Hanuman Jayanti: হনুমান জয়ন্তীর কীর্তনে হামলা দুষ্কৃতীদের! পুলিশের ভূমিকায় প্রশ্ন বিজেপির

Hanuman_Jayanti

মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রামনবমীর (Ram Navami) পর এবার হনুমান জয়ন্তীর (Hanuman Jayanti) অনুষ্ঠানেও দুষ্কৃতীদের হামলা। রামনবমীতে মুর্শিদাবাদে (Murshidabad) হামলা হয়েছিল। এবার হনুমান জয়ন্তীতে ঘটনাস্থল বীরভূম (Birbhum) জেলায়। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় বীরভূম জেলার সিউড়ি (Siuri) বিধানসভার বারুইপুর গ্রামে হরিসভা চলাকালীন হনুমান মন্দিরে হামলা করার অভিযোগ উঠল স্থানীয় দুষ্কৃতী রমজান ও তার ভাইদের বিরুদ্ধে। মন্দিরের একাংশ ক্ষতিগ্রস্ত, স্থানীয় মহিলাদের শ্লীলতাহানি (Molestation) এবং মারধর করার অভিযোগ রয়েছে দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। স্থানীয় সূত্রে খবর, দুজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গ্রামবাসীদের দাবি সকল অভিযুক্তকে গ্রেফতার করতে হবে।

ঠিক কী ঘটেছে?

জানা গিয়েছে, এদিন সন্ধ্যায় বারুইপুর গ্রামের হনুমান মন্দিরে সন্ধ্যার সময় হরিনাম সংকীর্তন হচ্ছিল। সেই সময় গ্রামেরই দুষ্কৃতী রমজান ও তার সাগরেদদের নিয়েই এসে হরিনাম সংকীর্তন বন্ধ করতে বলে। দীর্ঘদিন ধরে গ্রামের রীতি হিসেবে চলে আসা সংকীর্তনে রমজানের কী সমস্যা জানতে চাওয়া হলে, সে বলে বন্ধ করতে বলেছি তাই বন্ধ করতে হবে। কার সমস্যা কী সমস্যা সেসব পরে হবে। রমজানের গা জোয়ারি কথায় প্রতিবাদের এগিয়ে আসেন সংকীর্তনের উপস্থিত মহিলারা। এরপর দুষ্কৃতীরা উপস্থিত মহিলাদের কাপড় ধরে টানাটানি করে। কয়েকজন জুতো পড়ে মন্দিরে ঢুকে ব্যাপক ভাঙচুর চালায়। মহিলা ও পুরুষ সকলে প্রতিবাদ করে তাঁদের মারধর করে ওই দুষ্কৃতীরা।

আরও পড়ুনঃ বালুরঘাটে জনসভায় তৃণমূল প্রার্থীর সামনেই সুকান্তর প্রশংসা দেব-এর মুখে

বিজেপির বক্তব্য

এরপর গ্রামবাসীরা পুলিশকে ফোন করে। কিন্তু পুলিশ আসতে দেরি করে বলে অভিযোগ। ধরপাকড়ের নামে মাত্র দুজনকে পুলিশ পাকড়াও করে। বাকিরা পালিয়ে যায়। এরপর বিজেপির রাজ্য সাধারণ সম্পাদক জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায় ও স্থানীয় নেতৃবৃন্দ শান্তি রক্ষার্থে গ্রামে উপস্থিত হন। তাঁরা কোনও প্ররোচনায় পা দিতে বারণ করেন। গ্রামবাসীদের সজাগ থাকতে বলেন। প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “পাশেই একটা ফাঁড়ি আছে। কিন্তু ফাঁড়ি দুষ্কৃতীদের ধরবে কী? ওটাই অসামাজিক কাজের আখড়া। দুজনকে ধরা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। আমাদের দাবি এফআইআর দায়ের করে সকলকে গ্রেফতার করতে হবে। দায়সারা তদন্ত করলে চলবে না। আগেও এলাকা অশান্ত করার চেষ্টা হয়েছিল। মুখ্যমন্ত্রীর উস্কানিমূলক কথার জন্য কিছু দুষ্কৃতী সাহস পেয়েছে। এই পরিস্থিতি বাংলার জন্য ক্ষতিকারক।”

 

দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

Please follow and like us:

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

LinkedIn
Share