মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পরমাণু অস্ত্র পরীক্ষা করতে চলেছে চিন? প্রশ্নটা ফের মাথাচাড়া দিচ্ছে, কারণ সাম্প্রতিক কয়েকটি উপগ্রহ চিত্রে তেমন উদ্বেগের ছবি ধরা পড়েছে।
লপ নুর পরমাণু অস্ত্র পরীক্ষাকেন্দ্রে অতিসক্রিয়তা
সম্প্রতি, বহুল প্রচলিত মার্কিন সংবাদপত্র নিউইয়র্ক টাইমসে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে। তাতে বেশ কিছু উপগ্রহ চিত্র ছাপা হয়েছে। ওই ছবিগুলিতে দেখা যাচ্ছে, চিনের উত্তর-পশ্চিমে স্বায়ত্তশাসিত জিনজিয়াং প্রদেশে লপ নুর পরমাণু অস্ত্র পরীক্ষাগার সক্রিয় হয়ে উঠেছে। এখানে বলে রাখা ভালো, চিনা পরমাণু অস্ত্রের ইতিহাসে লপ নুর পরমাণু অস্ত্র পরীক্ষাগারের একটা বড় ভূমিকা রয়েছে। প্রায় ৬ দশক আগে, ১৯৬৪ সালের ১৬ অক্টোবর প্রথম পরমাণু অস্ত্রটি পরীক্ষা করে চিন। সেবারও শিনজিয়াং প্রদেশের লপ নুর এলাকায় পরমাণু বিস্ফোরণ ঘটানো হয়েছিল, নজরদারি এড়াতে ওই প্রকল্পের নাম রাখা হয়েছিল ‘প্রজেক্ট ৫৯৬’।
In the desert where China detonated its first atom bomb nearly 60 years ago, new evidence shows that Beijing is quietly rebuilding a base for nuclear tests. The move, experts say, could undermine a global ban and result in a new age of atomic rivalry. https://t.co/peWUACI95o pic.twitter.com/ejTCSXFe2b
— The New York Times (@nytimes) December 22, 2023
৯০ ফুট গভীর কূপ খনন! কেন?
এবার ফের একবার নতুন করে ওই কেন্দ্রটিকে সক্রিয় করতে অতিসক্রিয়তা লক্ষ্য করা গিয়েছে জিনপিং সরকারের। বিশেষজ্ঞদের মতে, যে গতিতে কাজ চলছে, তাতে শীঘ্রই সেখানে চিন পরমাণু অস্ত্র পরীক্ষা করতে পারে। অথবা, রাসায়নিক বিস্ফোরকের মাধ্যমে সাব-ক্রিটিকাল পরমাণু বিস্ফোরণের চেষ্টা করছে। মার্কিন সংবাদপত্রে প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী, লপ নুর এলাকায় নতুন করে খোঁড়াখুঁড়ি শুরু করেছে চিন। পার্বত্য এলাকায়, পাশাপাশি একাধিক উল্লম্ব সুড়ঙ্গ গড়ে তোলা হচ্ছে। আগেও ওই সুড়ঙ্গগুলি পরমাণু অস্ত্র পরীক্ষার জন্য ব্যবহৃত হয়েছিল। এবার প্রায় ৯০ ফুট গভীর কূপ খনন করার চেষ্টা চলছে। তেমনই উপগ্রহ চিত্রে ধরা পড়েছে। এর থেকেই বিশেষজ্ঞদের অনুমান, চিন কিছু আধুনিক মানের ব্যালিস্টিক এবং জাহাজ থেকে ছোড়ার পরমাণু অস্ত্র তৈরি করছে।
অস্বীকার চিনের, নজর রাখছে ভারত
মার্কিন রিপোর্ট অনুযায়ী, প্রায় এক দশক আগে চিনের কাছে ছিল ৫০টি পরমাণু ক্ষেপণাস্ত্র। পেন্টাগনের অনুমান, যে হারে সামরিক শক্তি বাড়িয়ে চলেছে চিন, ২০৩৫ সাল নাগাদ চিনের হাতে প্রায় ১৫০০ পরমাণু শক্তিসম্পন্ন ওয়ারহেড থাকবে, যা তুলনায় তিরিশ গুণ বেশি। চিনের এই কর্মকাণ্ড ভারতের কাছে যথেষ্ট উদ্বেগের। লপ নুরে চিনের এই সক্রিয়তায় দিল্লিও নড়েচড়ে বসেছে, পরিস্থিতির দিকে নজর রাখা হচ্ছে বলে খবর। একাধিক ইস্যুতে দু'দেশের সম্পর্ক একেবারে স্পর্শকাতর জায়গায় আছে। এই অবস্থায় এই উপগ্রহ ছবি খুবই তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করা হচ্ছে। যদিও, পরমাণু অস্ত্র পরীক্ষার বিষয়টি স্বভাবতই অস্বীকার করেছে চিন।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।
+ There are no comments
Add yours