাদের জেতা এলাকাগুলির কথা বলা হচ্ছে, এমন নয়। যেসব এলাকায় আমরা পাশাপাশি একাধিক আসনে অল্প ভোটে হেরেছি বা পিছিয়ে থেকেছি, যেসব এলাকায় কর্মী-সমর্থকদের মনোবল বাড়াতে পারলে ভোটের ফল ঘুরে যাবে, সেগুলিকেই সম্ভাবনাময় হিসেবে ধরা হচ্ছে। সেই সব এলাকা বেছে বেছে পাঁচ বা তার চেয়েও বেশি বিধানসভা আসনের জন্য এক একটি জনসভা বরাদ্দ করা হতে পারে (West Bengal)।”

    প্রথম জনসভা কোথায়

    প্রধানমন্ত্রীর জনসভা কোথায় হবে, তা এখনও ঠিক হয়নি। তবে নদিয়া জেলার কোনও অংশে হতে পারে এই দফার প্রথম জনসভাটি। মে এবং অগাস্ট মাসে এ রাজ্যে তিনটি জনসভা করেছেন প্রধানমন্ত্রী। প্রথমটি উত্তরবঙ্গের আলিপুরদুয়ারে, দ্বিতীয়টি রাঢ়বঙ্গের দুর্গাপুরে। আর তৃতীয়টি দমদমে। তখনই একপ্রকার স্থির হয়ে গিয়েছিল, পরের সভাটি হবে রানাঘাট বা পার্শ্ববর্তী অঞ্চলে। যদিও, বিজেপি সূত্রে খবর, প্রধানমন্ত্রীর সভার তারিখ এবং জায়গা এখনও চূড়ান্ত হয়নি। ডিসেম্বরের শেষ থেকে বঙ্গ সফর শুরু করবেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহও (PM Modi)।

    অকাল রথযাত্রা

    যেমন চূড়ান্ত হয়নি বঙ্গে রথযাত্রার কর্মসূচির নির্ঘণ্টও। তবে আগামী দু’-এক দিনের মধ্যে দিল্লিতে সর্বভারতীয় নেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠক হওয়ার কথা বিজেপির রাজ্য সভাপতি শমীক ভট্টাচার্যের। সেই বৈঠকেই রথযাত্রা কর্মসূচি নিয়ে কথা হতে পারে। পশ্চিমবঙ্গে বিজেপির পাঁচটি সাংগঠনিক জোনের প্রতিটি থেকে একটি করে রথযাত্রা হবে (West Bengal)। রথাযাত্রার সূচনা হবে উত্তরবঙ্গ, রাঢ়বঙ্গ, নবদ্বীপ, কলকাতা এবং হাওড়া-হুগলি-মেদিনীপুর – এই পাঁচটি অঞ্চল থেকে। প্রতিটি যাত্রার সূচনায়ই থাকতে পারেন একজন করে কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। বাংলায় এর আগেও ভোটের মুখে রথাযাত্রা বের করেছিল বিজেপি। এবার যে পাঁচটি অঞ্চল থেকে রথ বের করার কথা ভাবা হচ্ছে, ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনের আগেও ওই এলাকাগুলি থেকেই বের হয়েছিল রথ। সেই মতোই এবারও পথে নামবে পদ্ম-রথ (PM Modi)। বিজেপির একটি সূত্রের খবর, আগামী মাসের ১৩ বা ১৪ তারিখ হবে শনি ও রবিবার। তাই এই দু’টি দিনের কোনও একটিতে বঙ্গ সফর করতে পারেন প্রধানমন্ত্রী। বিজেপির একটি সূত্রের খবর, আরামবাগে হতে পারে প্রথম জনসভাটি। এজন্য অনুমতি চাওয়া হয়েছে স্থানীয় প্রশাসনের। প্রধানমন্ত্রীর দফতর নিশ্চিত করলে তবেই ওই দু’দিনের মধ্যে একদিন বাংলায় জনসভা করতে পারেন প্রধানমন্ত্রী (West Bengal)।

    আগামী মাসেই নয়া রাজ্য কমিটি

    এদিকে, বিধানসভা নির্বাচনের ঢের আগেই নয়া রাজ্য কমিটি ঘোষণা করতে চলেছে বিজেপি। দলের রাজ্য সভাপতি শমীক ভট্টাচার্যের নেতৃত্বে আগামী মাসেই তা ঘোষণা হতে পারে বলে বিজেপির একটি সূত্রের খবর। ১৯ ডিসেম্বর সংসদের শীতকালীন অধিবেশন শেষ হওয়ার পর কলকাতায় আসতে পারেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। তাঁর উপস্থিতিতেই নয়া রাজ্য কমিটির সদস্যদের নিয়ে বর্ধিত বৈঠকের সম্ভাবনা রয়েছে। এই বৈঠকেই বিধানসভা নির্বাচনের রণকৌশল নিয়ে দলীয় নেতৃত্বকে পরামর্শ দিতে পারেন শাহ (PM Modi)।

    প্রসঙ্গত, একুশের বিধানসভা নির্বাচনে এ রাজ্যে তুলনায় ভালো ফল করেছিল বিজেপি। পদ্ম চিহ্নে জয়ী হয়ে বিধানসভায় গিয়েছিলেন ৭৭ জন। পরে তাঁদের মধ্যে বেশ কয়েকজন জনাদেশ অবজ্ঞা করে জার্সি বদলে ভিড়ে যান তৃণমূলের শিবিরে। বিরোধীদের একাংশের দাবি, শাসক দলে থাকলে ‘কামানো’র সুযোগ থাকে। তাই এক দলের (West Bengal) টিকিটে জিতে অন্য দলে যোগ দিয়েছে হাওয়া মোরগের দল (PM Modi)!

LinkedIn
Share