মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কৈলাশের পথে কেলেঙ্কারি! উত্তরাখণ্ডের পিথোরাগড়ের (Pithoragarh) গুহায় উদ্ধার কয়েক হাজার কঙ্কাল (Skeletons)। কীভাবে এই গুহায় এলো কঙ্কাল! এই নিয়ে বিরাট চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে। এক কথায় হাড় কাঁপানো ঘটনা। ভারত-নেপালের এই সীমান্তবর্তী এলাকার পরেই ভারতের একেবারে শেষ গ্রাম গারবিয়াংয়ের পাশ দিয়েই কৈলাস যাওয়ার পথ শুরু।
স্বাভাবিক মৃত্যু নাকি কোনও বিশেষ উদ্দেশ্যে হত্যা (Pithoragarh)?
পিথরাগড়ে (Pithoragarh) উদ্ধার হওয়া কঙ্কালকে ঘিরে বিস্তর রহস্যের দানা বেঁধেছে। যাঁদের এই কঙ্কাল, তাঁদের মৃত্যু ঠিক কীভাবে ঘটেছে। এই মৃত্যু কি স্বাভাবিক মৃত্যু নাকি কোনও বিশেষ উদ্দেশ্যে হত্যা করা হয়েছে, নাকি আবার একসঙ্গে সকলে আত্মবলি দিয়েছিলেন ইত্যাদি-এই সব নানা প্রশ্ন এখন ঘোরাফেরা করছে। তবে এই অজ্ঞাত অঞ্চলে উদ্ধার হওয়া কয়েক হাজার কঙ্কালকে (Skeletons) ঘিরে আতঙ্কের সৃষ্টি হয়েছে। এই অঞ্চলে প্রাপ্ত মানব দেহের কঙ্কাল কোনও নতুন বিষয় নয়। তীর্থ যাত্রীদের কাছে অত্যন্ত সুপরিচিত এবং পবিত্র রূপকুণ্ড থেকে ১৯৪০ সালে বেশ কিছু মানব কঙ্কাল উদ্ধার হয়েছে।
১৮০০ শতকের কাছাকাছি সময়ে মৃত্যু হয়েছে অনুমান
ঘটনায় প্রাথমিক ভাবে মনে করা হচ্ছে অতীতে হয়তো কোনও সময় কৈলাসের তীর্থযাত্রীরা (Pithoragarh) তুষারঝড় বা শিলাবৃষ্টির মতো কোনও প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের মুখে পড়েছিলেন। আর তাতেই হয়তো প্রাণ হারিয়ে ছিলেন। তবে কঙ্কাল (Skeletons) উদ্ধারের পর দেহগুলিকে ডিএনএ পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে। জানা গিয়েছে, সেখানে দুই ধরনের কঙ্কাল রয়েছে। এই কঙ্কালের একদল মানুষেরা আনুমানিক ৮০০ খ্রিস্টাব্দের কাছাকাছি সময়ে জীবিত ছিলেন। অপর দিকে অন্য দলের মানুষজনের ১৮০০ শতকের কাছাকাছি সময়ে মৃত্যু হয়েছে। অতিরিক্ত এর থেকে বেশি তথ্য জানা যায়নি।
আরও পড়ুনঃ যোগীকে খুনের হুমকি, মুম্বই পুলিশ গ্রেফতার করল মুসলিম তরুণীকে
কঙ্কাল কী বন ধর্মাবলম্বীদের?
১৯০১ সালে দুই সুইস পর্যটক আর্নল্ড হাইম এবং অগুস্ত গানসের এই অঞ্চল দিয়েই তিব্বতের দিকে এগিয়েছিলেন বলে জানা যায়। তাঁদের লেখা বিখ্যাত বই ‘ওয়েস্টার্ন টিবেট অ্যান্ড দ্য ব্রিটিশ বর্ডারল্যান্ড’-তে ওই গুহাটির উল্লেখ আছে। নৃতত্ত্ববিদদের একাংশ মনে করছেন এই কঙ্কালগুলো তিব্বতের প্রাচীন ‘বন’ সংস্কার বা ‘বন’ ধর্মরীতির সঙ্গে ঘনিষ্ঠ ভাবে যুক্ত। মোটামুটি নবম শতাব্দীর সময় পর্বে আদি শঙ্করাচার্যের প্রভাবে এই অঞ্চলে হিন্দুধর্ম নতুন করে শক্তিশালী হতে শুরু করেছিল। তবে তাঁর মতের আগে এই এলাকায় ‘বন’ নামের একটি বিশেষ ধর্মমত চালু ছিল। ফলে বৌদ্ধ ধর্মের বজ্রযান এবং স্থানীয় কোনও ধর্মের সংস্পর্শে উক্ত ‘বন’ ধর্মের বিকাশ ঘটেছিল কিনা তা নিয়ে বিস্তর গবেষণা চলছে উত্তরাখণ্ডে (Pithoragarh)।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Whatsapp, Facebook, Twitter, Telegram এবং Google News পেজ।
+ There are no comments
Add yours