Mumbai Hospital: মুম্বই হাসপাতালে ফোনের টর্চ ব্যবহার করে প্রসব, মা ও শিশুর মৃত্যু!

Mumbai_Hospital

মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মুম্বই হাসপাতালে (Mumbai Hospital) ফোনের টর্চ ব্যবহার করে প্রসব করায় মা ও শিশুর মৃত্যু হয়েছে। পরিবারের তরফে চিকিৎসকের বিরুদ্ধে অভিযোগ করায় ইতিমধ্যে মুম্বই নাগরিক সংস্থা তদন্ত শুরু করেছে ঘটনার। ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চাল্য তৈরি হয়েছে। অপরে পরিবারের সদস্যরা কয়েকদিন ধরে হাসপাতালের বাইরে বিক্ষোভ করায় অবশেষে বৃহন্মুম্বাই মিউনিসিপ্যাল ​​কর্পোরেশন (বিএমসি) অবশেষে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে বলে জানা গিয়েছে।

দেশের আর্থিক রাজধানীতে ঘটনা (Mumbai Hospital)?

জানা গিয়েছে, মুম্বই হাসপাতালের (Mumbai Hospital) ডাক্তারেরা সেলফোন টর্চ ব্যবহার করে সিজারিয়ান ডেলিভারি অর্থাৎ সন্তান প্রসাব করার পরেই গর্ভবতী মা এবং তার শিশুর মৃত্যু হয়েছে। ঘটনাটি যথেষ্ট মর্মান্তিক। কিন্তু দেশের আর্থিক রাজধানী মুম্বই শহরে ভারতের সবচেয়ে ধনী নাগরিক সংস্থা বৃহন্মুম্বাই মিউনিসিপ্যাল ​​কর্পোরেশন দ্বারা পরিচালিত হয় এই হাসপাতাল। এই সংস্থা যার বাজেট ৫২০০০ কোটির বেশি। এখানে স্বাস্থ্যের জন্য বরাদ্দকৃত পরিমাণ ১২ শতাংশ বা ৬,২৫০ কোটি টাকা। এই রকম একটি জায়গায় এই ঘটনা অত্যন্ত মর্মান্তিক। পরিবারে তীব্র শোকের ছায়া।

পরিবারের অভিযোগ

খুসরুদ্দিন আনসারি, যিনি বিশেষভাবে সক্ষম এবং একটি পা নেই। তাঁর ২৬ বছর বয়সী স্ত্রী সাহিদুনকে তাঁর প্রসবের জন্য মুম্বই (Mumbai Hospital) সুষমা স্বরাজ মাতৃসদনে ভর্তি করান। এই দম্পতির বিয়ে হয়েছিল মাত্র ১১ মাস। পরিবারের মূল অভিযোগ, সোমবার প্রসূতি রুমে বিদ্যুৎ চলে যায় এবং তিন ঘণ্টা জেনারেটর চালু হয়নি। তারা জানান, মা ও সন্তানের মৃত্যুর পরও অন্ধকারে আরেকটি প্রসব করানো হয়। ২৯ এপ্রিল সকাল ৭ টায় স্ত্রী সাহিদুনকে প্রসবের জন্য হাসপাতলে নিয়ে যাওয়া হয়। এরপর তাঁকে সারাদিন রেখে দেওয়া হয়। পরে রাত ৮টা পর্যন্ত পরিবারকে বলা হয়েছিল সবকিছু ঠিক আছে। এমনকী প্রসব স্বাভাবিক হবে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকেরা। কিন্তু পরিবারের লোকজন তার সাথে দেখা করতে গিয়ে দেখেন সে রক্তে ঢেকে আছে।

আরও পড়ুনঃ পুলিশের সামনেই বিজেপি প্রার্থী সুভাষের র‍্যালির ওপর হামলা, অভিযুক্ত তৃণমূল

স্বামীর বক্তব্য

মৃত সাহিদুনের স্বামী আনসারি বলেন, “প্রসবের জন্য স্বাক্ষর নিতে এসে বলা হয় সব ঠিক আছে, একটি সি-সেকশন প্রয়োজন। তখনই বিদ্যুৎ চলে যায়, কিন্তু তখনও এই হাসপাতাল আমাদের অন্য হাসপাতালে (Mumbai Hospital) পাঠায়নি। এরপর অপারেশন থিয়েটারে নিয়ে যাওয়া হয় এবং ফোনের টর্চের সাহায্যে ডেলিভারি করে, কিন্তু ততক্ষণে আমার শিশুটি মারা গিয়েছে। ডাক্তার তখনও বলেছিল মা বেঁচে যাবে। এরপর আমাদের সাইন হাসপাতালে রেফার করে দেয় কিন্তু ততক্ষণে আমার স্ত্রীও মারা গিয়েছেন। সেখানেও অক্সিজেন পাওয়া যায়নি। আজ আমি যেমন কষ্ট পাচ্ছি, ডাক্তার ও স্টাফদের কষ্ট হওয়া উচিত, তাদের শাস্তি হওয়া উচিত। এই হাসপাতাল বন্ধ করা উচিত।”

 

দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

Please follow and like us:

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

LinkedIn
Share