India-China Relationship: ডোভালের পর চিন সফরে বিক্রম মিস্রি, দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক নিয়ে আলোচনায় বিদেশ সচিব

India-China_Relationship

মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সীমান্তে শান্তি ও সুস্থিতি বজায় রাখতে দুই দিনের চিন সফরে যাচ্ছেন ভারতের (India-China Relationship) বিদেশসচিব বিক্রম মিস্রি। আগামী ২৬ জানুয়ারি চিনে যাবেন বিক্রম। দু’দিনের সফরে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক করবেন তিনি। কূটনৈতিক মহলের একাংশের মতে, ভারতের বিদেশসচিবের চিন সফর খুবই তাৎপর্যপূর্ণ। রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক-সহ একাধিক দিক থেকে দুই দেশের সম্পর্ক মজবুতির চেষ্টায় আলোচনা হতে পারে। 

কেন এই সফর তাৎপর্যপূর্ণ (India-China Relationship)

ডোনাল্ড ট্রাম্প দ্বিতীয়বার প্রেসিডেন্টের কুর্সিতে বসার প্রথম দিনেই ওয়াশিংটনে কোয়াডের বৈঠক করেন। ওই বৈঠক শেষে যৌথ সাংবাদিক বৈঠক (India-China Relationship) থেকে নাম না করে চিনকে বার্তা দেওয়া হয়। জানানো হয় যে, কেউ যদি ভারত ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের স্বাভাবিক অবস্থার বিঘ্ন ঘটায়, তবে তা বরদাস্ত করা হবে না। ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর ওই বৈঠকের পর জানিয়ে দেন যে, বর্তমান কঠিন পরিস্থিতিতে বিশ্বের ভালর জন্য কাজ করবে কোয়াড। তিনি জানান, ভারতের সঙ্গে বন্ধুত্বে যথেষ্ট আগ্রহী আমেরিকার নতুন সরকার। যদিও আমেরিকার সঙ্গে বন্ধুত্ব মানেই বেজিংয়ের সঙ্গে সংঘাত জিইয়ে রাখা নয়। মিস্রির সফরে চিনকে সেই বার্তাই দিতে আগ্রহী দিল্লি। 

ঐক্যমতে পৌঁছনোই লক্ষ্য

মাসখানেক আগেই চিন সফরে গিয়েছিলেন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভাল। চিনের বিদেশমন্ত্রী (India-China Relationship) তথা বৈদেশিক নীতি সংক্রান্ত কমিশনের প্রধান ওয়াং ইর সঙ্গে বৈঠক করেন তিনি। সীমান্তে শান্তি ও সুস্থিতি বজায় রাখতে এবং সীমান্ত ব্যবস্থাপনা কার্যকর করার জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়ে আলোচনা হয়। সেই আবহে ভারতের বিদেশসচিব বিক্রমের চিন সফর নিয়ে কৌতূহল নানা মহলে। সীমান্ত-সহ নানা বিষয় নিয়ে ভারত-চিনের বিরোধ বহু দিনের। ২০২০ সালের পর থেকে বিরোধ চরমে ওঠে। ২০২০ সালের এপ্রিল থেকে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা পেরিয়ে পূর্ব লাদাখের বিভিন্ন এলাকায় অনুপ্রবেশের অভিযোগ উঠেছিল চিনা ফৌজের বিরুদ্ধে। সম্প্রতি বেশ কিছু অঞ্চল থেকে সেনা প্রত্যাহারে ঐক্যমত হলেও ডেপসাং ও ডেমচক নিয়ে উদ্বেগ এখনও পুরোপুরি কাটেনি। এর মাঝেই বিদেশ সচিবের বেজিং সফরকে  মোদি সরকার আসলে সমতা বিধানের রাস্তা হিসাবেই দেখতে চাইছে।

ভারতের সঙ্গে সম্পর্কের উন্নতি চায় বেজিং

মিস্রি চিনের উপ-বিদেশমন্ত্রী সান ওয়েডংয়ের সঙ্গে আলোচনা (India-China Relationship) করবেন বলে আশা করা হচ্ছে, যিনি এলএসি নিয়ে অচলাবস্থার শুরুতে ভারতের রাষ্ট্রদূত ছিলেন। এশিয়ার প্রতিবেশীদের সঙ্গে চিনের সম্পর্কের দায়িত্বে রয়েছেন সান। নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গিয়েছে, সাম্প্রতিক আলোচনায় চিনা পক্ষ ভিসা বিধিনিষেধ শিথিল করা এবং সরাসরি বিমান চলাচল পুনরায় শুরু করার জন্য চাপ দিচ্ছে, তবে ভারতীয় পক্ষ জাতীয় সুরক্ষার উদ্বেগকে প্রধান ইস্যু হিসেবে বিবেচনা করে প্রক্রিয়াটির দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। ভিসা ও ফ্লাইটের উপর চিনের চাপ মূলত বাণিজ্য ও অর্থনৈতিক সম্পর্ককে উৎসাহিত করার লক্ষ্যে, বিদেশমন্ত্রী ওয়াং ইয়ের মতো শীর্ষ চিনা নেতারা ক্রমাগত সীমান্ত ইস্যুটিকে সামগ্রিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে তার ‘উপযুক্ত স্থানে’ রাখার আহ্বান জানিয়েছেন। এছাড়াও দুই দেশে সাংবাদিকদের পারস্পরিক পোস্টিংও চায় চিন। তবে, ভারত সীমান্ত সমস্যা নিষ্পত্তির জন্য একটি ‘পারস্পরিক গ্রহণযোগ্য কাঠামোর’ উপর জোর দিয়েছে। উভয় পক্ষ কৈলাস মানস সরোবর যাত্রা পুনরায় শুরু করা, আন্তঃসীমান্ত নদী এবং সীমান্ত বাণিজ্যের তথ্য বিনিময়ের মতো আন্তঃসীমান্ত সহযোগিতার উপরও জোর দিয়েছে।

 

দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

Please follow and like us:

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

LinkedIn
Share