Suvendu Adhikari: “নির্বাচন কমিশন গর্তে কার্বলিক অ্যাসিড দিয়েছে, এখন সাপ বেরোচ্ছে”, হুঁশিয়ারি শুভেন্দুর

sir-news-the-election-commission-put-carbolic-acid-in-the-hole-now-snakes-are-coming-out-warns-suvendu-adhikari

মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভোটার তালিকায় নিবিড় সমীক্ষা (SIR) ঘোষণার পর থেকেই ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত এলাকায় বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীরা ধরা পড়তে শুরু করেছে। অবৈধ বাংলাদেশি-রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশকারীদের নিয়ে তোপ দাগলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। ৪ নভেম্বর থেকেই পশ্চিমবঙ্গ সহ দেশের ১২টি রাজ্যে এসআইআর-এর কাজ শুরু হবে। তাই অনুপ্রবেশকারীদের বাংলাদেশে পালানোর হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। তিনি তোপ দেগে বলেন, “নির্বাচন কমিশন গর্তে কার্বলিক অ্যাসিড দিয়েছে। এখন সাপ বেরোচ্ছে।”

বাংলাদেশি মুসলমানদের ডিপোর্ট করবে বিএসএফ (Suvendu Adhikari)

৪ অক্টোবর, মঙ্গলবার থেকেই নির্বাচন কমিশনের বিএলওরা বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে নিবিড় সংশোধনের কাজ শুরু করবেন। টানা তিন মাস কাজ চলবে। ২০২৬ সালের ৭ ফেব্রুয়ারি চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশ করবে। আর তাই কাগজে কলমে ধরা পড়ার আগে বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীদের ভারত ছাড়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) স্পষ্ট কথায় বলেন, “আজকে বলছি পালাও, হাতে মাত্র ২৪ ঘণ্টা রয়েছে। ৪ তারিখের আগেই পালাও। ৪ তারিখের পর যে ফর্মগুলি রিটার্ন (SIR) আসবে না, বাংলাদেশি মুসলমানদের ডিপোর্ট করবে বিএসএফ। যে রাস্তা দিয়ে এসেছেন সেই রাস্তা দিয়ে পালান। ৭ ফেব্রুয়ারি ভোটার লিস্টে নাম না থাকলে রাজ্যের পুলিশও বাঁচাতে পারবে না।”

২০-২৫ শতাংশ মুসলিম বাংলাদেশি পালিয়েছে

জাতীয় নির্বাচন কমিশন এসআইআর (SIR) ঘোষণার করার পর থেকেই ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে গত কয়েকদিনে প্রচুর বাংলাদেশি ধরা পড়েছে। আসলে সীমান্ত টপকে বাংলাদেশে যাতেই এই লোকগুলি ধরা পড়েছে। নন্দীগ্রামের বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) বলেন, “২০-২৫ শতাংশ মুসলিম বাংলাদেশি পালিয়েছে। সীমান্ত এলাকার গ্রাম ফাঁকা হয়ে গিয়েছে। নিউটাউনে কাজের লোকেগুলি নেই। গর্তে কার্বলিক দিলে সাপ বেরোয়। জাতীয় নির্বাচন কমিশন অ্যাসিড দিয়েছে। সাপগুলি এখন বেরহচ্ছে।”

পশ্চিমবঙ্গে এসআইআর নিয়ে এতো বিরোধিতা কেন? এই নিয়ে শুভেন্দু বলেন, “সারা দেশে মোট ১২টি রাজ্যে হচ্ছে। তামিলনাড়ুতে স্ট্যালিন সাহেবের রাজ্যে হচ্ছে, শুধু অবিজেপি শাসিত নয়, একাধিক বিজেপি শাসিত রাজ্যেও এইআইআর হচ্ছে। কোথাও তো কোনও আন্দোলন বা হইচই নেই। সব কিছুতেই যেন গেল গেল রব। এই রাজ্যেই কেন?”

অপর দিকে বামনেতা সুজন চক্রবর্তী বলেছেন, “এসআইআরে গরিব লোকেরা খুব কষ্টে পড়বে, তাদের কাছে কাগজ কম আছে।” আবার শ্রীরামপুরের সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, “নির্বাচন কমিশনকে বিজেপি ব্যবহার করছে।” তবে নরমেগরমে ভোটের আগেই এসআইআর আবহে বঙ্গরাজনীতি এখন বিরাট উত্তাল।

Please follow and like us:

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

LinkedIn
Share