Tag: bjp

bjp

  • Suvendu Adhikari: “আপনার প্রস্তাবে সিঁদুর শব্দটি নেই কেন? কীসের আপত্তি?,” মুখ্যমন্ত্রীকে প্রশ্ন শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: “আপনার প্রস্তাবে সিঁদুর শব্দটি নেই কেন? কীসের আপত্তি?,” মুখ্যমন্ত্রীকে প্রশ্ন শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পহেলগাঁও হত্যাকাণ্ডের বদলা নিতে পাকিস্তানে ‘অপারেশন সিঁদুর’ (Operation Sindoor) চালায় ভারতীয় সেনাবাহিনী। মঙ্গলবার রাজ্য বিধানসভায় সেনাবাহিনীকে সম্মান জানাতে এই অভিযান নিয়েই আলোচনা হয়। আনা হয় প্রস্তাবও। তবে প্রস্তাবে ‘সিঁদুর’ শব্দটি ছিল না। তাই রাজ্য সরকারের আনা প্রস্তাবকে সমর্থন করলেও, রাজ্যের শাসক দলকে আক্রমণ শানাতে দ্বিধা করেননি রাজ্যের বিরোধী দলনেতা তথা নন্দীগ্রামের বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)।

    সিঁদুর শব্দটি নেই কেন? (Suvendu Adhikari)

    তিনি বলেন, “এই প্রস্তাব আনায় আমরা খুশি। বিজেপির সদস্যপদ নিতে গেলে প্রথমেই উল্লেখিত হয় নেশনস ফার্স্ট। দেশ ক্ষতবিক্ষত হলে সবাই এক সঙ্গে প্রতিবাদ করে। তাই এই প্রস্তাবকে আমরা সমর্থন করব।” এর পরেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিশানা করে শুভেন্দু বলেন, “আপনার প্রস্তাবে সিঁদুর শব্দটি নেই কেন? কীসের আপত্তি? সেনাকে কুর্নিশ জানাবেন। আমরা সমর্থন করব, আর আপনারা একটা লাইন রাখবেন না?” তিনি বলেন, “আমার আবেদন প্রস্তাবে অপারেশন সিঁদুর যুক্ত করুন। অতীতে আমার প্রস্তাব আপনারা নিয়েছেন। আর এটা তো দেশের প্রশ্ন।” এই সময় শাসক দলের বিধায়ক শিউলি সাহা বলেন, “সিঁদুর কি সবাই পরে?” সঙ্গে সঙ্গে শুভেন্দু বলেন, “হ্যাঁ, সিঁদুর পরে না মাকুরা। ওরা চিনকে সমর্থন করে। যারা ধর্ম মানে না, তারা পরে না।”

    লড়াই পাকিস্তানপন্থীদের বিরুদ্ধে

    শুভেন্দুর দাবি, তাঁদের লড়াই কোনও নির্দিষ্ট জাতি-ধর্ম কিংবা ব্যক্তির বিরুদ্ধে নয়। লড়াইটা যারা জঙ্গি গোষ্ঠী তৈরি করে তাদের বিরুদ্ধে। তিনি বলেন, “যারা এখানে থেকে পাকিস্তানের কথা বলে, আমাদের লড়াই তাদের বিরুদ্ধে (Operation Sindoor)। যারা এখানে জঙ্গি সংগঠন আনাসুরুল্লা বাংলাকে সমর্থন করে, লড়াইটা তাদের বিরুদ্ধে।” কর্নেল সোফিয়া কুরেশি এবং ভারতের প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি এপিজে আবদুল কালামের প্রসঙ্গও টানেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। তিনি বলেন (Suvendu Adhikari), “এপিজে আবদুল কালামকে রাষ্ট্রপতি করেছিল এনডিএ সরকার। জাতের ওপরে উঠে নাজমা হেপতুল্লা, আরিফ খানকে রাজ্যপাল করেছেন নরেন্দ্র মোদিজি।”

    সেনার উচ্ছ্বসিত প্রশংসা

    ভারতীয় সেনার উচ্ছ্বসিত প্রশংসা করে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বলেন, “ভারত মাতা যখন ক্ষতবিক্ষত হয়েছে, তখন আমাদের বীর সেনারা ১০০ কিলোমিটার ভিতরে ঢুকে মাসুদ আজহার ছাড়া বাকি প্রায় সব জঙ্গিকে নির্বংশ করেছে। বিএসএফ-সহ প্যারা মিলিটারি, সবাইকে ধন্যবাদ জানাই।” ‘অপারেশন সিঁদুর’ নিয়ে সংবাদ মাধ্যমে একাধিক বিরূপ মন্তব্য করতে শোনা গিয়েছে রাজ্যের বেশ কয়েকজন মন্ত্রীকে। এদিন সে প্রসঙ্গ তুলে শুভেন্দু বলেন, “তিন-চারজন যারা হাউসের সদস্য তাঁরা অপারেশন সিঁদুর নিয়ে বাইরে নানা কথা বলেছেন। আমি চাই এঁরা ক্ষমা চান।” নন্দীগ্রামের বিধায়কের এই মন্তব্যে উত্তেজনার সৃষ্টি হয় বিধানসভায়। সেই সময় তৃণমূলের উদয়ন গুহকে উদ্দেশ্য করে তাঁকে পাকিস্তানে চলে যেতে বলেন শুভেন্দু।

    ভোটব্যাঙ্কের রাজনীতি

    এদিকে, রাজ্যের (Operation Sindoor) ওবিসি সংরক্ষণ নিয়ে তৃণমূল পরিচালিত রাজ্য সরকারকে ফের নিশানা করেন শুভেন্দু (Suvendu Adhikari)। তিনি বলেন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার ভোটব্যাঙ্কের রাজনীতি করতে গিয়ে ওবিসি সংরক্ষণ ব্যবস্থাকে দুর্নীতিগ্রস্ত করেছে।” নন্দীগ্রামের বিধায়ক বলেন, “যাঁরা প্রকৃত ওবিসি নন, তাঁদের অবৈধভাবে তালিকাভুক্ত করা হয়েছে। এর ফলে প্রকৃত সংখ্যালঘু ও পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর অধিকার ক্ষুণ্ণ হয়েছে।” তিনি বলেন, “এই তালিকা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশেই তৈরি হয়েছে, যাতে মুসলিম ভোট ধরে রাখা যায়।” রাজ্যের বিরোধী দলনেতার দাবি, রাজ্য সরকার বিধানসভায় যে রিপোর্ট পেশ করেছে, সেখানে ১৮০টি সম্প্রদায়কে ওবিসি তালিকার অন্তর্ভুক্ত করার কথা বলা আছে। এই ১৮০টি সম্প্রদায়ের মধ্যে ১১৯টি মুসলিম সম্প্রদায়ের। তাঁর অভিযোগ, সংরক্ষণের বিষয়ে হিন্দু ওবিসিদের সঙ্গে প্রতারণা করেছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার।

    বিধানসভা থেকে ওয়াকআউট বিজেপির

    প্রসঙ্গত, এদিন ওবিসি সংরক্ষণ নিয়ে বিধানসভায় একটি রিপোর্ট পেশ করা হয়। পদ্মপার্টির অভিযোগ, ওই রিপোর্টটি পক্ষপাতদুষ্ট। প্রতিবাদে বিজেপি বিধায়করা বিধানসভা থেকে ওয়াকআউট করেন। তাঁদের নেতৃত্ব দেন শুভেন্দু (Suvendu Adhikari)। বিধানসভা থেকে বেরিয়ে রাজ্য সরকার ও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে তোপ দাগেন বিরোধী দলনেতা। তিনি বলেন, “বিরোধী দলকে কিছু না জানিয়ে চোরের মতো এসে এই রিপোর্ট পেশ করা হয়েছে। কিছু সময়ের জন্য এ নিয়ে বক্তব্য রাখেন মুখ্যমন্ত্রী। তারপর বিরোধী দলকে কিছু বলার সুযোগ দেওয়া হয়নি। তার আগেই বিধানসভা মুলতুবি করে দেন অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়।” রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বলেন, “ওবিসি সংরক্ষণ বিষয়টি নিয়ে মামলা চলছে কলকাতা হাইকোর্ট ও সুপ্রিম কোর্টে।” তাঁর প্রশ্ন, “বিচারাধীন বিষয়ে (Operation Sindoor) কীভাবে সংরক্ষণ করা হল?” ওবিসি হিন্দুদের স্বার্থ রক্ষায় বিজেপি আন্দোলনে নামবে বলেও জানান শুভেন্দু (Suvendu Adhikari)।

  • Shuvendu Adhikari: অনুব্রত কেন রাজ্যসভায় যাননি জানেন, খাপ খুলে দিলেন শুভেন্দু

    Shuvendu Adhikari: অনুব্রত কেন রাজ্যসভায় যাননি জানেন, খাপ খুলে দিলেন শুভেন্দু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “অনুব্রত মণ্ডলকে আরও ৪ বছর জেল খাটতে হবে।” সোমবার সন্ধ্যায় বোলপুর চৌমাথায় দাঁড়িয়ে এই তৃণমূল নেতা অনুব্রত মণ্ডলকে এই হুমকিই দিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা তথা বিজেপি (BJP) নেতা শুভেন্দু অধিকারী (Shuvendu Adhikari)। অনুব্রতর কুকথাকাণ্ডের প্রতিবাদে এদিন বোলপুরে নারী সম্মান যাত্রায় অংশ নেন শুভেন্দু। বোলপুরের ট্যুরিস্ট লজ মোড় থেকে চৌমাথা পর্যন্ত পদযাত্রা করেন শুভেন্দু। পরে এক জনসভায় যোগ দেন তিনি। সেখানে আগাগোড়াই তিনি আক্রমণ শানান তৃণমূলকে।

    কী বললেন শুভেন্দু

    নন্দীগ্রামের বিধায়ক শুভেন্দু বলেন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অনুব্রত মণ্ডলকে এসআরডিএ-র চেয়ারম্যান করে প্রতিমন্ত্রীর মর্যাদা দিয়ে রেখেছেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যতবার বীরভূমে এসেছেন, অনুব্রত মণ্ডলকে তাঁর পাশে দেখা গিয়েছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ডিজিপি ও এসপিকে বলেছেন, আপনারা অনুব্রতর নির্দেশে চলবেন।” তিনি বলেন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, আমরা কেষ্টকে রাজ্যসভায় পাঠাতে চেয়েছিলাম। তিনি যাননি। কারণ তিনি দিল্লিতে যেতে চান না।” শুভেন্দু বলেন, “দিল্লিতে গেলে এখানকার পাথর, বালি, জেলা পরিষদ, পুরসভা, ১০০ দিনের কাজ, আবাস, কয়লা, গরুপাচার, টাকা তুলবেন কখন? আর বোলপুরের প্রাসাদে বসে গুণবেন কখন? আর মুড়ির টিনে করে মমতা ব্যানার্জির কালীঘাটে পাঠাবেন কখন? তাই তিনি রাজ্যসভায় যাননি।” বোলপুরের আইসির মা ও স্ত্রীকে উদ্দেশ করে কুকথা বলায় ক্ষমতায় এসে অনুব্রতকে ৫ বছরের জন্য জেলে ভরবেন বলে হুঁশিয়ারি দেন তিনি।

    শুভেন্দুর হুঁশিয়ারি

    অনুব্রতকে শুভেন্দুর (Shuvendu Adhikari) হুঁশিয়ারি, “অনুব্রত মণ্ডলকে যে ধারায় ইডি গ্রেফতার করেছে, তাতে সর্বোচ্চ ৬ বছর জেল খাটতে হয়। অনুব্রত মণ্ডল দু’বছর জেল খেটেছে। দেশের আইন ঠিক থাকলে আরও ৪ বছর জেল খাটতে হবে। সব অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ, সব সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত হয়েছে। নিলাম (BJP) শুরু হল বলে। এদেরকে আমরা শিকড়-সহ তুলব। যাতে আর একটা পাতাও না গজায়।” শুভেন্দু বলেন, “যে ভাষায় অনুব্রত মণ্ডল বোলপুরের মা ও আইসিকে অপমান করেছেন, তা মুখে আনা যায় না, কানে শোনা যায় না। এ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী পদে যদি যোগী আদিত্যনাথ থাকতেন, তাহলে ধরে নিয়ে যেতেন। ১৪ দিন হেফাজতে রাখতেন। প্রতিদিন শুকনো লঙ্কা জ্বালানো হত। আর নাকে নল ঢোকানো হত। যেদিন পাতা উল্টে দেবেন, তার পরের দিনই এই মামলা রিওপেন হবে। মারতে মারতে তুলে নিয়ে যাবে পুলিশ। পকসো আইনে পাঁচ বছর জেলে রাখব। রেকর্ড করে রাখুন।” তিনি বলেন, “বোলপুরের আইসির চামড়া মোটা হতে পারে, কিন্তু তাঁর মায়ের (BJP) ও স্ত্রীর অপমান গোটা বাংলার নারীদের অপমান (Shuvendu Adhikari)।”

  • PM Modi: জাতীয় নিরাপত্তায় প্রধানমন্ত্রী মোদির প্রতি ৮৮ শতাংশ আস্থা, রাহুলের মত প্রত্যখ্যান

    PM Modi: জাতীয় নিরাপত্তায় প্রধানমন্ত্রী মোদির প্রতি ৮৮ শতাংশ আস্থা, রাহুলের মত প্রত্যখ্যান

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (PM Modi) নেতৃত্বে ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা সুদৃঢ়, এমনটাই বিশ্বাস করে দেশের ৮৮ শতাংশ মানুষ। সাম্প্রতিক সমীক্ষায় এ বিষয়ে জনগণের আস্থা প্রকাশ পেয়েছে। ২০২৫ সালের ৬ ও ৭ মে অনুষ্ঠিত এক সমীক্ষায় ১৪,৬৭১ জন অংশগ্রহণকারী অংশ নেন, যাদের মধ্যে ৮৮.০৬ শতাংশ অংশগ্রহণকারী মনে করেন যে প্রধানমন্ত্রী মোদি জাতীয় নিরাপত্তা বিষয়ে দৃঢ় অবস্থান নিয়েছেন।

    মোদির প্রতি আস্থা

    এই সমীক্ষার পটভূমি ছিল ২০২৫ সালের ২২ এপ্রিল পহেলগাঁও, জম্মু ও কাশ্মীরে সন্ত্রাসী হামলা, যেখানে ২৬ জন নিরীহ নাগরিক নিহত হন। এই হামলার প্রতিক্রিয়া হিসেবে ভারত ‘অপারেশন সিঁদুর’ নামে একটি সামরিক অভিযান চালায়, যা পাকিস্তান ও পাকিস্তান-অধিকৃত কাশ্মীরে সন্ত্রাসী আস্তানায় আঘাত হানে। প্রধানমন্ত্রী মোদি স্পষ্টভাবে ঘোষণা করেন যে, ভারত প্রতিটি সন্ত্রাসী হামলার প্রতিক্রিয়া যথাযথভাবে দেবে। দেশের নিরাপত্তার খাতিরে যুদ্ধপদ্ধতি নির্ধারণ করবে সশস্ত্র বাহিনী। এই সমীক্ষা কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীর মতকে সপাটে বাউন্ডারির বাইরে পঠিয়ে দিয়েছে।

    রাহুলের অভিযোগ প্রত্যাখ্যান

    কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী প্রধানমন্ত্রী মোদির (PM Modi) বিরুদ্ধে ‘নরেন্দ্র সারেন্ডার’ মন্তব্য করেন, যা নিয়ে রাজনৈতিক বিতর্ক সৃষ্টি হয়। তবে, সমীক্ষায় ৮৭.৫৫ শতাংশ অংশগ্রহণকারী এই মন্তব্যকে অশোভনীয় বলে অভিহিত করেন, যা রাহুলের বক্তব্যের প্রতি জনমতের অবজ্ঞা প্রকাশ করে। ভারত-পাক যুদ্ধবিরতি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে বেনজির কটাক্ষ করেন বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধী। শুরুর দিকে অপারেশন সিঁদুর ইস্যুতে কেন্দ্রের পাশে থাকলেও ভারত-পাক সংঘর্ষবিরতির পর থেকেই সুর বদলেছেন রাহুল। রাহুলের দাবি, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নির্দেশে যুদ্ধে এগিয়ে থেকেও একপ্রকার আত্মসমর্পণ করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।

    জনমত মোদির সঙ্গে

    রাহুলের এই বক্তব্যের কড়া সমালোচনা করে বিজেপি। দলের এক মুখপাত্র বললেন, “মনে হচ্ছে রাহুল গান্ধী দেশের বিরোধী দলনেতা নন। উনি আইএসআইয়ের সদস্য। পাকিস্তানের ভাষায় কথা বলছেন।” বিজেপির অভিযোগ, রাহুল যেভাবে রাজনীতির স্বার্থে প্রধানমন্ত্রীকে আক্রমণ করেছেন, সেই বক্তব্য আন্তর্জাতিক মহলে ভারতের বিরুদ্ধেও ব্যবহার করতে পারে ভারত বিরোধীরা। এই পরিস্থিতিতে সাম্প্রতিক সমীক্ষার ফলাফল প্রধানমন্ত্রী মোদির জাতীয় নিরাপত্তা বিষয়ে দৃঢ় অবস্থান এবং জনগণের আস্থার প্রতিফলন। এটি মোদি সরকারের রাজনৈতিক অবস্থানকে শক্তিশালী করে।

  • Fadnavis: “যে জনতার দ্বারা প্রত্যাখ্যাত হয়, সেই জনগণের রায়কে প্রত্যাখ্যান করে,” রাহুলের খোঁচার জবাবে বললেন ফড়নবীশ

    Fadnavis: “যে জনতার দ্বারা প্রত্যাখ্যাত হয়, সেই জনগণের রায়কে প্রত্যাখ্যান করে,” রাহুলের খোঁচার জবাবে বললেন ফড়নবীশ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “যে জনতার দ্বারা প্রত্যাখ্যাত হয়, সেই জনগণের রায়কে প্রত্যাখ্যান করে।” কংগ্রেসের প্রাক্তন সভাপতি তথা সাংসদ রাহুল গান্ধীর (Rahul Gandhi) ম্যাচ-ফিক্সিংয়ের অভিযোগের জবাব দিতে গিয়ে এ কথাই বললেন মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়নবীশ (Fadnavis)। গত বছর হয়েছিল মহারাষ্ট্র বিধানসভা নির্বাচন। সম্প্রতি এই নির্বাচনের স্বচ্ছতা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন রাহুল। এই নির্বাচনে বিজেপি, একনাথ শিন্ডের শিবসেনা এবং অজিত পাওয়ারের এনসিপি নিয়ে গঠিত জোট ২৮৮টির মধ্যে ২৩৫টি আসনে জয়ী হয়। মুখ থুবড়ে পড়ে কংগ্রেস, উদ্ধব ঠাকরের শিবসেনা গোষ্ঠী এবং শরদ পাওয়ারের এনসিপি নিয়ে গঠিত মহা বিকাশ আগাড়ি জোট। ওই নির্বাচনে বিজেপি একাই ১৩২টি আসনে জয়ী হয়।

    রাহুলের অভিযোগ (Fadnavis)

    রাহুল তাঁর এক্স হ্যান্ডেলে লেখেন, “নির্বাচনে কারচুপি করার প্রথম ধাপ হল নির্বাচন কমিশন নিয়োগের প্যানেলে জালিয়াতি করা। দ্বিতীয়ত, ভোটার লিস্টে ভুয়ো ভোটার প্রবেশ করানো। তৃতীয়ত, ভোটের হার বেশি করে দেখানো। চতুর্থত, বিজেপি যেখানে জিততে চায়, সেখানে বেশি করে জালিয়াতির জাল বিস্তার করা। পঞ্চমত, প্রমাণ গোপন করা।” কংগ্রেসের প্রাক্তন সভাপতি বলেন, “রিগিং একটি ম্যাচ-ফিক্সিংয়ের মতো — যারা ফিক্স করে তারা হয়তো একটি খেলা জিততে পারে, কিন্তু এর ফলে প্রতিষ্ঠানগুলির ওপর ও জনগণের ফলাফলের প্রতি আস্থা চিরতরে নষ্ট হয়ে যায়।” তিনি বলেন, “ম্যাচ-ফিক্সড নির্বাচন যে কোনও গণতন্ত্রের পক্ষে বিষের মতো।” রাহুল গান্ধীর পোস্টের কয়েক ঘণ্টা পর, নির্বাচন কমিশন এ বছরের এপ্রিল মাসে প্রকাশিত একটি নথি পুনরায় প্রকাশ করে জানিয়ে দেয়, তাঁর অভিযোগগুলি সম্পূর্ণ অবাস্তব (Fadnavis)।

    ইভিএমের দোষ!

    ফড়নবীশ রাহুলের মন্তব্যের জবাবে বলেন, “যদি আপনি মানুষকে বোঝাতে না পারেন, তাহলে তাঁদের বিভ্রান্ত করুন—এই নীতিই রাহুল গান্ধী গ্রহণ করেছেন।” তাঁর অভিযোগ, কংগ্রেস ইভিএমের দোষ দিয়ে জনগণ দ্বারা প্রত্যাখ্যাত হওয়ার পর গণতন্ত্রের ভাবমূর্তি নষ্ট করছে। তিনি বলেন, “এখন মহারাষ্ট্রে প্রতিটি নির্বাচনে বিরোধী দলগুলোর অভ্যাস হয়ে গিয়েছে ইভিএম নিয়ে প্রশ্ন তোলা। ইভিএম নিয়ে সব মামলাই সুপ্রিম কোর্ট খারিজ করে দিয়েছে।” তিনি বলেন, “রাহুল গান্ধী এমন একজন নেতা যিনি পরাজয় মেনে নিতে পারেন না।” তাঁর প্রশ্ন, “যেসব নির্বাচনে কংগ্রেস সরকার জেতে, সেই সব ইভিএম কি ঠিক (Rahul Gandhi)?” তিনি বলেন, “জনগণের রায়কে সম্মান করুন (Fadnavis)।”

  • Suvendu Adhikari: ‘‘যত নষ্টের গোড়া’’, কেষ্টর হুমকিকাণ্ড মমতাকে তুলোধনা শুভেন্দুর, আসরে জাতীয় মহিলা কমিশনও

    Suvendu Adhikari: ‘‘যত নষ্টের গোড়া’’, কেষ্টর হুমকিকাণ্ড মমতাকে তুলোধনা শুভেন্দুর, আসরে জাতীয় মহিলা কমিশনও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পুলিশকে ফোনে হুমকিকাণ্ডে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যাকে তুলোধনা করলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। এর পাশাপাশি, বোলপুরের আইসিকে ফোনে হুমকি দেওয়ার ঘটনায় এবার আসরে নামল কেন্দ্রও। জাতীয় মহিলা কমিশন চিঠি দিল রাজ্য পুলিশের ডিজিপি রাজীব কুমারকে। কমিশন জানতে চেয়েছে, এই ঘটনায় কেন আইনি পদক্ষেপ করা হয়নি। এই মর্মে রাজ্য পুলিশকে ৭২-ঘণ্টার সময়সীমা দিয়েছে জাতীয় মহিলা কমিশন।

    মমতাকে তুলোধনা করলেন শভেন্দু

    সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) তোপ দাগেন পুলিশমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। পুলিশের অতিসক্রিয়তা ও নিষ্ক্রিয়তা তুলে ধরে নন্দীগ্রামের বিধায়ক বলেন, ‘‘বাংলার পুলিশের যা হাল তা সকলেরই জানা। একজন আইনের ছাত্রীকে তুলে আনতে গুরগাঁও চলে যায় অথচ একজন আইসি, যিনি অ্যাকাডেমিক কোয়ালিফিকেশন, ফিটনেসে পাশ করে ডিউটি করছেন, তাঁর মা-বউকে হুমকি-গালিগালাজ করলে পুলিশমন্ত্রীর গায়ে লাগে না।’’

    যত নষ্টের গোড়া মমতা, বললেন শুভেন্দু (Suvendu Adhikari)

    সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে শুভেন্দু বলেন, ‘‘একজন তৃণমূল নেতা মদ্যপ অবস্থায় ফোন করে পুলিশ অফিসারকে গালিগালাজ করছেন। হুমকি দিচ্ছেন। রাজীব কুমারকে বলছেন, এই ডিজি আইসিকে কখন সরাবে? সেই নেতাকে গ্রেফতার না করে মুখ্যমন্ত্রী যেভাবে প্রোটেকশন দিচ্ছেন, সেটা ভাবা যায় না।’’ এরপরেই শুভেন্দুকে বলতে শোনা যায়,‘‘অনুব্রত মণ্ডলরা কেউ নন, যত নষ্টের গোড়া মমতা (Mamata Banerjee)। তাঁরই ছত্রছায়ায় নেতা-মন্ত্রীরা এই ধরনের আচরণ করার সাহস পান।’’

    আইসিকেই সাসপেন্ড করে দেওয়া হবে, দেখে নিন

    শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) আরও বলেন, ‘‘এই ধরনের নেতারা সব মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে অ্যাসেট। প্রকাশ্যে সভামঞ্চ থেকে মুখ্যমন্ত্রী বলেছিলেন, কেষ্টকে রাজ্যসভার টিকিট দিতে চেয়েছিলাম, নেয়নি। সেই অনুব্রত থানায় গেলে থোড়াই পুলিশ ফোন বাজেয়াপ্ত করবে? যা দোষ এখন আইসির।’’ বিরোধী দলনেতার আরও সংযোজন, ‘‘আমি তো বলছি, আইসিকেই সাসপেন্ড করে দেওয়া হবে, দেখে নিন।’’

    জাতীয় মহিলা কমিশনের চিঠি

    অন্যদিকে, জাতীয় মহিলা কমিশন রাজীব কুমারকে পাঠানো চিঠিতে জানতে চেয়েছে, একজন আইসিকে কুকথা বলেছেন অনুব্রত মণ্ডল। এমন ব্যক্তির বিরুদ্ধে অতীতে অপরাধের রেকর্ডও রয়েছে। তাঁর বিরুদ্ধে এখনও কোনও যথাযথ আইনি পদক্ষেপ করা হয়নি কেন? বৃহস্পতিবারই এই চিঠি দেয় কমিশন। নিজেদের চিঠিতে তারা এও জানতে চেয়েছে, যদি একজন উচ্চপদস্থ পুলিশ আধিকারিকের পরিবারকে এমন হুমকির শিকার হতে হয়, তবে সাধারণ মানুষের নিরাপত্তাটা কোথায়?

    কী লেখা হল চিঠিতে?

    বৃহস্পতিবার পাঠানো সেই চিঠিতে লেখা হয়, ‘‘একজন মহিলার বিরুদ্ধে ওই রকম হুমকি মন্তব্য শুধুই সামাজিক ও মূল্যবোধের অবক্ষয় নয়, বরং এটি একটি ঘৃণ্য অপরাধও। যার ভিত্তিতে ভারতীয় ন্যয় সংহিতায় প্রয়োজনীয় পদক্ষেপের কথা উল্লেখ রয়েছে। যাঁর অতীতে অপরাধের ছাপ রয়েছে, তার বিরুদ্ধে এখনও কোনও যথাযথ আইনি পদক্ষেপ করা হয়নি কেন?’’ একইসঙ্গে বীরভূমের এই নেতার বিরুদ্ধে অ্যাকশন টেকেন রিপোর্টও চেয়েছে জাতীয় মহিলা কমিশন। এজন্য রাজ্য পুলিশকে ৭২ ঘণ্টার সময় বেঁধে দিয়েছে তারা। এরমধ্যে অনুব্রতর বিরুদ্ধে করা আইনি পদক্ষেপের রিপোর্ট পাঠাতে বলেছে তারা।

    খোশমেজাজেই রয়েছেন কেষ্ট

    প্রসঙ্গত, হমকিকাণ্ডের পরেই পুলিশ নোটিশ দেয় অনুব্রতকে। দু’দিন হাজিরা তিনি এড়িয়ে যান। তিনি নাকি অসুস্থ, এমনটাই দাবি ছিল অনুব্রতর। এই কারণেই গত শনি ও রবিবার পুলিশের নোটিশ এড়িয়েছিলেন বীরভূমের কেষ্ট। সূত্রের খবর, টানা পাঁচদিন নাকি তাঁকে ‘বেড রেস্টে’র পরামর্শ দিয়েছিলেন চিকিৎসকরা। বুধবার পর্যন্ত ছিল সেই বিশ্রামের সময়সীমা। বৃহস্পতিবার হাজিরা দিলেন কেষ্ট। ঘটনার সাত দিন পরে বৃহস্পতিবারই বিকাল সাড়ে তিনটে নাগাদ শান্তিনিকেতন এসডিপিও অফিসে গিয়ে তাঁকে হাজিরা দিতে দেখা যায়। সূত্রের খবর, তাঁকে ঘণ্টা দুয়েক জিজ্ঞাসাবাদ করেন তদন্তকারী অফিসার। তবে হাজিরা দেওয়ার পরে তাঁকে বেশ খোশ মেজাজেই বের হতে দেখা যায়। মুখে মুচকি হাসিও নজর এড়ায়নি কারও। কোমরের পিছনে দু’হাত জোড় করে হাজিরা দিয়ে বেরিয়ে আসেন কেষ্ট।

    আইসির ফোনই বাজেয়াপ্ত

    অন্যদিকে, ভাইরাল অডিও কাণ্ডে বোলপুর থানার আইসি (Bolpur IC) আইসি লিটন হালদারের বিরুদ্ধেই আবার বিভাগীয় তদন্ত শুরু করেছে জেলা পুলিশ। পুলিশের যুক্তি, অনুমতি ছাড়া রেকর্ড বেআইনি। সূত্রের খবর, তদন্তের স্বার্থে আইসির মোবাইল ফোনটিও সিজ করেছে পুলিশ। কিন্তু আশ্চর্যজনকভাবে কেষ্টর ফোন এখনও বাজেয়াপ্ত করেনি পুলিশ। এনিয়ে পুলিশের নিচুতলারই একাংশের মধ্যে ক্ষোভও দেখা গিয়েছে।

  • BJP: বেঙ্গালুরুর স্টেডিয়ামে পদপিষ্ট হয়ে মৃত অন্তত ১১, কংগ্রেস সরকারকে নিশানা বিজেপির

    BJP: বেঙ্গালুরুর স্টেডিয়ামে পদপিষ্ট হয়ে মৃত অন্তত ১১, কংগ্রেস সরকারকে নিশানা বিজেপির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বেঙ্গালুরুর এম চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামের বাইরে পদপিষ্ট (Bengaluru Stampede) হয়ে মৃত অন্তত ১১। বুধবারের ওই ঘটনায় জখমও হয়েছেন বেশ কয়েক জন। এই ঘটনায় কর্নাটকের কংগ্রেস সরকারকে দায়ী করেছে বিজেপি (BJP)। পদ্ম শিবিরের অভিযোগ, এত বড় জমায়েতের জন্য যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। তাই এই দুঃখজনক দুর্ঘটনা ঘটেছে। এক্স হ্যান্ডেলে বিজেপি নেতা তেজস্বী সূর্য লেখেন, “চিন্নাস্বামী থেকে আসা মর্মান্তিক খবরে ভীষণ শোকাহত। এটি আনন্দ ও অনুগত ভক্তির এক উৎসব হওয়ার কথা ছিল, কিন্তু তা এক মর্মান্তিক ঘটনায় পরিণত হয়েছে। রাজ্য সরকার ও নেতৃত্ব যখন আরসিবির জয়ের কৃতিত্ব নেওয়ার লড়াইয়ে ব্যস্ত, মুখ্যমন্ত্রী নিজে যখন উৎসবে খোলাখুলি আমন্ত্রণ জানাচ্ছিলেন, তখন মাটিতে কোনও প্রস্তুতিরই ব্যবস্থা ছিল না।” তিনি লেখেন, “সরকার এই পুরো পরিকল্পনাটি ব্যর্থ করেছে এবং শেষ মুহূর্তে উদ্ভট সিদ্ধান্ত নিয়েছে।”

    আরসিবির জয় (BJP)

    ১৮ বছর পর শেষমেশ আইপিএল ট্রফি জিতেছে আরসিবি (রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু)। দলের জয়ের উচ্ছ্বাসে ভাসছে গোটা বেঙ্গালুরু শহর। তার মধ্যেই ঘটে গেল দুর্ঘটনা। চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামে আরসিবির জয় সেলিব্রেট করতে কোহলিদের জড়ো হওয়ার কথা ছিল। সেই স্টেডিয়ামের গেটেই দর্শকদের হুড়োহুড়ির জেরে ঘটল দুর্ঘটনা। ভিড় সামলাতে লাঠিচার্জ করতে হয়েছিল পুলিশকে। এই ঘটনায় পদপিষ্ট হয়ে মৃত্যু হয় ১১ জনের। জখম হয়েছেন অন্তত ২৫ জন। তাঁদের সকলকেই ভর্তি করা হয়েছে শিবাজি নগরের বাউরিং হাসপাতালে (BJP)।

    সেলিব্রেশনের আগেই বিপত্তি

    এদিন সকালে আরসিবির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছিল ট্রফি নিয়ে দল শহরে পৌঁছতেই সেলিব্রেশন হবে। সেই হিসেবে ছকে ফেলা হয় বিরাটদের গোটা দিনের পরিকল্পনা। বিমানবন্দরে নামার পর থেকে ভিক্ট্রি প্যারেড, চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামে সেলিব্রেশনের পরিকল্পনা করা হয়। সেই পরিকল্পনার কথা সমর্থকদের সঙ্গে শেয়ার করতেই বেঙ্গালুরুতে ভিড় বাড়তে থাকে। একটা সময়ে বাসে করে রাস্তায় ট্রফি নিয়ে সেলিব্রেশনের পরিকল্পনা বাতিল করা হলেও, পরে ফের করা হয়। এই সময়ে বেঙ্গালুরু পুলিশ জানায় তারা পরিস্থিতি (Bengaluru Stampede) সামাল দিতে তৈরি। ফলে সমর্থকরা বেরতে থাকেন রাস্তায়। তার পরেই ঘটে দুর্ঘটনা (BJP)।

  • Birbhum: কেষ্ট গড়ে ব্যাপক ধস তৃণমূলে, বিজেপিতে যোগ ১৫০ পরিবারের

    Birbhum: কেষ্ট গড়ে ব্যাপক ধস তৃণমূলে, বিজেপিতে যোগ ১৫০ পরিবারের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কেষ্ট গড়ে ব্যাপক ধস তৃণমূলে (TMC)! অনুব্রত মণ্ডলকে জেলা সভাপতির পদ থেকে সরানোর পরই তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেওয়ার হিড়িক লেগে গিয়েছে। বীরভূমের (Birbhum) সাঁইথিয়া বিধানসভার কুনুরি গ্রাম-সহ বিভিন্ন গ্রাম থেকে তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েছে ১৫০টিরও বেশি পরিবার। পদ্ম শিবিরের দাবি, মঙ্গলবার সিউড়িতে বিজেপির বীরভূম জেলা কার্যালয়ে বিজেপির জেলা সভাপতি ধ্রুব সাহার হাত ধরে তাঁরা যোগ দেন গেরুয়া শিবিরে। মে মাসের শেষাশেষি নলহাটি বিধানসভার ৫৫টি পরিবার তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেন। তাঁদের হাতেও বিজেপির ঝান্ডা তুলে দেন বিজেপির বীরভূম সাংগঠনিক জেলার সভাপতি ধ্রুব সাহা। বিজেপির দাবি ছিল, তিন দিনে হাসন ও নলহাটি বিধানসভার মোট ২৫০টি পরিবার চলে এসেছে তাদের দিকে।

    তৃণমূলের সাংগঠনিক রদবদল (Birbhum)

    সম্প্রতি বীরভূমে তৃণমূলের সাংগঠনিক রদবদল করা হয়েছে। জেলা সভাপতি পদ থেকে সরানো হয়েছে অনুব্রত মণ্ডলকে। কোর কমিটির ওপরই আস্থা রেখেছে দল। এই আবহে তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যাওয়ার ঢল শুরু হয়েছে বলে মনে করছে বিজেপি। রাজনৈতিক মহলের মতে, ছাব্বিশের বিধানসভা নির্বাচনের আগে এটা তৃণমূলের কাছে অশনি-সঙ্কেত। এভাবে চলতে থাকলে ছাব্বিশের বিধানসভা নির্বাচনে কেষ্ট গড়ে পদ্মফুল ফুটবে।

    তৃণমূলকে তোপ নবাগতদের

    তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দলকে তোপ দাগতে শুরু করেন নবাগতরা। এদিন তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন অচিন্ত্য দাস এবং গিরিধারী সরকারও। তাঁরা বলেন, “বর্তমানে গোটা বাংলার যা পরিস্থিতি, কারও যদি বিবেক বোধ থাকে, বিবেকের দংশন হয়ে থাকে, তাহলে তাঁরা কখনও তৃণমূল করবেন না।” বিজেপির দাবি, তৃণমূলের দলীয় নেতৃত্বের অভাব এবং সংখ্যালঘু তোষণের জন্য পুরানো দল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েছে এই পরিবারগুলি।

    প্রসঙ্গত, অনুব্রত মণ্ডলের ভাইরাল অডিও ক্লিপ ঘিরে যখন রাজ্যজুড়ে তোলপাড়, তখনই তৃণমূলে বড় ভাঙন বীরভূমে (Birbhum)। অনুব্রতর নোংরা হুমকি ফোন ঘিরে ক্রমেই অস্বস্তি বাড়ছে তৃণমূলে। অনুব্রতর মন্তব্য নিয়ে সমালোচনায় সরব হয়েছেন ঘাসফুল শিবিরেরই অনেকে। দলের তরফে তড়িঘড়ি দায় ঝেড়ে, ক্ষমা চাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে কেষ্টকে। ক্ষমা চাইলেও, এখনও পুলিশের তলবে হাজির হননি (TMC) অনুব্রত। এই পরিস্থিতিতেই শিবির বদল দেড়শোরও বেশি পরিবারের (Birbhum)।

  • BJP: “তিনি কি চিন বা পাকিস্তানের পেইড এজেন্ট?” রাহুলের ‘সারেন্ডার’ মন্তব্য নিয়ে প্রশ্ন বিজেপির

    BJP: “তিনি কি চিন বা পাকিস্তানের পেইড এজেন্ট?” রাহুলের ‘সারেন্ডার’ মন্তব্য নিয়ে প্রশ্ন বিজেপির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “রাহুল গান্ধী (Rahul Gandhi) যেভাবে কথা বলছেন, যেভাবে বারবার প্রশ্ন তুলছেন, তাতে আমি নিশ্চিতভাবে সন্দেহ করছি – তিনি কি চিন বা পাকিস্তানের কোনও পেইড এজেন্ট?” মঙ্গলবার এমনই প্রশ্ন তুলে দিলেন বিজেপির (BJP) জাতীয় মুখপাত্র তথা সাংসদ সম্বিত পাত্র। সম্প্রতি রাহুল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ভারত-পাকিস্তান দ্বন্দ্ব ও অপারেশন সিঁদুরের পরিচালনা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন সম্বিত। ভারত-বিরোধী মনোভাব প্রচারের অভিযোগে রাহুলকে কাঠগড়ায়ও তোলেন তিনি।

    রাহুল গান্ধীর অভিযোগ (BJP)

    প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার মধ্যপ্রদেশের একটি সভায় ভাষণ দিতে গিয়ে কংগ্রেসের প্রাক্তন সভাপতি রাহুল অভিযোগ করেন, ‘পাকিস্তানের সঙ্গে সামরিক উত্তেজনার সময় মোদি তৎকালীন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের একটি ফোনকলের পর আত্মসমর্পণ করেন।’ তাঁর এই মন্তব্যের প্রেক্ষিতে প্রবল প্রতিক্রিয়া জানায় বিজেপি। সম্বিত বলেন, “রাহুল ভারতীয় সেনাবাহিনীকে অপমান করছেন এবং একটি সফল সামরিক অভিযানের গুরুত্ব খাটো করছেন।” তাঁর দাবি, রাহুল কেন্দ্রীয় সরকারের সমালোচনা করতে গিয়ে ভারত মাতার অবমাননা করছেন। তিনি যা বলছেন, তাতে দেশের সম্মান ভূলুণ্ঠিত হচ্ছে। তাঁর অভিযোগ, গান্ধী এবং তাঁর পরিবারকে ডোকলাম ইস্যুতে ভারত-চিন অচলাবস্থার সময় চিনা তাঁবুর নীচে ভারতের বিরুদ্ধে গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগে ধরা হয়েছিল।

    বিজেপির প্রতিক্রিয়া

    রাহুলের ‘আত্মসমর্পণ’ শব্দ ব্যবহারের প্রসঙ্গে প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে সম্বিত বলেন, “নিজ দেশের বিষয়ে কথা বলার সময় কোনও সভ্য রাজনীতিবিদ বা বিরোধী দলনেতা কখনও আত্মসমর্পণ শব্দটি ব্যবহার করেন না। যিনি জন্মভূমির জন্য এমন শব্দ ব্যবহার করেন, তিনি রাজনীতির উপযুক্ত নন।” তিনি জানান (BJP), ২১ এপ্রিল পহেলগাঁওয়ের জঙ্গি হামলার বদলা নেওয়া হয়েছিল অপারেশন সিঁদুরের মাধ্যমে, যার ফলে পাকিস্তানের অভ্যন্তরে ৯টি জঙ্গি লঞ্চপ্যাড এবং ১১টি এয়ার বেস ধ্বংস করা হয়। সম্বিত বলেন, “তা সত্ত্বেও রাহুল গান্ধী ‘ভারতবর্ষ’কে আত্মসমর্পণকারী বলে উল্লেখ করেছেন এবং ‘অপারেশন সিঁদুর’ নিয়ে উপহাস করেছেন।” তিনি বলেন, “ভারত কখনওই আত্মসমর্পণ করে না, ভারতবর্ষ কখনও সন্ত্রাসের কাছে মাথা নত করেনি (Rahul Gandhi)।”

    শেহজাদ পুনাওয়ালার বক্তব্য

    সম্বিত বলেন, “আগের ইউপিএ সরকার পাকিস্তানের প্রতি নরম মনোভাব পোষণ করত। সেই সময় ছিল যখন আপনারা (কংগ্রেস-নেতৃত্বাধীন ইউপিএ সরকার) শুধু পাকিস্তানের সঙ্গে ‘ডসিয়ার-ডসিয়ার’ খেলতেন। এখন আর ডসিয়ার নয়, শুধু ‘ডোজ’ দেওয়া হয়।” রাহুলকে কটাক্ষ করেছেন বিজেপির আর এক মুখপাত্র শেহজাদ পুনাওয়ালা। তিনি বলেন, “তিনি (রাহুল গান্ধী) পাকিস্তানি প্রচারের নেতা। রাহুল ফের বুঝিয়ে দিয়েছেন যে ‘লিডার অফ অপজিশন’ শব্দের মানে এখন পাকিস্তানি প্রচারের নেতা।” পুনাওয়াল্লা বলেন, “যে ধরনের প্রচার পাকিস্তানও করতে পারেনি, তা এখন করছেন রাহুল গান্ধী। রাহুল গান্ধীর বিদেশি জিনিসের প্রতি বিশেষ আসক্তি – সেটা প্রোপাগান্ডা হোক বা কোনও নেতা।” ‘অপারেশন সিঁদুর’ নিয়ে বিদেশি মধ্যস্থতার দাবি খারিজ করে দিয়ে পুনাওয়ালা রাহুলকে তাঁর নিজের দলের প্রবীণ নেতাদের কথা শোনার আহ্বান জানান (BJP)।

    শশী, মনীশ, সলমনের কথা তো বিশ্বাস করুন!

    তিনি বলেন, ‘‘রাহুল গান্ধী ডিরেক্টর জেনারেল অব মিলিটারি অপারেশনস যা বলেছেন, বিদেশ মন্ত্রণালয় যা বলেছে — অন্তত (Rahul Gandhi) সেটুকু তো বিশ্বাস করুন। যদি তাঁদের না-ই বিশ্বাস করেন, তাহলে অন্তত শশী (থারুর), মনীশ (তেওয়ারি) আর সলমন (খুরশিদ) যাঁরা বলেছেন যে কোনও মধ্যস্থতা হয়নি, ভারত ফোন করেনি, বরং পাকিস্তানের ডিজিএমও-ই ভারতের কাছে পৌঁছেছিল — অন্তত তাদের কথা শুনুন।’’ তাঁর দাবি, পাকিস্তান ইতিমধ্যেই স্বীকার করেছে যে ‘অপারেশন সিঁদুর’-এ তারা ভারতের কাছে ‘পরাজিত’ হয়েছে এবং এখন তারা ভারতের কাছে সংঘর্ষ বিরতির আবেদন জানাচ্ছে।

    চিফ অফ ডিফেন্সের বক্তব্য

    সম্প্রতি চিফ অফ ডিফেন্স অনিল চৌহান বলেছিলেন, “যুদ্ধে ক্ষয়ক্ষতিটা আসল নয়। আসল হল, লক্ষ্যপূরণ হয়েছে কি না।” তিনি জানান, ভারতীয় সেনা প্রাথমিক ত্রুটি শুধরে নিয়ে প্রতিপক্ষের লক্ষ্যবস্তুতে হামলা চালাতে সমর্থ হয়। কোনও কোনও মহল থেকে দাবি করা হচ্ছে, পাক হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে রাফালের মতো যুদ্ধ বিমানও (BJP)।

    চৌহান এমনতর দাবি করলেও, রাহুল ধারাবাহিকভাবে সরকারের সাফল্যের দাবিকে একের পর এক প্রশ্ন তুলে বিদ্ধ করে গিয়েছেন। বিরোধী নেতাদের মধ্যে এই ব্যাপারে কংগ্রেস নেতা ব্যতিক্রম। তিনিই একমাত্র সেনার ক্ষয়ক্ষতির রিপোর্ট জানতে চেয়েছেন। ফলে সরকারের সঙ্গে তাঁর বিরোধ (Rahul Gandhi) অনেক দূর গড়িয়ে গিয়েছে। সংসদের বিশেষ অধিবেশন ডাকার দাবি জানিয়ে তিনিই প্রথম প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে চিঠি দেন (BJP)।

  • Shashi Tharoor: মার্কিন দেশে যুযুধান ভারত-পাকিস্তানের প্রতিনিধি দল, কেন জানেন?

    Shashi Tharoor: মার্কিন দেশে যুযুধান ভারত-পাকিস্তানের প্রতিনিধি দল, কেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পাকিস্তানের মুখোশ খুলতে এবং অপারেশন সিঁদুরের কারণ জানাতে আমেরিকায় গিয়েছে ভারতের প্রতিনিধি দল। এই দলটির নেতৃত্ব দিচ্ছেন কংগ্রেসের শশী থারুর (Shashi Tharoor)। এদিকে ভারতের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানাতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের দ্বারস্থ হয়েছে পাকিস্তানের প্রতিনিধি দলও। এই দলটির নেতৃত্ব দিচ্ছেন পাকিস্তানের প্রাক্তন বিদেশমন্ত্রী বিলাবল ভুট্টো জারদারি (Bilawal Bhutto)। ভারত ও পাকিস্তান দুই দেশের প্রতিনিধি দলই ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসনের শীর্ষ পদাধিকারীদের সঙ্গে বৈঠক করার উদ্দেশ্যে সে দেশে গিয়েছে। সে দিক থেকে দেখলে দুটি প্রতিনিধিদল একে অপরের মুখোমুখি না হলেও, দুই দলনেতা থারুর আর বিলাবলের বাগযুদ্ধ কিংবা বিবৃতিযুদ্ধ শুরু হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে সেখানে।

    নিউ ইয়র্কে গিয়েছিলেন থারুররা (Shashi Tharoor)

    গত ২৪ মে নিউ ইয়র্কে গিয়েছিলেন থারুররা। সেই সময় ছুটিতে ছিলেন মার্কিন কংগ্রেসের সদস্যরা। ফলে তাঁদের কারও সঙ্গে বৈঠকে বসতে পারেনি ভারতের প্রতিনিধি দল। থারুররা গায়ানা, পানামা, কলম্বিয়া এবং ব্রাজিল সফর শেষে ফের আমেরিকায় পৌঁছন। এদিকে, রবিবারই আমেরিকায় পৌঁছেছে পাকিস্তানের প্রতিনিধি দল। সূত্রের খবর, থারুররা ট্রাম্প প্রশাসনের শীর্ষ কর্তাদের সঙ্গে তো বটেই, মার্কিন আইনসভার প্রভাবশালী কমিটিগুলির সদস্যদের সঙ্গেও বৈঠক করবে। আর পাক প্রতিনিধি দল দেখা করবে মার্কিন বিদেশসচিব মার্কো রুবিয়ো এবং রাষ্ট্রসংঘের মহাসচিব আন্তোনিয়ো গুতেরেসের সঙ্গে। তবে ভারত ও পাকিস্তান এই দুই দেশের দুই প্রতিনিধি দল একই সময়ে আমেরিকার একই শহরে উপস্থিত থাকবে কিনা, তা এখনও স্পষ্ট নয়।

    ভারতের প্রতিনিধি দল

    থারুরের নেতৃত্বাধীন ভারতের ওই প্রতিনিধি দলে রয়েছেন বিজেপি সাংসদ ভুবনেশ্বর কলিতা, শিবসেনা সাংসদ মিলিন্দ দেওরা, প্রাক্তন কূটনীতিবিদ তরণজিৎ সিং সান্ধু। আর পাকিস্তানের প্রতিনিধি দলে বিলাবল ছাড়াও রয়েছেন সে দেশের আর এক প্রাক্তন বিদেশমন্ত্রী হিনা রব্বানি খার, প্রাক্তন দুই বিদেশসচিব, আমেরিকায় নিযুক্ত পাকিস্তানের প্রাক্তন দুই রাষ্ট্রদূত এবং প্রাদেশিক সরকারের এক মন্ত্রীও।

    পহেলগাঁও হত্যাকাণ্ড

    গত ২২ এপ্রিল (Shashi Tharoor) দক্ষিণ কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে বেছে বেছে হত্যা করা হয় ২৭ জন হিন্দু পর্যটককে। ওই ঘটনায় পাক মদতপুষ্ট জঙ্গিদের হাত রয়েছে বলে অভিযোগ করে ভারত। এরপর পাকিস্তানকে দায়ী করে একাধিক পদক্ষেপ করে ভারত (Bilawal Bhutto)। অপারেশন সিঁদুর চালিয়ে পাকিস্তান এবং পাক অধ্যুষিত কাশ্মীরের ৯টি জায়গায় আঘাত হানে ভারত। দুরমুশ করে দেওয়া হয় বেশ কয়েকটি জঙ্গি ঘাঁটি। সন্ত্রাসবাদ নিয়ে পাকিস্তানের মুখোশ খুলতে এবং অপারেশন সিঁদুরের বার্তা দিতে বিভিন্ন দেশে সাতটি সর্বদলীয় প্রতিনিধি দল পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেয় কেন্দ্রের নরেন্দ্র মোদির সরকার। স্থির হয় এই সাতটি দল সফর করবে বিশ্বের ৩২টি দেশ। থারুরের নেতৃত্বাধীন দলটি যাবে আমেরিকায়। ভারতের দেখাদেখি বিশ্বের বিভিন্ন দেশে প্রতিনিধি দল পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেয় পাকিস্তানও। আন্তর্জাতিক মহলের সামনে পাকিস্তানের অবস্থান স্পষ্ট করতে পাক প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ প্রাক্তন বিদেশমন্ত্রী বিলাবলকে এ বিষয়ে উদ্যোগী হতে বলেন। পাক প্রতিনিধি দলের এক সদস্যের কথায়, “প্ররোচনা সত্ত্বেও আমরা পরিণতমনস্কতার সঙ্গে জবাব দিয়েছি। আমরা এই সত্যিটা তুলে ধরতেই এখানে এসেছি, স্লোগান দিতে নয় (Shashi Tharoor)।”

    অপারেশন সিঁদুরের প্রশংসা

    প্রথম দফায় যখন থারুরের দল নিউ ইয়র্কে গিয়েছিল, তখন তিনি অপারেশন সিঁদুরের প্রশংসা করেন। তিনি মনে করিয়ে দেন, তিনি শাসক দলের প্রতিনিধি নন, বিরোধী দলের সদস্য। কিন্তু তা সত্ত্বেও মনে করেন, পাকিস্তানের জঙ্গি ঘাঁটি ধ্বংস করার সময় এসেছে। থারুর বলেন, “ও দেশে সন্ত্রাসবাদীদের নিরাপদ আশ্রয়স্থল রয়েই গিয়েছে। তাই কড়া আঘাত করা জরুরি ছিল (Bilawal Bhutto)।”

    কী বললেন থারুর

    থারুর বলেন, “আগামিকাল ওয়াশিংটনে পাকিস্তানি প্রতিনিধি দল থাকবে এবং আমরা (ভারতীয় প্রতিনিধি দল) একই তারিখে ওয়াশিংটনেই থাকব। ফলে একই শহরে দুটি প্রতিদ্বন্দ্বী প্রতিনিধি দলের উপস্থিতিতে আগ্রহ আরও বাড়তে পারে।” তবে পাক প্রতিনিধি দলের উপস্থিতি সত্ত্বেও নির্ধারিত লক্ষ্যভিত্তিক শ্রোতাদের কাছে ভারতের বার্তা পৌঁছে দিতে পারবেন বলেই আত্মবিশ্বাস প্রকাশ করেন থারুর। তিনি বলেন, “এটি একটি চ্যালেঞ্জিং পরিবেশ (Shashi Tharoor)। আমেরিকা একটি  গণমাধ্যমের ক্ষেত্র, যা বিশ্বের সংবাদ উৎপাদক হিসেবে কাজ করে। তাই আমাদের কাহিনি তাদের অগ্রাধিকারে নাও থাকতে পারে। কিন্তু যদি আমরা দক্ষিণ এশিয়া, ভারত বা সন্ত্রাসবাদ নিয়ে যাদের আগ্রহ রয়েছে, তাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে পারি, তাহলে আমাদের বার্তা খুব সহজেই পৌঁছে দিতে পারব।” তিনি (Shashi Tharoor) বলেন, “পাকিস্তানিরাও যে বিদেশে দল পাঠিয়েছে, এটা কোনও কাকতালীয় বিষয় নয়। তারা কেবলমাত্র কিছু নির্দিষ্ট রাজধানীকেই গুরুত্ব দিচ্ছে (Bilawal Bhutto)।”

  • Amit Shah: শনিবার রাতে কলকাতায় পা রাখলেন শাহ, আজ যোগ দেবেন একাধিক কর্মসূচিতে

    Amit Shah: শনিবার রাতে কলকাতায় পা রাখলেন শাহ, আজ যোগ দেবেন একাধিক কর্মসূচিতে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মোদির পরে বঙ্গ সফরে এলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah)। শনিবার রাতেই কলকাতা বিমানবন্দরে পৌঁছান তিনি। সেখানেই তাঁকে স্বাগ জানান বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। এছাড়াও হাজির ছিলেন বিজেপির অন্যান্য নেতৃবৃন্দ (West Bengal)। আজ রবিবার একাধিক কর্মসূচিতে রয়েছে তাঁর। এনিয়ে বিজেপি নেত্রী লকেট চট্টোপাধ্যায় বলেন, অপারেশন সিঁদুরের সাফল্যের পরে প্রথম রাজ্যে এলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।বিমানবন্দর থেকে বেরিয়ে শাহের কনভয় কয়েক মিনিট থামে। গাড়ি থেকে নেমে আসেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। উপস্থিত সকল বিজেপি কর্মী-সমর্থকদের উদ্দেশে হাত নাড়িয়ে কয়েক মুহূর্ত থেকে আবার ফের গাড়িতে ওঠেন শাহ। তার পরে তাঁর কনভয় সোজা চলে যায় বাইপাসের ধারের এক হোটেলে।

    পাখির চোখ বিধানসভা নির্বাচন

    গেরুয়া শিবিরের অন্দরের খবর, রবিবার তিনটি কর্মসূচি রয়েছে শাহের। এরমধ্যে সাংগঠনিক বৈঠকও করবেন তিনি। ওই বৈঠকে বিধানসভার রণকৌশল নিয়ে দলের নেতা-কর্মীদের দিশা দেখাবেন তিনি (Amit Shah)। বিজেপির পাখির চোখ যে পশ্চিমবঙ্গ তা বলার অপেক্ষা রাখেনা। প্রধানমন্ত্রীর পর এবার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর এই সফর সেই ইঙ্গিতই করছে। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, নিউটাউনের বৈঠকে ছাব্বিশের ভোটের (West Bengal) রণকৌশল নিয়ে আলোচনা হতে পারে বিস্তারিতভাবেই।

    কলকাতার উদ্দেশে বিজেপি পদাধিকারীরা (Amit Shah)

    ইতিমধ্যে রাজ্যের অধিকাংশ সাংগঠনিক জেলায় জেলা সভাপতিদের নামও ঘোষণা করেছে পদ্ম শিবির (Amit Shah)। তাঁরা প্রত্যেকেই নেতাজি ইন্ডোরে শাহি সভায় উপস্থিত থাকবেন বলে জানা যাচ্ছে। উত্তরবঙ্গের দায়িত্বপ্রাপ্ত বিজেপির পদাধিকারীরা ইতিমধ্যেই পৌঁছেছেন কলকাতায়। এই সভায় বাংলার সাংসদ, বিধায়করাও হাজির থাকবেন। রবিবার সকাল থেকেই দক্ষিণবঙ্গের বিজেপি পদাধিকারীরা যাচ্ছেন কলকাতার উদ্দেশে।বিধানসভা নির্বাচনের কয়েকমাস বাকি থাকতেই ঝাঁপিয়ে পড়ছে বিজেপি। একাধিক ইস্যুতে বর্তমানে কোনঠাসা শাসক দল।বিজেপি সূত্রে খবর, নেতাজি ইন্ডোরের কর্মসূচির আগে অবশ্য রাজাহাটের একটি অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন শাহ। সেখানে সিএফএসএলের নতুন ভবনের উদ্বোধন করবেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। তার পর সেখান থেকেই তিনি যাবেন নেতাজি ইন্ডোরে। সাংগঠনিক সভা শেষে একটি ধর্মীয় অনুষ্ঠানেও যোগ দেওয়ার কথা রয়েছে তাঁর। সেটি আয়োজিত হবে স্বামী বিবেকানন্দের জন্মভিটেয়।

LinkedIn
Share