মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২০৪০ সালের মধ্যে চন্দ্র অভিযানের জন্য একটি চন্দ্র মহাকাশ স্টেশন (Lunar Space Station) স্থাপন করবে ইসরো। ভারতের জন্য এটি একটি সাহসী পদক্ষেপ হতে চলেছে, যা মহাকাশ গবেষণায় ভারতের সংকল্পকে আরও দৃঢ় করবে বলে সংশ্লিষ্ট মহল মনে করছে।
ক্রুড চন্দ্র মিশন রোডম্যাপ ভারতে
ইসরো (ISRO) সূত্রে খবর, ভবিষ্যতের এই চন্দ্র মহাকাশ স্টেশনটি ভারতের মানব চন্দ্র মিশন (Manned Lunar Mission) রোডম্যাপের তৃতীয় পর্যায় হিসেবে স্থির করা হয়েছে। এই পদক্ষেপকে ভারতের মতো দেশের জন্য মহাকাশ গবেষণার ক্ষেত্রে একটি উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। চন্দ্রযান-৩ মিশনের সাফল্যের পরই ভবিষ্যতের চন্দ্রাভিযানের জন্য পৃথক নিবেদিত চন্দ্র মহাকাশ স্টেশন (Lunar Space Station) তৈরির উদ্যোগ পরিকল্পনার মধ্যে আসে। প্রসঙ্গত, বিশ্বের চতুর্থ দেশ হিসেবে চাঁদের বুকে সফট ল্যান্ডিং করার কৃতিত্ব অর্জন করেছে ভারত। শুধু তাই নয়, বিশ্বের প্রথম দেশ হিসেবে সাফল্যের সঙ্গে চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে অবতরণ করার অনন্য নজির স্থাপন করেছে ভারত।
চন্দ্র অন্বেষণ কর্মসূচিতে তিন-পর্যায়
সম্প্রতি, ভারতের ভবিষ্যতের চন্দ্র অন্বেষণ কর্মসূচির তিন-পর্যায়ের রূপরেখা নির্ধারণ করেছে ইসরো (ISRO)। রোডম্যাপের ধাপগুলি হল—
১) প্রথম ধাপে আসন্ন চন্দ্রযান-৪ মিশনে চাঁদ থেকে নমুনা সংগ্রহ করে পৃথিবীতে ফেরা সহ প্রযুক্তি উন্নয়ন এবং রোবোটিক মিশনের উপর দৃষ্টি নিবদ্ধ করা হয়েছে।
২)দ্বিতীয় ধাপের লক্ষ্য প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নির্দেশ অনুসারে ২০৪০ সালের মধ্যে চাঁদে মানব অবতরণ অর্জন করতে হবে।
৩) তৃতীয় পর্যায়ে চন্দ্র মহাকাশ স্টেশন (Lunar Space Station) স্থাপনে সমাপ্ত করা। এতে ভারতকে মহাকাশ অনুসন্ধানের শীর্ষ স্থানে অবস্থান করবে।
আরও পড়ুনঃ নিমেষে ধ্বংস হবে হাজার কিমি দূরের যুদ্ধজাহাজ, ডিআরডিও-র নয়া মিসাইলের পরীক্ষা শীঘ্রই
স্টেশনে চাঁদের ভূতত্ত্ব অধ্যয়ন হবে (Lunar Space Station)
ইসরোর (ISRO) চন্দ্র মহাকাশ স্টেশনের ফলে বৈজ্ঞানিক গবেষণা, সম্পদের ব্যবহার এবং ভবিষ্যতে গভীর মহাকাশ অভিযানের জন্য একটি সোপান হিসেবে কাজ করবে বলে আশা করা হচ্ছে। এই চন্দ্র স্টেশনটি (Lunar Space Station) চাঁদের ভূতত্ত্ব অধ্যয়ন, নতুন প্রযুক্তি পরীক্ষা এবং পৃথিবীর কক্ষপথে গবেষণার নানা প্রস্তুতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। পৃথিবীর কক্ষপথে ভারতের প্রথম মহাকাশ স্টেশন ২০৩৫ সালের মধ্যে স্থাপনের জন্য নির্ধারণ করা হয়েছে। এই পৃথিবীর-কক্ষপথে স্টেশনটি প্রয়োজনীয় প্রযুক্তি এবং সিস্টেমগুলির জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ টেস্টবেড হিসাবে কাজ করবে।
নেক্সট জেনারেশন লঞ্চ ভেহিকেল-এর লক্ষ্য
ইসরোর (ISRO) এই পরিকল্পনা চাঁদ নিয়ে গবেষণার নানা দিককে উন্মোচন করবে। গোটা বিশ্ব এই মিশনের দিকে তাকিয়ে রয়েছে। ইতিমধ্যে বেশ কয়েকটি দেশ এবং বেসরকারি সংস্থাগুলিও চাঁদের অভিযানের পরিকল্পনার কথা ঘোষণা করেছে। ইসরো নেক্সট জেনারেশন লঞ্চ ভেহিকল (এনজিএলভি) এবং উন্নত জীবন ব্যবস্থা সহ মূল প্রযুক্তিগুলিকে বিকাশ ঘটানোর লক্ষ্যে কাজ করে চলেছে। এই গবেষণাগুলি শুধুমাত্র চাঁদের জন্যই নয়, ভারতের বৃহত্তর মহাকাশ অনুসন্ধানের (Lunar Space Station) ক্ষেত্রেও ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ হবে বলে মনে করা হচ্ছে।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Whatsapp, Facebook, Twitter, Telegram এবং Google News পেজ।
+ There are no comments
Add yours