মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কাশ্মীরে (Kashmir) তাপপ্রবাহ ব্যাপক আকার ধারণ করেছে। জুলাই মাসে তাপমাত্রা (Heat wave) ৪০ ডিগ্রির কাছাকাছি পৌঁছে গিয়েছে। উপত্যকার পরিস্থিতি এমন রূপ নিয়েছে যে ছোটদের স্কুল বন্ধ করার নির্দেশ দিয়েছে প্রশাসন। আগামী দুদিন পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত পড়ুয়াদের স্কুল বন্ধ থাকবে। তবে এই গরমে নাজেহাল কাশ্মীর। প্রভাব পড়েছে পর্যটন কেন্দ্রগুলিতেও। মৌসম ভবন জানিয়েছে, আগামী দুদিনের মধ্যে বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। বৃষ্টি হলে কিছুটা গরম কমবে বলে মনে করা হচ্ছে। তবে কয়েক বছর ধরে তুষারপাত কমে যাওয়া এবং তাপমাত্রার অস্বাভাবিক বৃদ্ধির কারণে জলবায়ুর বিরাট পরিবর্তন হওয়ার ইঙ্গিত দিয়ে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন বিজ্ঞানীরা।
২৯ এবং ৩০ জুলাই স্কুল বন্ধ (Kashmir)
কাশ্মীর প্রশাসনের পক্ষ থেকে রবিবার একটি নির্দেশিকা জারি করে বলা হয়েছে, প্রচণ্ড গরমের (Heat wave) কারণে ২৯ এবং ৩০ জুলাই কাশ্মীরে ছোটদের সমস্ত ক্লাস বন্ধ রাখা হবে। পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত শিশুদের স্কুলে এই নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। তবে স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষিকা এবং অশিক্ষক কর্মচারীরা স্কুলে যাবেন। তাঁদের জন্য ছুটি থাকছে না। এই নির্দেশিকা সরকারি এবং বেসরকারি সমস্ত স্কুলের জন্য কার্যকর থাকবে। রবিবার রাজ্যের মধ্যে কাজিগুন্ড এলাকার তাপমাত্রা ছিল ৩৫.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ১৯৮৮ সালের ১১ জুলাই সেখানকার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৪.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। অন্যদিকে, কোকেরনাগের তাপমাত্রা হয়েছিল ৩৪.১ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। এবছর জুলাই মাসের ৩ তারিখে সেখানকারই তাপমাত্রা ছিল ৩৩.৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
আরও পড়ুনঃ পাহাড়ি লবণ বিক্রি করেই কোটিপতি! ব্যবসায় নতুন দিশা দেখাচ্ছেন তিন বন্ধু
১৯৪৬ সালে তাপমাত্রা ছিল ৩৮.৩ ডিগ্রি
বিগত কয়েকদিন ধরে কাশ্মীরে (Kashmir) একটানা ৩৩ ডিগ্রি সেলসিয়াসের বেশি তাপমাত্রা লক্ষ্য করা গিয়েছে। কিন্তু রবিবার তা ছাপিয়ে গিয়ে ৩৬.২ ডিগ্রিতে পৌঁছেছে। এই চলতি মরসুমে যা সর্বোচ্চ। তবে সাধারণত কাশ্মীরে জুলাই মাসে এত তাপমাত্রা দেখা যায় না। শেষবার জুলাই মাসে কাশ্মীরে তাপমাত্রা ৩৬ ডিগ্রিতে পৌঁছেছিল ১৯৯৯ সালে। ফলে গত ২৫ বছরের নিরিখে ফের একবার দেখা গেল এই পর্যায়ের তাপমাত্রা। ১৯৯৯ সালের ৯ জুলাই তপমাত্রা হয়েছিল ৩৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। অতীতে ১৯৪৬ সালে সবচেয়ে বেশি তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছিল ৩৮.৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস (Heat wave)। তবে কাশ্মীরে সারা বছর তাপমাত্রা ৩০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে থাকে। জুলাই মাসে সাধারণত বেশি থাকে। এই সময় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা থাকে ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং সর্বোচ্চ থাকে ৩২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আবার ডিসেম্বর-জানুয়ারি মাসে উপত্যকায় তাপমাত্রা পৌঁছে যায় -১৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Whatsapp, Facebook, Twitter, Telegram এবং Google News পেজ।
+ There are no comments
Add yours