মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ৪০ থেকে ৪৫ কোটি তীর্থযাত্রী হাজির হতে পারেন মহাকুম্ভে (Mahakumbh 2025), এমনটাই অনুমান প্রশাসনের। ২০২৫ সালে প্রয়াগরাজের (Prayagraj) মহাকুম্ভকে ঘিরে প্রস্তুতি তুঙ্গে। মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের নেতৃত্বে কুম্ভমেলার প্রশাসন অবিরতভাবে কাজ করে চলেছে, পৃথিবীর অন্যতম বড় এই ইভেন্টকে সাফল্যমণ্ডিত করার জন্য। তীর্থযাত্রীদের থাকা-খাওয়ার ব্যবস্থা, যাতায়াত থেকে শুরু করে নিরাপত্তা- এই সমস্ত কিছুরই প্রস্তুতি চলছে অত্যন্ত খুঁটিনাটিভাবে।
সেজে উঠছে মেলা প্রাঙ্গণ (Mahakumbh 2025)
কুম্ভমেলা প্রাঙ্গণে গড়ে উঠছে একের পর এক দোকান। এই দোকানগুলিতেই মিলবে পুজো-অর্চনার বিভিন্ন সামগ্রী। একেবারে রুদ্রাক্ষ-তুলসী মালা থেকে অক্ষর পঞ্জিকা— সব কিছুই মিলবে কুম্ভমেলা প্রাঙ্গণে (Mahakumbh 2025)। বেশিরভাগ পুজোর সামগ্রী নিয়ে আসা হয়েছে নেপাল, উত্তরাখণ্ড, বারাণসী, মথুরা, বৃন্দাবন এবং দিল্লি থেকে। সম্মিলিত প্রচেষ্টার মাধ্যমেই পৃথিবীর অন্যতম এই বড় ইভেন্টকে সাফল্যমণ্ডিত করার চেষ্টা করা হচ্ছে।
গোরক্ষপুরের গীতা প্রেস স্বল্পমূল্যে বই বিক্রি করবে
এর পাশাপাশি, সেখানে বিভিন্ন ধর্মীয় বইও কিনতে পাওয়া যাবে। গোরক্ষপুরে অবস্থিত গীতা প্রেস কুম্ভমেলা প্রাঙ্গণে (Mahakumbh 2025) অত্যন্ত স্বল্প মূল্যে বিক্রি করবে রামচরিত মানস, ভাগবত গীতা, শিব পুরাণ, বিভিন্ন ভজন ইত্যাদি। মেলা প্রাঙ্গণে মিলবে আরতি সামগ্রী থেকে পুরোহিতদের ব্যবহারের জন্য তামার তৈরি নানা পাত্র। এসব কিছুই আনা হয়েছে মোরাদাবাদ এবং বারাণসী থেকে।
একমাস ধরে সাধু-সন্ত ও ভক্তরা পালন করনে কল্পবাস
সাধু-সন্ত এবং ভক্তরা এই মেলা প্রাঙ্গণে (Mahakumbh 2025) এক মাস ধরে পালন করবেন কল্পবাস। এই সময় তাঁদের যাতে কোনও অসুবিধা না হয়, সেজন্য সমস্ত কিছু সংস্থানও রাখা হচ্ছে। হোম যজ্ঞের সামগ্রী, আসন, গঙ্গাজল, খাবার প্লেট- এই সমস্ত কিছুই মজুদ রাখা হয়েছে মেলা প্রাঙ্গণে। একই সঙ্গে প্রয়াগরাজের (Prayagraj) হোটেল, রেস্টুরেন্ট, বিভিন্ন ফুড স্টলগুলিতেও তুঙ্গে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Whatsapp, Facebook, Twitter, Telegram এবং Google News পেজ।
Leave a Reply