মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গত ৫ অগাস্ট থেকেই বাংলাদেশে লাগাতার হিন্দু ধর্মের মানুষের উপর ব্যাপক অত্যাচার করছে ওই দেশের উগ্র মুসলিম এবং ইউনূস প্রশাসন। এবার হিন্দুদের নিরাপত্তা চেয়ে ১ ডিসেম্বর, রবিবার বিশ্ব জুড়ে ইসকনের (ISKCON) পক্ষ থেকে শান্তি এবং সুরক্ষার দবিতে কীর্তন করে প্রতিবাদের ডাক দিয়েছেন কলকাতা ইসকন কার্যালয়ের মুখপাত্র রাধারমণ দাস। তিনি নিজের এক্স হ্যান্ডলে এই বার্তা দিয়ে প্রতিবাদ কর্মসূচির কথা ঘোষণা করেছেন। উল্লেখ্য হিন্দু সন্ন্যাসী চিন্ময় কৃষ্ণ দাসকে মিথ্যা মামলা দিয়ে গ্রেফতার করেছে ইউনূস প্রশাসন। এরপর থেকে ভারত সহ সারা বিশ্বে সমালোচনার ঝড় উঠেছে। আন্তর্জাতিক বিশ্বে মুখ পুড়েছে নোবেল জয়ী ইউনূসের।
১৫০টিরও বেশি দেশের অগুনিত শহরে ধর্ম সভা (ISKCON)
এদিন ইসকনের পক্ষ থেকে বলা হয়, “সারা বিশ্বজুড়ে ১৫০টিরও বেশি দেশের অগুনিত শহরে লক্ষ লক্ষ ইসকন ভক্ত এই প্রতিবাদ প্রার্থনা সভায় যোগদান করবেন। এই সভার একটাই দাবি, বাংলাদেশের হিন্দুদের ধর্ম পালনের নিরাপত্তা চাই। তাই সকল ভক্তদের আবেদন করা হচ্ছে সকলে আসুন। নিজ নিজ ইসকন (ISKCON) মন্দিরে বা ধর্মসভায় যোগদান করে সম্মিলিত ভাবে সংকীর্তনে যোগদান করুন।” আবার ইসকন সম্প্রতি মিথ্যা মামলায় গ্রেফতার চিন্ময় কৃষ্ণ দাস সম্পর্কে বলেছে, “বাংলাদেশে হিন্দুদের অধিকার এবং তাঁদের ধর্মীয় স্থানগুলি রক্ষার জন্য চিন্ময় কৃষ্ণের প্রচেষ্টাকে ইসকন সমর্থন করে। তাঁর থেকে দূরত্ব তৈরি করা হয়নি।”
In over 150 countries and countless cities and towns, millions of ISKCON devotees worldwide will come together this Sunday, 1st December, to pray and chant for the safety and security of Bangladeshi minorities. Please join your local #ISKCON temple or congregation. Hare Krishna! pic.twitter.com/DuqhFtrG6I
— Radharamn Das राधारमण दास (@RadharamnDas) November 29, 2024
আরও পড়ুনঃ ১১৫ বছরের কলেজ ওয়াকফ সম্পত্তি! বারাণসীতে উত্তেজনা, বসল পুলিশ ক্যাম্প
শুক্রবার ৩টি মন্দির ভেঙেছে জামাত-বিএনপি
অপরদিকে, শুক্রবারও বাংলাদেশের চট্টগ্রামে তিনটি হিন্দু মন্দির ভাঙচুর করা হয়। এরপর আতঙ্কিত হিন্দুরা বাড়ি-ঘর ছেড়ে অন্যত্র পালাতে শুরু করেন। শুধু মন্দির নয়, একই ভাবে হিন্দু জনতার দোকান এবং ব্যবসায়িক ক্ষেত্রগুলিকেও ভাঙচুর করা হয়। স্থানীয় হিন্দু জনতার অভিযোগ, জামাতে-ইসলামি এবং বিএনপির মিছিল থেকে আচমকা মন্দিরে হামলা চালানো হয়। ইসকনকে (ISKCON) নিষিদ্ধ করার জন্য দাবিও তোলা হয় ওই মিছিলে। এই এলাকায় প্রায় ৯০ শতাংশ হিন্দু। হিন্দু জনতাকে ভয় দেখিয়ে এলাকা ছাড়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। অনেকেই প্রাণের ভয়ে অন্যত্র আশ্রয় নিতে বাধ্য হয়েছেন।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Whatsapp, Facebook, Twitter, Telegram এবং Google News পেজ।
Leave a Reply