Durga Puja 2024: স্বপ্নদীপের মৃত্যুই অনুপ্রেরণা, ফেলে দেওয়া পেন-পেন্সিল দিয়ে অভিনব দুর্গাপ্রতিমা

Nadia: প্রতিবাদের ভাবনাই মূর্ত হয়ে উঠেছে অভিনব দুর্গাপ্রতিমায়, তাক লাগালেন নদিয়ার গৃহবধূ!
Nadia_Durga
Nadia_Durga

মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কথায় বলে, কোনও কিছুই ফেলে দিতে নেই। ফেলে দেওয়া জিনিস দিয়েই গড়ে উঠতে পারে অনেক কিছু। এবার হাজার হাজার কালি ফুরানো পেন ও পেন্সিল দিয়ে দৃষ্টিনন্দন দুর্গাপ্রতিমা তৈরি করলেন নদিয়ার এক গৃহবধূ। প্রায় ৯ মাসের প্রচেষ্টায় এখন পুরোপুরি সম্পূর্ণ দুর্গাপ্রতিমা (Durga Puja 2024) তৈরির কাজ। হ্যাঁ, এমনই এক দুর্গাপ্রতিমা তৈরি করে তাক লাগিয়ে দিলেন নদিয়ার (Nadia) কৃষ্ণগঞ্জ বাজার সংলগ্ন সত্যনগর পাড়ার গৃহবধূ পাপিয়া কর। তিনি একজন পেশায় হস্তশিল্পী। যদিও সামাজিক দায়বদ্ধতা রয়েছে তাঁর অনেক। সমাজের পিছিয়ে পড়া পরিবারের শিশুদের দেখাশোনা করেন তিনি এবং নির্দিষ্ট সময় বের করে শিক্ষা প্রদান করে। এই নিয়েই বর্তমানে দিন কাটে পাপিয়ার।

স্বপ্নদীপের মৃত্যুই নাড়িয়ে দিয়েছিল (Durga Puja 2024)

প্রায় এক বছর আগে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছিল নদিয়ার যুবক স্বপ্নদ্বীপের। তরতাজা প্রাণ চলে যাওয়ার কারণে তাঁর মনে উঠে এসেছিল প্রতিবাদের ভাবনা। তিনি মনে মনে ভেবেছিলেন, এমন কিছু করে দেখাবেন যেখানে দুর্গামূর্তির মধ্যে দিয়ে প্রতিবাদ তুলে ধরতে পারেন। এরপর থেকেই সংগ্রহ করতে থাকেন কালি ফুরিয়ে যাওয়া পেন ও পেন্সিল। তার পর থেকেই শুরু করেন দুর্গাপ্রতিমা তৈরির কাজ।

লক্ষ্য, শিক্ষিত অসুরদের বিনাশ

প্রায় ৩০ হাজার পেন ও পেন্সিল দিয়ে তৈরি করে ফেলেন দুর্গাপ্রতিমা (Durga Puja 2024), সঙ্গে রয়েছে মা দুর্গার চার সন্তান। কার্তিক, গণেশ, সরস্বতী ও  লক্ষ্মী-প্রত্যেকটি মূর্তি পেন ও পেন্সিল দিয়ে তৈরি করা হয়েছে। নাম দিয়েছেন অশুভ শক্তির বিনাশ হোক, শুভ শক্তির আগমন হোক, অর্থাৎ কলমকারী দুর্গা। এ প্রসঙ্গে গৃহবধূ পাপিয়ার কথায়,, স্বপ্নদ্বীপের মৃত্যুতে তিনি খুবই ভেঙে পড়েছিলেন, ভেবেছিলেন হয়তো সবাই ঝাঁপিয়ে প্রতিবাদে নামবে। তার পরও ঘটে গেল আরজি করের ডাক্তারি পড়ুয়ার সঙ্গে নৃশংস ঘটনা। তাই শিক্ষিত অসুরদের বিনাশ করতে তিনি প্রতিবাদের মধ্য দিয়ে দুর্গাপ্রতিমার নাম দিয়েছেন কলমকারী দুর্গা (Durga Puja 2024)। তাঁর তৈরি দুর্গাপ্রতিমা পাড়ি দেবে নদিয়ার রানাঘাট পাইকপাড়া ব্রতী সঙ্ঘের পুজো মণ্ডপে। জানা গিয়েছে, ওই মণ্ডপের থিম তৈরির কাজ প্রায় শেষের দিকে, এখন শুধু পুজো আসার অপেক্ষা। একটা সময় কাজের প্রতিভার মধ্যে দিয়ে তিনি জায়গা করে নিয়েছিলেন দিদি নম্বর ওয়ান এবং দাদাগিরির মঞ্চ জি বাংলার রান্নাঘরের মতো জায়গায়। তাঁর পরিচিতি এখন গোটা বাংলা জুড়ে, কারণ তিনি শুধু হস্তশিল্পী নন, প্রতিদিনই অনেক দুঃস্থ পরিবারের ৩০ থেকে ৪০টি বাচ্চার দেখাশোনা করেন। হাতে-কলমে শেখানো হয় পড়াশুনো, পাশাপাশি তাদের ভবিষ্যৎ উজ্জ্বলের জন্য আপ্রাণ চেষ্টা করে চলেছেন তিনি।

 

দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

Share:

Facebook
Twitter
WhatsApp
LinkedIn

You may also like

+ There are no comments

Add yours

Recent Articles