মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মদ্যপ স্বামীর অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে স্ত্রী বার বার মায়ের কাছে নালিশ জানিয়েছিলেন। বহুবার দুই বাড়ির লোকজন বসে সমস্যা মেটানোর চেষ্টা করেছিলেন। শাশুড়ি নিজে জামাইয়ের হাত ধরে মেয়ের ওপর অত্যাচার না করার জন্য বহুবার অনুরোধ করেছিলেন। কিন্তু, বাস্তবে কাজের কাজ হয়নি। বরং, দিনের পর দিন মেয়ের ওপর অত্যাচারের মাত্রা বেড়েই যাচ্ছিল। গুণধর জামাইকে শিক্ষা দিতে এবার অনুরোধ, কাকতি-মিনতির পথে না হেঁটে ধারাল অস্ত্র দিয়ে জামাইয়ের কান কেটে নেওয়ার অভিযোগ উঠল শাশুড়ির বিরুদ্ধে। মালদহের (Malda) ইংরেজবাজার থানার নিমাইসরাই এলাকায় এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে।
ঠিক কী ঘটেছিল?
আক্রান্ত জামাইয়ের নাম সুনীল চৌধুরী। আর অভিযুক্ত শাশুড়ির নাম নিতলা চৌধুরী। পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, বেশ কয়েক বছর আগে সুনীল চৌধুরীর সঙ্গে নিতলাদেবীর মেয়ে দুর্গার বিয়ে হয়। দুর্গা চার সন্তানের মা। দীর্ঘদিন ধরেই মদ্যপ অবস্থায় বাড়ি এসে সন্তানদের সামনে সে স্ত্রীর ওপর শারীরিক ও মানসিক অত্যাচার করত বলে অভিযোগ। এই নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই দুই পরিবারের মধ্যে গণ্ডগোল লেগেই থাকতো। দুই পরিবারের লোকজন বার বার বৈঠক করেও কোনও কাজ হয়নি। রবিবার সুনীলবাবু মদ্যপ অবস্থায় বাড়ি এসে ফের স্ত্রীকে গালিগালাজ করতে থাকে। স্ত্রী তাকে চুপ করার জন্য অনুরোধ করেন। কিন্তু, তাতে কাজের কাজ কিছুই হয়নি। উলটে স্ত্রীর উপর চড়াও হওয়ার জন্য সে উদ্যত হয়। এসব যখন চলছে তখন বাড়িতে সুনীলবাবুর শাশুড়ি ছিলেন। গুণধর জামাইকে শিক্ষা দিতে প্রথমে তাকে লাঠিপেটা করেন তিনি। পরে, ধারাল অস্ত্র দিয়ে জামাইয়ের কান কেটে নেন। কান দিয়ে ঝর ঝর করে রক্ত বের হতেই জামাইয়ের নেশা ছুটে যায়। তিনি চিত্কার করে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। আশপাশের প্রতিবেশীরা ছুটে এসে তাঁকে উদ্ধার করে মালদহ (Malda) মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন।
কী বললেন গুণধর জামাই?
সুনীলবাবু বলেন, নেশা করে বাড়ি গিয়েছিলাম। সঙ্গে মিষ্টি নিয়ে গিয়েছিলাম। ভাত খেতে দেয়নি। এনিয়ে একটু বচসা হতেই প্রথমে স্ত্রী মারধর করে। পরে, শাশুড়ি এসে আমার উপর চড়াও হয়। আমার কান কেটে দেয়। এভাবে আমার ওপর হামলা চালাবে ভাবতে পারিনি। এই ঘটনার পর থেকে আমি আতঙ্কে রয়েছি। ইতিমধ্যেই থানায় অভিযোগ দায়ের করেছি। পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনার তদন্ত শুরু করা হয়েছে।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।
+ There are no comments
Add yours