মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ৩.৯×৩.৪ সেমি দেশলাই কাঠি দিয়ে ছবি আঁকার স্ট্যান্ড বানিয়ে, ইন্ডিয়া বুক অফ রেকর্ডস-এ নাম তুলেছেন কোয়েল পুরকায়েত নামে দ্বাদশ শ্রেণীর এক ছাত্রী। তাঁর এই কৃতিত্বে একদিকে স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষিকারা যেমন খুশি, তেমনি খুশি পরিবারও। উচ্ছ্বসিত গোটা কাকদ্বীপের (South 24 Parganas) মানুষ।
কোয়েলের বক্তব্য (South 24 Parganas)
ইন্ডিয়া বুক অফ রেকর্ডস-এর খেতাবজয়ী দ্বাদশ শ্রেণীর ছাত্রী কোয়েল পুরকায়েত বলেন, “ছোটবেলা থেকেই আঁকার প্রতি আগ্রহ ছিল আমার. তবে এই ইন্ডিয়া বুক অফ রেকর্ডস-এর খেতাব জিতবো, তা কোনও দিনই ভাবতে পারিনি। এর পিছনে সবথেকে বেশি কৃতিত্ব রয়েছে আমার আঁকার স্যার দেবরাজ মহাশয়ের। তিনিই এই সমস্ত কিছুর সঙ্গে যোগাযোগ করে দিয়েছেন। দেশলাই কাঠি দিয়ে ছবি আঁকা এবং স্ট্যান্ড বানানোর কাজ প্রায় দুমাস ধরে করেছি। অবশেষে পরিশ্রম করে পূর্ণাঙ্গ রূপ দিতে পেরেছি। এই খেতাব আমাকে আগামী দিনে আরও বেশি করে উৎসাহী করবে।” পাশাপাশি কোয়েল আগেও যামিনী রায় পুরস্কার সহ একাধিক পুরস্কার পেয়েছেন।
উচ্ছ্বসিত পরিবার (South 24 Parganas)
দক্ষিণ ২৪ পরগনার (South 24 Parganas) কাকদ্বীপের সুভাষ নগরের বাসিন্দা কোয়েল পুরকায়েত। বর্তমানে কাকদ্বীপের বীরেন্দ্র নিকেতন স্কুলের ছাত্রী। তিন বছর বয়স থেকে ছবি আঁকার সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন কোয়েল। কৃতি ছাত্রী হিসেবে স্কুলে যেমন সুনাম, তেমনি সুনাম তাঁর আঁকার স্কুলেও। তিন বছর বয়স থেকে কাকদ্বীপের সুন্দরবন আর্ট অ্যাকাডেমিতে ছবি আঁকার সঙ্গে যুক্ত হন তিনি। কোয়েল বাবা-মায়ের একমাত্র সন্তান। বাবা কর্মসূত্রে অন্য রাজ্যে থাকেন, পরিযায়ী শ্রমিক হিসাবে কাজ করেন সেখানে। কোয়েলের এই গৌরবে খুশি এলাকার বিধায়ক তথা প্রাক্তন সুন্দরবন উন্নয়নমন্ত্রী মন্টুরাম পাখিরা। তিনি কোয়েলকে অভিনন্দন জানিয়েছেন।
প্রতিবেশীদের বক্তব্য
প্রতিবেশী (South 24 Parganas) মানসী দেবনাথ বলেন, “কোয়েলের বাবা কর্মসূত্রে এই রাজ্যের বাইরে কাজ করেন। ওঁর এই সাফল্যের পিছনে সবথেকে বেশি কৃতিত্ব মায়ের। আজ কোয়েলের এই সাফল্যে শুধু আমরা সুভাষ নগর এলাকার মানুষজন খুশি নই, গোটা কাকদ্বীপের মানুষ গর্বিত। আগামী দিনে ওঁর উজ্জ্বল ভবিষ্যতের কামনা করি আমরা।”
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।
+ There are no comments
Add yours