Dedicated Railway Test Track: বিশ্বের সব চেয়ে লম্বা! রাজস্থানে তৈরি হচ্ছে ভারতের প্রথম “ডেডিকেটেড রেলওয়ে টেস্ট ট্র্যাক’

Railway_Track_(2)

মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতের প্রথম ডেডিকেটেড রেলওয়ে টেস্ট ট্র্যাক (Dedicated Railway Test Track) তৈরি হচ্ছে রাজস্থানে। ৬০ কিলোমিটার দীর্ঘ এই টেস্ট ট্র্যাকটি আকারে সম্পূর্ণ সোজা নয়, থাকছে অনেকগুলি বাঁক। আগামী নতুন বছর শেষ হওয়ার আগেই সম্পন্ন হবে এই ট্র্যাকের কাজ। রেলের বিভিন্ন ধরনের পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালানো হবে এই ট্র্যাকের ওপর। ফলে ভবিষ্যৎ সুরক্ষা এবং দুর্ঘটনা প্রতিরোধে এটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।

টেস্ট ট্র্যাকে একাধিক বাঁক (Dedicated Railway Test Track)

মূলত রোলিং স্টক পরীক্ষার জন্যই এই জাতীয় টেস্ট ট্র্যাক তৈরি করা হয়। ট্র্যাকের কয়েকটি জায়গায় রয়েছে বাঁক। এসব বাঁক রাখার অর্থ, গতি না কমিয়ে বাঁকা ট্র্যাকের ওপর দিয়ে ট্রেন কীভাবে যায়, তা পরীক্ষা করা। এই ট্র্যাকের কাজ শেষ হলে তার ওপর ঘণ্টা প্রতি ২৩০ কিলোমিটার বেগে চলে এমন ট্রেনের গতি পরীক্ষা করা হবে। রেল সূত্রে খবর, ৬০ কিমি দীর্ঘ এই ট্র্যাক কেবল ভারত নয়, বিশ্বের সব চেয়ে লম্বা ডেডিকেটেড টেস্ট ট্র্যাক হতে চলেছে। ট্র্যাকটি তৈরির প্রকল্প ব্যয় ৮২০ কোটি টাকা। ট্র্যাকটি তৈরি হবে দুটি পর্যায়ে। থাকবে অত্যাধুনিক সিগন্যাল-সহ সব বিষয়ের অত্যাধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার।

কী কী রয়েছে ট্র্যাকে

৬০ কিলোমিটার দীর্ঘ এই ট্র্যাকে রয়েছে সাতটি বড় সেতু, ১২৯টি ছোট সেতু এবং চারটি স্টেশন। এই স্টেশনগুলি হল, গুঢ়া, জবদিনগর, নাওয়ান এবং মিঠাদি। প্রকল্পের আওতায় ২৭ কিমি রাস্তার কাজ সম্পন্ন হয়েছে। পুরো কাজ ২০২৫ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে শেষ করার লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে। উচ্চগতির রোলিং স্টক এবং অন্যান্য সামগ্রীর ব্যাপক পরীক্ষার সুবিধাগুলোও এই প্রকল্পের আওতায় তৈরি করা হচ্ছে। এর মধ্যে গতি পরীক্ষা, স্থিতিশীলতা, সুরক্ষা, দুর্ঘটনা প্রতিরোধ ক্ষমতা, রোলিং স্টকের গুণমান ইত্যাদি অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। এই নির্দিষ্ট পরীক্ষা ট্র্যাকের উপাদান, সেতু, টিআরডি সরঞ্জাম, সিগন্যালিং যন্ত্রপাতি এবং ভূ-প্রযুক্তিগত স্টাডিও অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। ট্র্যাকের (Dedicated Railway Test Track) ওপর বিভিন্ন কাঠামো যেমন সেতু, আন্ডার ব্রিজ এবং ওভার ব্রিজ নির্মাণ করা হয়েছে।

আরও পড়ুন: “প্রকাশিত ‘সঙ্কল্পপত্র’ মহারাষ্ট্রের জনগণের আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন”, বললেন শাহ

নাওয়া স্টেশনে একটি দ্রুত পরীক্ষা লুপ ৩ কিলোমিটার এবং মিঠাদিতে একটি ২০ কিলোমিটারের বাঁকানো পরীক্ষা লুপ তৈরি করা হয়েছে। এই লুপগুলো বিভিন্ন ডিগ্রির বাঁকে তৈরি করা হয়েছে। খারাপ ট্র্যাকে ট্রেন কাঁপতে ও ঝাঁকুনি দিতে শুরু করে। যদি ট্র্যাক ক্ষতিগ্রস্ত হয়, তবে সেই অবস্থায় ট্রেনের গতি কী হওয়া উচিত এবং তার প্রভাব কী হবে তা পরীক্ষা করা হবে (Dedicated Railway Test Track)।

 

দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

Please follow and like us:

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

LinkedIn
Share