Supreme Court: ইডি-সিবিআইয়ের অপব্যবহারের অভিযোগে বিরোধীদের করা আর্জি খারিজ সুপ্রিম কোর্টে

কোনও নির্দিষ্ট উদাহরণ নিয়ে শুনানি চলতে পারে। কিন্তু সার্বিকভাবে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার অপব্যবহার নিয়ে মামলার শুনানি ও রায়দান সম্ভব নয়...
supreme
supreme

মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court) মুখ পুড়ল বিরোধীদের। ইডি (ED) ও সিবিআইকে (CBI) হাতিয়ার করে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী এই দুই সংস্থার অপব্যবহারের অভিযোগ তুলে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে পিটিশন দায়ের করেছিল দেশের ১৪টি বিজেপি বিরোধী রাজনৈতিক দল। বুধবার বিরোধীদের সেই পিটিশন খারিজ করে দিল দেশের শীর্ষ আদালত। এদিন প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের নেতৃত্বাধীন সুপ্রিম কোর্টের বেঞ্চ বলেছে, কোনও নির্দিষ্ট উদাহরণ নিয়ে শুনানি চলতে পারে। কিন্তু সার্বিকভাবে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার অপব্যবহার নিয়ে মামলার শুনানি ও রায়দান সম্ভব নয়। আবেদনকারী (Supreme Court) পক্ষের আইনজীবী অভিষেক মনু সিংভিকে প্রধান বিচারপতি বলেন, যখন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার অপব্যবহার নিয়ে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ আনতে পারবেন, তখন আবার আসবেন।

সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court) আবেদন...

প্রসঙ্গত, ২৪ মার্চ দেশের শীর্ষ আদালতে মামলা দায়ের করেছিল দেশের ১৪টি বিরোধী দল। কংগ্রেসের পাশাপাশি তাতে ছিল তৃণমূল, আপ, বাম, সমাজবাদী পার্টি, আরজেডি এবং বিআরএস-ও। এদিন আদালতে (Supreme Court) বিরোধীদের তরফে আইনজীবী মনু সিংভি জানান, বিরোধী নেতাদের বিরুদ্ধে ইডি তদন্ত শুরু করেছে, তাদের মধ্যে মাত্র ২৩ শতাংশ ক্ষেত্রে চার্জশিট দাখিল করা হয়েছে। ২০০৫ থেকে ২০১৪ সালের মধ্যে ইডি তদন্তাধীন ৯৩ শতাংশ রাজনীতিবিদের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করেছিল। ২০১৪ সালের পর থেকে সিবিআই ও ইডি যে রাজনৈতিক নেতাদের বিরুদ্ধে তদন্ত করছে, তাঁদের ৯৫ শতাংশই বিরোধী দলের নেতা। অথচ ইউপিএ সরকারের সময় যে ৭২ জন রাজনৈতিক নেতার বিরুদ্ধে তদন্ত করছিল সিবিআই, তাদের মধ্যে ৪৩ জন বিরোধী দলের।

আরও পড়ুুন: রাত পোহালেই হনুমান জয়ন্তী, অশান্তি রুখতে রাজ্যগুলিকে নির্দেশিকা কেন্দ্রের

শীর্ষ আদালত জানায়, মামলার আবেদনে লেখা হয়েছে, কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাগুলিকে কাজে লাগিয়ে সামগ্রিক রাজনৈতিক বিরোধিতা ও অন্যান্য সরব কণ্ঠস্বরকে ধ্বংস করা, দীর্ঘ দিনের জন্য তাদের জেলে বন্দি করার একটি স্পষ্ট নকশা দেখা যাচ্ছে। পাশাপাশি, মাঝেমধ্যেই ভয়াবহ আইন তৈরি করা হচ্ছে যাতে জামিন পাওয়া কার্যত অসম্ভব হয়ে যায়। প্রসঙ্গত, সিবিআই এবং ইডির অতিসক্রিয়তা নিয়ে প্রধানমন্ত্রী মোদিকে চিঠি লিখেছিলেন বিরোধী শাসিত রাজ্যগুলির মুখ্যমন্ত্রী সহ ৮টি বিরোধী দলের ৯ জন  নেতা। ওই চিঠিতে তৃণমূল কংগ্রেস সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, বিআরএস প্রধান কে চন্দ্রশেখর রাওয়ের মতো নেতারা স্বাক্ষর করলেও, কংগ্রেসের কারও সই ছিল না।

দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

Share:

Facebook
Twitter
WhatsApp
LinkedIn

You may also like

+ There are no comments

Add yours

Recent Articles