মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অসুস্থ রোগীকে নিয়ে পরিবারের লোকজন চার-চারটি সরকারি হাসপাতালে ঘুরে বেড়ালেন। কোনও হাসপাতালেই মিলল না ঠাঁই। বাধ্য হয়ে রোগী নিয়ে ফের বাড়ি ফিরলেন পরিবারের লোকজন। এই ঘটনা রাজ্যের স্বাস্থ্য ব্যবস্থার কী বেহাল দশা, তা চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছে। তবে, বিষয়টি নিয়ে তোলপাড় শুরু হতে সোমবার বিকেলে খড়দা (Khardah) বলরাম হাসপাতালে তাঁকে ভর্তি করা হয়।
ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Khardah)
পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, খড়দার (Khardah) রহড়া আজমতলার বাসিন্দা তনুশোভা বন্দ্যোপাধ্যায় রবিবার সকালে আচমকা অসুস্থ হয়ে পড়েন। শরীরে তিনি খিচুনি অনুভব করেন। পরিবারের লোকজন তাঁকে প্রথমে বারাকপুর বিএন বসু মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যান। রোগীর অবস্থা দেখে জানানো হয়, ব্রেন স্ট্রোক হয়েছে। অন্যত্র নিয়ে যেতে হবে। রোগীকে সাগর দত্ত মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে তাঁর স্ক্যান করা হয়। পরে জানানো হয়, ব্রেন স্ট্রোক নয়, নিউরোর সমস্যা। এরপর এনআরএস হাসপাতালে রোগীকে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে কোনও চিকিৎসা মেলেনি। সোমবার রোগীকে নিয়ে যেতে বলা হয়। সেখানে চিকিৎসা না পেয়ে তাঁরা বাঙ্গুর হাসপাতালে রোগীকে নিয়ে যান। সেখানেও রোগীর কোনও চিকিৎসা না করেই ফিরিয়ে দেওয়া হয়। ফলে, চারটি হাসপাতাল ঘুরে কোথাও তাঁর ঠাঁই মেলেনি। অবশেষে পরিবারের লোকজন দিনভর হাসপাতালে হাসপাতালে রোগী নিয়ে ঘুরে বাড়়ি ফিরিয়ে নিয়ে আসেন।
কী বললেন পরিবারের লোকজন?
পরিবারের লোকজন বলেন, রোগীর অবস্থা খারাপ দেখে হাসপাতালে নিয়ে গিয়েছিলাম। কিন্তু, চারটি বড় বড় সরকারি হাসপাতাল ঘুরেও কোনও চিকিৎসা পেলাম না। সরকারি হাসপাতালে আমাদের মতো সাধারণ মানুষের কেউ নেই। কোনও চিকিৎসা পেল না রোগী। পরে, বিষয়টি জানাজানি হতে সোমবার খড়দা (Khardah) হাসপাতালে রোগীকে ভর্তি করা হয়। আমাদের প্রশ্ন, সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা বলে কি কিছু নেই? রোগী নিয়ে এত হয়রানি হওয়ার পর স্বাস্থ্য দফতরের টনক নড়েছে। এখন রোগীকে ভর্তি করা হয়েছে। তার চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়েছে। এতদিন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ কী করছিল?
বিএন বসু হাসপাতালের সুপারের কী বক্তব্য?
বিএন বসু মহকুমা হাসপাতালের সুপার এনামুল হক বলেন, কী রোগ নিয়ে রোগী ভর্তি হয়েছিলেন জানি না। তবে, স্ট্রোক হয়ে থাকলে আমাদের চিকিৎসা করা হয়। আমরা বিষয়টি খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেব।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।
+ There are no comments
Add yours