মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এক মাসও বিয়ে হয়নি। এর মধ্যে স্ত্রী শ্বশুরবাড়ি ছেড়ে বাপের বাড়িতে রয়েছেন। জামাই বাবাজীবন শ্বশুরবাড়ি আসতেই তাঁকে আদর আপ্যায়ন করার পরিবর্তে শিকল দিয়ে বেঁধে রাখলেন শ্বশুরবাড়ির লোকজন। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে মালদা (Malda) জেলার ইংরেজবাজার থানার বুধিয়া বিশ্বাসপাড়ায়।
কেন জামাইকে শিকল দিয়ে বেঁধে রাখা হল? (Malda)
মালদার (Malda) ইংরেজবাজার থানার বুধিয়া বিশ্বাসপাড়ার বাসিন্দা জুবেদা বিবির সঙ্গে ২৪ দিন আগে রতুয়া থানার সুলতানগঞ্জের বাসিন্দা আক্রম আলির বিয়ে হয়েছিল। বিয়ের সময় ৯০ হাজার টাকা পণ দেওয়ার কথা হয়েছিল। কিন্তু, আর্থিক অবস্থা সচ্ছল না থাকায় পণের সম্পূর্ণ টাকা মেয়ের শ্বশুরবাড়িতে দিতে পারেননি জুবেদা বিবির বাপের বাড়ির লোকজন। বিয়ের দিন ৫০ হাজার টাকা দেওয়া হয়। পরে বাকি টাকা দেওয়ার আশ্বাস দেওয়া হয়। বিয়ের দিনই পণের সব টাকা দিতে না পারার কারণে অনেক কথা শুনতে হয়েছিল। তবে, বিয়েবাড়িতে অন্য লোকজনের মধ্যস্থতায় বিয়ে হয়ে যায়। কিন্তু, বিয়ের পর থেকেই জুবেদার উপর মানসিক এবং শারীরিক অত্যাচার শুরু হয়। শেষমেশ কয়েকদিন আগেই জুবেদা কাউকে কিছু না জানিয়ে বাপের বাড়ি চলে যান। সোমবার সন্ধ্যায় টাকার জন্য আক্রম আলি শ্বশুরবাড়িতে যান। সেখানে গিয়ে তিনি স্ত্রীকে গালিগালাজ করতে থাকেন। পরে, তাঁকে মারধর করা হয়। মেয়েকে মারতে দেখে শ্বশুরবাড়ির লোকজন জামাইকে শিকল দিয়ে বেঁধে রাখেন।
স্বামীর প্রসঙ্গে কী বললেন স্ত্রী ?
আক্রম আলির স্ত্রী জুবেদা বিবি বলেন, বাবার খুব বেশি রোজগার নেই। তবুও, পণের টাকা ধাপে ধাপে দিয়ে দেওয়ার কথা বলেছিল। সেটা ওদের সহ্য হয়নি। বিয়ের কয়েক দিন পর থেকেই স্বামী আমার উপর শারীরিক ও মানসিক অত্যাচার চালাতে থাকে। আমাকে শ্বাসরোধ করে মেরে ফেলার চেষ্টা করে। আমার বাড়িতে এসে আমার উপর অত্যাচার করতেই এলাকাবাসী ঘরে বন্দি করে রাখে। থানায় বিষয়টি জানিয়েছি।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।
+ There are no comments
Add yours