Israel Hamas Conflict: যুদ্ধের মেঘ কাটল মধ্য প্রাচ্যের আকাশে, যুদ্ধবিরতি ইজরায়েল-হামাসের

Israel-Hamas_f

মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: যুদ্ধের মেঘ কাটল মধ্য প্রাচ্যের আকাশে। দীর্ঘ পনের মাস ধরে চলা যুদ্ধে ইতি (Ceasefire) টানল ইজরায়েল ও হামাস (Israel Hamas Conflict)। যুদ্ধবিরতিতে রাজি হয়েছে দুপক্ষই। তবে শর্ত সাপেক্ষে। শর্ত অনুযায়ী, হামাসের হাতে যাঁরা বন্দি রয়েছেন, তাঁদের মুক্তি দিতে হবে। আর ইজরায়েলকে মুক্তি দিতে হবে জেলবন্দি প্যালেস্তাইনিদের।

যুদ্ধবিরতি ঘোষণা (Israel Hamas Conflict)

আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞদের মতে, যুদ্ধ বিরতির যাবতীয় কৃতিত্ব ভাবী মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের। সূত্রের খবর, আপাতত ছ’সপ্তাহের জন্য যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করা হয়েছে। চুক্তি অনুযায়ী, গাজা উপত্যকা থেকে ধীরে ধীরে ইজরায়েলি বাহিনী প্রত্যাহার করা হবে। ইজরায়েলের হাতে আটক প্যালেস্তানীয় বন্দিদের মুক্তির বিনিময়ে হামাসের হাতে আটক ইজরায়েলি বন্দিদের মুক্তি দেওয়া হবে। ইজরায়েল ও কাতারের দুই কর্তা জানান, যুদ্ধবিরতির চুক্তি প্রায় সম্পূর্ণ হয়ে গিয়েছে। তবে খসড়া রূপরেখাটি এখনও চূড়ান্ত অনুমোদন পায়নি। তবে হামাসের পক্ষ আগের চেয়ে এখন অনেকটাই সুর নরম করা হয়েছে। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, ২০ জানুয়ারি মার্কিন প্রেসিডেন্ট পদে শপথ নেবেন ট্রাম্প। রিপাবলিকান এই নেতা ক্ষমতায় এলেই বদলে যাবে আন্তর্জাতিক সমীকরণ। তাই তার আগেই ইজায়েলের সঙ্গে সমঝোতায় আসতে চাইছে হামাস।

ট্রাম্পকে ধন্যবাদ

যুদ্ধবিরতির জন্য ট্রাম্পকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু। ট্রাম্পের সঙ্গে ফোনে কথাও বলেছেন তিনি। ভাবী মার্কিন প্রেসিডেন্টের প্রশংসা করেছেন বিদায়ী মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনও। তিনি বলেন, “ইজরায়েল ও হামাসের মধ্যস্থতায় ডোনাল্ড ট্রাম্পেরও বড় ভূমিকা রয়েছে।” যুদ্ধবিরতি নিশ্চিত করতে ট্রাম্পের দলের সঙ্গে কাজ করেছে তাঁর প্রশাসনও। ট্রাম্পকে ধন্যবাদ জানিয়েছে মার্কিন বিদেশ দফতরও। নেতানিয়াহু অবশ্য জানিয়েছেন, এখনও যুদ্ধবিরতি চুক্তি সই হয়নি। বেশ কিছু পদক্ষেপ নেওয়া বাকি রয়েছে। তবে সংশ্লিষ্ট সব মহলেরই আশা, দ্রুত সম্পন্ন হয়ে যাবে যুদ্ধবিরতি চুক্তি।

আরও পড়ুন: “ভারতীয় রাষ্ট্রের বিরুদ্ধেই লড়ছে কংগ্রেস”, আরএসএসকে নিশানা করতে গিয়ে বললেন রাহুল

প্রসঙ্গত, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর প্রথম ইজরায়েলি সীমান্ত পেরিয়ে হামলা চালিয়েছিল হামাস (Israel Hamas Conflict)। ইজরায়েল ইহুদি রাষ্ট্র। আর হামাসরা মুসলমান। সেদিন এই হামাসরাই ইজরায়েলে ঢুকে হত্যা করেছিল ১২০০ সাধারণ মানুষ ও সেনাকে। অপহরণ করেছিল ২৫০জনকে। এর পরেই প্রত্যাঘাত করে ইজরায়েল। হামাসের ঘাঁটি লক্ষ্য করে চালানো হয় হামলা। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে পরিসর বাড়তে থাকে যুদ্ধের। হামাসের পাশে দাঁড়ায় মুসলিম রাষ্ট্র লেবানন, ইয়েমেন, সিরিয়া এবং ইরান। সেই যুদ্ধেই (Ceasefire) আপাতত দাঁড়ি পড়ল বলেই ধারণা আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞদের (Israel Hamas Conflict)।

 

দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

 

 

Please follow and like us:

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

LinkedIn
Share