মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চতুর্থদফা ভোটের আগের রাতেই খুন এক ব্যক্তি। ঘটনা ঘটেছে বর্ধমানের কেতুগ্রামে। যদিও এই এলাকা বোলপুর লোকসভার অধীনে। মৃত ব্যক্তি তৃণমূল কর্মী ছিলেন বলে পরিচিত। অবশ্য মৃতের পরিবারের দাবি তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দলে খুন করা হয়েছে। অপর দিকে পাল্টা তৃণমূলের দাবি, খুনের পিছনে সিপিএম-এর হাত রয়েছে। উল্লেখ্য গত পঞ্চায়েত এবং বিধানসভা নির্বাচনে রাজনৈতিক হিংসায় উত্তপ্ত হয়ে উঠেছিল এই কেতুগ্রাম (Ketugram Murder), মঙ্গলকোট এলাকা। এই রাজ্য ভোটকে ঘিরে রাজনৈতিক হিংসা থামার কোনও লক্ষণই দেখা যাচ্ছে না।
মৃত ব্যক্তির পরিচয় কী (Ketugram Murder)
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ভোটের আগের দিন রাতে এই তৃণমূল কর্মীকে প্রথমে বোমা মেরে আহত করা হয়। এরপর মৃত্যু নিশ্চিত করতে কুপিয়ে খুন করা হয়। তবে অভিযোগের তির তৃণমূলের অপর আরেক গোষ্ঠীর দিকে। ঘটনা ঘটেছে কেতুপুরগ্রামের (Ketugram Murder) আনখোনা গ্রাম পঞ্চায়েতের চেঁচুরি গ্রামে। নিহত ব্যক্তির নাম মিন্টু শেখ (৪৫)। এলাকায় ব্যাপক উত্তেজনা শুরু হয়। পরিস্থিতি সামাল দিতে বিশাল পুলিশ বাহিনী এসে উপস্থিত হয়।
তৃণমূলের বক্তব্য
স্থানীয় (Ketugram Murder) তৃণমূল নেতৃত্বের দাবি, সন্ধ্যার সময় পাশের সুদিপুর গ্রামে তৃণমূলের নির্বাচনী কাজে গিয়েছিলেন মিন্টু। একজন সঙ্গীকে নিয়ে বাইকে করে ফিরছিলেন। এরপর বেশ কিছু জন বাইক নিয়ে তাঁর উপর চড়াও হয়। এরপর বোমা মেরে আহত করা হয় মিন্টুকে এবং তারপর ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপানো হয়। যেহেতু তিনি ভোটের কাজে অত্যন্ত সক্রিয় ছিলেন তাই তাঁকে টার্গেট করে খুন করা হয়েছে। খুনের পিছনে রয়েছে সিপিএম।
আরও পড়ুনঃআজ চতুর্থ দফায় রাজ্যে কোন কোন কেন্দ্রে ভোট, প্রার্থী কারা? জেনে নিন
পরিবারের বক্তব্য
মৃত মিন্টু শেখের স্ত্রী তুহিনা বলেন, “তৃণমূলের গোষ্ঠীকোন্দলে খুন (Ketugram Murder) করা হয়েছে আমার স্বামীকে। খুনের সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন এলাকার তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতি। লোক লাগিয়ে তাঁকে খুন করানো হয়েছে।” আবার মিন্টুর ভাগ্নে বলেন, “পাঁচটা বোমা মারা হয়েছে। আমি যখন খবর পেয়েছি তখনও শরীরে প্রাণ ছিল। রক্তাক্ত অবস্থায় পড়েছিল। মুখে জল দিতেই সব শেষ হইয়ে গেল। অপর আরেক জন যে সঙ্গে ছিলেন তাঁকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না।”
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Whatsapp, Facebook, Twitter, Telegram এবং Google News পেজ।
+ There are no comments
Add yours