Blog

  • Déjà Vu: শ্রীলঙ্কা, বাংলাদেশের পর এবার নেপাল, দুবাই পালানোর প্রস্তুতি অলির!

    Déjà Vu: শ্রীলঙ্কা, বাংলাদেশের পর এবার নেপাল, দুবাই পালানোর প্রস্তুতি অলির!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শ্রীলঙ্কা, বাংলাদেশের পর এবার উত্তপ্ত ভারতের আরও এক পড়শি দেশ নেপাল (Déjà Vu)। প্রধানমন্ত্রী পদে ইস্তফা দিয়েছেন কেপি শর্মা অলি। আন্দোলন দমন করতে গিয়ে নিহত হন ১৯জন তরুণ (Nepal)। আন্দোলনকারীদের রোষের আগুনে পুড়ে খাক হয়ে গিয়েছে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী পুষ্পকমল দহাল ওরফে প্রচণ্ডর বাড়ি। ভাঙচুর করা হয়েছে শের বাহাদুর দেউবার বাড়ি। পদত্যাগ করতে বাধ্য করা হয়েছে তাঁর তিন মন্ত্রীকে।

    দুবাই পালানোর প্রস্তুতি! (Déjà Vu)

    জানা গিয়েছে, চিকিৎসার নাম করে দেশ ছেড়ে দুবাই পালানোর প্রস্তুতি নিচ্ছেন সদ্য প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী অলি। আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞদের মতে, দক্ষিণ এশিয়ায় এই দৃশ্য নতুন নয়। ২০২২ সালে এমন আন্দোলন শুরু হয় দ্বীপরাষ্ট্র শ্রীলঙ্কায়। তার ঠিক দুবছর পরে আন্দোলনকারীদের চাপের কাছে নতি স্বীকার করে প্রধানমন্ত্রী পদে ইস্তফা দিয়ে বাংলাদেশ ছাড়তে বাধ্য হয়েছেন আওয়ামি লিগ নেত্রী শেখ হাসিনা। এই নাটকেরই তৃতীয় অঙ্ক শুরু হয়েছে নেপালে।

    প্রথমে আগুন জ্বলে শ্রীলঙ্কায়

    ২০২২ সালের জুলাই মাসে প্রথম বিক্ষোভের আগুন জ্বলতে শুরু করল শ্রীলঙ্কায়। বিক্ষোভকারীরা প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপক্ষের সরকারি বাসভবনে ঢুকে তাঁকে নিরাপদ স্থানে পালিয়ে যেতে বাধ্য করে। তাঁর পুলে শ্রীলঙ্কাবাসীর সাঁতার কাটার ছবি এবং তাঁর রান্নাঘরে রান্না করার দৃশ্য বিশ্বজুড়ে চর্চার বিষয় হয়ে ওঠে। ওই দিনই প্রধানমন্ত্রী রনিল বিক্রমসিংহের বাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেয় বিক্ষোভকারীরা। “আরাগালয়া” (সংগ্রাম) আন্দোলন শ্রীলঙ্কার দেউলিয়া পরিস্থিতির মধ্যে একটি রাজনৈতিক রাজবংশের পতন ঘটিয়ে পদত্যাগ করতে বাধ্য করে দুই নেতাকে।

    “বাংলা স্প্রিং”

    দুবছর পরে ২০২৪ সালের অগাস্টে বাংলাদেশ তার নিজস্ব “বাংলা স্প্রিং”-এর সাক্ষী হল। প্রতিবাদের সূত্রপাত হয়েছিল একটি বিতর্কিত চাকরির কোটা ব্যবস্থার বিরুদ্ধে ছাত্র আন্দোলন হিসেবে। দ্রুত তা দেশব্যাপী হিংসায় পরিণত হয়। ৫ অগাস্ট পতাকা হাতে প্রতিবাদকারীরা স্লোগান দিয়ে চিৎকার করছিল, দখল নেওয়া ট্যাংকের ওপরে উঠে নাচছিল এবং শেষমেশ শেখ হাসিনার সরকারি বাসভবনে ঢোকে। তার আগেই অবশ্য বাংলাদেশ ছেড়ে ভারতে পালিয়ে আসেন হাসিনা। সেনাপ্রধান ওয়াকার উজ জামান তাঁর পদত্যাগ নিশ্চিত করেন। দেশের রাশ হাতে যায় অন্তর্বর্তী সরকারের। জানা গিয়েছে, হাসিনার হেলিকপ্টার আগরতলায় অবতরণ করে। কারণ নয়াদিল্লি তাঁকে জরুরি প্রবেশের অনুমোদন দিয়েছিল। প্রতিবাদকারীরা তাঁর বাসভবন ভেঙে লুটপাট করে সমস্ত জিনিসপত্র। ঘটনাটিকে তারা “অবৈধভাবে নাগরিক হত্যা আদেশ জারি করার স্থান থেকে প্রাসাদ পুনঃঅধিকার” বলে অভিহিত করল। হিংসার মাত্রা ছিল আকাশ ছোঁওয়া। মাত্র এক রবিবারেই ৯১ জন নিহত হন। জুলাই মাসে আন্দোলন শুরু হওয়ার পর অগাস্টের প্রথম দিকে অন্তত ৩০০ জনের মৃত্যু হয় (Nepal)। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে থাকেন হাসিনার ছেলে সাজীব ওয়াজেদ জয়। তিনি নিরাপত্তা বাহিনীকে অনুরোধ করেন তাঁর মায়ের ১৫ বছরের সরকারের পতন রোধ করার জন্য। ফেসবুকে তিনি লেখেন, “আপনাদের আমাদের মানুষ ও দেশকে নিরাপদ রাখতে হবে এবং সংবিধান রক্ষা করতে হবে।” যদিও সেনা ২০০৭ সালের মতো অন্তর্বর্তী সরকার প্রতিষ্ঠা করে। সেবারের মতো এবারও বেছে নেয় জনতার পাশে দাঁড়ানোর পথ (Déjà Vu)।

    নেপালেও শ্রীলঙ্কা, বাংলাদেশের প্রতিধ্বনি!

    ফেরা যাক ২০২৫ সালে। কাঠমাণ্ডুতে (নেপালের রাজধানী) এখন ঝংকৃত হচ্ছে কলম্বো (শ্রীলঙ্কার রাজধানী) ও ঢাকার (বাংলাদেশের রাজধানী) সুর। প্রতিবাদকারীরা শীর্ষ নেতাদের বাড়িতে আগুন লাগিয়ে দিয়েছে, কারফিউ ভেঙেছে। দুর্নীতি ও স্বৈরশাসনের বিরুদ্ধে স্লোগান দিয়ে উত্তাল করেছে দেশ। অলি, যাঁকে এক সময় অটল মনে করা হত, তিনিও এখন হাসিনা এবং রাজাপক্ষের মতো কোণঠাসা হয়ে গিয়েছেন। দক্ষিণ এশিয়ার এই তিন দেশেই আন্দোলনের সূত্রপাত মূলত এক। শ্রীলঙ্কায় এর সূচনা হয়েছিল অর্থনৈতিক দেউলিয়া থেকে, বাংলাদেশে তা ছিল বিতর্কিত চাকরি কোটা ব্যবস্থা, আর নেপালে সোশ্যাল মিডিয়ায় হঠাৎ নিষেধাজ্ঞা (Nepal)। এই তিনটি দেশের অশান্তিতে অভূতপূর্ব দৃশ্য তৈরি হয়েছিল। কলম্বোয় প্রেসিডেন্সিয়াল প্যালেস আক্রমণ, ঢাকায় শেখ হাসিনার বাসভবনে লুটপাট, এবং ভক্তপুরে কেপি শর্মা ওলির বাড়িতে অগ্নিসংযোগ (Déjà Vu)।

    তামাম বিশ্ব এগুলিকে গণতান্ত্রিক বিপ্লব আখ্যা দিচ্ছে। কিন্তু এই অঞ্চলের জন্য এগুলি আসলে অস্থিরতার একটি চক্র এবং বহিরাগত প্রভাবিত রূপান্তরের প্রতীক। তাই নেপালের সংকট কোনও বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়, এটি দক্ষিণ এশিয়ায় নিয়ন্ত্রিত বিশৃঙ্খলার ধারাবাহিকতায় সর্বশেষ অধ্যায় মাত্র (Déjà Vu)।

  • S Jaishankar: ভারতীয় পণ্যের ওপর আরোপিত উচ্চ মার্কিন শুল্কের তীব্র বিরোধিতা শি জিনপিংয়ের

    S Jaishankar: ভারতীয় পণ্যের ওপর আরোপিত উচ্চ মার্কিন শুল্কের তীব্র বিরোধিতা শি জিনপিংয়ের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “বিশ্ব একটি সমষ্টি হিসেবে বাণিজ্য ও বিনিয়োগের জন্য স্থিতিশীল ও পূর্বানুমানযোগ্য পরিবেশ খুঁজছে। তবে একই সময়ে এটাও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ যে, অর্থনৈতিক ব্যবস্থাপনা যেন ন্যায়সঙ্গত ও স্বচ্ছ হয় এবং সবার উপকারে লাগে।” ভার্চুয়াল ‘ব্রিকস’ শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দিয়ে সোমবার কথাগুলি বলেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর (S Jaishankar)। ভারত ও অন্য কয়েকটি দেশের পণ্যের ওপর চড়া হারে শুল্ক (US Tariffs) আরোপের কারণে বিশ্বজুড়ে উদ্বেগ বৃদ্ধি পাচ্ছে। ঠিক সেই সময় জয়শঙ্করের এই কথাগুলি তাৎপর্যপূর্ণ বলেই ধারণা ওয়াকিবহাল মহলের।

    জয়শঙ্করের বক্তব্য (S Jaishankar)

    প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির প্রতিনিধি হিসেবে ব্রিকস সম্মেলনে যোগ দিয়েছিলেন জয়শঙ্কর। এই সম্মেলনে অংশ নিয়েছিলেন চিনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং, রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন এবং অন্য রাষ্ট্রনেতারা। এই সম্মেলনেই জয়শঙ্কর বলেন, “ভারতের বিশ্বাস, আন্তর্জাতিক বাণিজ্য ব্যবস্থাকে খোলা, ন্যায়সঙ্গত, স্বচ্ছ এবং বৈষম্যহীন রেখে সংরক্ষণ করা উচিত হবে।” তিনি বলেন, “যখন একাধিক ব্যাঘাত ঘটে, তখন আমাদের উদ্দেশ্য হওয়া উচিত এই ধরনের ঝুঁকির বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলা। এর মানে হল আরও দৃঢ়, নির্ভরযোগ্য, অতিরিক্ত নিরাপত্তা-সহ এবং স্বল্প সরবরাহ শৃঙ্খলা তৈরি করা।”  প্রসঙ্গত, ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট লুইজ ইনাসিও লুলা দা সিলভা ভার্চুয়াল ব্রিকস শীর্ষ সম্মেলনের আয়োজন করেছেন মার্কিন শুল্ক এবং বাণিজ্য নীতি নিয়ে আলোচনা করার জন্য। কারণ এগুলিই বাণিজ্যের ক্ষেত্রে ব্যাঘাত সৃষ্টি করেছে।জয়শঙ্কর বলেন, “গঠনমূলক ও সহযোগিতামূলক পন্থার মাধ্যমে বিশ্বকে একটি মজবুত বাণিজ্য ক্ষেত্রে উন্নীত করতে হবে। ব্যাঘাত সৃষ্টি করা এবং লেনদেন জটিল করা কোনও সাহায্য করবে না। বাণিজ্য সংক্রান্ত বিষয়গুলিকে অ-বাণিজ্যিক বিষয়গুলির সঙ্গে যোগ করলেও সুবিধা হবে না।”

    ভারতের বক্তব্য

    জয়শঙ্কর ব্রিকসের সদস্য দেশগুলিকে নিজেদের বাণিজ্য নীতি পুনঃপর্যালোচনা করে সদস্য দেশগুলির মধ্যে একটি দৃষ্টান্ত স্থাপন করার আহ্বান জানান। তিনি বলেন, “ভারতের প্রসঙ্গে বলতে গেলে আমাদের সবচেয়ে বড় ঘাটতি রয়েছে কিছু ব্রিকস অংশীদারের সঙ্গে। আমরা দ্রুত সমাধানের জন্য চাপ দিচ্ছি। আমরা আশা করি, আজকের সভা থেকে এই উপলব্ধিটি অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত হিসেবে সামনে আসবে।” ভারতের বিদেশমন্ত্রীর এই মন্তব্য (US Tariffs) ভারতের সঙ্গে চিনের বাড়তে থাকা বাণিজ্য ঘাটতির প্রেক্ষাপটে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তিনি (S Jaishankar) বলেন, “ভারত দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করে যে এটি সংরক্ষণ ও বিকাশ করা উচিত। শুধু তাই নয়, আজকের বিশ্ব পরিস্থিতি প্রকৃত উদ্বেগের কারণ।” কোভিড অতিমারি, ইউক্রেন ও মধ্যপ্রাচ্যে যুদ্ধ, বাণিজ্য ও বিনিয়োগ প্রবাহে অস্থিরতা এবং চরম জলবায়ু ঘটনা, এসবই গত কয়েক বছরে বিশ্বের প্রধান চ্যালেঞ্জের উদাহরণ হিসেবে উল্লেখ করেন জয়শঙ্কর। বলেন, “এই চ্যালেঞ্জগুলির মুখে বহুপাক্ষিক ব্যবস্থা বিশ্বকে ব্যর্থ করতে দেখা যাচ্ছে। এতগুলি গুরুতর সমস্যা অবহেলিত থেকে যাওয়ায় বিশ্বব্যবস্থার ওপর ব্যাপক প্রভাব ফেলছে।”

    চিন-ভারত কাছাকাছি

    এদিকে, বৈরিতা ভুলে বাণিজ্যের ক্ষেত্রে ভারতের আরও কাছাকাছি চলে এসেছে চিন। ভারতীয় পণ্যের ওপর আরোপিত উচ্চ মার্কিন শুল্কের তীব্র বিরোধিতা করেছে বেজিং। সোমবার চিনের রাষ্ট্রদূত শু ফেইহং বলেন, “ট্রাম্প প্রশাসনের ভারতের ওপর আরোপিত ৫০ শতাংশ অন্যায় শুল্কের তীব্র বিরোধিতা করে চিন। তাই ভারত ও চিনের উচিত এই চ্যালেঞ্জ এক সঙ্গে মোকাবিলা করার জন্য অর্থনৈতিক সম্পর্ক জোরদার করা (US Tariffs)।” দুই পড়শি দেশের বর্তমান পরিস্থিতি তুলে ধরে চিনা রাষ্ট্রদূত বলেন, “ভারত ও চিন উভয়ই সন্ত্রাসবাদের শিকার। এই (S Jaishankar) চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় বেজিং নয়াদিল্লি-সহ ইন্টারন্যাশনাল কমিউনিটির সঙ্গে কাজ করতে প্রস্তুত।” জাপানের বিরুদ্ধে চিনের বিজয়ের ৮০তম বার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখার পর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, “মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বিভিন্ন দেশের ওপর অতিরিক্ত শুল্ক আরোপ করার জন্য শুল্ককে এক ধরনের অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করছে। দু’টি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ উদীয়মান অর্থনীতির দেশ ভারত ও চিনের এই পরিস্থিতি মোকাবিলায় একে অন্যের সঙ্গে সহযোগিতা করা উচিত।”

    নীতি পরিবর্তন ভারতের

    ভারতীয় পণ্যের ওপর ট্রাম্প প্রশাসন উচ্চ শুল্কহার চড়ানোর পর নীতি পরিবর্তন করেছে ভারত। প্রতিবেশী দেশ চিনের সঙ্গে পুরানো তিক্ততা ভুলে এখন সম্পর্কের উন্নতি করতে উদ্যোগী হয়েছে নয়াদিল্লি। চিন অ্যাপ-সহ তার অনেক পণ্যের জন্য খোলা হচ্ছে ভারতের দুয়ার। এর পাশাপাশি রাশিয়া এবং অন্যান্য দেশের পাশাপাশি ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তির ওপরও দ্রুত কাজ করা হচ্ছে (US Tariffs)। এক কথায়, ভারতীয় পণ্যের ওপর চড়া মার্কিন শুল্কের কারণে যে ক্ষতি হচ্ছে, তা পূরণের জন্য এখন সম্ভাব্য সব পদক্ষেপ করছে কেন্দ্রীয় সরকার (S Jaishankar)।

  • TMC: কসবার পর এবার হরিদেবপুর, গণধর্ষণকাণ্ডে ফের কাঠগড়ায় তৃণমূল নেতা

    TMC: কসবার পর এবার হরিদেবপুর, গণধর্ষণকাণ্ডে ফের কাঠগড়ায় তৃণমূল নেতা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তিনি তৃণমূলের (TMC) নেতা। একুশে জুলাই তৃণমূলের পোস্টারেও তাঁকে দেখা গিয়েছে দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে। তৃণমূলের সেই তরুণ তুর্কি নেতা দেবাংশু বিশ্বাস (Debangshu Biswas) ওরফে দীপই এবার গণধর্ষণের অভিযোগে কাঠগড়ায়। অভিযোগ, গত ৫ সেপ্টেম্বর কলকাতার হরিদেবপুর এলাকায় বছর কুড়ির এক তরুণীকে ধর্ষণ করেন দেবাংশু ও তাঁর সহকারী চন্দন মালিক। জানা গিয়েছে, ওই তরুণীর জন্মদিন উপলক্ষে আয়োজিত পার্টিতে নিয়ে যাওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে তাঁকে দেবাংশুর ফ্ল্যাটে নিয়ে যাওয়া হয়।

    ফ্ল্যাটে নিয়ে গিয়ে গণধর্ষণ (TMC)

    দু’জনেই পূর্ব পরিচিত হওয়ায় সরল বিশ্বাসে ওই তরুণী হাজির হন দেবাংশুর ফ্ল্যাটে। সেখানে তখন উপস্থিত কেবল দেবাংশু। অভিযোগ, এর পরেই দেবাংশু ও চন্দন তাঁকে ধর্ষণ করেন। কলকাতা পুলিশের এক কর্তা বলেন, “শুক্রবার ওই তরুণীর জন্মদিন ছিল। ওই দিন অভিযুক্ত চন্দন ও দেবাংশু তাঁকে দেবাংশুর ফ্ল্যাটে নিয়ে যায়। সেখানে তারা এক সঙ্গে খাবার খায়। খাওয়া শেষে তরুণী চলে যেতে চাইলে অভিযুক্তরা তাঁকে যেতে বাধা দেয়। দরজা বন্ধ করে দিয়ে গ্যাং-রেপ করে ওই তরুণীকে।” পরের দিন ওই তরুণী অভিযোগ দায়ের করেন হরিদেবপুর থানায়। ঘটনার পর গা-ঢাকা দিয়েছেন অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা ও তার সহকারী। পুলিশ জানিয়েছে, অভিযুক্তরা পলাতক। তাঁদের ধরতে চলছে তল্লাশি অভিযান।

    দেবাংশুর আরও একটি পরিচয়

    দেবাংশু কেবল তৃণমূলের নেতাই নন, তাঁর আরও একটি পরিচয় রয়েছে। তিনি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নেতৃত্বাধীন পশ্চিমবঙ্গ সরকারের ভূমি সংস্কার বিভাগে রেভেনিউ ইনসপেক্টর হিসেবে কর্মরত। যে ফ্ল্যাটে দেবাংশু ও তাঁর সহকারী এই দুষ্কর্মটি করেছেন বলে অভিযোগ, সেই ফ্ল্যাটের মালিক জানান, তিনি নীচের তলাটা তৃণমূল কর্মী দেবাংশু বিশ্বাসকে ভাড়া দিয়েছিলেন। তিনি বলেন, দেবাংশু নিজেকে সরকারি কর্মচারী বলে পরিচয় দিয়েছিলেন এবং বলেছিলেন যে, তিনি তাঁর মায়ের সঙ্গে সেখানে থাকবেন (TMC)।

    ছাত্রীকে গণধর্ষণের অভিযোগ কসবায়ও 

    প্রসঙ্গত, গত ২৫ জুন কসবার সাউথ ক্যালকাটা ল কলেজের ক্যাম্পাসের ভেতর রক্ষীর ঘরে এক ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছিল তৃণমূলের তিন নেতার বিরুদ্ধে। এই ঘটনায় গ্রেফতার করা হয় কলেজেরই দুই ছাত্র এবং এক প্রাক্তনীকে। গ্রেফতার করা হয়েছিল কলেজের নিরাপত্তারক্ষীকেও। ওই ঘটনায় মূল তিন অভিযুক্তই তৃণমূলের ছাত্র পরিষদের সঙ্গে যুক্ত বলে দাবি। নির্যাতিতা নিজেও টিএমসিপির সদস্য ছিলেন। পুলিশ সূত্রে খবর, ২৫ জুন বুধবার সন্ধে সাড়ে ৭টা থেকে রাত ১০টা ৫০ মিনিটের মধ্যে কলেজ ক্যাম্পাসের মধ্যে ধর্ষণের ঘটনাটি ঘটে। নির্যাতিতা অভিযোগপত্রে মূল অভিযুক্তকে চিহ্নিত করেছেন ‘জে’ নামে। অভিযোগ দায়ের করা হয় ‘এম’ এবং ‘পি’ নামের দু’জনের বিরুদ্ধেও। নির্যাতিতা জানিয়েছেন, প্রথমে ইউনিয়ন রুমের ভেতর তাঁর সঙ্গে ধস্তাধস্তি হয়। পরে রক্ষীর ঘরে নিয়ে গিয়ে তাঁকে ধর্ষণ করেন ‘জে’। বাইরে পাহারায় ছিলেন বাকি দু’জন (Debangshu Biswas)। কলেজের মেন গেট বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। ছাত্রীকে বেরতে দেওয়া হয়নি। রক্ষীর কাছে সাহায্য চেয়েও তিনি পাননি (TMC)।

    কাঠগড়ায় সেই তৃণমূলের তিন তুর্কি

    সেই সময় নির্যাতিতা জানিয়েছিলেন, শাসকদলের ছাত্র পরিষদের নেতা হওয়ায় কলেজে দাপট ছিল অভিযুক্তদের। তাই কলেজের রক্ষীও ছিলেন অসহায়। অভিযোগ, ধর্ষণের কথা পুলিশকে জানালে তাঁর প্রেমিককে খুন করিয়ে দেওয়ার এবং বাবা-মাকে গ্রেফতার করিয়ে দেওয়ার হুমকি দেওয়া হয় নির্যাতিতাকে। তৃণমূলের ওই তিন অভিযুক্ত এও জানিয়েছিলেন, এ সব তাঁরা আগেও করেছেন। ইউনিয়ন রুমে সেদিন হকি স্টিক দিয়ে নির্যাতিতাকে মারধরের চেষ্টাও করা হয়েছিল। পরে রক্ষী-সহ চারজনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। পরে তদন্তকারীরা এই (Debangshu Biswas) ঘটনার চার্জশিটও জমা দিয়েছেন। কসবার পর এবার হরিদেবপুরেও উঠল গণধর্ষণের অভিযোগ। এবং কাঠগড়ায় সেই শাসক দলেরই নেতা (TMC)।

    নেত্রীর আস্কারা!

    রাজনৈতিক মহলের একাংশের অভিযোগ, রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসের নেত্রীর আশীর্বাদী হাত মাথায় থাকায় বার বার অপরাধ করতে সাহস পাচ্ছেন দলের নেতারা। সম্প্রতি শিক্ষক নিয়োগে যোগ্য-অযোগ্য নিয়ে বিতর্কের জেরে সুপ্রিম কোর্টের রায়ের পরেও তৃণমূল নেত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রকাশ্যে ঘোষণা করেছিলেন, “আমরা অযোগ্যদের পাশে আছি”। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, খোদ দলনেত্রীর এই অস্কারা পেয়েই নানা ক্ষেত্রে একের পর এক কুকীর্তি করে চলেছেন তৃণমূলের ছোট-বড়-মেজ নেতারা। কারও নাম জড়িয়েছে কয়লা কেলেঙ্কারিতে, কেউ আবার কাঠগড়ায় উঠেছেন রেশনসামগ্রী পাচারের অভিযোগে। বালি চুরির কলঙ্কও লেগেছে কারও গায়ে। ধর্ষণে অভিযুক্তের সংখ্যা তো বোধহয় গুণেও শেষ করা যাবে না। খুন-জখম-রাহাজানির ঘটনায়ও (Debangshu Biswas) অভিযুক্ত বহু তৃণমূল নেতা। এই তালিকায়ই সর্ব শেষ সংযোজন হরিদেবপুরের দেবাংশু বিশ্বাস ও তাঁর সাগরেদ (TMC)।

  • Nepal: বাংলাদেশ, শ্রীলঙ্কার পর নেপাল! গণবিক্ষোভে পদত্যাগ প্রধানমন্ত্রী ওলির, ছাড়ছেন দেশ? জল্পনা

    Nepal: বাংলাদেশ, শ্রীলঙ্কার পর নেপাল! গণবিক্ষোভে পদত্যাগ প্রধানমন্ত্রী ওলির, ছাড়ছেন দেশ? জল্পনা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাংলাদেশ, শ্রীলঙ্কার পর নেপাল। প্রবল গণবিক্ষোভের জেরে পদত্যাগ করলেন নেপালের (Nepal) প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা ওলি। মঙ্গলবারই তিনি ইস্তফা দেন। সূত্রের খবর, সেনাপ্রধান অশোক রাজ সিগদেল মঙ্গলবার ওলির সঙ্গে সাক্ষাৎ করে পদত্যাগের অনুরোধ জানান। এর পর সেনাবাহিনীর কাছ থেকে নিরাপত্তার নিশ্চয়তা চান তিনি। শেষ পর্যন্ত রাষ্ট্রপতির কাছে পদত্যাগপত্র জমা দেন ওলি (KP Sharma Oli)। সেখানে তিনি লিখেছেন, “সমস্যার সহজ ও রাজনৈতিক সমাধান খুঁজে বের করার স্বার্থে আমি পদত্যাগ করছি।”

    মনে করাল বাংলাদেশ, শ্রীলঙ্কার গণ-অভ্যুত্থান

    অনেকটা বাংলাদেশ বা তার আগে শ্রীলঙ্কা মডেলেই নেপালে ওলি সরকারের পতন হল। দুর্নীতি, বেকারত্ব নিয়ে, সরকারের বিরুদ্ধে ক্ষোভের আগুনটা ধিকিধিকি জ্বলছিলই। কর্মহীনতার অন্ধকার গ্রাস করছিল দেশটাকে, সেই সঙ্গে ক্রমাগত নিম্নগামী হচ্ছিল সাধারণ মানুষের অবস্থা। তার মধ্যেই, সোশাল মিডিয়ায় নিষেধাজ্ঞার সিদ্ধান্তই ঘি ঢালে। তারপরই এই গণবিদ্রোহ বড় আকার ধারণ করে। সম্প্রতি নেপালের শেষ রাজা জ্ঞানেন্দ্র বিক্রম দেশে ফেরার পর থেকে তাঁকে ঘিরে উৎসাহ তৈরি হয়। ফের একবার নেপালে রাজতন্ত্র ফেরানোর দাবি উঠতে শুরু করে। ফের নেপালকে হিনদু রাষ্ট্র ঘোষণার দাবিতে আন্দোলন গড় উঠতে শুরু করে। কয়েক মাস আগেই রাজতন্ত্র ফেরানোর দাবিতে বিক্ষোভ শুরু হয়েছিল কাঠমান্ডুতে। পরিস্থিতি সামলাতে নামাতে হয়েছিল সেনা। সেই বিক্ষোভের আগুনই জ্বলছিল ধিকিধিকি করে, যা ফের জ্বলে উঠল।

    ত্রিভুবন বিমানবন্দর থেকেই পালাতে পারেন ওলি

    এদিকে, সূত্রের দাবি, দেশ ছেড়ে পালানোর পরিকল্পনাও করছেন ওলি। তাঁর সম্ভাব্য গন্তব্য হতে পারে সংযুক্ত আরব আমিরশাহির দুবাই, যদিও তা এখনও নিশ্চিত নয়।দেশ ছাড়তে ওলি ত্রিভুবন বিমানবন্দর ব্যবহার করতে পারেন বলে খবর। ইতিমধ্যেই বিমানবন্দরটি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে এবং সব উড়ান বাতিল হয়েছে। ওলি ও অন্যান্য মন্ত্রীদের সরিয়ে নিতে সেনাবাহিনীর হেলিকপ্টার প্রস্তুত রাখা হয়েছে। ৩০০-র বেশি সেনা মোতায়েন করা হয়েছে বিমানবন্দরে (Nepal)।

    মন্ত্রীদের বাড়িতে হামলা, রাস্তায় তাড়া করে পেটানো হল উপপ্রধানমন্ত্রীকে

    প্রধানমন্ত্রী ওলি, প্রেসিডেন্ট রামচন্দ্র পোড়েলের বাসভবনে আগুন ধরিয়ে দেয় উত্তেজিত জনতা। ললিতপুর জেলার খুমালতারে নেপালের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী পুষ্পকমল দহল ‘প্রচণ্ড’-র বাসভবনে চড়াও হয় বিক্ষোভকারীরা। ভাঙচুর করা হয় তাঁর বাড়ি। দেশের যোগাযোগমন্ত্রী পৃথ্বী সুব্বা গুরুংয়ের সুনাকোঠী বাড়িও ভেঙে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়ে। ওলি মন্ত্রিসভার সদস্যরাও বিক্ষোভের আঘাতে কোণঠাসা হয়ে পড়েছেন। একাধিক মন্ত্রীর বাড়ি এবং ওলির ব্যক্তিগত বাসভবনেও আগুন ধরিয়ে দিয়েছে উত্তেজিত জনতা। নেপালের উপপ্রধানমন্ত্রী তথা অর্থমন্ত্রী বিষ্ণু পৌডেলকে রাস্তায় তাড়া করে পেটালেন সেদেশের বিক্ষুব্ধ জনতা। তাঁর বাড়িও আক্রান্ত। মঙ্গলবার দুপুরে সেই ঘটনার অসংখ্য ভিডিও সমাজমাধ্যমে ভাইরালও হয়েছে। নেপালের কমিউনিস্ট পার্টির দফতরেও চলে হামলা। ললিতপুরে যোগাযোগমন্ত্রী পৃথ্বী সুব্বা গুরুংয়ের বাড়িতে অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে। তিনিই সমাজমাধ্যম নিষিদ্ধের নির্দেশ দিয়েছিলেন। সোমবার রাতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রমেশ লেখক পদত্যাগের পর মঙ্গলবার সকালে তাঁর বাড়িতেও আগুন ধরায় বিক্ষোভকারীরা।

    নেপালের সংসদ ভবনে আগুন, হামলা কমিউনিস্ট পার্টির অফিসে

    বিক্ষোভকারীদের (Nepal) লাগানো আগুনে জ্বলে ওঠে নেপালের সংসদ। চারদিকে ছড়িয়ে পড়ে ঘন কালো ধোঁয়া। মঙ্গলবার সকাল থেকেই পরিস্থিতি ক্রমে আরও উত্তেজনাপূর্ণ হয়ে ওঠে। পরিস্থিতি সামলাতে ওলি প্রথমে সর্বদলীয় বৈঠক ডাকেন (KP Sharma Oli)। মঙ্গলবার সকালে তিনি ঘোষণা করেছিলেন যে সন্ধ্যায় রাজনৈতিক নেতাদের সঙ্গে আলোচনায় বসে সমাধানের পথ খুঁজবেন। কিন্তু তীব্র বিক্ষোভের চাপে বৈঠক হওয়ার আগেই তাঁকে ইস্তফা দিতে হল। বিক্ষুব্ধ জনতা নেপালের কমিউনিস্ট পার্টির কেন্দ্রীয় দফতরে প্রবেশ করে ভাঙচুর চালিয়েছে। ভবন থেকে নামিয়ে ফেলা হয়েছে দলের পতাকাও।

    নেপালের (Nepal) সুপ্রিম কোর্টে হামলা! কংগ্রেসের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আগুন

    কেপি শর্মা ওলির পদত্যাগের পরও শান্ত হয়নি পরিস্থিতি। খবর অনুযায়ী, মঙ্গলবার দুপুরে উত্তেজিত বিক্ষোভকারীরা নেপালের সংসদে আগুন ধরিয়ে দেয়। সুপ্রিম কোর্টে ভাঙচুর চালায়। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে অ্যাটর্নি জেনারেলের কার্যালয়ও। উত্তপ্ত পরিস্থিতিতে নেপালের ত্রিভূবন বিমানবন্দর বন্ধ করে সেনা মোতায়েন করা হয়েছে। মন্ত্রীদের নিরাপদে সরাতে বাসভবনে হেলিকপ্টার পাঠানো হচ্ছে বলে খবর (প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত)। কাঠমান্ডুতে মঙ্গলবার সকাল থেকেই ফের ছড়ায় অস্থিরতা। উত্তেজিত বিক্ষোভকারীরা একের পর এক নেতা-মন্ত্রীর বাড়িতে আগুন ধরানোর পাশাপাশি সনেপায় অবস্থিত নেপালি কংগ্রেসের কেন্দ্রীয় কার্যালয়েও অগ্নিসংযোগ ঘটায়।

    ভারত-নেপাল সীমান্তে কড়া নজরদারি, বিবৃতি দিল দিল্লি

    নেপালের অশান্ত পরিস্থিতির কারণে ভারতের পাঁচ সীমান্তবর্তী রাজ্যে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। বিহারের সাতটি জেলা—পশ্চিম ও পূর্ব চম্পারণ, সীতামারি, মধুবনী, আরারিয়া, সুপৌল ও কিষাণগঞ্জে এসএসবি ও পুলিশ টহল বাড়িয়েছে। সন্দেহজনক কাউকে দেখলেই তল্লাশি চলছে। সীমান্তে যাতে অশান্তির প্রভাব না পড়ে, সে জন্য কেন্দ্র ও রাজ্য সরকার মিলিয়ে ‘হাই অ্যালার্ট’ জারি করেছে প্রতিরক্ষা মন্ত্রক। নেপালের পরিস্থিতির দিকে কড়া নজর রাখছে ভারত। দিল্লির বিদেশ মন্ত্রক একটি বিবৃতিতে জানিয়েছে, নেপালে অবস্থানরত ভারতীয় নাগরিকদের সাবধান থাকতে হবে এবং স্থানীয় কর্তৃপক্ষের নির্দেশ মেনে চলতে হবে।

    বিদ্রোহের সূত্রপাত

    এই সংকটের সূত্রপাত হয় নেপাল সরকারের সামাজিক মাধ্যমে নিষেধাজ্ঞা জারি করার সিদ্ধান্তকে কেন্দ্র করে। বহুদিনের জমে থাকা অসন্তোষে ঘৃতাহুতি দেয় সেই পদক্ষেপ। প্রতিবাদে রাস্তায় নামে ছাত্র-যুব সমাজ। সোমবারই অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে রাজধানী কাঠমান্ডু। পুলিশ গুলি চালালে প্রাণ হারান অন্তত ১৯ জন বিক্ষোভকারী। এর পর আন্দোলন আরও তীব্র হয়। চাপে পড়ে রাতেই সরকার নিষেধাজ্ঞা তুলে নিলেও ক্ষোভ প্রশমিত হয়নি। মঙ্গলবার সকাল থেকেই ওলির পদত্যাগের দাবিতে নতুন করে বিক্ষোভ শুরু হয়, যা ক্রমে নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়।

  • Nepal Unrest: গণবিদ্রোহের জেরে পদত্যাগ নেপালের প্রধানমন্ত্রীর, সীমান্তে নিরাপত্তা বাড়াল ভারত, জারি হাই অ্যালার্ট

    Nepal Unrest: গণবিদ্রোহের জেরে পদত্যাগ নেপালের প্রধানমন্ত্রীর, সীমান্তে নিরাপত্তা বাড়াল ভারত, জারি হাই অ্যালার্ট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গণবিদ্রোহে অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি নেপালে (Nepal Unrest)। প্রবল চাপের মুখে ইস্তফা দিতে বাধ্য হলেন প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা ওলি। বাংলাদেশ মডেলেই নেপালে ওলি সরকারের পতন হল। সংসদ ভবনে ঢুকে পড়লেন আন্দোলনকারীরা। উপ প্রধানমন্ত্রী-সহ একের পর মন্ত্রীরা পদত্যাগ করতে বাধ্য হলেন। মন্ত্রীদের সেনা হেলিকপ্টারে দ্রুত নিরাপদ স্থানে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। বন্ধ বিমানবন্দর। বাতিল সমস্ত উড়ান। এই আবহে পড়শি দেশের চলমান পরিস্থিতি নিয়ে মুখ খুলল ভারত। মঙ্গলবার সকালে ভারতের বিদেশ মন্ত্রকের তরফে এই বিষয়ে বিবৃতি প্রকাশ করা হয়েছে। ওই বিবৃতিতে নেপালে বসবাস করা ভারতীয়দের সাবধানে থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

    ভারতের সতর্কবার্তা

    নেপালকে ‘ঘনিষ্ঠ বন্ধু এবং প্রতিবেশী’ বলে উল্লেখ করে সেখানকার পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগপ্রকাশ করেছে নয়াদিল্লি। একই সঙ্গে ওই বিবৃতিতে বলা হয়েছে, আলোচনার মাধ্যমে শান্তিপূর্ণ উপায়ে সমস্যার সমাধান হবে বলে ভারত আশাবাদী। ভারতের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “আমরা নেপালের পরিস্থিতির উপর নিবিড় ভাবে নজর রেখেছি। বহু তরতাজা প্রাণের মৃত্যুতে আমরা গভীর ভাবে শোকাহত। মৃতদের পরিবারের প্রতি আমরা সমবেদনা জানাচ্ছি। আহতদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করছি।” নেপালে বসবাসকারী ভারতীয়দের উদ্দেশে নয়াদিল্লির বার্তায় বলা হয়েছে, “কর্তৃপক্ষ কাঠমান্ডু এবং আরও কয়েকটি শহরে অনির্দিষ্টকালের কার্ফু জারি করেছেন। নেপালে থাকা ভারতীয় নাগরিকদের সাবধানে থাকার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে এবং নেপাল প্রশাসনের নির্দেশ মেনে চলতে বলা হচ্ছে।”

    পানিট্যাঙ্কিতে সীমান্ত বন্ধ

    নেপালে হিংসায় গুলিবিদ্ধ হয়েছেন এক ভারতীয় ট্রাকচালক। গুলিবিদ্ধ সেই ট্রাকচালক নেপালে ট্রাক ফেলে ভারতে ফিরে এসেছেন বলে দাবি করা হয়েছে। এদিকে পানিট্যাঙ্কিতে সীমান্ত বন্ধ রয়েছে অশান্তির জেরে। রিপোর্ট অনুযায়ী, উত্তরবঙ্গে নেপাল সীমান্তে কয়েকশো ট্রাক দাঁড়িয়ে রয়েছে ওপারের অশান্তির জন্য। এদিকে পানিট্যাঙ্কিতেও দোকানপাট বন্ধ। এদিকে সীমান্তে সোমবার দুপুর থেকেই কড়াকড়ি বাড়ানো হয়েছে। পরিচয়পত্র পরীক্ষা ছাড়া সীমান্ত পারাপার কঠিন। এপাশে এসএসবি, ওপাশে নেপালি সেনা সতর্ক রয়েছে। রাজ্যের তরফেও পরিস্থিতির দিকে নজর রাখা হচ্ছে। জানানো হয়েছে, সামনে দুর্গা পুজো নেপালের পরিস্থিতি অস্থির থাকলে পর্যটনে বড় প্রভাব পড়বে, ব্যবসায়ীরা ক্ষতিগ্রস্ত হবেন।

    ভারত-নেপাল সীমান্তে কড়া প্রহরা

    নেপালের সঙ্গে ভারতের প্রায় ১,৭৫১ কিলোমিটার দীর্ঘ সীমান্ত রয়েছে। ভারতের উত্তরাখণ্ড, বিহার, উত্তরপ্রদেশ, সিকিম এবং পশ্চিমবঙ্গ-সহ পাঁচ রাজ্য নেপালের সীমান্তবর্তী। নেপালের বর্তমান পরিস্থিতির প্রেক্ষিতে পাঁচ রাজ্যেই সীমান্তে তৎপরতা বেড়েছে। বিহারের নেপাল সীমান্তবর্তী সাতটি জেলায় নজরদারি বাড়িয়েছে সশস্ত্র সীমা বল (এসএসবি) এবং বিহার পুলিশ। পশ্চিম চম্পারণ, সীতামারি, মধুবনী, আরারিয়া, সুপৌল, পূর্ব চম্পারণ এবং কিষাণগঞ্জে টহলদারি বেড়েছে। পাশাপাশি, আশপাশের এলাকায় সন্দেহজনক কাউকে দেখলেই পুঙ্খানুপুঙ্খ ভাবে তল্লাশি করা হচ্ছে। সোশ্যাল মিডিয়ায়ও রাখা হচ্ছে কড়া নজর। সূত্রের খবর, এরই মধ্যে সীমান্তে যৌথ টহলদারি শুরু করেছে পুলিশ ও সীমান্তরক্ষী বাহিনী।

    প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের  ‘হাই অ্যালার্ট’

    প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের তরফে জারি হয়েছে ‘হাই অ্যালার্ট’। ভারতের তরফে প্রতিবেশী দেশের সঙ্গে বেশির ভাগ সীমান্তে বড় গাড়ি চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। শিলিগুড়ির পানিট্যাঙ্কিতেও থমথমে পরিবেশ। মঙ্গলবার সকাল থেকেই সেখানে নাকাতল্লাশি শুরু করেছে পুলিশ। প্রতিটি গাড়ি থামিয়ে তল্লাশি করা হচ্ছে। যেখানে প্রতিদিন সীমান্ত দিয়ে দিনে প্রায় ছয় থেকে সাত হাজার মানুষ পারাপার করত, সেখানে এদিন যেন থমথমে পরিবেশ। হাতেগোনা দু-একটি গাড়ি পারাপার করছে। প্রত্যেক গাড়ির চালকের নাম, যাত্রীর নাম-সহ অন্যান্য তথ্যসংগ্রহ করছে পুলিশ। নামানো হয়েছে ডগ স্কোয়াড। সীমান্তের দু’পারেই আটকে রয়েছে শয়ে শয়ে ট্রাক। ভারতের প্রায় শতাধিক ট্রাক চালক নেপাল সীমান্তে আটকে রয়েছে।

    ২৪ ঘণ্টা সচল কন্ট্রোল রুম

    নেপালে আটকে থাকা ভারতীয়দের জন্য ২৪ ঘণ্টা সচল কন্ট্রোল রুমও চালু করেছে দার্জিলিং জেলা পুলিশ। ওপার থেকে আসা পর্যটক থেকে শুরু করে ভারতীয়দের চোখেমুখে আতঙ্কের ছাপ। আন্দোলনকারীদের চাপ, পুলিশের গোলাগুলি, লাঠিচার্জ, জলকামান এসব উত্তেজনাকর পরিস্থিতি দেখে যতদ্রুত সম্ভব নেপাল ছেড়ে বেরিয়ে আসতে চাইছেন সেখানে আটকে থাকা ভারতীয়রা। মঙ্গলবার সকালে পানিট্যাঙ্কি সীমান্তের পরিস্থিতি যাচাই করেন দার্জিলিঙের পুলিশ সুপার প্রবীণ প্রকাশ। তিনি বলেন, ‘‘আমরা সীমান্তে নাকাতল্লাশি শুরু করেছি। এখনও পর্যন্ত এ পারে কোনও অশান্তি নেই। তবে আমরা সতর্ক রয়েছি৷ নেপাল পুলিশের সঙ্গেও যোগাযোগ রাখা হচ্ছে।’’ এসএসবি-র মুখপাত্র ডিসি অমিত কুশওয়াহা বলেন, ‘‘আপাতত সীমান্তবর্তী এলাকায় উদ্বেগের কিছু নেই। এসএসবি সর্বক্ষণ সজাগ রয়েছে এবং নেপালের পরিস্থিতির উপর নজর রাখছে। আমরা আশা করি, শীঘ্রই সেখানে স্বাভাবিক অবস্থা ফিরে আসবে।’’ নেপাল যে যুবদের আন্দোলনে জ্বলছে, তা সীমান্ত থেকেই স্পষ্ট। নেপালের বিরতামোড়ে টায়ার জ্বালিয়ে প্রতিবাদে সামিল হয়েছেন আন্দোলনকারীরা। সেখানেও মৃত্যু হয়েছে দু’জনের। যে কারণে কোনরকম ঝুঁকি না-নিয়ে সীমান্তে নিরাপত্তা আঁটোসাটো করা হয়েছে।

  • Aadhaar Card: অন্যান্য নথির সঙ্গে মিললে তবেই বিহারের ভোটার তালিকায় বৈধ আধার, জানাল সুপ্রিম কোর্ট

    Aadhaar Card: অন্যান্য নথির সঙ্গে মিললে তবেই বিহারের ভোটার তালিকায় বৈধ আধার, জানাল সুপ্রিম কোর্ট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিহারে ভোটার তালিকার বিশেষ নিবিড় সমীক্ষায় পরিচয়ের প্রামাণ্য নথি হিসেবে আধার কার্ড (Aadhaar Card) ব্যবহার করা যাবে। সোমবার এসআইআর সংক্রান্ত মামলার শুনানিতে সুপ্রিম কোর্ট এমন নির্দেশ দিয়েছে। অর্থাৎ, ভোটার তালিকার নথিতে আধার কার্ড অন্তর্ভুক্ত করার নির্দেশ দিয়েছে শীর্ষ আদালত, তবে তা অন্যান্য নথির সঙ্গে মিলিয়ে দেখতে হবে। এই নিয়ম আপাতত শুধুমাত্র বিহারের জন্য প্রযোজ্য। তবে সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court) স্পষ্ট করেছে, আধার কার্ড কখনও নাগরিকত্বের প্রমাণ হিসেবে ব্যবহার করা যাবে না। এটি শুধুমাত্র ভোটার তালিকায় নাম অন্তর্ভুক্তির জন্য পরিচয় প্রমাণ হিসাবে ব্যবহার করা যেতে পারে। সুপ্রিম কোর্ট নির্বাচন কমিশনকে আশ্বাস দিয়েছে যে, আধার কার্ডের বৈধতা যাচাই করার পূর্ণ অধিকার তাদের থাকবে। আদালত জানিয়েছে, কেবল প্রকৃত নাগরিকরাই ভোট দিতে পারবেন। যারা জাল নথি দেখিয়ে ভোটারের দাবি করেন, তাদের ভোটার তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হবে। সুপ্রিম কোর্ট আরও জানিয়েছে, কেউই চাইবে না যে নির্বাচন কমিশন অবৈধ অভিবাসীদের ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করুক।

    একক নথি হিসেবে নয়, অন্যান্য নথির সঙ্গে মিলিয়ে প্রমাণ হিসেবে ধরা হবে

    বিচারপতি সূর্য কান্ত ও বিচারপতি জয়মাল্য বাগচীর বেঞ্চ আগেই জানিয়েছিল , ভোটার তালিকায় নাম তোলার জন্য অন্যান্য নথির সঙ্গে আধার কার্ডও (Aadhaar Card) পরিচয়পত্র হিসাবে গণ্য করা যেতে পারে। তবে এতদিন পর্যন্ত সুপ্রিম কোর্ট এ বিষয়ে কোনও নির্দিষ্ট নির্দেশ দেয়নি। সোমবার আদালত নির্বাচন কমিশনকে নির্দেশ দিল, ভোটাররা পরিচয়পত্র হিসেবে আধার ব্যবহার করতে পারবেন এবং আধারকে প্রামাণ্য নথি হিসেবে তালিকাভুক্ত করতে হবে। শীর্ষ আদালত জানিয়েছে, আধার একক নথি হিসেবে নয়, অন্যান্য নথির সঙ্গে মিলিয়ে প্রমাণ হিসেবে ব্যবহার করা যাবে।

    আধার কার্ড (Aadhaar Card) নাগরিকত্বের প্রমাণ নয়

    প্রসঙ্গত, ২০১৮ সালের পুত্তস্বামী মামলায় সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছিল, আধার কারও নাগরিকত্ব প্রমাণের অধিকার তৈরি করতে পারে না। সোমবারের শুনানিতে সেই একই বিষয় বলল সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)। আদালত আরও জানিয়েছে, আধার আসল নাকি ভুয়ো, অন্য নথি যাচাইয়ের ক্ষেত্রে যে নিয়মগুলো অনুসরণ করা হয়, একইভাবে আধারের ক্ষেত্রেও সেই নিয়ম প্রযোজ্য হবে। নির্বাচন কমিশনও জানিয়েছে, তারা আইনি বিধি মেনে আধারকে পরিচয়পত্রের প্রামাণ্য নথি হিসেবে বিবেচনা করবে। আদালত স্পষ্টভাবে বলেছে, আধার কার্ড (Aadhaar Card) নাগরিকত্বের প্রমাণ নয়। কেউ নাগরিকত্ব প্রমাণের জন্য আধার দাখিল করতে পারবেন না।

  • BJP: গ্রেট নিকোবর দ্বীপ প্রকল্প নিয়ে কংগ্রেসকে ধুয়ে দিল বিজেপি

    BJP: গ্রেট নিকোবর দ্বীপ প্রকল্প নিয়ে কংগ্রেসকে ধুয়ে দিল বিজেপি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ৭২ হাজার কোটি টাকার গ্রেট নিকোবর দ্বীপ প্রকল্প নিয়ে কংগ্রেসের করা সমালোচনার জবাব দিল বিজেপি (BJP)। দলের মুখপাত্র অনিল কে অ্যান্টনি রাহুল গান্ধীর বিরুদ্ধে ইন্দো-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে ভারতের কৌশলগত স্বার্থকে ক্ষুণ্ণ করার অভিযোগ করেছেন। অনিল প্রবীণ কংগ্রেস নেতা একে অ্যান্টনির ছেলে। এক্স হ্যান্ডেলে অনিল বলেন (Great Nicobar Project), “এই দ্বীপগুলি ইন্দোনেশিয়ার মাত্র ১৫০ মাইল দূরে অবস্থিত, মালাক্কা প্রণালীর পশ্চিম প্রবেশদ্বারের কাছে, যা বিশ্বব্যাপী অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ সামুদ্রিক পথ।”

    বিজেপির বক্তব্য (BJP)

    তিনি বলেন, “ক্যাম্পবেল বে-তে অবস্থিত নৌবাহিনীর বিমান ঘাঁটি আইএনএস বাজ ২০১২ সালে কমিশন করা হয়েছিল। সেই সময় সোনিয়া গান্ধী ছিলেন ইউপিএর চেয়ারপার্সন।” বিজেপির এই নেতার প্রশ্ন, “কোন ভিত্তিতে রাহুল গান্ধী ও কংগ্রেস পার্টি এমন গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্পকে একটি ভুল পদক্ষেপ বলে মনে করছেন।” তিনি বলেন, “দশ বছরেরও বেশি সময় পরে কোন ভিত্তিতে এবং কার পক্ষে আপনি, আপনার পরিবার এবং আপনার দল এখন এমন একটি গুরুত্বপূর্ণ জাতীয় নিরাপত্তা সংক্রান্ত প্রকল্পকে ভুল পদক্ষেপ বলে মনে করছেন (BJP)?”

    গ্রেট নিকোবর দ্বীপ প্রকল্প

    গ্রেট নিকোবর দ্বীপ প্রকল্প একটি সরকারি পরিকল্পনা। এর মাধ্যমে দ্বীপটিতে একটি ট্রানশিপমেন্ট পোর্ট, একটি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর, একটি পাওয়ার প্ল্যান্ট এবং একটি আধুনিক টাউনশিপ তৈরি করা হবে। এই প্রকল্পে উন্নয়নকে কৌশলগত অবস্থানের সঙ্গে যুক্ত করা হয়েছে। প্রায় ১৬০ বর্গ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে এই প্রকল্প বিস্তৃত। এর মধ্যে ১৩০ বর্গ কিলোমিটার বনাঞ্চলে নিকোবরিজ ও শোম্পেন সম্প্রদায় বসবাস করে। এক্স হ্যান্ডেলে রাহুল গান্ধী লেখেন, “গ্রেট নিকোবার দ্বীপ প্রকল্প একটি মিসঅ্যাডভেঞ্চার, যা উপজাতির অধিকারকে পা দিয়ে দখল করছে এবং আইনি ও বিবেচনামূলক প্রক্রিয়ার অমর্যাদা করছে। এই প্রবন্ধে কংগ্রেস সংসদীয় দলের চেয়ারপার্সন শ্রীমতি সোনিয়া গান্ধী নিকোবারের (Great Nicobar Project) মানুষ এবং তাদের সংবেদনশীল পরিবেশে এই প্রকল্পের দ্বারা যে অন্যায় সংঘটিত হচ্ছে তা তুলে ধরেছেন।” এরই উত্তর দিতে গিয়ে কংগ্রেসকে নিশানা করল বিজেপি (BJP)।

     

  • Asia Cup 2025: ফেভারিট হিসেবেই নামছে আটবারের চ্যাম্পিয়ন ভারত! আজ থেকে শুরু এশিয়া কাপ, বুধে মাঠে সূর্য-ব্রিগেড

    Asia Cup 2025: ফেভারিট হিসেবেই নামছে আটবারের চ্যাম্পিয়ন ভারত! আজ থেকে শুরু এশিয়া কাপ, বুধে মাঠে সূর্য-ব্রিগেড

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এশিয়া কাপের (Asia Cup 2025) দামামা বেজে গিয়েছে। প্রথম ম্যাচেই আজ, মঙ্গলবার হংকংয়ের বিরুদ্ধে খেলতে নামবে আফগানিস্তান। এবারের এশিয়া কাপ টি টোয়েন্টি ফর্ম্যাটে হতে চলেছে। আগামী বছর টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের প্রস্তুতি হিসেবেই এই টুর্নামেন্ট কুড়ির ফর্ম্যাটে করার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। বুধবার অর্থাৎ দ্বিতীয় দিন অভিযান শুরু ভারতের। প্রথম প্রতিপক্ষ আরব আমিরশাহি। ক্রিকেট প্রেমীদের নজর সুপার সান ডে-তে। দুবাই আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে ভারত-পাকিস্তান মহারণ।

    ফেভারিট ভারত

    এশিয়া কাপে এবার ফেভারিট দল হিসেবেই খেলতে নামছে ভারতীয় ক্রিকেট দল। সূর্যকুমার যাদবের নেতৃত্বে গৌতম গম্ভীরের কোচিংয়ে গত এক বছরে এই ফর্ম্যাটে দুর্দান্ত পারফরম্যান্স রয়েছে ভারতের। বিরাট, রোহিত গত বছর টি টোয়েন্টি বিশ্বকাপের পর এই ফর্ম্যাট থেকে সরে দাঁড়ালেও ব্যাটিং অর্ডারে কোনও সমস্যার মুখে পড়তে হয়নি টিম ইন্ডিয়াকে। শেষবার ২০২৩ সালে রোহিত শর্মার নেতৃত্বেই শ্রীলঙ্কাকে ফাইনালে হারিয়ে এশিয়া কাপ জিতেছিল ভারত। এমনিতেও টুর্নামেন্টের ইতিহাসে সবচেয়ে সফল দলও টিম ইন্ডিয়া। ১৯৮০ সাল থেকে শুরু হওয়া এশিয়া কাপে এখনও পর্যন্ত মোট আটবার চ্যাম্পিয়ন হয়েছে ভারত। ১৯৮৪ সালে প্রথমবার এই খেতাব জেতে টিম ইন্ডিয়া। এরপর ১৯৮৮, ১৯৯১, ১৯৯৫ সালেও এশিয়া কাপ ঘরে তুলে নেই ভারতই। এরপর দীর্ঘ প্রায় ১৫ বছরের অপেক্ষা ছিল। ২০১০ সালে মহেন্দ্র সিং ধোনির অধিনায়কত্বে ফের এশিয়া কাপ জিতে নেয় ভারত। ২০১৮ ও ২০২৩ শেষ দুবারের এশিয়া কাপ জয়ী ভারতীয় দলের অধিনায়ক ছিলেন রোহিত শর্মা।

    কাদের সঙ্গে খেলবে ভারত

    ভারতের গ্রুপে রয়েছে সংযুক্ত আরব আমিরশাহি, পাকিস্তান ও ওমান। ১০ সেপ্টেম্বর সংযুক্ত আরব আমিরশাহির বিরুদ্ধে ম্যাচ দিয়ে শুরু হচ্ছে ভারতের অভিযান। সেই ম্যাচে ভারতের জন্য তৈরি করা হচ্ছে গ্রিন টপ। দুবাইয়ের উইকেটে সোমবার সন্ধ্যা পর্যন্ত সবুজ ঘাসের আস্তরণ। দুবাইয়ের পিচ দেখে ভারতীয় শিবিরেরও অনেকে হতবাক। মরুদেশে খেলেই চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি জিতেছিল ভারত। তবে সেই পিচ আর এবারের বাইশ গজের মধ্যে আকাশ-পাতাল তফাত বলে মনে করছেন অনেকে। ভারতীয় সময় অনুযায়ী ম্যাচ শুরু হবে রাত আটটায়। আরব আমিরশাহির গরমের কারণেই আধঘণ্টা পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে। তবে দিনের ম্যাচের সময় বদলানো হয়নি। ভারতের সব ম্যাচই রাতে।

    বিস্তারিত সূচি…

    ৯ সেপ্টেম্বর-আফগানিস্তান বনাম হংকং

    ১০ সেপ্টেম্বর-ভারত বনাম আরব আমিরশাহি

    ১১ সেপ্টেম্বর-বাংলাদেশ বনাম হংকং

    ১২ সেপ্টেম্বর-পাকিস্তান বনাম ওমান

    ১৩ সেপ্টেম্বর-বাংলাদেশ বনাম শ্রীলঙ্কা

    ১৪ সেপ্টেম্বর-ভারত বনাম পাকিস্তান

    ১৫ সেপ্টেম্বর-আরব আমির শাহি বনাম ওমান ১৫ সেপ্টেম্বর-শ্রীলঙ্কা বনাম হংকং

    ১৬ সেপ্টেম্বর-বাংলাদেশ বনাম আফগানিস্তান

    ১৭ সেপ্টেম্বর-পাকিস্তান বনাম আরব আমির শাহি

    ১৮ সেপ্টেম্বর-শ্রীলঙ্কা বনাম আফগানিস্তান

    ১৯ সেপ্টেম্বর-ভারত বনাম ওমান

    ২০ সেপ্টেম্বর থেকে সুপার ফোরের ম্যাচ

    ২৮ সেপ্টেম্বর ফাইনাল

  • Vice President Election 2025: উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচনে জয়ের আশায় এনডিএ প্রার্থী, ঐক্য বজায় রাখার লড়াই বিরোধীদের

    Vice President Election 2025: উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচনে জয়ের আশায় এনডিএ প্রার্থী, ঐক্য বজায় রাখার লড়াই বিরোধীদের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জগদীপ ধনখড়ের আচমকা ইস্তফার পর দেশের পরবর্তী উপরাষ্ট্রপতি হতে চলেছেন এনডিএ (NDA) প্রার্থী সিপি রাধাকৃষ্ণনই (CP Radhakrishnan। অঙ্কের হিসেব অন্তত তেমনটাই বলছে। অসম্ভব কিছু না হলে এনডিএ প্রার্থীর জয় এখন খালি সময়ের অপেক্ষা৷ তবে শুধু জয় নয়, উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচনে জয়ের মার্জিন যতটা সম্ভব বাড়িয়ে নিয়ে বিরোধীদের বার্তা দিতে চায় বিজেপি৷ অন্যদিকে, ঐক্য ধরে রাখার লড়াই বিরোধী জোটের কাছে। ইন্ডি (INDIA) জোটের প্রার্থী বিচারপতি বি সুদর্শন রেড্ডি (Justice B Sudershan Reddy) মঙ্গলবার সকাল পর্যন্ত সেই চেষ্টাই করে যাচ্ছেন। বিহার-সহ (2025 Bihar Legislative Assembly election) বিভিন্ন রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনের আগে এই ঐক্য গুরুত্বপূর্ণ বিরোধীদের।

    ভোটগ্রহণ শুরু হওয়ার অপেক্ষা

    মঙ্গলবার সকাল ১০টায় সংসদে উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচনের ভোটগ্রহণ শুরু হবে। প্রথম ভোট দেবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Prime Minister Narendra Modi) এরপরেই তিনি বন্যাবিধ্বস্ত পাঞ্জাব (Punjab) ও হিমাচল প্রদেশের (Himachal Pradesh) পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে যাবেন। বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত চলবে ভোটগ্রহণ। সন্ধে ৬টায় শুরু হবে ভোটগণনা। মঙ্গলবার রাতের মধ্যেই জানা যাবে কে ভারতের ১৪-তম উপরাষ্ট্রপতি এবং রাজ্যসভার চেয়ারম্যান হতে চলেছেন।

    কী বলছে অঙ্কের হিসেব?

    উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচনে ভোট দেবেন লোকসভা (Lok Sabha) ও রাজ্যসভার (Rajya Sabha) সাংসদরা। লোকসভার সাংসদ সংখ্যা ৫৪২ এবং রাজ্যসভার সাংসদ সংখ্যা ২৩৮। ফলে মোট ৭৮১ জন সাংসদের ভোট দেওয়ার কথা। তবে ভারত রাষ্ট্র সমিতি (Bharat Rashtra Samithi) ও বিজু জনতা দলের (Biju Janata Dal) সাংসদরা ভোট দেবেন না। শিরোমণি আকালি দলও ভোটে অংশ নিচ্ছে না। ফলে মোট ৭৬৭ জন সাংসদের ভোট দেওয়ার কথা। সেক্ষেত্রে ৩৮৬ জনের ভোট পেলেই জয় পাবেন সংশ্লিষ্ট প্রার্থী। লোকসভা এবং রাজ্যসভা মিলিয়ে এনডিএ-র হাতে ৪০০-র বেশি সাংসদ রয়েছেন৷ এর বাইরে জগনের দলের ১১ জন সাংসদ এনডিএ প্রার্থীর সমর্থনে ভোট দেবেন৷ হিসেব অনুযায়ী ভোটদান হলে, এনডিএ প্রার্থী রাধাকৃষ্ণন ৪৩৬টি ভোট পেতে পারেন৷ যেখানে ম্যাজিক ফিগার ৩৮৬৷ এনডিএ প্রার্থী এর চেয়ে বেশি ভোট পেলেই ইন্ডি শিবিরে চিন্তা তৈরি হতে পারে।

    ১৭তম উপ রাষ্ট্রপতি নির্বাচন

    সংখ্যাগরিষ্ঠতা আছে। তবে উপ-রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে ক্রস ভোটিংয়ের সম্ভাবনা রয়েছে। মঙ্গলবার (৯ সেপ্টেম্বর) সংসদ ভবনে ভারতের ১৭তম উপ রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের ভোটগ্রহণ। গত ২১ জুলাই স্বাস্থ্যজনিত কারণে হঠাৎ পদত্যাগ করেছিলেন জগদীপ ধনখড়। তার পরই এই নির্বাচন। সংসদ ভবনের রুম নম্বর এফ-১০১, বসুধায় ভোটিং হবে। সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত চলবে ভোটগ্রহণ। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সকাল ১০টাতেই ভোট দেবেন বলে জানা গিয়েছে। ভোট শুরু হওয়ার আগে সকাল সাড়ে ৯টায় ব্রেকফাস্ট মিটিংয়ে ডাকা হয়েছে এনডিএ সাংসদদের।

    প্রার্থী পরিচিতি

    সিপি রাধাকৃষ্ণন: এনডিএ প্রার্থী হলেন বর্তমানে মহারাষ্ট্রের রাজ্যপাল সিপি রাধাকৃষ্ণন। গৌন্ডার-কোঙ্গু ভেল্লালার সম্প্রদায়ের ওবিসি প্রার্থী। ৬৮ বছর বয়সি বিজেপি নেতা রাধাকৃষ্ণনের শিকড় রয়েছে রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘের সঙ্গে। মিষ্টভাষী, অবিতর্কিত মানুষ রাধাকৃষ্ণনকে তামিল রাজনীতিতে অজাতশত্রু হিসেবে ডাকা হয়। এই রাজ্য থেকে বিজেপির হয়ে তিনিই প্রথম ব্যক্তি যিনি দুবার লোকসভায় নির্বাচিত হয়েছিলেন।

    বি সুদর্শন রেড্ডি: সুপ্রিম কোর্টের প্রাক্তন বিচারপতি বি সুদর্শন রেড্ডির বয়স ৭৯ বছর। ২০১১ সালের জুলাইয়ে তিনি অবসরগ্রহণ করেন। কালো টাকা নিয়ে সরকারি তদন্তের গাছাড়া মনোভাব প্রসঙ্গে তৎকালীন সরকারকে তুলোধনা করেছিলেন। এমনকী ছত্তীসগড়ে নকশাল দমনে সরকারের সালওয়া জুড়ুমকে তিনি অসাংবিধানিক বলে ঘোষণা করেছিলেন।

    ক্রস ভোটিংয়ের সম্ভাবনা

    ভোট হবে একক ক্রম আনুপাতিক প্রতিনিধিত্ব পদ্ধতিতে। সাংসদরা সাদা ব্যালট পেপারে নির্দিষ্ট কালি দিয়ে প্রার্থীর নামের সামনে ক্রম (১, ২, ৩) লিখবেন। অর্থাৎ প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় পছন্দ। এভাবে সবার প্রথম পছন্দ কে, সেটা গণনা করা হবে। কোনও প্রার্থী ৫০ শতাংশের বেশি ফার্স্ট ভোট পেলে সঙ্গে সঙ্গে নির্বাচিত হয়ে যাবেন। অন্যথায় যিনি সর্বনিম্ন ভোট পেয়েছেন, তাঁকে বাদ দেওয়া হবে এবং সেক্ষেত্রে সেকেন্ড চয়েসের সঙ্গে ফার্স্ট চয়েসের ভোটের হার তুলনা করে দেখা হবে। রাষ্ট্রপতি ও উপ-রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে কোনও দলীয় প্রতীক থাকে না। তাই হুইপ জারি হয় না। সাংসদরা স্বাধীনভাবে ভোট দিতে পারেন। এই কারণে ক্রস ভোটিংয়ের সম্ভাবনাও উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না। রাজনৈতিক মহল মনে করছে, এই ভোট কেবল নতুন উপ-রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের নয়, ভবিষ্যতের রাজনৈতিক সমীকরণেরও ইঙ্গিত বহন করতে পারে।

LinkedIn
Share