মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যে চাকরি নেই। কাজের জন্য অনেকেই ভিনরাজ্যে পাড়ি দিচ্ছেন। অনেকে আবার চাকরি না পেয়ে ব্যাঙ্ক থেকে লোন নিয়ে ব্যবসা করার চেষ্টা করছেন। আর সেই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে কোটি কোটি টাকা প্রতারণা (fraud) করার অভিযোগ উঠল এক চক্রের বিরুদ্ধে। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার নামখানা এলাকায়।
কীভাবে প্রতারণা?(fraud)
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, লোন করে দেওয়ার নাম করে নামখানার একটি ব্যাঙ্ক থেকে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নেওয়া হয়। ইন্দ্রজিৎ নস্কর নামে ব্যাঙ্কের এক কর্মী প্রতারণা (fraud) চক্রের মূল পান্ডা। তিনি মূলত গ্রামের গ্রাহকদের মোটা টাকা লোন করে দেওয়ার টোপ দিতেন। বেশ কিছু কাগজপত্র নিতেন। সঙ্গে দুটি ব্ল্যাঙ্ক চেকে সই করে নিতেন। এরপরই ব্যাঙ্কের শাখা অফিসের ম্যানেজারের সই নকল করে ওই ব্যাঙ্ক কর্মী সংশ্লিষ্ট দফতরে পাঠিয়ে দিতেন। সেই মতো লোন অনুমোদনও হয়ে আসত। কাউকে, ৫ লক্ষ, ১০ লক্ষ বা তার বেশি লোন পাইয়ে দেওয়ার ব্যবস্থা করতেন তিনি। অ্যাকাউন্টে লোনের টাকা ঢুকলে কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই তা তুলে নেওয়া হত। ফলে, গ্রাহক বুঝে ওঠার আগেই টাকা প্রতারকদের অ্যাকাউন্টে চলে আসত। দুদিনে একই অ্যাকাউন্টে প্রায় এক কোটি টাকা ঢোকে। তাতে ব্যাঙ্ক ম্যানেজারের সন্দেহ হয়। তিনি রিজিওন্যাল ম্যানেজারকে বিষয়টি জানান। এরপরই তিনি কাকদ্বীপ থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে কাকদ্বীপ থানার পুলিশ বারুইপুর থেকে ইন্দ্রজিৎ নস্কর ও রুদ্র নস্কর ও কাকদ্বীপ থেকে বাপন মণ্ডলকে গ্রেফতার করে। তদন্তে নেমে পুলিশ ২০ কোটি টাকা প্রতারণা করার হদিশ পায়।
কাকদ্বীপ আদালতের আইনজীবী কী বললেন?
কাকদ্বীপ আদালতের আইনজীবী সব্যসাচী দাস বলেন, অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৪৬৫ ৪৬৭ ৪৬৮ ৪৭১, ১২০বি আইপিসি ধারায় অভিযোগ দায়ের করেছে কাকদ্বীপ থানার পুলিশ। অভিযুক্তদের এদিন কাকদ্বীপ আদালতে পাঠালে বিচারক চার দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দেন।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।
+ There are no comments
Add yours