Tag: bjp

bjp

  • GST Reform: জিএসটি সংস্কারের সুফল তুলে ধরতে আগামী সপ্তাহে বঙ্গ সফরে অর্থমন্ত্রী নির্মলা

    GST Reform: জিএসটি সংস্কারের সুফল তুলে ধরতে আগামী সপ্তাহে বঙ্গ সফরে অর্থমন্ত্রী নির্মলা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আগামী সপ্তাহেই পশ্চিমবঙ্গ সফরে আসছেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন (Nirmala Sitharaman)। জানা গিয়েছে, তিনি ১৮ সেপ্টেম্বর কলকাতায় পৌঁছবেন। তাঁর সফরের মূল উদ্দেশ্য হবে পণ্য ও পরিষেবা কর (জিএসটি) বিষয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের নতুন সিদ্ধান্ত এবং তার সুফল (GST Reform) সাধারণ মানুষের কাছে তুলে ধরা।

    মোদির নির্দেশ

    সম্প্রতি এনডিএ বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সাংসদদের নির্দেশ দিয়েছেন, কর সংস্কার (GST Reform) নিয়ে ইতিবাচক বার্তা মানুষের মধ্যে ছড়িয়ে দিতে হবে। বিশেষত, নতুন জিএসটি হার কীভাবে সাধারণ মানুষের আর্থিক চাপ কমিয়েছে তা জনগণকে জানাতে হবে। এই নির্দেশ অনুযায়ীই অর্থমন্ত্রী প্রতিটি রাজ্যে সাংবাদিক সম্মেলনের মাধ্যমে সরকারের বার্তা পৌঁছে দেবেন। পশ্চিমবঙ্গ তাঁর সফরের সূচিতে প্রথম দিকেই রয়েছে।

    ২২ সেপ্টেম্বর থেকে নতুন করহার কার্যকর হতে চলেছে

    গত ৪ সেপ্টেম্বর জিএসটি (GST Reform) পরিষদের বৈঠকে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। আগামী ২২ সেপ্টেম্বর থেকে নতুন করহার কার্যকর হতে চলেছে। এবার থেকে ১২ শতাংশ ও ২৮ শতাংশ করহার বাতিল করা হচ্ছে। পরিবর্তে তিনটি স্তর রাখা হচ্ছে— ৫ শতাংশ, ১৮ শতাংশ এবং ৪০ শতাংশ (সিন ট্যাক্স)। একে বলা হচ্ছে ‘নতুন প্রজন্মের কর সংস্কার’। এই ব্যবস্থায় স্বাস্থ্যবিমা ও জীবনবিমার উপর থেকে পুরোপুরি কর তুলে নেওয়া হয়েছে। এছাড়া যেসব জিনিসে আগে ৫ শতাংশ কর ছিল, তার মধ্যে বহু জিনিসে আর কর দিতে হবে না। এর মধ্যে রয়েছে ৩৩টি জীবনরক্ষাকারী ওষুধ এবং পাউরুটি। রুটি, পরোটা ও পনিরের উপর থেকেও কর প্রত্যাহার করা হয়েছে।

    কংগ্রেসকে কটাক্ষ

    কংগ্রেসকে কটাক্ষ করে নির্মলা সীতারমন (Nirmala Sitharaman) বলেন—“যারা একসময় এই কর ব্যবস্থাকে বিদ্রূপ করে ‘গব্বর সিং কর’ বলেছিল, আজ তারাই আবার সংস্কারের (GST Reform) কৃতিত্ব দাবি করছে।” তাঁর মতে, কর ব্যবস্থার প্রথম ধাপ ছিল ‘ঐক্যের জন্য’, দ্বিতীয় ধাপ ছিল ‘সরলতার জন্য’, আর এখন মূল লক্ষ্য হচ্ছে এটি আরও সহজবোধ্য করা।

    পাখির চোখ পশ্চিমবঙ্গ

    বিজেপি নেতৃত্বের দৃষ্টি এখন পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভা নির্বাচনের দিকে। দুর্গাপুজো ও কালীপুজো মিটে গেলে বড় রাজনৈতিক কর্মসূচি শুরু হবে বলে জানা যাচ্ছে। এই আবহে অর্থমন্ত্রীর সফর খুবই তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। এখানেই শেষ নয়। জানা গিয়েছে, চলতি মাসেই বাংলায় আসবেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। তিনি কলকাতা ও আশপাশের অন্তত দুটি দুর্গাপূজার উদ্বোধনে যোগ দিতে পারেন। পাশাপাশি মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী মোহন যাদব এবং বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জগৎপ্রকাশ নাড্ডারও পশ্চিমবঙ্গ সফরের পরিকল্পনা রয়েছে।

  • BJP: গ্রেট নিকোবর দ্বীপ প্রকল্প নিয়ে কংগ্রেসকে ধুয়ে দিল বিজেপি

    BJP: গ্রেট নিকোবর দ্বীপ প্রকল্প নিয়ে কংগ্রেসকে ধুয়ে দিল বিজেপি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ৭২ হাজার কোটি টাকার গ্রেট নিকোবর দ্বীপ প্রকল্প নিয়ে কংগ্রেসের করা সমালোচনার জবাব দিল বিজেপি (BJP)। দলের মুখপাত্র অনিল কে অ্যান্টনি রাহুল গান্ধীর বিরুদ্ধে ইন্দো-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে ভারতের কৌশলগত স্বার্থকে ক্ষুণ্ণ করার অভিযোগ করেছেন। অনিল প্রবীণ কংগ্রেস নেতা একে অ্যান্টনির ছেলে। এক্স হ্যান্ডেলে অনিল বলেন (Great Nicobar Project), “এই দ্বীপগুলি ইন্দোনেশিয়ার মাত্র ১৫০ মাইল দূরে অবস্থিত, মালাক্কা প্রণালীর পশ্চিম প্রবেশদ্বারের কাছে, যা বিশ্বব্যাপী অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ সামুদ্রিক পথ।”

    বিজেপির বক্তব্য (BJP)

    তিনি বলেন, “ক্যাম্পবেল বে-তে অবস্থিত নৌবাহিনীর বিমান ঘাঁটি আইএনএস বাজ ২০১২ সালে কমিশন করা হয়েছিল। সেই সময় সোনিয়া গান্ধী ছিলেন ইউপিএর চেয়ারপার্সন।” বিজেপির এই নেতার প্রশ্ন, “কোন ভিত্তিতে রাহুল গান্ধী ও কংগ্রেস পার্টি এমন গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্পকে একটি ভুল পদক্ষেপ বলে মনে করছেন।” তিনি বলেন, “দশ বছরেরও বেশি সময় পরে কোন ভিত্তিতে এবং কার পক্ষে আপনি, আপনার পরিবার এবং আপনার দল এখন এমন একটি গুরুত্বপূর্ণ জাতীয় নিরাপত্তা সংক্রান্ত প্রকল্পকে ভুল পদক্ষেপ বলে মনে করছেন (BJP)?”

    গ্রেট নিকোবর দ্বীপ প্রকল্প

    গ্রেট নিকোবর দ্বীপ প্রকল্প একটি সরকারি পরিকল্পনা। এর মাধ্যমে দ্বীপটিতে একটি ট্রানশিপমেন্ট পোর্ট, একটি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর, একটি পাওয়ার প্ল্যান্ট এবং একটি আধুনিক টাউনশিপ তৈরি করা হবে। এই প্রকল্পে উন্নয়নকে কৌশলগত অবস্থানের সঙ্গে যুক্ত করা হয়েছে। প্রায় ১৬০ বর্গ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে এই প্রকল্প বিস্তৃত। এর মধ্যে ১৩০ বর্গ কিলোমিটার বনাঞ্চলে নিকোবরিজ ও শোম্পেন সম্প্রদায় বসবাস করে। এক্স হ্যান্ডেলে রাহুল গান্ধী লেখেন, “গ্রেট নিকোবার দ্বীপ প্রকল্প একটি মিসঅ্যাডভেঞ্চার, যা উপজাতির অধিকারকে পা দিয়ে দখল করছে এবং আইনি ও বিবেচনামূলক প্রক্রিয়ার অমর্যাদা করছে। এই প্রবন্ধে কংগ্রেস সংসদীয় দলের চেয়ারপার্সন শ্রীমতি সোনিয়া গান্ধী নিকোবারের (Great Nicobar Project) মানুষ এবং তাদের সংবেদনশীল পরিবেশে এই প্রকল্পের দ্বারা যে অন্যায় সংঘটিত হচ্ছে তা তুলে ধরেছেন।” এরই উত্তর দিতে গিয়ে কংগ্রেসকে নিশানা করল বিজেপি (BJP)।

     

  • Agnimitra Paul: বিধানসভায় প্রবল ধস্তাধস্তির দিনই ব্রেন স্ট্রোকে আক্রান্ত অগ্নিমিত্রা পাল, ভর্তি হাসপাতালে

    Agnimitra Paul: বিধানসভায় প্রবল ধস্তাধস্তির দিনই ব্রেন স্ট্রোকে আক্রান্ত অগ্নিমিত্রা পাল, ভর্তি হাসপাতালে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: একদিন আগেই বিক্ষোভে উত্তাল হয়েছিল বিধানসভা। সাসপেন্ড হয়েছিলেন পাঁচ বিজেপি বিধায়ক। ব্যাপক ধস্তাধস্তিও হয়। তাঁদের মধ্যে ছিলেন অগ্নিমিত্রা পালও (Agnimitra Paul)। এরপর বৃহস্পতি ও শুক্রবারের মধ্যরাতে তিনি হঠাৎই অসুস্থ হয়ে পড়েন। ব্রেন স্ট্রোকে আক্রান্ত হন তিনি। তড়িঘড়ি তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে আসেন পরিবারের লোকজনেরা। আনন্দপুরের এক বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন বিজেপি (BJP) বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পাল। হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, আপাতত তাঁকে ৪৮ ঘণ্টা পর্যবেক্ষণে রাখা হবে। তবে চিকিৎসকদের পরামর্শ অনুযায়ী, প্রয়োজন হলে আরও এক সপ্তাহ পর্যন্ত হাসপাতালে রেখে বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালানো হতে পারে।

    নিউরো মেডিসিন বিভাগের দুই বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের তত্ত্বাবধানে রয়েছেন তিনি

    বর্তমানে নিউরো মেডিসিন বিভাগের দুই বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের তত্ত্বাবধানে রয়েছেন তিনি। পরিবারের সদস্যরা বৃহস্পতিবার ভোর রাতে তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে আসেন। প্রসঙ্গত, একদিন আগেই বিধানসভা চত্বর উত্তাল হয়ে ওঠে বিক্ষোভে। ওইদিন মাত্র দুই ঘণ্টার ব্যবধানে বিজেপির পাঁচ বিধায়ককে সাসপেন্ড করা হয়। সেই তালিকায় অগ্নিমিত্রা পালও (Agnimitra Paul) ছিলেন। তাঁদের মার্শাল দিয়ে বিধানসভা থেকে বের করে দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। সেই সময় ধস্তাধস্তির ঘটনাও ঘটে, যাতে আহত হন বিজেপির মুখ্য সচেতক শঙ্কর ঘোষ। বর্তমানে তিনিও হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন, তবে তাঁর শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল বলে জানা গিয়েছে। সম্ভবত শুক্রবার বিকেল বা শনিবার সকালে তাঁকে হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হতে পারে।

    অসুস্থতার কারণে হাজির থাকতে পারেনি মোদির সভাতেও

    উল্লেখ্য, গত মাসে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির কলকাতায় সফরের সময় তিনটি নতুন মেট্রো রুট উদ্বোধনের অনুষ্ঠানে অগ্নিমিত্রা পাল উপস্থিত থাকতে পারেননি। সূত্রের খবর, তখনও তিনি শারীরিক অসুস্থতায় ভুগছিলেন এবং তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। কয়েকদিন চিকিৎসকদের পর্যবেক্ষণেও ছিলেন (Agnimitra Paul)। বৃহস্পতিবার বিধানসভার উত্তেজনার পর তিনি রাতে বাড়ি ফেরেন। পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, নির্ধারিত সময়েই ঘুমাতে যান তিনি। কিন্তু শুক্রবার ভোর থেকেই হঠাৎ অসুস্থতা অনুভব করেন। এরপর চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়, এবং তখন থেকেই চিকিৎসা চলছে।

  • Suvendu Adhikari: ‘‘ওঁকে বলব মেটিয়াবুরুজে যাবেন না! ভবানীপুরেই হারাব’’, মমতাকে হুঙ্কার শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: ‘‘ওঁকে বলব মেটিয়াবুরুজে যাবেন না! ভবানীপুরেই হারাব’’, মমতাকে হুঙ্কার শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ‘‘ওঁকে বলব মেটিয়াবুরুজে যাবেন না,  ভবানীপুরেই হারাবো’’, মমতাকে হুঙ্কার দিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। বৃহস্পতিবারে বিধানসভায় তুমুল হইচই-হট্টগোল বেঁধে যায়। কোনও কারণ ছাড়াই বিজেপি বিধায়কদের সাসপেন্ড করা হয়েছে বলে অভিযোগ তুলে গেরুয়া শিবির। এ নিয়ে শুভেন্দু অধিকারী বলেন, ‘‘আজ যা হল তার নিন্দা করি। এই তানাশাহী, স্বৈরাচারী রাজত্বের পতন হবে বলে বিশ্বাস করি। আজ স্বৈরাচারীদের বিরুদ্ধে বিজেপি বিধায়করা যেভাবে লড়াই চালালেন তাতে আরও একবার প্রমাণিত বাংলার ২ কোটি ২৭ হাজার ভোটার প্রকৃত লোকদের জনপ্রতিনিধি করেই বিধানসভায় পাঠিয়েছেন।’’

    উনি নন্দীগ্রামে হেরেছেন, ভবানীপুরে হারবেন

    বিরোধী দলনেতা (Suvendu Adhikari) বলেন, ‘‘উনি নন্দীগ্রামে হেরেছেন। ভবানীপুরে হারবেন। ওঁর ভাইপোর কোম্পানি তিন অঙ্ক পেরোবে না। মমতাকে ভবানীপুরেই হারাব। ওঁকে বলব মেটিয়াবুরুজে যাবেন না। শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) বলেন, ‘‘শঙ্কর ঘোষকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বঙ্কিম ঘোষের দুটি স্টেন্ট বসানো বুকে, তিনিও হাসপাতালের পথে। বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জগৎপ্রকাশ নাড্ডা সকলের স্বাস্থ্যের খোঁজ নিয়েছেন। বলেছেন, লড়তে রহো। ন্যাশনাল বিজেপিও আমাদের সাপোর্ট করছে।’’

    চাকরি চোর মমতা, জেলে যাবে মমতা

    রাজ্যের বিরোধী দলনেতা (Suvendu Adhikari) বলেন, ‘‘যে ভাষায় দেশভাগের জন্য বিজেপিকে দায়ী করে, বিজেপি সম্পর্কে বিচারধারাকে আক্রমণ করেছে, মুসলিম তোষণ করতে গিয়ে, বাংলাদেশ থেকে আসা রোহিঙ্গাদের বাঁচাতে গিয়ে তার নিন্দার ভাষা নেই। অমিত শাহ, মোদিকে চোর বলেছেন! যে ভাষা শুনতে হল তা মানতে পারি না। মোদি একটি পদবি। এই পদবির লোকজন গুজরাটে বেশি। সারা বিশ্বে আছেন, বাংলাতেও আছেন। ‘মোদি চোর’ বলায় রাহুল গান্ধীর মেম্বারশিপ গিয়েছিল। ফলে বিএনএসের ধারা অনুযায়ী এফআইআর করতে বলব চোর মমতার বিরুদ্ধে। ‘চাকরি চোর মমতা, জেলে যাবে মমতা’ (Mamata Banerjee) স্লোগানও দেন শুভেন্দু।’’  তিনি আরও বলেন, ‘‘রোহিঙ্গা, বাংলাদেশি মুসলিমদের প্রোটেকশন দিয়ে, বাংলা, বাঙালির অস্মিতার কথা বলে আইপ্যাকের বুদ্ধিতে ভাষার নামে গোল করে চলে যাবে ভেবেছিল। ১০ গোল খাইয়ে আমরাই ওঁকে বাড়ি পাঠিয়েছি। ১৪ বছর ৫ মাসে এমন বিরোধিতার সামনে পড়েননি মুখ্যমন্ত্রী। এলওপি বাইরে থাকলেও আজ ৬৪ জন বিজেপি বিধায়ক যেভাবে এলওপির ভূমিকা নিয়েছেন তাতে কৃতজ্ঞতা জানাই।’’

  • Suvendu Adhikari: নজিরবিহীন! চ্যাংদোলা করে বার করা হল বিজেপি বিধায়কদের, ”ওরা মার্শাল নয়, তৃণমূলের গুন্ডা” বললেন শুভেন্দু

    Suvendu Adhikari: নজিরবিহীন! চ্যাংদোলা করে বার করা হল বিজেপি বিধায়কদের, ”ওরা মার্শাল নয়, তৃণমূলের গুন্ডা” বললেন শুভেন্দু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: উত্তপ্ত বিধানসভা, শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari) পর এবার বিধানসবার বিশেষ অধিবেশনে সাসপেন্ড বিজেপির শঙ্কর ঘোষ (Shankar Ghosh)। নজিরবিহীন ঘটনা বিধানসভায়। চলল শাসকের তুঘলকি শাসন। মার্শাল ডেকে বিধানসভা (West Bengal Assembly) থেকে বার করে দেওয়া হল শঙ্কর ঘোষকে। শঙ্কর ঘোষের পর সাসপেন্ড করা হয় অগ্নিমিত্রা পাল। তারপর মিহির গোস্বামী, অশোক দিন্দা, বঙ্কিম ঘোষকেও সাসপেন্ড করা হয়। মিহির গোস্বামীকে কার্যত চ্যাংদোলা করে বার করা হয়। প্রতিবাদে ক্ষোভে ফেটে পড়েন বিজেপি বিধায়করা।

    নেত্রীর নির্দেশেই হেনস্থা!

    বাঙালি হেনস্থার প্রতিবাদে বিধানসভার বিশেষ অধিবেশন চলছিল। প্রশ্নত্তোর পর্ব এর আগে বয়কট করেছিল বিজেপি। মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্য রাখার সময় সরব হয়ে ওঠেন বিজেপি বিধায়করা। দু পক্ষই একে অপর পক্ষকে চোর চোর স্লোগান দিতে শুরু করেন। সেই সময় বিরোধীদের উদ্দেশে স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় অনুরোধ করেন, বিধানসভার মর্যাদা রক্ষা করতে। বিজেপি বিধায়ক শঙ্কর ঘোষকে আসনে ফিরে যেতে নির্দেশ দেন স্পিকার। ‘শুভেন্দু অধিকারীকে কেন গোটা অধিবেশনের জন্য সাসপেন্ড করা হল, এমন প্রশ্নই বিধানসভায় দাঁড়িয়ে তুলেছিলেন শঙ্কর ঘোষ। পরিস্থিত জটিল দেখে বিজেপি বিধায়কদের উদ্দেশে অধ্যক্ষ বলেন, তারা যেন বিধানসভার বাইরে গিয়ে স্লোগান তোলেন। শুধু স্পিকার নন নিজের দলের বিধায়কদের উদ্দেশে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ”বিজেপি বিধায়করা যখন বলবে তখন কাউকে বলতে দেবে না।” তাই হয়, গণতন্ত্র বিসর্জন দিয়ে দলনেত্রীর কথামতো চলতে থাকে বিধানসভা।

    বিরোধী দলনেতাকে সাসপেন্ড অযৌক্তিক

    এদিন, রাজ্য বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari) সাসপেনশন নিয়ে স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়ের দু’রকমের সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ জানায় বিজেপি। শুভেন্দু এ প্রসঙ্গে বলেন, “স্পিকারের ভয়েস রেকর্ডিংও তো তাই বলেছে যে মঙ্গলবার পর্যন্ত সাসপেনশন। পরে টাইপ করে দিয়েছে। আসলে নেত্রীর নির্দেশ বিরোধী দলনেতাকে বাইরে রাখবেন। আমাদের বিধায়করা ভিতরে ঢুকবে, বুঝিয়ে দেবে, বিজেপিতে একজন শুভেন্দু নেই।” বিজেপির তরফ থেকে জানানো হয়েছে, গত মঙ্গলবার অধিবেশনের শেষ দিন শুভেন্দু অধিকারীকে সাসপেন্ড করার কথা ঘোষণা করেন স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি জানিয়েছিলেন, নির্দিষ্ট ওই দিনের জন্যই শুভেন্দু অধিকারীকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। কিন্তু পরে স্পিকার বাইরে এসে জানান, এই সেশন যতদিন চলবে, ততদিন পর্যন্তই শুভেন্দু অধিকারীকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। এই নিয়েই ধোঁয়াশা তৈরি হয়। বিজেপির বক্তব্য, স্পিকার কীভাবে বিধানসভার ভিতরে এক কথা বলতে পারেন, বাইরে আরেক কথা বলতে পারেন? এই গোটা বিষয়টিই পরিষ্কার নয়। । যদিও বিধানসভার তরফ থেকে স্পষ্ট করেই বলে দেওয়া হয়েছে এবার, কেবল ওই দিনের জন্য নয়, গোটা অধিবেশন পর্বের জন্যই শুভেন্দু অধিকারীকে সাসপেন্ড করা হয়েছে।

    গণতন্ত্রের হত্যা!

    বৃহস্পতিবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) বিধানসভা (West Bengal Assembly) কক্ষে পৌঁছনোর আগে থেকেই বিজেপি বিধায়কদের স্লোগান দিতে শোনা যায়। বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে সাসপেন্ড করা নিয়ে সরব হন বিজেপি বিধায়করা। মুখ্যমন্ত্রী অধিবেশন কক্ষে পৌঁছনোর পরে বিরোধিতা আরও জোরাল হয় বিজেপির। শঙ্কর ঘোষকে কার্যত টেনে হিঁচড়ে বাইরে বের করার চেষ্টা হয়। পড়ে যান তিনি। বিধানসভা কক্ষে অশান্তি যখন তুঙ্গে, অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, স্লোগান দিতে হলে বাইরে বেরিয়ে যান, বাইরে গিয়ে স্লোগান দিন। মার্শালকে অধ্যক্ষ নির্দেশ দেন, যাঁরা অশান্তি করছেন, তাঁদের বাইরে বের করে দিতে হবে। এর পরেই মার্শালের সঙ্গে বিজেপি বিধায়কদের ধাক্কাধাক্কি শুরু হয়। প্রবল অশান্তি, ঠেলাঠেলিতে পড়ে যান শঙ্কর ঘোষ। অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি। মেঝেতে শুয়ে পড়েন শঙ্কর। শঙ্কর ঘোষের পড়ে যাওয়ার ভিডিয়ো শেয়ার করে শুভেন্দু অধিকারী লেখেন, ‘আজ পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভায় গণতন্ত্রকে হত্যা করলো মমতা ও তাঁর প্রশাসন।’ শঙ্কর ঘোষের মাথায় চোট লাগে। তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) । বিরোধী দলনেতা বলেন, ওরা মার্শাল নয়, তৃণমূলের গুন্ডা। জানা গিয়েছে, শঙ্করকে জে এন রায় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।

  • Rudranil Ghosh: সনাতন ধর্ম সম্পর্কে আপত্তিকর মন্তব্য, অনির্বাণকে তোপ রুদ্রনীলের, থানায় গেলেন তরুণজ্যোতি

    Rudranil Ghosh: সনাতন ধর্ম সম্পর্কে আপত্তিকর মন্তব্য, অনির্বাণকে তোপ রুদ্রনীলের, থানায় গেলেন তরুণজ্যোতি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সনাতন ধর্ম সম্পর্কে আপত্তিকর মন্তব্য করে বিপাকে অনির্বাণ ভট্টাচার্য (Anirban Bhattacharjee) ও তাঁর গানের দল ‘হুলি গান ইজম’। গানটি ইতিমধ্যেই শ্রোতাদের মনে ছাপ ফেলেছে। তবে গানের মাধ্যমে তিন ঘোষকে বিঁধলেও, কুরুচিকর মন্তব্য করেছেন সনাতন ধর্ম সম্পর্কে। তার পরেই অনির্বাণকে একহাত নিলেন বিজেপির তারকা-রাজনীতিক রুদ্রনীল ঘোষ (Rudranil Ghosh)।

    সনাতন ধর্মকে আক্রমণ (Rudranil Ghosh)

    তিন ‘ঘোষ’কে নিয়ে ছড়া কেটে বাজার মাত করেছে অনির্বাণের দল। এই তিন ঘোষ হলেন কুণাল ঘোষ, শতরূপ ঘোষ এবং দিলীপ ঘোষ। এঁদের বিঁধতে গিয়েই গায়করা টেনে এনেছেন সনাতন ধর্মকে। গাইছেন, “সনাতন এসে গেছে… আর সনাতনী?… সনাতন মানে আমি সনাতন ধর্মের কথা বলেছি… আসেনি তো এখনও? সনাতন ভারতে পৌঁছতে হলে আমাদের পিছিয়ে যেতে হবে…সবাই এগিয়ে যায়…আমরা পিছিয়ে যাব।” ছড়া-গানটির এই অংশ শুনেই অনির্বাণকে তোপ দাগল বিজেপি।

    ক্ষমা চাওয়ার দাবি রুদ্রনীলের

    দলের তারকা-নেতা রুদ্রনীলের দাবি, ক্ষমা চাইতে হবে অনির্বাণকে। সোশ্যাল মিডিয়ায় অনির্বাণকে নিশানা করে তিনি লিখেছেন, “বন্ধুবর অনির্বাণ ভট্টাচার্য, তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি আপনার এই অসচেতন, জ্ঞানহীন বক্তব্যের। …ভাই অনির্বাণ, পৃথিবীর চূড়ান্ত মুর্খ ব্যক্তিও জানেন সনাতন ধর্ম পৃথিবীর আদিতম ধর্ম বা জীবনচর্চা। তারপর বাকি সব ধর্মের জন্ম। আর আপনি বললেন, সনাতন এসে গেছে? সনাতন ভারতে পৌঁছতে হলে আমাদের পিছিয়ে যেতে হবে! আপনি সজ্ঞানে বললেন এই কথা? অন্য কোনও ধর্ম সম্পর্কে এই ধরনের উক্তি করলে, তাঁরা এতক্ষণে আপনাকে কোন জায়গায় রাখতেন নিশ্চয়ই জানেন!” রুদ্রনীলের (Rudranil Ghosh) সাফ কথা, “ভাই অনির্বাণ (Anirban Bhattacharjee), যদি সত্যিই নিজের অজ্ঞানতা থেকে এই বক্তব্য রেখে থাকেন, তাহলে জানান। দেখবেন সনাতনীরা দল-মত-ঝান্ডা ভুলে আপনাকে ক্ষমা করবেন ও ভবিষ্যতে এই ধরনের দায়িত্বজ্ঞানহীন মন্তব্য না করার অনুরোধ করবেন। আর যদি সজ্ঞানে থেকে এই ধরনের মন্তব্য করে থাকেন, তাহলে ক্ষমা চেয়ে নিন। সনাতন ধর্ম আদি ও অনন্ত। আপনি আমি দুনিয়ায় থাকি বা না থাকি, সনাতন-সনাতনী ছিল, আছে এবং থাকবেও। ভালো থাকবেন অনির্বাণ ভট্টাচার্য।”

    অনির্বাণকে আক্রমণ রুদ্রনীলের

    অনির্বাণের সঙ্গে ছবিতে অভিনয়ও করেছেন রুদ্রনীল ঘোষ। তবে এবার এই একটি শব্দ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করলেন তিনি। রুদ্রনীল লেখেন, “সবাই জানে, টলিউড মাফিয়ারা আপনার কাজ কেড়ে নিয়েছে, তাই গান গেয়ে আপনাকে পেটের ভাত জোগাড় করতে হচ্ছে। দুর্ভাগ্যজনক!! কিন্তু যে হুলি গানরা আপনার পেটের ভাত কেড়ে নিল, তা নিয়ে বা আরজি কর ডাক্তার হত্যা নিয়ে বা শিক্ষক পেটানো-শিক্ষা দুর্নীতি নিয়ে আপনার মুখে কুলুপ! অথচ অকারণ ছোট করছেন নিজের ধর্মকে? সনাতন ও সনাতনীকে? কাকে খুশি করতে?”

    অনির্বাণকে বয়কটের ডাক

    ‘গোঁত্তা’ (Rudranil Ghosh) খেয়ে মুখে কুলুপ এঁটেছেন অনির্বাণ। তবে তাঁকে বয়কটের ডাক উঠেছে নেটদুনিয়ায়। একজন লিখেছেন, “এদের শিক্ষার একান্ত প্রয়োজন (Anirban Bhattacharjee)। অন্যান্য ধর্ম নিয়ে করুক, ওকে বুঝিয়ে দেবে ভালো করে, সনাতন ধর্ম নিয়ে এসব করা খুবই সহজ, বয়কট অনির্বাণ।” অন্য একজন আবার লিখেছেন, “শহিদ দিবসের মঞ্চে পিসির পাশে চেয়ার নেবার জন্য অনির্বাণ এইসব বলছে। ঠিক যেমনটা নচিকেতা করেছে।” আর একজন লিখেছেন, “বাঁমঘেঁষা আঁতেলদের এই একটা সমস্যা। নিজেদের চূড়ান্ত শিক্ষিত মনে করে। সমাজনীতি, অর্থনীতি, রাজনীতি ভালোভাবে জানতে মার্কস পড়ার আগে বেদ-বেদান্ত, উপনিষদ, রামায়ণ, মহাভারত পড়ুন ভাই। টেক্সট পড়ে বুঝতে না পারলে, পণ্ডিতরা যে ব্যাখ্যা দিয়েছেন সেগুলি পড়ুন।”

    থানায় গেলেন তরুণজ্যোতি

    এদিকে, বিজেপি নেতা তথা আইনজীবী তরুণজ্যোতি তিওয়ারি কলকাতা পুলিশের সাইবার ক্রাইম থানায় এ ব্যাপারে একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন। সেই অভিযোগের প্রতিলিপি সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্টও করেছেন তিনি। তাঁর অভিযোগ,  ‘হুলি গান ইজম’-এর সদস্যরা ও অনির্বাণ ভট্টাচার্য সনাতন ধর্মকে অপমান করেছেন ও বিদ্বেষ প্রচার করেছেন। তিনি লিখেছেন, “সনাতন ধর্মের উপাসক হিসেবে আমি অত্যন্ত ব্যথিত হয়েছি। ওই কথাগুলোর জন্য ধর্মীয় বিশ্বাসে ও সনাতনীদের আবেগে আঘাত লেগেছে।” এতে সমাজের শান্তি বিঘ্নিত হতে পারে বলেও অভিযোগ তাঁর। অভিযোগপত্রের সঙ্গে তিনি সংশ্লিষ্ট ভিডিও ক্লিপওটিও সেঁটে দিয়েছেন।

    এর আগে তরুণজ্যোতি সোশ্যাল মিডিয়ায় অন্য একটি পোস্টে অনির্বাণের উদ্দেশে লিখেছিলেন, “বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতাদের নিয়ে কথা বলছেন। এটা আপনার বাক-স্বাধীনতার মধ্যে ততক্ষণ পড়ে, যতক্ষণ না আপনি (Anirban Bhattacharjee) কাউকে আঘাত করছেন। কিন্তু গানের মধ্যে সনাতনী টানার মানে কী ছিল? এগুলি নিয়ে খিল্লি করার কারণ কী?” তাঁর প্রশ্ন, “সাহস হবে নাকি ইসলাম নিয়ে বলার? বললে স্লোগান হবে সর তন…। আর বললাম না (Rudranil Ghosh)!”

  • Indian Army: তাঁকে দেখে ছুটে পালাচ্ছিল দুশো সেনা, বিতর্কিত মন্তব্য মমতার, পাকিস্তানে পাঠানোর প্রস্তাব বিজেপির

    Indian Army: তাঁকে দেখে ছুটে পালাচ্ছিল দুশো সেনা, বিতর্কিত মন্তব্য মমতার, পাকিস্তানে পাঠানোর প্রস্তাব বিজেপির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এবার সরাসরি সেনাবাহিনীর বিরোধিতায় নামলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Indian Army)। শুধু তাই নয়, ধর্মতলায় মঞ্চ খোলা ইস্যুতে তিনি দাবি করেছেন, প্রায় ২০০ জন সেনা সদস্য নাকি তাঁকে দেখে ছুটে পালিয়েছিলেন। দেশের সেনাবাহিনী সম্পর্কে মুখ্যমন্ত্রীর এই মন্তব্যে ছড়িয়ে পড়েছে তীব্র বিতর্ক। মমতার (Mamata Banerjee) মন্তব্যে স্তম্ভিত কমবেশি সব মহলই। তিনি আরও বলেন, বিজেপির নির্দেশেই সেনাবাহিনী এই কাজ করছে। তাঁর এই মন্তব্যে রাজ্য ও জাতীয় রাজনীতিতে শুরু হয়েছে আলোড়ন। বিরোধী দল বিজেপি মুখ্যমন্ত্রীকে তীব্র আক্রমণ করেছে। তাঁকে পাকিস্তানে পাঠানোর প্রস্তাবও দিয়েছে তারা। অন্যদিকে, ভারতীয় সেনাবাহিনীর তরফ থেকেও দেওয়া হয়েছে স্পষ্ট বিবৃতি। অনেকেই বলছেন, দেশের সেনাবাহিনী আমাদের সুরক্ষা ও আত্মমর্যাদার প্রতীক। সাম্প্রতিক ‘অপারেশন সিঁদুর’-এর মাধ্যমে ভারতীয় সেনা যেভাবে পাকিস্তানকে জবাব দিয়েছে, তা গোটা দেশের গর্ব। সেই সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে একজন সাংবিধানিক পদে থাকা মুখ্যমন্ত্রীর এমন মন্তব্য কি মানায়?

    মঞ্চ খোলা ইস্যুতে সেনার বিবৃতি (Indian Army)

    ভারতীয় সেনা (Indian Army) মুখ্যমন্ত্রীর এই অভিযোগ পুরোপুরি অস্বীকার করেছে। সেনার পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, আগেই তাঁদের মঞ্চ সরিয়ে ফেলার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু তা কর্ণপাত করেনি উদ্যোক্তারা। ভারতীয় সেনাবাহিনীর তরফে জানানো হয়েছে, ‘‘ভারতের মাননীয় সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ অনুসারে ভারতীয় সেনাবাহিনী (স্থানীয় সামরিক কর্তৃপক্ষ, কলকাতা) ময়দান এলাকায় দুই দিনের জন্য অনুষ্ঠানের অনুমতি দিয়েছে। ৩ দিনের বেশি অনুষ্ঠানের জন্য ভারত সরকারের প্রতিরক্ষা মন্ত্রক থেকে অনুমতি নিতে হবে। অনুষ্ঠান পরিচালনার জন্য ২ দিনের জন্য অনুমতি দেওয়া হয়েছিল, তবে মঞ্চটি প্রায় এক মাস ধরে স্থাপন করা হয়েছে, অস্থায়ী কাঠামো অপসারণের জন্য আয়োজকদের কাছে বেশ কয়েকবার অনুস্মারক পাঠানো হয়েছে কিন্তু এটি অপসারণ করা হয়নি। এরপর কলকাতা পুলিশকে অবহিত করা হয় এবং ভারতীয় সেনাবাহিনী কাঠামোটি সরিয়ে ফেলেছে।’’

    পাকিস্তানে পাঠানোর প্রস্তাব বিজেপির

    অন্যদিকে, সেনাবাহিনীকে (Indian Army) এভাবে অপমান করার জন্য মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে (Mamata Banerjee) তীব্র ভাষায় আক্রমণ করেছেন বিজেপি সাংসদ সুকান্ত মজুমদার। তিনি মন্তব্য করেছেন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মতো নেত্রীকে পাকিস্তানে পাঠিয়ে দেওয়া উচিত।” সুকান্ত এই ইস্য়ুতে বলেন, ‘‘দিদি ভারতে কী করছেন? ওঁর পাকিস্তানে গিয়ে আসিফ মুনিরকে সাহায্য করা উচিত। ভারতীয় সেনা যদি দিদিকে দেখে দৌড়ায়, তাহলে ওঁর প্রয়োজন এখানে নেই, ওঁকে পাকিস্তানে পাঠিয়ে দেওয়া উচিত। দিদির অপব্যবহার হচ্ছে।’’

    দেশের সেনাবাহিনীকে চরম অপমান করেছেন, বললেন শুভেন্দু

    অন্যদিকে, এই ইস্যুতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে সুর চড়িয়েছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। নিজের ফেসবুক পোস্টে শুভেন্দু অধিকারী লিখেছেন, “মুখ্যমন্ত্রী সেনাবাহিনীকে অপমান করেছেন। আমরা সবাই জানতাম, আপনি একজন জাতীয়তাবাদ-বিরোধী। তবে যেভাবে আপনি বলেছেন, ‘ময়দানে পৌঁছানোর পর ২০০ জন সাহসী সেনা সদস্য পালিয়ে গেছেন আপনাকে দেখে’, এটা শুধু একটি বড় মিথ্যেই নয়—বরং দেশের সেনাবাহিনীর প্রতি চরম অপমান। যে সেনাবাহিনীর সাহস ও আত্মত্যাগের কোনও তুলনা হয় না, যাঁরা আমাদের সীমান্ত রক্ষা করেন এবং সংকটের সময় আমাদের সুরক্ষা দেন, তাঁদের নিয়ে এমন মিথ্যা প্রচার করা লজ্জাজনক।”

    ক্ষমতার লোভে অন্ধ মমতা

    শুভেন্দু আরও বলেন, “ময়দানে তৃণমূলের অস্থায়ী কাঠামো এক মাস ধরে অবৈধভাবে সরকারি জমি দখল করে রাখা হয়েছে। সেনাবাহিনী (Indian Army) বারবার তা সরানোর কথা বললেও তৃণমূল কংগ্রেস নিজেদের ‘উদ্যোক্তা’র পরিচয় দিয়ে কখনোই সেই কাঠামো সরায়নি। তাই মুখ্যমন্ত্রী এখন নিজের মুখ রক্ষার জন্য মিথ্যা গল্প বানাচ্ছেন। এটা নিছক নির্লজ্জতা। ক্ষমতার লোভ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে এতটাই অন্ধ করে দিয়েছে যে তিনি দেশের জওয়ানদের অসম্মান করছেন। এটা শুধু সেনাবাহিনীর নয়, প্রতিটি ভারতীয় নাগরিকের অপমান। মুখ্যমন্ত্রীর এমন অপমানজনক মন্তব্য দেশের বীরত্ব ও আত্মত্যাগকে অবমূল্যায়ন করছে।”

    ২০০-র মতো সেনা আমাকে দেখে ছুটে পালাচ্ছিল

    প্রসঙ্গত, সোমবার বিকেলে ধর্মতলায় গান্ধী মূর্তির কাছে তৃণমূলের মঞ্চ খুলতে শুরু করে ভারতীয় সেনাবাহিনী। মঞ্চের ত্রিপল, বাঁশ ইত্যাদি খুলে সরিয়ে ফেলা হয়। তার কিছুক্ষণের মধ্যেই সেখানে উপস্থিত হন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এরপরই তিনি বিতর্কিত মন্তব্য করেন। মুখ্যমন্ত্রী দিন বলেন, ‘‘বিজেপির কথায় চলছে সেনাবাহিনী। সেনাকে দিয়ে কাজ করালে দেশটা কোথায় যাবে? সেনাবাহিনীর অপব্যবহার করছে কেন্দ্রের বিজেপি সরকার। ২০০-র মতো সেনা আমাকে দেখে ছুটে পালাচ্ছিল। যখন বিজেপি থাকবে না তখন পালাবে কোথায়? আমরা শনি-রবিবার কর্মসূচি করি। আমরা টাকাও দিয়েছি। আপত্তি থাকলে কলকাতা পুলিশের সঙ্গে কথা বলতে পারত। রাজনৈতিক স্বার্থে সেনাবাহিনীর অপব্যবহার হচ্ছে। আমি এই ঘটনার তীব্রভাবে নিন্দা জানাচ্ছি।’’

  • Rahul Gandhi: কংগ্রেসের বিরুদ্ধেই ভোট চুরির অভিযোগে সরব কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়া

    Rahul Gandhi: কংগ্রেসের বিরুদ্ধেই ভোট চুরির অভিযোগে সরব কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়া

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিজেপির বিরুদ্ধে ভোট চুরির অভিযোগে সরব হয়েছেন লোকসভার বিরোধী দলনেতা তথা কংগ্রেসের প্রাক্তন সভাপতি রাহুল গান্ধী (Rahul Gandhi)। এবার তাঁর বিরুদ্ধেই ভোট চুরির অভিযোগে সরব হলেন কংগ্রসেরই নেতা কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়া (Siddaramaiah)। ১৯৯১ সালের লোকসভা নির্বাচনের প্রসঙ্গ টেনে রাহুলকে কাঠগড়ায় তোলেন তিনি। স্বদলেরই এক বরিষ্ঠ নেতার এমনতর গুরুতর অভিযোগের জেরে বিপাকে পড়েছে কংগ্রেস। কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্রীর এহেন মন্তব্যকে হাতিয়ার করে কংগ্রেসকে আক্রমণ শানিয়ে আসরে নেমে পড়েছে বিজেপি।

    হেরে গিয়েছিলাম জালিয়াতির কারণে (Rahul Gandhi)

    প্রসঙ্গত, ১৯৯১ সালের লোকসভা নির্বাচনে কপ্পল লোকসভা কেন্দ্রে জনতা দলের প্রার্থী হয়েছিলেন সিদ্দারামাইয়া। ওই নির্বাচনে তাঁর প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন কংগ্রেসের বাসবরাজ পাটিল আনওয়ারি। তাঁর কাছে ১১ হাজারেরও বেশি ভোটে হেরে গিয়েছিলেন সিদ্দারামাইয়া। সেদিনের কথা স্মরণ করেই বেঙ্গালুরুতে একটি অনুষ্ঠানে কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্রী তথা কংগ্রেস নেতা সিদ্দারামাইয়া বলেন, “১৯৯১ সালে আমি ভোটে লড়েছিলাম এবং হেরে গিয়েছিলাম জালিয়াতির কারণে।” সেই কঠিন সময়ে আইনি সহায়তা দেওয়ার জন্য তিনি রাজ্যের প্রাক্তন অ্যাডভোকেট জেনারেল প্রফেসর রবি বর্মা কুমারকে ধন্যবাদও দেন।

    অমিত মালব্যর আক্রমণ

    সিদ্দারামাইয়ার ওই মন্তব্যের ভিডিও সমাজমাধ্যমে পোস্ট করে বিজেপির তথ্যপ্রযুক্তি শাখার প্রধান অমিত মালব্য বলেন, “যিনি এক সময় কংগ্রেসের ভোট চুরির বিরুদ্ধে লড়েছিলেন, তিনিই আজ কংগ্রেসের মুখ্যমন্ত্রী এবং ভোটার অধিকার মিছিলেন নেতৃত্ব দিচ্ছেন। তখন তিনি (সিদ্দারামাইয়া) ব্যালট পেপারে হেরে গিয়ে ভোট চুরি বলে কেঁদেছিলেন। আর আজ রাহুল গান্ধী নির্বাচনী জালিয়াতি নিয়ে হাহাকার করছেন। কারণ ভারতের মানুষ গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় ও হ্যাক করা যায় না, এমন যন্ত্র ইভিএমের মাধ্যমে কংগ্রেসকে সাফ করে দিয়েছে।” সোশ্যাল মিডিয়ায় তিনি এও লেখেন, “কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়া (Siddaramaiah) প্রকাশ্যে স্বীকার করেছেন যে ১৯৯১ সালের কপ্পল লোকসভা নির্বাচনে তিনি কংগ্রেসের ভোট কারচুপির শিকার হয়েছিলেন। এটি প্রমাণ করে যে কংগ্রেস দীর্ঘদিন ধরেই ভোট চুরির রাজনীতি করেছে।আয়রনি হল, রাহুল গান্ধী বিজেপিকে সেই কাজের জন্য অভিযুক্ত করছেন, যা তাঁর নিজের দল দশকের পর দশক ধরে করেছে।”

    আক্রমণ পদ্ম শিবিরের

    কর্নাটকের বিরোধী দলনেতা তথা প্রাক্তন মন্ত্রী বিজেপির আর অশোকও বলেন, “কংগ্রেস (Rahul Gandhi) প্রতারণা করে সিদ্দারামাইয়াকে হারিয়েছিল।” তিনি বলেন, “সিদ্দারামাইয়া নিজেই কংগ্রেস পার্টির মুখোশ খুলে দিয়েছেন। তিনি ১৯৯১ সালে জনতা দল প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে লড়েছিলেন, আর এখন তিনি স্বীকার করছেন যে কংগ্রেস জালিয়াতির মাধ্যমে তাঁকে পরাজিত করেছিল। সত্যটি স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রীর মুখ থেকেই বেরিয়ে এসেছে।” পদ্ম শিবিরের আর এক নেতা সরাসরি রাহুল গান্ধীকে কটাক্ষ (Siddaramaiah) করে বলেন, “রাহুল গান্ধী কি এখন প্রতারণা ফাঁস করার জন্য সিদ্দারামাইয়াকে কংগ্রেস থেকে বহিষ্কার করবেন? নাকি শাস্তিমূলক ব্যবস্থা শুধু দলিত নেতা সত্যিশ জারকিহোলির মতো নেতাদের জন্যই রাখা হয়েছে, যিনি আগে অপমানের শিকার হয়েছিলেন? সিদ্দারামাইয়া যখন কংগ্রেসের বিরুদ্ধেই কথা বলেছেন, তখন রাহুল গান্ধী নীরব কেন?”

    ১৯৯১ সালের অশান্ত লোকসভা নির্বাচন

    সিদ্দারামাইয়ার মন্তব্য ১৯৯১ সালের অশান্ত লোকসভা নির্বাচনের স্মৃতি ফিরিয়ে এনেছে। ওই নির্বাচনে একাধিক আসনে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছিল। তাই কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্য এখন বড় হাতিয়ার হয়ে উঠেছে (Rahul Gandhi) বিজেপির। তাদের প্রশ্ন, যদি কংগ্রেস ১৯৯১ সালে ভোট কারচুপি করে থাকে, তবে আজ বিজেপিকে অভিযুক্ত করার নৈতিক অধিকার তাদের কোথায়? ওয়াকিবহাল মহলের মতে, রাহুল এবং সিদ্দারামাইয়ার মন্তব্যে বিরোধাভাস স্পষ্ট। রাহুল জোরালোভাবে বিজেপিকে একমাত্র নির্বাচনী জালিয়াত হিসেবে তুলে ধরেছেন, অথচ তাঁর নিজের দলের মুখ্যমন্ত্রীই প্রকাশ্যে স্বীকার করেছেন যে কংগ্রেস-নেতৃত্বাধীন অনিয়মের শিকার হয়েছিলেন তিনি স্বয়ং (Siddaramaiah)।

    প্রশ্ন একাধিক

    বিহার এবং কর্নাটক-সহ অন্যান্য নির্বাচনে বিজেপি যে এটিকেই প্রধান ইস্যু করবে, তা স্পষ্ট। তারা কংগ্রেসকে এমন একটি দল হিসেবে ব্র্যান্ড করবে, যারা অনেক আগেই ভোট কারচুপিকে শিল্পের পর্যায়ে নিয়ে গিয়েছিল, আর এখন অন্যদের দিকে আঙুল তুলছে। এই বিতর্কে সিদ্দারামাইয়া ও রাহুল (Rahul Gandhi) কোণঠাসা হয়ে পড়েছেন। বিজেপির বিরুদ্ধে হাতিয়ার হিসেবে যা প্রয়োগ করার পরিকল্পনা করা হয়েছিল, সেটিই যে ব্যুমেরাং হয়ে ফিরবে, তা বোধহয় কল্পনাও করতে পারেননি কংগ্রেসের শীর্ষ নেতৃত্ব। স্বাভাবিকভাবই তাঁদের বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়েই প্রশ্ন উঠছে। প্রশ্ন হল, কংগ্রেস কি আসলেই ১৯৯১ সালের নির্বাচনে কারচুপি করেছিল? আর যদি করেই থাকে, তবে (Rahul Gandhi) প্রকৃত ভোট চোর কারা?

  • RSS: শতবর্ষে পা আরএসএসের, জেনে নিন এই সংগঠনের ইতিহাস

    RSS: শতবর্ষে পা আরএসএসের, জেনে নিন এই সংগঠনের ইতিহাস

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শতবর্ষ উদযাপন করছে রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘ (সংক্ষেপে আরএসএস)। ১৯২৫ সালের বিজয়া দশমীর দিন এই সংগঠনের (RSS) প্রাণপ্রতিষ্ঠা করেন ড. কেশব বালিরাম হেডগেওয়ার। প্রধান লক্ষ্য ছিল, হিন্দু সমাজকে ঐক্যবদ্ধ করা এবং হিন্দু সংস্কৃতি প্রচার করা (Mohan Bhagwat)। হেডগেওয়ার প্রাণিত হয়েছিলেন ভিডি সাভারকরের দ্বারা। সংগঠনের প্রথম কেন্দ্র খোলা হয়েছিল নাগপুরে। তখন থেকে মহারাষ্ট্রের এই শহর সংগঠনের প্রধান কেন্দ্র হিসেবেই রয়ে গিয়েছে। বর্তমানে এর সদস্য সংখ্যা প্রায় ৬০ লাখ। দেশের প্রতিটি রাজ্যে রয়েছে আরএসএসের কার্যালয়, ঐতিহ্যগতভাবে এগুলি “শাখা” নামে পরিচিত।

    নবজাগ্রত হিন্দু জাতির মাধ্যমে ব্রিটিশ শাসনের পতন ঘটানো (RSS)

    সংগঠনের বহু সদস্যের মধ্যে কংগ্রেসের বেশ কিছু নেতাও ছিলেন, যাঁরা মহাত্মা গান্ধীর হিন্দু-মুসলিম ঐক্যের আদর্শে হতাশ হয়েছিলেন। প্রথম দিকে আরএসএস ব্রিটিশ সরকারের বিরাগভাজন হতে চায়নি। তাই স্বাধীনতা আন্দোলনের ক্ষেত্রে নিরপেক্ষ অবস্থান নিয়েছিল। যদিও হেডগেওয়ারের উদ্দেশ্য ছিল শেষ পর্যন্ত একটি নবজাগ্রত হিন্দু জাতির মাধ্যমে ব্রিটিশ শাসনের পতন ঘটানো। পরবর্তীকালে আরএসএস যুবকদের নিয়োগ করে, তাঁদের যুদ্ধবিদ্যা শেখানো হত। ব্রিটিশ পুলিশের মতোই উর্দিও পরতেন তাঁরা। পরে ধীরে ধীরে আরএসএস নিতে শুরু করে এক আধাসামরিক সংগঠনের রূপ। গত একশো বছরে আরএসএসের ওপর দিয়ে বয়ে গিয়েছে একাধিক ঝড়, সংগঠনকে নিষিদ্ধ করা হয়েছে চারবার – ১৯৪৭, ১৯৪৮, ১৯৭৫ এবং ১৯৯২ সালে।

    জনসংঘ থেকে বর্তমানে বিজেপি

    ১৯৫১ সালে ড. শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জি তৎকালীন আরএসএস (RSS) সরসংঘচালক ‘শ্রী গুরুজি’র সহায়তায় জনসংঘ প্রতিষ্ঠা করেন। প্রথম সাধারণ নির্বাচনে জনসংঘ ৩.০৬ শতাংশ ভোট পেয়েছিল, নির্বাচিত হয়েছিলেন তিনজন সাংসদ। তাঁদের মধ্যে ছিলেন মুখার্জি স্বয়ংও। এরপর জনসংঘ জাতীয় দলের মর্যাদা পায়। পরে বহু উত্থান পতনের পর ১৯৮০ সালের ৬ এপ্রিল গঠিত হয় ভারতীয় জনতা পার্টি বা বিজেপি। এর প্রধান নেতারা প্রয়াত প্রধানমন্ত্রী অটল বিহারী বাজপেয়ী ও তাঁর ডেপুটি এলকে আডবাণী, প্রাক্তন মন্ত্রী মুরলী মনোহর যোশী ছিলেন আরএসএসের সদস্য। আজও বিজেপির প্রধান নেতা, মুখ্যমন্ত্রী ও কেন্দ্রীয় মন্ত্রীরা আরএসএসের সঙ্গে যুক্ত। এই তালিকায় রয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং প্রমুখ। মঙ্গলবার আরএসএস প্রধান মোহন ভাগবত দিল্লির বিজ্ঞান ভবনে তিন দিনব্যাপী বক্তৃতা সিরিজের মাধ্যমে শতবর্ষ উদযাপনের সূচনা করেছেন। শতবর্ষ উপলক্ষে সংগঠনটি সারা দেশে বিভিন্ন কর্মসূচির আয়োজন করেছে। এই বক্তৃতা সিরিজের মূল উদ্দেশ্য হল সমাজের সামনে সংগঠনের (RSS) একটি পূর্ণাঙ্গ চিত্র উপস্থাপন করা (Mohan Bhagwat)।

  • Suvendu Adhikari: ‘‘কান টেনেছেন, এবার মাথাও টানতে হবে’’, জীবনকৃষ্ণ ইস্যুতে মন্তব্য শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: ‘‘কান টেনেছেন, এবার মাথাও টানতে হবে’’, জীবনকৃষ্ণ ইস্যুতে মন্তব্য শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিয়োগ দুর্নীতির মামলায় ইডির হাতে গ্রেফতার হয়েছেন মুর্শিদাবাদের তৃণমূল বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহা। এনিয়েই বিরোধী দলনেতা শুভেন্দুর (Suvendu Adhikari) মন্তব্য, ‘‘কান টেনেছেন ঠিক আছে, এবার মাথাও টানতে হবে।’’ সোমবারই তৃণমূল বিধায়ককে ৬ দিনের ইডি হেফাজতের নির্দেশ দেন বিচারক। আগামী শনিবার ফের আদালতে তোলা হবে বড়ঞার বিধায়ক জীবনকৃষ্ণকে। এদিন ইডি-র আইনজীবী দাবি করেন, শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিতে প্রচুর টাকার লেনদেন হয়েছে ধৃতের স্ত্রী, বাবার অ্যাকাউন্টে। অন্যদিকে, অভিযুক্ত বলছেন, বাবা গিফট করেছেন। স্ত্রী বলছেন, চাকরি করে আয় করা টাকা। এসবই মিথ্যা বলে দাবি করেন ইডির আইনজীবী।

    কী বললেন শুভেন্দু (Suvendu Adhikari)?

    জীবনকৃষ্ণর গ্রেফতারি প্রসঙ্গে শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) এদিন বলেন, ‘‘জীবনকৃষ্ণ সাহা ছিলেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়, ভাইপো, মানিক ভট্টাচার্যদের বড় এজেন্ট। বীরভূম এবং মুর্শিদাবাদ জেলার তালিকা তৈরি করা, টাকা তোলা এবং একটা অংশ রাখা… এইসব কাজটাই করতেন জীবনকৃষ্ণ সাহা। আমি অনেকবারই বলেছি জীবনকৃষ্ণ সাহার (Jibankrishna Saha) কাছে পড়ে থাকলে শুধু হবে না। কারণ জীবনকৃষ্ণ সাহা কান্দি, নবগ্রাম,খড়গ্রামের বিধায়কদের দিয়ে সেইসব এলাকা থেকে টাকা তোলা এবং সেই সব এলাকায় চাকরি পাইয়ে দেওয়ার বন্দোবস্তটা করেছেন। কান টেনেছেন ঠিক আছে, এবার মাথাকেও টানতে হবে।’’

    আজকেও কীভাবে পালাচ্ছিল, সবাই দেখেছে

    তিনি আরও বলেন, ‘‘এর আগে পাঁচিলে ঝোলা, পুকুরে মোবাইল ফেলা, পাম্প মেশিন বসিয়ে জল তোলা। আজকেও কীভাবে পালাচ্ছিল। সবাই দেখেছে। শাসকদল যখন বলছে রাজনীতি করছে, তখন শাসকদলের একটাও বলা উচিত ছিল যে কেন জীবনকৃষ্ণ সাহা ছুটে পালাতে গেলেন? তিনি যদি নিরাপরাধ হয়ে থাকেন, রাজনৈতিক ষড়যন্ত্রের শিকার হয়ে থাকেন,তাহলে ফেস করা উচিত। কেন তিনি মোবাইল পুকুরে ফেললেন? প্রথমে তো অস্বীকার করছিলেন। তিনি যে অপরাধী সেটা আজ সবার সামনে প্রমাণ করে দিয়েছেন । শুধু ইডির কাছে নয়, ওটা পশ্চিমবঙ্গের মানুষের কাছে।’’

    এর আগে এদের যখন গ্রেফতার করা হয় তখন কিন্তু কোন নির্বাচন ছিল না

    বিরোধী দলনেতার (Suvendu Adhikari) কথায়, ‘‘এর আগে এদের যখন গ্রেফতার করা হয় তখন কিন্তু কোন নির্বাচন ছিল না। মূলত কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশেই সেই গ্রেফতারি হয়েছিল। এমনকি চোর সরকার সেই গ্রেফতারি এড়াতে সুপ্রিম কোর্টে পর্যন্ত গিয়েছিল। সুপ্রিম কোর্ট সেই নির্দেশে স্থগিতাদেশ দেয়নি। এই দুর্নীতি তদন্ত সরাসরি হাইকোর্টের মনিটরিং-এ হচ্ছে। হাইকোর্ট একটি সিট বানিয়ে দিয়েছিল। এমনকি এই তদন্তের কে নেতৃত্ব দেবেন সেটাও সিবিআই হাতে ছিল না। সিবিআই কে তিনটের নাম জমা দিতে বলেছিল হাইকোর্ট। তার মধ্যে থেকেই একজনকে বেছে নেওয়া হয়।’’

LinkedIn
Share