মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফান্সে (France) মারাত্মক ঘূর্ণিঝড় চিডো (Cyclone Chido) ব্যাপক ধ্বংসলীলায় আঘাত হেনেছে। বাড়ি-ঘর, গাছপালা, দোকান, রাস্তায় বিরাট ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। হাজার হাজার মানুষের মৃত্যুর আশঙ্কা করা হচ্ছে। ফ্রান্সের ভারপ্রাপ্ত স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ব্রুনো রেতাইয়ো বলেছেন, “ঠিক কত পরিমাণে ক্ষয়ক্ষতি এবং মৃত্যু হয়েছে, সেই সম্পর্কে সম্পূর্ণ ভাবে তথ্য দিতে আরও কয়েকদিন সময় লাগবে।”
অঞ্চলগুলি অত্যন্ত দুর্গম তাই উদ্ধারে বাধা (Cyclone Chido)
জানা গিয়েছে, ফ্রান্সের (France) মেইয়োত এলাকা আর্থিকভাবে অত্যন্ত অনুন্নত এবং পিছিয়ে থাকা অঞ্চল। এখানেই সবথেকে বেশি ঝড়ের প্রভাবে ক্ষয়ক্ষতি (Cyclone Chido) হয়েছে। বিপর্যয় মোকাবিলার বাহিনী লাগাতার জোরকদমে উদ্ধার কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। একইসঙ্গে গুরুতর অসুস্থ এবং আহত লোকজনকে দ্রুত উদ্ধার কাজের জন্য চেষ্টা চালানো হচ্ছে। চিডোকে গত এক শতাব্দীর মধ্যে সব থেকে বিধ্বংসী ঘূর্ণিঝড় হিসেবে তুলে ধরা হচ্ছে। ব্রুনো বলেছেন, “অঞ্চলগুলি অত্যন্ত দুর্গম হওয়ার জন্য উদ্ধার কাজে ব্যাপক বাধার সম্মুখীন হতে হচ্ছে।”
সবরকম সহযোগিতার আশ্বাস ম্যাক্রঁর
ঘূর্ণিঝড় চিডো (Cyclone Chido) গত সপ্তাহের শেষে পূর্ব আফ্রিকার দ্বীপপুঞ্জের একটি বৃহৎ অংশে ২০০ কিমি প্রতি ঘণ্টা গতিবেগে পাহাড় এবং সমতলে আছড়ে পড়ে। বিদ্যুতের খুঁটি, পানীয় জল সরবরাহের গোটা সিস্টেমকে নিঃশেষ করে দিয়েছে। ফ্রান্সের রাষ্ট্রপতি ইমানুয়েল মাক্রঁ, নিজের এক্স হ্যান্ডেলে বলেছেন, “ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্থ দ্বীপপুঞ্জের এলাকাগুলিকে দ্রুত পরিদর্শনে যাব। দুর্যোগের বিষয়ে আমি সবরকম সহযোগিতার চেষ্টা করব। নিহত পরিবারের লোকজনের প্রতি আমার গভীর সমবেদনা জানাই। মর্মান্তিক প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের জন্য জাতীয় শোক দিবস ঘোষণা করছি।”
আরও পড়ুন: ভারত-শ্রীলঙ্কা প্রতিরক্ষা সহযোগিতা চুক্তি সম্পন্ন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে, জানালেন মোদি
স্কুলে আশ্রয় নিয়েছেন অনেক মানুষ
মেইয়োত অঞ্চলের বাসিন্দা ক্যামিল কোজন আবদুরাজাক বলেছেন, “রীতিমতো একটি বড়সড় যুদ্ধ বিপর্যস্ত এলাকার মতো মনে হচ্ছে। আমি নিজে কিছুই আর চিনতে পারছি না। এখানে ঝড়ের (Cyclone Chido) ফলে একটা গাছও আর অবশিষ্ট নেই। পাহাড়ের কোনও ঘাসের চিহ্ন নেই। মানুষের জীবন অত্যন্ত অসহায় হয়ে পড়েছে।” এলাকার আর এক বাসিন্দা পেশায় স্কুল শিক্ষক হামাদা আলি বলেন, “আমাদের এলাকার রাস্তাগুলি মাটির কাদায় ঢাকা পড়ে গিয়েছে। মানুষ নিরুপায় হয়ে স্কুলে আশ্রয় নিয়েছেন। একটা বিস্তীর্ণ অংশের সঙ্গে যোগাযোগ সম্পূর্ণভাবে বিছিন্ন হয়ে গিয়েছে।”
রাজধানী মামুদজুতে প্রধান হাসপাতালটিতে জরুরি ভিত্তিতে পরিষেবা দেওয়ার কাজ করা হচ্ছে। জরুরি ভিত্তিতে একটি ক্লিনিক স্থাপন করা হয়েছে এবং সেখানে ১০০ জন অতিরিক্ত চিকিৎসক মোতায়েন করে পরিষেবা দেওয়া হচ্ছে। সরকারি সূত্রে জানা গিয়েছে, রেয়ুনিয়ঁ দ্বীপ থেকে ত্রাণ সরবরাহ এবং সরঞ্জাম পরিবহণের জন্য সামুদ্রিক এবং আকাশপথে অভিযান চালানো হচ্ছে।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Whatsapp, Facebook, Twitter, Telegram এবং Google News পেজ।
Leave a Reply