South 24 Parganas: আদালতের নির্দেশে ধরা পড়ল তৃণমূলের আবাস-দুর্নীতি! কী হয়েছে জানলে চমকে উঠবেন

South_24_Parganas_(15)

মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: একদিকে যখন রাজ্যের শাসকদল শিক্ষা থেকে শুরু করে রেশন দুর্নীতির কাঁটায় বিদ্ধ, তখন ফের আবাস যোজনার দুর্নীতির ছবি উঠে এল দক্ষিণ ২৪ পরগনার (South 24 Parganas) রায়দিঘি বিধানসভা এলাকায়। আদালতের নির্দেশে নড়েচড়ে বসল প্রশাসন। তদন্তে নেমে প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায় শাসকের দুর্নীতি নিয়ে বিরোধীদের অভিযোগে সিলমোহর দিলেন মথুরাপুর ২ নং ব্লকের বিডিও।

কীভাবে হয়েছিল এই আবাস দুর্নীতি? (South 24 Parganas)

প্রতারিত উপভোক্তাদের বক্তব্য, আবাস যোজনায় নাম থাকা ব্যক্তির একটি করে আইডি নম্বর করা হয়েছিল বিডিও অফিস থেকে। তোলা হয়েছিল তাঁদের ভাঙা ঘরের ছবি। সেই আইডি নম্বরের পাশে বসানো হয়েছিল সেই ভাঙা ঘরের ছবিটি। পরে, তৃণমূল নেতাদের ঘনিষ্ঠ লোকজনের একটা করে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট নম্বর ওই আইডির সঙ্গে যোগ করে দেওয়া হয়েছিল। ফলে, প্রকৃত প্রাপকের পরিবর্তে ১ লাখ ২০ হাজার টাকা ঢুকে যায় তৃণমূল নেতাদের অ্যাকাউন্টে। আর এতে সহযোগিতা করেছিল বিডিও অফিস ও পঞ্চায়েতের কিছু অসৎ আধিকারিক।

আবাস দুর্নীতির বিরুদ্ধে কী পদক্ষেপ নিলেন বিডিও?

দক্ষিণ ২৪ পরগনার (South 24 Parganas) মথুরাপুর দু নম্বর ব্লকের নগেন্দ্রপুর গ্রাম পঞ্চায়েতে ২৭ জন গরিব মানুষের প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার তালিকায় নাম উঠেছিল। আর সেই এক লক্ষ কুড়ি হাজার টাকা শাসক দল আর প্রশাসনের আধিকারিকদের সহযোগিতায় অন্য ভুয়া অ্যাকাউন্ট থেকে কে বা কারা তুলে নেয়। অবশেষে এই বিষয় নিয়েই নগেন্দ্রপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের স্থানীয় বাসিন্দা দীপু বর নামে এক ব্যক্তি হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন। এরপরই আদালতের নির্দেশে তদন্তে সত্য প্রমাণিত হয়। এই বিষয় নিয়ে মথুরাপুর দু’নম্বর ব্লক উন্নয়ন আধিকারিক সেই এক লক্ষ কুড়ি হাজার টাকা করে ফেরত দেওয়ার নোটিশ দিয়েছেন। এমনকী টাকা ফেরত না দিলে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ারও কথা জানিয়েছেন বিডিও। তবে ইতিমধ্যে সাত-আটজনকে টাকা ফেরত দিতে নোটিশ পাঠালে তাঁদের মধ্যে অনেকেই জানান, কীভাবে তাঁদের অ্যাকাউন্টে টাকা ঢুকেছিল তাঁরা তা জানেন না। তাঁরা সেই টাকা দিয়ে ঘর করেছেন, এখন কোথা থেকে সেই টাকা ফেরত দেবেন। তবে, এই ২৭ জনের মধ্যে অনেকেই রয়েছেন শাসকদলের ঘনিষ্ঠ কিংবা তাঁদের আত্মীয়স্বজন।

দুর্নীতি ছাড়া তৃণমূল থাকতে পারে না, তোপ বিজেপির জেলা সভা

মথুরাপুর সাংগঠনিক জেলার বিজেপির সভাপতি নবেন্দুসুন্দর নস্কর বলেন, জল ছাড়া যেমন মাছ থাকতে পারে না, ঠিক তেমনি দুর্নীতি ছাড়া তৃণমূল কংগ্রেস থাকতে পারে না। শুধুমাত্র নগেন্দ্রপুরই নয়। গোটা রায়দিঘি বিধানসভা জুড়েই এরকম ভুরি ভুরি আবাস দুর্নীতি রয়েছে।

কী বললেন তৃণমূল নেতৃত্ব?

এই বিষয় নিয়ে তৃণমূলের রায়দিঘির বিধায়ক অলক জলদাতা বলেন, পুরোটাই কোর্টের বিষয়। আমি এই বিষয়ে সেই ভাবে কোনও কিছু মন্তব্য করবো না। তবে, আমি এইটুকুই বলতে পারি, লিস্ট ওপর থেকে হয়ে আসে, এখানে কেন্দ্রীয় সরকারেরও দোষ রয়েছে। তবে, যারা যারা উপভোক্তা নয়, তাদের অ্যাকাউন্টে টাকা ঢুকেছে। তারা অবিলম্বে টাকাটা ফেরত দিয়ে দিক। তাহলে হয়তো বিষয়টা মিটে যাবে।

 

দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

Please follow and like us:

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

LinkedIn
Share