মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ইডি-র ওপর হামলার পর ফেরার ছিলেন সন্দেশখালির ডন শেখ শাহজাহান। প্রায় দুমাস ধরে চলেছে লুকোচুরি খেলা। ইডি-র ওপর হামলার পর তার গোটা প্রশাসনকে কার্যত ঘোল খাইয়েছেন শেখ শাহজাহান। দেড় মাস ধরে সংবাদমাধ্যমের শিরোনামে ছিলেন তিনি। কিন্তু, সব ছবিই তাঁর পুরনো, কোনটা ফেসবুক প্রোফাইল থেকে নেওয়া, কিংবা সামাজিক মাধ্যমে পোস্ট করা তাঁর ভিডিয়ো ফুটেজ! কারণ, প্রত্যন্ত দ্বীপের দাপুটে এই তৃণমূল নেতার নাম আগে সেভাবে শোনেনি বাংলা। গ্রেফতারির পর শেখ শাহজাহান সংবাদমাধ্যমের ফেস টু ফেস সন্দেশখালির বাঘ শেখ শাহজাহান। পরনে ছিল ধবধবে সাদা পোশাক, পায়ে স্নিকার্স। গ্রেফতারির পরও স্বমেজাজেই রয়েছেন তিনি। তবে, এদিন আদালতে তোলার সময় কোনও কথা বললেননি তিনি।
১০ দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ
বৃহস্পতিবার ভোরবেলায় মিনাখাঁ বামনপুকুর বাজার এলাকায় খ্রিস্টান পাড়া থেকে গ্রেফতার হন শেখ শাহজাহান। গ্রেফতারির পর তাঁকে সোজা আনা হয়েছিল বসিরহাট মহকুমা আদালতের গারদে (কোর্ট লকআপ)। বৃহস্পতিবার সকালে বসিরহাট মহকুমা আদালতের কোর্ট লকআপ থেকে বার করে কিছু ক্ষণের জন্য শাহজাহানকে আনা হয় এজলাসে। প্রথমবার ক্যামেরার সামনে শেখ শাহজাহান। তখনও তাঁর সেই মেজাজ। পুলিশি ঘেরাটোপ, আদালত চত্বরে জনভার ভিড়। পিছনে পুলিশ। সামনে রাজনৈতিক নেতার মতো হাঁটতে হাঁটতে এজলাসে ঢোকেন তিনি। তাঁকে দেখে পাশ দিয়ে ধেয়ে আসে একের পর এক প্রশ্নবাণ। শাহজাহান সাংবাদিক এবং উৎসুক জনতার দিকে তাকিয়ে স্রেফ আঙুল নাড়ালেন। সাংবাদিকদের কোনও প্রশ্ন উত্তর দিলেন না তিনি। শুনানি শেষে শাহজাহানকে নিয়ে আদালত থেকে বেরিয়ে যায় পুলিশ। বিশাল কনভয় কোথায় যাচ্ছে তা নিয়ে জল্পনা ছিল। কারণ, শাহজাহানের গ্রেফতারি নিয়ে প্রথম থেকেই পুলিশ চূড়ান্ত গোপনীয়তা অবলম্বন করছে। স্বভাবতই, তাঁকে কোথায় রাখা হবে তা এখনও স্পষ্ট নয়। আপাতত ১০ দিনের পুলিশ হেফাজতেই থাকছেন শেখ শাহজাহান।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।
+ There are no comments
Add yours