মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পঞ্চায়েত ভোট ঘোষণার পর থেকেই রাজ্যে রাজনৈতিক হিংসার ঘটনা ঘটেই চলেছে। রাজ্যে একাধিক বিজেপি (BJP) কর্মী খুন হয়েছেন। ভোট পর্ব শেষ হওয়ার পরও বিজেপি নেতার মৃত্যু ঘটনা ঘটেই চলেছে। এবার ফের বিজেপি নেতার রহস্য মৃত্যু ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়াল কল্যাণীতে। শনিবার কল্যাণীর একটি হোটেল থেকে বিজেপি নেতার দেহ উদ্ধার হয়। পুলিশ জানিয়েছে, মৃতের নাম সুদীপ ঘোষ। তাঁর বাড়ি গুড়াপের গুরবাড়ি এলাকায়। তিনি বিজেপির ধনেখালি-২ মণ্ডলের সভাপতি ছিলেন। বিজেপি নেতৃত্বের দাবি, কোনও আত্মহত্যা নয়, তাঁকে খুন করা হয়েছে। জেলা পুলিশের এক আধিকারিক বলেন, মৃতদেহ ইতিমধ্যেই ময়না তদন্তে পাঠানো হয়েছে। ঘটনার তদন্ত শুরু করা হয়েছে।
ঠিক কী ঘটেছিল?
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, গত দুদিন আগে কল্যাণীর একটি বেসরকারি হোটেলে বিজেপি (BJP) নেতা ঘর ভাড়া নেন। এরপরে তাঁর ঝুলন্ত দেহ দেখতে পান হোটেলের কর্মীরা। তারপর তাকে উদ্ধার করে সেখান থেকে কল্যাণী জহরলাল নেহেরু মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানেই চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা করেন। কী কারণে তার মৃত্যু হল তা নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে কল্যাণী থানার পুলিশ। হোটেলের ম্যানেজার সুব্রত মণ্ডল বলেন, ৩ তারিখ তিনি হোটেলের একটি ঘর ভাড়া নিয়েছিলেন। সেখানেই শুক্রবার সন্ধ্যায় এক মহিলা তাঁর সঙ্গে দেখা করতে আসেন। তাঁর বাড়ি চাকদার আলাইপুর এলাকায়। বেশ কিছুক্ষণ হোটেলে থেকে তিনি বেরিয়ে যান। পরে, সুদীপবাবুও বাইরে বের হন। বাইরে থেকে থেকে খাওয়া দাওয়া করে রাতে সুদীপবাবু হোটেলে ফেরেন। রাতে তিনি কিছু খাননি। অনেক রাতে হোটেল কর্মী ঘরের মধ্যে থেকে তাঁর ঝুলন্ত দেহ দেখতে পান। পরে, পুলিশে খবর দেওয়া হয়।
কী বললেন বিজেপি (BJP) নেতৃত্ব?
বিজেপির (BJP) হুগলি সাংগঠনিক জেলার সহ সভাপতি জয়রাজ পাল বলেন, সুদীপ অত্যন্ত ভাল সংগঠক। ধনেখালিতে তৃণমূলের বিরুদ্ধে তিনি লড়াই করেছেন। তাঁর মতো লড়াকু ছেলে আত্মহত্যা করতেই পারে না। গভীর রাতে হোটেল কর্মীরা পুলিশে খবর দেন। বন্ধ দরজা ভেঙে হোটেল কর্মীরা তাঁকে উদ্ধার করে। পুলিশ আসার আগেই ওরা এসব করেছে। ফলে, বোঝাই যাচ্ছে, এই ঘটনার মধ্যেই রহস্য রয়েছে। আমাদের আশঙ্কা তাঁকে খুন করা হয়েছে। আমরা এই ঘটনার নিরপেক্ষ তদন্ত দাবি করছি।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।
+ There are no comments
Add yours