Sandeshkhali: আদালতের পথে ‘হত্যার ষড়যন্ত্র’ শাহজাহান মামলায় গুরুত্বপূর্ণ সাক্ষী ভোলাকে! জেলে বসেই প্ল্যান?

sandeshkhali-news-what-did-shahjahan-mamaloy-plan-while-sitting-in-jail-a-conspiracy-to-kill-important-witness-bhola

মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ঠিক যেন হিন্দি সিনেমার দৃশ্য! সাক্ষীকে মারতে জেলে বসেই কি প্ল্যান করেছেন সন্দেশখালির (Sandeshkhali) তৃণমূলের কুখ্যাত নেতা শেখ শাহজাহান (Sheikh Sahajahan)? রেশন দুর্নীতি এবং সন্দেশখালিতে নারী নির্যাতন মামলার সাক্ষীকে হত্যার ছক করে ছিলেন। বিজেপি অবশ্য বারবার রাজ্যের জেল প্রশাসনকে তোপ দেগে অভিযোগ করে জানিয়েছে, জেলে বসেই শাহজাহান সন্দেশখালির মামলাকে প্রভাবিত করার গভীর ষড়যন্ত্র করছে। অভিযুক্ত নেতা জেলে থাকলেও তাঁর বিচরণ যে সর্বত্র তা আরও একবার প্রমাণিত বলে মনে করছেন ওয়াকিবহাল মহল। মামলার প্রত্যক্ষ সাক্ষী ছিলেন ভোলানাথ ঘোষ। আদালতে সাক্ষী দিতে যাওয়ার সময় গাড়িতে দুর্ঘটনার শিকার হন। তবে ভোলা প্রাণে বাঁচলেও ছেলের মৃত্যু হয়েছে। বিজেপি অবশ্য গোটা দুর্ঘটনার পিছনে শাহজাহানের প্রত্যক্ষ হাত রয়েছে বলে মনে করছে।

আগে থেকে পরিকল্পিত হামলা (Sandeshkhali)

বুধবার, আদালতে ছিল শেখ শাহজাহানের (Sheikh Sahajahan) একটি মামলা। এই মামার গুরুত্বপূর্ণ সাক্ষী ছিলেন ভোলা ঘোষ। আজ আদালতে যাচ্ছিলেন মামলার সাক্ষী দিতে। রাস্তায় যাওয়ার সময় ন্যাজাটের কাছে বয়ারমারি পেট্রোল পাম্পের সামনে ভোলার গাড়িতে ধাক্কা মারে একটি ট্রাক। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় ছোট ছেলে সত্যজিৎ ঘোষের। একই ভাবে মৃত্যু হয় চালক শাহানুরের। কিন্তু বেঁচে যান ভোলা। তবে নিজে এখনও জানেন না ছেলের মৃত্যু হয়েছে। ট্রাক চালক ধাক্কা মারার পর বাইকে করে পালিয়ে গিয়েছে বলে জানা গিয়েছে। গোটা ঘটনা যে আগে থেকেই পরিকল্পিত তাও দাবি করেছে বিজেপি।

মামলার সাক্ষীকে খতম করাই উদ্দেশ্য

বিজেপির অবশ্য দাবি, “শাহজাহানের মামলায় (Sandeshkhali) যেহেতু ভোলা সাক্ষী, তাই তাঁকে খুনের ষড়যন্ত্র করা হয়েছে। কোর্টে যাওয়ার সময় পরিকল্পিত ভাবে হামলা করা হয়। আগে থেকে প্রিপ্ল্যান্ড্ ছিল। ছেলে এবং তাঁর গাড়ির চালক মারা গিয়েছেন। যে গাড়িতে করে যাচ্ছিলেন সেই গাড়ির কাগজপত্র ঠিক ছিল না। আজকেই ইএমআই-এর তারিখ ছিল।”

ভোলানাথ ঘোষ একসময়ে শেখ শাহজাহানের (Sheikh Sahajahan) সঙ্গী ছিলেন। পরবর্তীতে নিজেকে সরিয়ে নেন তিনি। ২০২১ সালে শাহজাহানের লোকজন ভোলার বাড়িঘর ভাঙচুর করেছিল। তারপর থেকে ঘরছাড়া ছিলেন। কিন্তু শাহজাহান গ্রেফতার হওয়ার পরেই বাড়িতে ফিরেছিলেন তিনি। ভোলা নিজে বলেন, “বয়ারমারি পার হয়েছি ওই লরিটা সামনে যাচ্ছিল আমাদের গাড়ি এগোচ্ছিল। ডাইরেক্ট এসে আমার গাড়িতে মারল। তারপর আমার গাড়ি জলে চলে গেল। অজ্ঞান হয়ে গেলাম।”

‘‘এটা একশ শতাংশ খুন’’

ভোলার বড় ছেলে বিশ্বজিৎ ঘোষ বলেন, “এটা নিছক দুর্ঘটনা নয়, পরিকল্পিতভাবে ভাবে খুন করা হয়েছে। এটা একশ শতাংশ খুন। আমি যা শুনেছি ট্রাকের ড্রাইভারের নাম আলিম। গারিটা ছিল লাউখালির। আগে থেকে বাবার গাড়ি ফলো করছিল। পাশ থেকে দুবার ধাক্কা দেওয়া হয়। এখানে শাহজাহানের (Sheikh Sahajahan) রাজ চলে, জেলে বসেই নিজের বৌয়ের সঙ্গে গল্প করেন তিনি। শাহজাহানের হয়ে ন্যাজাটের (Sandeshkhali) সবিতা রায় এবং মোসলেম শেখ দাপট চালাচ্ছে। ওদের ষড়যন্ত্রেই এই খুন হয়েছে।”

Please follow and like us:

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

LinkedIn
Share