মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাশিয়ার (Russian Company) অস্ত্র রফতানিকারক সংস্থা রোসোবারোন এক্সপোর্টের সঙ্গে ২,১৬১ কোটি টাকার চুক্তি নয়াদিল্লির। গতকাল শুক্রবার ভারতের প্রতিরক্ষা মন্ত্রক (Indian Defence Ministry) এক বিবৃতিতে এমনই তথ্য জানিয়েছে। প্রসঙ্গত, ১৯৭০-এর দশকে ভারতে প্রথম চালু হয়েছিল টি-৭২ ট্যাঙ্ক, যা ভারতীয় সেনাবাহিনীর অন্যতম প্রধান যুদ্ধ সরঞ্জাম। জানা গিয়েছে, বর্তমানে ভারতীয় সেনাবাহিনীতে ৭৮০ হর্স পাওয়ারের ইঞ্জিনযুক্ত প্রায় ২ হাজার ৫০০ টি-৭২ ট্যাঙ্ক সক্রিয় রয়েছে। নতুন করে কেনা ১ হাজার হর্স পাওয়ারের ইঞ্জিন দিয়ে বর্তমান ট্যাঙ্কগুলির ইঞ্জিনকে প্রতিস্থাপন করা হবে বলে জানা গিয়েছে। প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের (Indian Defence Ministry) তরফ থেকে জানানো হয়েছে, এতে ভারতীয় সেনার শক্তি আরও বাড়বে। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন এরফলে উদ্বেগ বাড়ল চিন, পাকিস্তান ও বাংলাদেশের।
ইঞ্জিন তৈরি হবে চেন্নাইয়ে(Indian Defence Ministry)
এই চুক্তির আওতায় রাশিয়ান সংস্থ রোসোবারোনএক্সপোর্ট থেকে প্রযুক্তি হস্তান্তর করা হবে ভারতের রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন আর্মার্ড ভেহিক্যালস নিগম লিমিটেডকে। এরফলে চেন্নাইয়ের আভাদিতে অবস্থিত হেভি ভেহিক্যাল কারখানাতে দেশীয়ভাবে এই ইঞ্জিনগুলি তৈরি হবে। মোদি সরকারের এমন উদ্যোগের ফলে ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’ কর্মসূচি আরও গতি পাবে বলেই মনে করা হচ্ছে। দশকের পর দশক ধরে রাশিয়া ভারতের শীর্ষ প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম সরবরাহকারী দেশ। তবে ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে রাশিয়ার সরবরাহ ক্ষমতা বেশ খানিকটা কমেছে।
সম্প্রতি কী বলেছিলেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী?
প্রসঙ্গত, সম্প্রতি দেশের প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং জানিয়েছেন যে, যুদ্ধ সরঞ্জামের স্বনির্ভরতার (Indian Defence Ministry) ক্ষেত্রে ভারত ক্রমশই এগিয়ে চলেছে। তিনি বলেছেন, ‘‘ভারত যুদ্ধ সরঞ্জামের রফতানির দিক থেকেও ক্রমশই এগিয়ে চলেছে। দশ বছর আগে প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে ভারত রফতানি করত ৬০০ কোটি টাকার যুদ্ধ সরঞ্জাম। কিন্তু বর্তমানে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২১ হাজার কোটি টাকা। ২০২৯ ও ২০৩০ সালের মধ্যে প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে ভারত রফতানি করতে পারবে ৫০,০০০ কোটি টাকার যুদ্ধ সরঞ্জাম।’’ অন্যদিকে তথ্য বলছে ২০২৪ থেকে ২০২৯ সালের মধ্যে ভারতের প্রতিরক্ষা খাত প্রতিবছর কুড়ি শতাংশ হারে বৃদ্ধি পাবে। এই সময়ের মধ্যে বিভিন্ন অস্ত্র, গোলাবারুদ, মহাকাশ সরঞ্জাম, ইলেকট্রনিক্স ও নৌ প্রযুক্তিতে ব্যাপক উন্নতি আসবে বলে মনে করা হচ্ছে।
Leave a Reply