মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সিরিয়াতে (Syria) এক ভয়াবহ সংঘর্ষে ১,০০০-এর বেশি মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন। ক্ষমতাচ্যুত প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের অনুগামী এবং নিরাপত্তা বাহিনীর মধ্যে এই সংঘর্ষ হয় বলে জানা গিয়েছে। বর্তমান সরকারের প্রতিশোধমূল পদক্ষেপ থেকেই এই হিংসার শুরু হয় বলে ডানা গিয়েছে। জানা গিয়েছে, মূলত ক্ষমতাচ্যুত প্রেসিডেন্ট আসাদের অনুগত আলাওয়াইট সম্প্রদায়ের ওপর এই হামলা চলে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, কিছু নারীদের রাস্তায় নগ্ন করে হাঁটানো হয় এবং পরে গুলি করে হত্যা করা হয়।
হিংসার কেন্দ্র হল সিরিয়ার উপকূলীয় অঞ্চল (Syria)
বর্তমানে পরিস্থিতি বেশ কিছুটা শান্ত হয়েছে। সরকার বেশিরভাগ এলাকায় নিজেদের নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করেছে। সহিংসতার কেন্দ্র হল সিরিয়ার (Syria) উপকূলীয় অঞ্চল। এখানকার সব রাস্তা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটস জানিয়েছে, এই সংঘর্ষে ৭৪৫ সাধারণ নাগরিক নিহত হয়েছেন। তাঁদের অধিকাংশই কাছ থেকে গুলি চালিয়ে হত্যা করা হয়েছে। পাশাপাশি, ১২৫ জন সরকারি নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্য এবং ১৪৮ জন সশস্ত্র আসাদ-সমর্থক যোদ্ধাও নিহত হয়েছেন।
বিদ্যুৎ ও খাবার জলের সংযোগও বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হয়েছে
আসাদের শাসনকালে আলাওয়াইট সম্প্রদায় (Syria Worst Violence) বিশেষ সুবিধা পেত বলে জানা গিয়েছে। তবে তিন মাস আগে নতুন সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকে এই সম্প্রদায়ের উপর একাধিকবার হামলার ঘটনা ঘটছে। এই আবহে সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটস জানিয়েছে, সহিংসতার পাশাপাশি লাতাকিয়া শহরের আলাওয়াইট অধ্যুষিত এলাকাগুলিতে বিদ্যুৎ ও খাবার জলের সংযোগও বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হয়েছে।
বনিয়াস শহরে ভয়ঙ্কর পরিস্থিতি (Syria)
স্থানীয় বাসিন্দারা সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, আলাওয়াইট সম্প্রদায়ের বেশ কিছু বাড়ি লুটপাটের পর জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছে। লেবাননের পার্লামেন্টের আলাওয়াইট সম্প্রদায়ের প্রতিনিধি হায়দার নাসের জানিয়েছেন, সিরিয়া থেকে বহু আলাওয়াইট নাগরিক নিরাপত্তার কারণে লেবাননে পালিয়ে যাচ্ছেন। বনিয়াস শহরে সংঘর্ষ সবচেয়ে বেশি তীব্র আকার ধারণ করে বলে জানা গিয়েছে। সেখানে রাস্তায় এবং বাড়ির ছাদে মরদেহ পড়ে থাকতে দেখা গিয়েছে। এক স্থানীয় বাসিন্দা, যিনি বনিয়াস শহর ছেড়ে পালিয়ে যান। তিনি জানিয়েছেন, বন্দুকধারীরা হঠাৎই গুলি চালাতে শুরু করে। বাড়িঘর ও গাড়িতে আগুন ধরিয়ে দিয়েছে।
Leave a Reply