মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আগামী ৭ জানুয়ারি নেতাই গণহত্যার দিন। তাই এই দিনে নিহতদের স্মরণে একটি অনুষ্ঠাসভায় যোগদিতে চেয়েছেন রাজ্যের বিধানসভার বিরোধীদল নেতা তথা নন্দীগ্রামের বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। কিন্তু পুলিশ এলাকায় অনুষ্ঠান করতে অনুমতি দিচ্ছে না বলে বিজেপির তরফ থেকে অভিযোগ করা হয়েছে। এরপর শুভেন্দু হাইকোর্টে দ্বারস্থ হয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। মামলার শুনানি ৪ জানুয়ারি।
আদালতে শুভেন্দু (Suvendu Adhikari)
৭ জানুয়ারি নেতাইগ্রামে তৎকালীন বাম আমলে সিপিএমের দুষ্কৃতীরা গুলি করে হত্যাকাণ্ড চালিয়ে বলে অভিযোগ উঠেছে। এই হত্যাকাণ্ডের বিরুদ্ধে গতবছরও সভা করার জন্য পুলিশি বাঁধার সম্মুখীন হয়েছিলেন শুভেন্দু। এমনকী আদলাতের অনুমতি নিয়ে সভা করতে গেলেও পুলিশ তাঁকে (Suvendu Adhikari) শারীরিক হেনস্থা করে বলে অভিযোগ উঠেছিল। তাই এবছরে যেন ফের এইরকম সমস্যার মধ্যে না পড়তে হয়, তাই আগে থেকেই হাইকোর্টে আবেদন করে রেখেছেন নন্দীগ্রামের বিধায়ক। বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত বেঞ্চে এই সভার জন্য অনুমোদন আবেদন করেছেন। অবশ্য বিচারপতি আবেদনের প্রেক্ষিতে মামলা দায়ের করার অনুমতি দিয়েছেন ।
গণহত্যা হয়েছিল নেতাই গ্রামে
সময় টা তখন বামআমলের শেষের দিকে সময়। ২০১১ সালে ৭ জানুয়ারি লালগড় ব্লকের নেতাইগ্রামের সিপিআইএমের নেতা রথীন দন্ডপাটের একেবারে বাড়ি থেকে সাধারণ গ্রামবাসীদের উপর গুলি চালানোর ঘটনা ঘটেছিল বলে অভিযোগ উঠেছিল। ঘটনায় আহত হয়েছিলেন মোট ২৮ জন। তাঁদের মধ্যে ৯ জনের মৃত্যু হয়েছিল বলে জানা গিয়েছিল। ঘটনায় প্রধান অভিযুক্ত সিপিএম নেতাদের নাম হল- অনুজ পাণ্ডে, ডালিম পাণ্ডে, ফুল্লরা মণ্ডল, চণ্ডী করণ প্রমুখ। ঘটনায় রাজ্যজুড়ে ব্যাপক শোরগোল পড়ে গিয়েছিল। তবে ২০২২ সালে অভিযুক্ত সিপিএম নেতা ফুল্লরা মণ্ডল মেদিনীপুর কেন্দ্রীয় সংশোধনাগার থেকে মুক্তি পান। এই অভিযুক্ত ফুল্লরা ঘটনায় জখমদের হাসপাতালে নিয়ে যেতে বাঁধা দিয়েছিল। প্রথমে মামলা সিআইডি শুরু করলেও পরে ২০১৩ সালে হাইকোর্টের নির্দেশে সিবিআই তদন্ত শুরু করে। ২০১৪ সালে মোট ২০ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট আদলাতে জমা করে সিবিআই। এবার তাই নেতাইগ্রামে সভা করবেন শুভেন্দু (Suvendu Adhikari)।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।
+ There are no comments
Add yours