Paschim Medinipur: “ভাইপো জেলে যাবে, কতবার যাবে আর আসবে দেখুন”, তোপ শুভেন্দুর

লাভের টাকা মন্ত্রী হয়ে অভিষেকের কাছে, অভিযোগ শুভেন্দুর
Paschim_Medinipur
Paschim_Medinipur

মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পশ্চিম মেদিনীপুরের (Paschim Medinipur) পিংলায় বিজেপির দলীয় কর্মসূচিতে যোগদান করলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। শাসক শিবির তৃণমূলকে একগুচ্ছ ইস্যুতে নিশানা করলেন তিনি। শুভেন্দু বলেন, “পঞ্চায়েত নির্বাচন নিয়ে রাজীব সিনহা বিরোধীদের অভিযোগকে বার বার অস্বীকার করেছেন। শাসক দলের হয়ে একতরফা কাজ করছেন তিনি। হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি নিজে বিষয়টি দেখছেন। রাজ্য নির্বাচন কমিশনার, হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির আদেশ অমান্য করেছেন। ওঁর যথার্থ শাস্তি হওয়া উচিত।“

ধানের এমএসপি নিয়ে সরব (Paschim Medinipur)

পিংলায় (Paschim Medinipur) সাংবাদিকদের শুভেন্দু বলেন, “ধানের কোনও এমএসপি সাধারণ কৃষক পায় না। ভুয়ো কুপন দিয়ে অ্যাকাউন্টে টাকা ট্রান্সফার করেছে তৃণমূল। খাদ্য দফতরের হাজার হাজার টাকা লুট করেছে সরকার। সরকার ধান কেনেনি, কোনও কৃষক ন্যায্য মূল্য পাননি। বড় বড় চালকলের মালিকরা লাভবান হয়েছে। এটা একটা বড় দুর্নীতি। লাভের টাকা মন্ত্রী হয়ে ভাইপো অভিষেকের কাছে পৌঁছেছে।”

জেলা পুলিশ সুপারের বিরুদ্ধে তোপ

জেলা পুলিশ সুপারকে তীব্র কটাক্ষ করেন শুভেন্দু অধিকারী। নন্দীগ্রাম আন্দোলনের উদাহরণ দিয়ে পুলিশ সুপারকে বলেন, “মেদিনীপুর এবং ঘাটাল লোকসভা হাতছাড়া হওয়ায় অত্যন্ত আতঙ্কিত তিনি। এই সুপার নাবালক। আগেও নন্দীগ্রাম আন্দোলনের সময় অনেক বড় বড় অফিসারদের সঙ্গে অধিকার নিয়ে লড়াই করেছি। মেদিনীপুর হল সংগ্রামের মাটি। আমরা ১৯৪৭ সালে নয়, ১৯৪২ সালে স্বাধীনতা পেয়েছি। এক দিকে মাতঙ্গিনী এবং অপর দিকে ক্ষুদিরাম ছিলেন আমাদের জন্য। তাম্রলিপ্তে স্বাধীন সরকার অনেক আগেই প্রতিষ্ঠা হয়ে গিয়েছিল। তাই কীভাবে লড়াই করতে হয় আমরা বুঝে নেবো।”

তৃণমূলের হাত রয়েছে

বিজেপির অন্দরের কলহ নিয়ে ওঠা অভিযোগ প্রসঙ্গেও মুখ খুললেন শুভেন্দু অধিকারী। এর পিছনে তৃণমূলের হাত রয়েছে, দাবি করেন তিনি। তিনি বলেন, “সন্দেশখালি থেকে কিছু লোকজন, শাজাহান শেখের ঠিক করা বাসে এসে গোলমাল করে। এর পিছনে তৃণমূল সক্রিয়।” এছাড়াও সাংবাদিকদের বলেন, “আপনারা এই নিয়ে ভাববেন না, ওটা আমাদের ভাবনা। আপনারা চাকরি চুরি নিয়ে, ডিএ নিয়ে ভাবুন। ভাইপো স্বগোষ্ঠী নিয়ে জেলে যাবে। কতবার যাচ্ছেন আর আসছেন তাই দেখুন। কিছু পরিচিত মুখ সামনে আছে, আমি সুকান্ত মজুমদারের সঙ্গে বসে কথা বলব। দিলীপ ঘোষের মন্তব্যকে আংশিক সমর্থন করি। বিজেপি থেকে আইপ্যাক এবং তৃণমূলকে আলাদা করেতে হবে। পুরাতন কর্মীদের বক্তব্য শুনতে হবে।”  

 

দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

Share:

Facebook
Twitter
WhatsApp
LinkedIn

You may also like

+ There are no comments

Add yours

Recent Articles