মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রোগীর চিকিৎসার জন্য ডাক্তার পরীক্ষা করতে দিয়েছিলেন। আর এই পরীক্ষা করতে গিয়েই বিরাট গোলমালের ঘটনা ঘটল। ডাক্তার দিয়েছেন পায়ের এমআরআই করতে, আর মেডিক্যাল করেছে মাথার এমআরআই। এমন ঘটনা ঘটেছে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে (North Bengal Medical College)। ঘটনায় রোগীর পরিবার ইতিমধ্যেই হাসপাতালের কর্তৃপক্ষের কাছে অভিযোগ করেছেন। কিন্তু কীভাবে ঘটল এমন ঘটনা? রীতিমতো ঘটনায় তোলপাড় হাসপাতালে। ইতিমধ্যেই এই ঘটনায় তদন্ত শুরু করেছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
রোগীর বক্তব্য (North Bengal Medical College)?
রোগী আবুবক্কর সিদ্দিকি বলেন, “হাসপাতালে (North Bengal Medical College) গেলে চিকিৎসক আমাকে দেখে ভর্তির কথা বলেন। এরপর আমাকে এমআরআই করতে বলেন। কিন্তু প্রথমে আমি তারিখ পাইনি। এরপর আমি বেশ কিছুদিন ধরে ঘুরলেও পরীক্ষার জন্য তারিখ মিলছিলনা। এরপর আমি বাইরের এক দালালকে কিছু টাকা দিলে অবশেষে তারিখ পাই। গত ১৫ তারিখে ডাক্তারের কাছে রিপোর্ট নিয়ে গেলে ডাক্তার বলেন, এটা পায়ের নয় মাথার প্লেট।” সূত্রে জানা গিয়েছে, উত্তর দিনাজপুরের চোপড়ার দাসপাড়ায় রোগীর বাড়ি। তিনি একটি মাদ্রাসার মৌলবি।
রোগীর আত্মীয়র বক্তব্য
রোগীর ভুল পরীক্ষার কারণে, হাসপাতালের (North Bengal Medical College) বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করে নিজের আবুবক্করের আত্মীয় হাকিমুল ইসলাম বলেন, “আমরা দোষীর শাস্তি চাই। টাকা ছাড়া এখানে কোনও কাজ হয় না। ভুল রিপোর্ট দিয়ে রোগীকে বাঁচানোর থেকে আরও অসুবিধার মধ্যে ফেলা হচ্ছে। হাসপাতালে যদি এমন হয়, আমরা তাহলে কোথায় যাবো?”
হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের বক্তব্য
ভুল রিপোর্টের কথা স্বীকার করে হাসপাতাল (North Bengal Medical College) কর্তৃপক্ষের আসিস্ট্যান্ট সুপার গৌতম দাস বলেন, “নাম নথিভুক্ত করার সময় ভুল করা হয়েছে। দালাল চক্রের বিষয়ে আমরা খোঁজ নেবো। ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করব। হয় তো তিনি কোনও প্রকার খপ্পরে পড়ে ছিলেন।”
উল্লেখ্য, রাজ্যের স্বাস্থ্যমন্ত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজে এসএসকেএম হাসপাতালে চিকিৎসার সময় হাসপাতালের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক মন্তব্য করেছিলেন। ফলে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী যেখানে সরকারি হাসপাতালে সুরক্ষিত নন, সেখান সাধারণ মানুষের কী অবস্থা বোঝাই যাচ্ছে।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।
+ There are no comments
Add yours