মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অবশেষে ভারতীয় নাগরিকত্ব পেলেন বিকাশ মণ্ডল নামে নদিয়ার এক যুবক। লোকসভা ভোটের আগে নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন বিল পাশ করেছিল কেন্দ্রীয় সরকার। আর তা নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারকে কটাক্ষ করেছিল রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস সহ অন্যান্য বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলি। মুখ্যমন্ত্রী প্রকাশ্য সভায় বাংলায় সিএএ (CAA) হতে দেব না বলে বার বার হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন। সব কিছুকে ফুৎকারে উড়়িয়ে দিয়ে অবশেষে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকে নির্দেশ মতো বুধবার থেকেই বাংলায় সিএএ চালু হয়ে গেল। রাজ্যের ৮ জন নাগরিকত্বের শংসাপত্র হাতে পেয়েছেন।
মোদিজিকে কুর্ণিশ জানান মণ্ডল পরিবার (CAA)
বেশ কিছুদিন আগে নদিয়ার বিকাশ মণ্ডল নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন (CAA) পোর্টালে নাম নথিভুক্ত করেছিলেন। বুধবারই নাগরিকত্বের শংসাপত্র তিনি হাতে পেয়েছেন। পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০১২ সালে বাংলাদেশের ঝিনাইদহ থেকে নদিয়া কৃষ্ণনগরের ভীমপুর আশাননগর এলাকায় পরিবার নিয়ে চলে আসেন বিকাশবাবু। এরপরে যখন নাগরিকত্ব আইন পাস হল তারপর থেকেই তিনি চেষ্টায় ছিলেন এ দেশের নাগরিকত্বের শংসাপত্র পাওয়ার জন্য। এরপর তিনি এপ্রিল মাসে অনলাইনে আবেদন করেন। ২৭ মে তাঁকে ভেরিফিকেশনের জন্য কৃষ্ণনগর পোস্টাল সুপারিনটেনডেন্ট অফিসে তাঁকে ডাকা হয়। এরপর তিনি সমস্ত কাগজপত্র জমা করার পর বৃহস্পতিবার নাগরিকত্বের শংসাপত্র হাতে পান। মোদিজিকে কুর্ণিশ জানান মণ্ডল পরিবারের সদস্যরা।
রাতের অন্ধকারে পরিবার নিয়ে চোরা পথে ভারতে চলে আসি
এই বিষয়ে বিকাশ মণ্ডল বলেন, বাংলাদেশে সাইবার ক্যাফে ছিল আমার। সেখানে হিন্দুদের কোনও গুরুত্ব নেই। ওরা অত্যাচার করত। অল্প জমি ছিল। জলের দরে জমি বিক্রি করি দিই। মুসলিমদের অত্যাচার থেকে বাঁচতে রাতের অন্ধকারে পরিবার নিয়ে কাঁটাতার পেরিয়ে চোরা পথে আমরা এই দেশে চলে আসি। নাগরিকত্ব কাগজ হাতে পেয়ে খুব ভালো লাগছে। মাথা উঁচু করে বাঁচব। আর এটুকু বলতে পারি, সিএএ (CAA) নিয়ে ভয়ের কিছু নেই, আবেদন করলে সবাই নাগরিকত্ব পাবে। আর কেন্দ্রীয় সরকার আমাদের ভারতবর্ষে থাকার সুযোগ করে দিয়েছে। তাই, মোদিজিকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
হিন্দু মেয়েরা মন খুলে ঘুরতে পারে না, বসবাস করা যায় না বাংলাদেশে
বিকাশবাবুর স্ত্রী সাথী বিশ্বাস বলেন, বাংলাদেশ মুসলিমরা হিন্দুদের ওপর অত্যাচার করে। সেখানে হিন্দু মেয়েরা মন খুলে ঘুরতে পারে না, সেখানে বসবাস করা যায় না। বাইরে বের হলে অভিভাবকদের সঙ্গে যেতে হত। সবসময় নিরাপত্তাহীনতায় ভুগতাম। আর অত্যাচার তো ছিলই। সেই অত্যাচার থেকে বাঁচতেই ২০১২ সালে সপরিবারে আমরা নদিয়ায় চলে আসি। এই দেশে আসার পর নাগরিকত্ব পাওয়া নিয়ে অধীর আগ্রহে ছিলাম। অবশেষে কেন্দ্রীয় সরকারের পোর্টালে নাম নথিভুক্ত করে সার্টিফিকেট পেয়ে খুশি আমরা। মোদিজির প্রতি ভরসা আরও কয়েকগুণ বেড়ে গেল।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Whatsapp, Facebook, Twitter, Telegram এবং Google News পেজ।
+ There are no comments
Add yours