JMB: খাগড়াগড়কাণ্ডে ধৃতকে বহরমপুর জেলে জেরা অসম এসটিএফ-এর, জেএমবি-এবিটির যোগ কতটা?

JMB

মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: খাগড়াগড় বিস্ফোরণকাণ্ডে (Khagragarh Blast) ধৃতকে জেরা করতে বহরমপুর জেলে অসম এসটিএফ। অভিযুক্ত তারিকুল ইসলাম ওরফে সুমনকে জেরা করছেন এসটিএফের সদস্যরা। সাম্প্রতিককালে, পশ্চিমবঙ্গ-সহ একাধিক রাজ্য থেকে যে জঙ্গি (JMB) ধরপাকড় করা হচ্ছে তাতে বারবার প্রশ্ন উঠছে খাগড়াগড় প্রসঙ্গ। গোয়েন্দা সূত্রে খবর, ওই বিস্ফোরণের সঙ্গে যুক্ত অভিযুক্তরা আরও বিরাট নাশকতামূলক ষড়যন্ত্র করছে। পরিকল্পনাকে বাস্তবায়িত করতে জেলে বসেই নাকি ছক কষছে তারা। আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের সঙ্গে খাগড়াকাণ্ডে ধৃত জামাতুল মুজাহিদিন বাংলাদেশ বা জেএমবি-র কী সম্পর্ক, তাদের নেটওয়ার্কের  নাড়ি নক্ষত্র জানতে তারিকুলকে জেরা করছেন গোয়েন্দারা। শোনা যাচ্ছে, তারিকুলকে নিজেদের হেফাজতে নেওয়ার আবেদনও জানাতে পারে অসম পুলিশ। এই খবরে রীতিমতো শোরগোল পড়ে গিয়েছে।

খাগড়াগড়ের জঙ্গিরা ষড়যন্ত্রে সংযুক্ত (JMB)?

সূত্রে জানা গিয়েছে, রাজ্যে বাংলাদেশি জঙ্গিদের (Khagragarh Blast) প্রত্যক্ষ মদতে একটি বড় পরিকল্পনা করা হয়েছে। এই ঘটনায় খাগড়াগড়ের জঙ্গিরা ষড়যন্ত্রে সংযুক্ত রয়েছে বলে জানা গিয়েছে। এই গোটা ঘটনার মধ্যে প্রধান অভিযুক্তদের মধ্যে রয়েছে তারিকুল। মাত্র কয়েকদিন আগেই আনসারুল্লাহ বাংলা টিম বা এবিটি-র বেশ কিছু জঙ্গিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এখনও পর্যন্ত ধৃতদের জেরা করে জানা গিয়েছে, জেলবন্দি তারিকুলই (JMB) জেল থেকে বিভিন্ন সময়ে নির্দেশ দেওয়ার কাজ করত। আবার ধৃত আব্বাস আলির সঙ্গেও একাধিকবার কথা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। বাংলায় নাশকতা মূলক ছক অব্যাহত রাখেছে বলে মনে করছে গোয়েন্দা সংস্থা।

জেএমবি-র সঙ্গে কীভাবে সমন্বয়ে রেখে কাজ করত?

মুর্শিদাবাদের জঙ্গি (JMB) সন্দেহে হরিহরপাড়া থেকে প্রথমে গ্রেফতার করা হয়েছে আব্বাস আলি ও মিনারুল শেখকে। এরপর নওদা থেকে জঙ্গি সন্দেহে গ্রেফতার হয় সাজিবুল ইসলাম ও মোস্তাকিম শেখকে। আনসারুল্লাহ বাংলা টিম জেএমবি-র সঙ্গে কীভাবে সমন্বয়ে রেখে কাজ করত, সেই সব বিষয়ে জানতে চাইছেন গোয়েন্দারা। আবার  রাজ্যের একাধিক জেলে জামাতুল মুজাহিদিন বাংলাদেশ (জেএমবি) এবং এবিটি-র বেশ কয়েকজন জঙ্গি বন্দি রয়েছে। তাদের মধ্যে বেশ কিছু বাংলাদেশের জঙ্গিরাও রয়েছে। গোয়ান্দা সূত্রে খবর, তারিকুলের সঙ্গে মুর্শিদবাদ থেকে ধৃত এবিটি সদস্য মনিরুল শেখ আব্বাস আলির যোগাযোগের প্রমাণ মিলেছে। তা থেকেই স্পষ্ট, জেলে বন্দি ওই জঙ্গিরা তাদের সংগঠনের কাজে খুব সক্রিয় ছিল। তাই এবার তারিকুলকে (Khagragarh Blast) এবার হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করতে চাইছে অসম এসটিএফ।  

 

দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

Please follow and like us:

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

LinkedIn
Share