Siliguri: লক্ষ্মীর ভান্ডার নিলে তৃণমূল করার ফতোয়া! বিজেপি কর্মীকে বেধড়ক মার, থানায় বিক্ষোভ

BJP: শিলিগুড়িতে ভোট পরবর্তী হিংসা, প্রতিবাদে রাস্তায় নেমে আন্দোলনে বিজেপি
Siliguri_(1)
Siliguri_(1)

মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: লক্ষ্মীর ভান্ডারের টাকা নিয়ে বিজেপি করা যাবে না। তৃণমূলে যোগ দিতে হবে। এই ফতোয়া জারি করে শিলিগুড়ি (Siliguri) শহর লাগোয়া ডাবগ্রাম-ফুলবাড়ি বিধানসভা এলাকায় বিজেপি কর্মীদের ওপর সন্ত্রাস চালাচ্ছে  তৃণমূল। শুক্রবার রাতে শিলিগুড়ি পুরসভার ৩৯ নম্বর ওয়ার্ডে এক বিজেপি কর্মীকে বেধড়ক  মারধর করার অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। হামলার প্রতিবাদে শনিবার থানায় অভিযোগ জানাতে জানাতে গিয়ে পুলিশের হেনস্থার শিকার হন ডাবগ্রাম- ফুলবাড়ির বিজেপি বিধায়ক শিখা চট্টোপাধ্যায়।

ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে?  (Siliguri)

শুক্রবার রাতে বাড়ি ফেরার পথে বিজেপি কর্মীর ওপর হামলা চালানো হয় বলে অভিযোগ। বিজেপির শিলিগুড়ির (Siliguri) জেলা সাধারণ সম্পাদক রাজু সাহা বলেন, ৩৯ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূলের নেতা সুরজিৎ ঘোষ ওরফে টিটু, শিশির রায়, চঞ্চল সরকার সহ বেশ কয়েকজন আমাদের ওই এলাকার শক্তি কেন্দ্র প্রমুখ অসিত পালকে মারধর করে। হুমকি দেওয়া হয়, লক্ষ্মীর ভান্ডার নিলে বিজেপি করা যাবে না। তৃণমূলে যোগ দিতে হবে। রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে অসিত পালকে শিলিগুড়ি জেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

কেন তৃণমূলের এই সন্ত্রাস?

জলপাইগুড়ি লোকসভা আসনে বিজেপি ৮৬ হাজার ৭৭৭ ভোটে জিতেছে। তার মধ্যে এই ডাবগ্রাম- ফুলবাডড়ি বিধানসভা এলাকা থেকে ৭২ হাজার ২৪৫ ভোটে বিজেপি লিড পেয়েছে। এলাকার বিজেপি বিধায়ক শিখা চট্টোপাধ্যায় বলেন, পরাজয়ের  প্রতিহিংসা নিতে তৃণমূল এলাকায় বিজেপি নেতা-কর্মীদের ওপর সন্ত্রাস শুরু করেছে। ভোটের ফল বের হওয়ার পর থেকেই তৃণমূলের গুন্ডা বাহিনী হুমকি দিতে শুরু করেছে।

পুলিশি হেনস্থার শিকার বিজেপি বিধায়ক শিখা চট্টোপাধ্যায়

শনিবার দুপুরে তিনি ভক্তিনগর থানায় দলীয় কর্মীর আক্রান্ত হওয়ার ঘটনা নিয়ে অভিযোগ দায়ের করতে যান। তাঁর সঙ্গে বিজেপির স্থানীয় নেতা-কর্মীরা ছিলেন। কিন্তু, বিজেপি বিধায়ক ভক্তিনগর থানার গেটের মুখে পৌঁছতেই পুলিশ তাঁর পথ আটকে দাঁড়ায়। ধস্তাধস্তি,  চিৎকার, চেঁচামেচির পর শিখা চট্টোপাধ্যায়কে থানায় ঢুকতে দিতে পুলিশ বাধ্য হয়। শিখা চট্টোপাধ্যায় বলেন, আমি একজন বিধায়ক। আমি পুলিশের কাছে আইনের আশ্রয় নিতে এসেছি। আর সেখানে পুলিশ একজন বিধায়ককে যেতে বাধা দিচ্ছে। এতেই প্রমাণ হয় পুলিশ তৃণমূলের দলদাস হয়ে কাজ করছে। অসিত পালকে লক্ষ্মীর ভান্ডার নিয়ে হুমকি দেওয়া ও  মারধরের ঘটনায় যুক্ত তৃণমূলের স্থানীয় নেতা সুজিত ঘোষ ও তার সঙ্গীদের অবিলম্বে গ্রেফতার করতে হবে। তা নাহলে ব্যাপক আন্দোলন হবে।

আরও পড়ুন: পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটবৃষ্টি, বিজেপি কর্মীদের বেধড়ক মার, গাড়ি ভাঙচুর, কাঠগড়ায় তৃণমূল

কী বলছে তৃণমূল?

তৃণমূলের দার্জিলিং জেলার (সমতল) মুখপাত্র বেদব্রত দত্ত বলেন, রাজনৈতিক কোনও সংঘর্ষ নয়।  স্কুটারের ধাক্কা লাগায় ছোট্ট ঘটনা নিয়ে দুজনের মধ্যে বচসা থেকে উত্তেজনা বেশি হয়ে যাওয়ায়  দু'পক্ষের মধ্যে হাতাহাতি হয়েছে। বিজেপি রাজনৈতিক উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে রাজনৈতিক রঙ দেওয়ার চেষ্টা করছে।

 

 

দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

Share:

Facebook
Twitter
WhatsApp
LinkedIn

You may also like

+ There are no comments

Add yours

Recent Articles