India’s Highest Airfield: প্রস্তুত লাদাখে দেশের সর্বোচ্চ এয়ারফিল্ড, চিনকে টেক্কা দিতে তৈরি বায়ুসেনা

mudh-nyoma-advanced-landing-ground-020415742-16x9_0

মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা (LAC)-র কাছে নতুন বায়ুসেনা ঘাঁটি তৈরি করেছে নয়াদিল্লি। প্রতিরক্ষা মন্ত্রক সূত্রে খবর, পূর্ব লাদাখের (Ladakh) মুধ-নিয়োমাতে নবনির্মিত বিমানঘাঁটির যাবতীয় কাজ শেষ হয়ে গিয়েছে। কয়েক দিনের মধ্যেই আনুষ্ঠানিক ভাবে উদ্বোধন হবে দেশের সর্বোচ্চ ‘এয়ারফিল্ড’-এর (India’s Highest Airfield)। তারই অপেক্ষায় রয়েছে ভারতীয় বায়ুসেনা।

বিমানঘাঁটির কৌশলগত গুরুত্ব

পূর্ব লাদাখের ওই এয়ারফিল্ডটির উচ্চতা মাটি থেকে আনুমানিক ১৩ হাজার ৭০০ ফুট। এর পোশাকি নাম ‘অ্যাডভান্সড ল্যান্ডিং গ্রাউন্ড’ (এএলজি)। যুদ্ধের সময়ে এর কৌশলগত অবস্থান বাহিনীকে বাড়তি সুবিধা দেবে। পাশাপাশি, লাদাখের মতো পাহাড়ি এলাকায় সংঘর্ষ বাধলে দ্রুত ফৌজকে রণাঙ্গনে নিয়ে যাওয়া বা সৈনিকদের জন্য হাতিয়ার ও জরুরি রসদের জোগান ঠিক রাখতেও এই ঘাঁটির গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা থাকবে। লাদাখের প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখার দুর্গম এলাকাগুলিতে নজরদারি চালানো খুবই চ্যালেঞ্জিং। স্থলসেনার সেখানে পৌঁছতে কালঘাম ছুটে যায়। এত দিন পর্যন্ত ওই এলাকায় কোনও বায়ু সেনাঘাঁটি না থাকায় সে ভাবে নজর রাখতে পারছিল না বায়ুসেনা। এবার স্থলবাহিনীর পাশাপাশি চিন সীমান্তের উপর কড়া নজরদারি করতে পারবে তারাও।

তিন কিলোমিটার লম্বা রানওয়ে

এলএসি লাগোয়া ওই ঘাঁটিতে নিয়মিত ওঠানামা করবে সুখোই, রাফাল বা তেজসের মতো যুদ্ধবিমান। নিয়োমার নবনির্মিত বায়ুসেনা ঘাঁটিতে রয়েছে তিন কিলোমিটার লম্বা রানওয়ে। আপৎকালীন পরিস্থিতিতে যাবতীয় অপারেশন চালিয়ে যাওয়ার কথা মাথায় রেখে ওই রানওয়ে তৈরি করা হয়েছে। সেতু ও পাহাড়ি সুড়ঙ্গের মাধ্যমে লাদাখের একাধিক এলাকার সঙ্গে মুধ-নিয়োমাকে সংযুক্ত করা হয়েছে, যা সীমান্তে মোতায়েন ফৌজকে গোলা-বারুদ এবং অন্যান্য রসদ সরবরাহে সাহায্য করবে। এগুলির কৌশলগত গুরুত্বও নবনির্মিত এয়ারফিল্ডের চেয়ে কোনও অংশে কম নয়।

প্রশংসা প্রাক্তন সেনাকর্তাদের

২০২১ সালের কেন্দ্রীয় বাজেটে এই ঘাঁটি নির্মাণের অনুমোদন দিয়েছিল কেন্দ্র। এর জন্য আনুমানিক ২১৪ কোটি টাকা খরচ করেছে নরেন্দ্র মোদি সরকার। উল্লেখ্য, সাড়ে ১৩ হাজার ফুটের বেশি উচ্চতায় বায়ুসেনার ঘাঁটি নির্মাণ মোটেই সহজ কাজ ছিল না। এটি তৈরিতে প্রাকৃতিক প্রতিকূলতাই ছিল সবচেয়ে বেশি। সেই প্রতিকূলতা সয়ে সময়ের মধ্যে কাজ হওয়ায় সরকারের সদিচ্ছার ভূয়সী প্রশংসা করেছেন প্রাক্তন সেনাকর্তারা। বিশেষজ্ঞদের মতে, যুদ্ধ পরিস্থিতিতে মুহূর্তে পাশার দান উল্টে দিতে সক্ষম হবে এই এয়ারফিল্ড।

 

দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

 

 

Please follow and like us:

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

LinkedIn
Share