মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সন্দেশখালি কাণ্ডে বিজেপি-র এসপি অফিস ঘেরাও কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে মঙ্গলবার রণক্ষেত্রের চেহারা নিয়েছিল বসিরহাট। পুলিশের নির্বিচারে লাঠিচার্জ এবং দলীয় কর্মীদের গ্রেফতারের প্রতিবাদে পুলিশ সুপারের অফিসের কাছে অস্থায়ী মঞ্চ করে অবস্থান বিক্ষোভে বসেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। গভীর রাতে জোর করে অবস্থান তুলে দেয় মমতার পুলিশ। এমনই অভিযোগ অবস্থানে বসা বিজেপি কর্মী-সমর্থকদের।
জোর করে অবস্থান তুলে দেয় পুলিশ
অস্থায়ী মঞ্চ করে শতাধিক কর্মী-সমর্থক নিয়ে মঙ্গলবার বিকাল থেকে অবস্থান শুরু করেন সুকান্ত (Sukanta Majumdar)। সেখানে প্রচুর পুলিশ কর্মী মোতায়েন ছিল। রাত ১২ টা নাগাদ পুলিশের পক্ষ থেকে মাইকিং করে অবস্থান তুলে নেওয়ার জন্য রীতিমতো হুমকি দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। বিজেপি কর্মীরা অবস্থানে অনড় থাকে। রাত ১টা নাগাদ বিশাল পুলিশ বাহিনী একরকম জোর করে অবস্থান তুলে দেয়। পুলিশের সঙ্গে বিজেপি কর্মীদের গভীর রাতে ধস্তাধস্তি হয়। পরে, বসিরহাট স্টেডিয়ামের ভিতরে আনা হয়। প্রায় এক ঘণ্টা আটকে রাখার পর রাত প্রায় দেড়টা নাগাদ বন্ডে সই করিয়ে ছেড়ে দেওয়া হল সুকান্ত এবং বিজেপি কর্মীদের।
সন্দেশখালি যাওয়ার কথা ঘোষণা সুকান্তর (Sukanta Majumdar)
ছাড়া পাওয়ার পর সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে সুকান্ত (Sukanta Majumdar) বলেন, “আমাদের দলীয় কর্মীদের আটক করতে পুলিশ যে তৎপরতা দেখালো, শাহজাহান ও তাঁর সাঙ্গপাঙ্গদের ধরতে এ রকম তৎপরতা দেখালে পুলিশকে আজ এই পরিস্থিতির সম্মুখীন হতে হত না।” তিনি আরও জানান, রাতটা তিনি জেলাতেই কাটাবেন। বুধবার সকালে সন্দেশখালির উদ্দেশে রওনা দেবেন।
এসপি অফিস ঘেরাও কর্মসূচি নিয়ে রণক্ষেত্র
সড়ক পথে বাধা দিতে পারে আশঙ্কা করেই বিজেপি-র রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar) এদিন লোকাল ট্রেনে দাঁড়িয়ে বসিরহাটে যান। মূল রাস্তা ধরে গেলে বাধার মুখে পড়তে পারেন জেনে সুকান্ত বাইকে চড়ে অলি-গলি ধরে বসিরহাট এসপি অফিসের উদ্দেশে রওনা দেন। আগে থেকে বিজেপি কর্মীরা জমায়েত ছিলেন। এমনিতেই বিজেপির কর্মসূচিকে বানচাল করতে পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছিল। মিছিল করে এসপি অফিসের দিকে রওনা দিতেই পুলিশ ব্যারিকেড দিয়ে আটকে দেয়। পুলিশ বাধা দেওয়ার চেষ্টা করলে বিজেপি কর্মীদের সঙ্গে ব্যাপক ধস্তাধস্তি হয়। এরপরই পুলিশ বেধড়ক লাঠিচার্জ করতে শুরু করে। মহিলা কর্মীদের ওপর লাঠিচার্জ করা হয়। এমনকী কাঁদানে গ্যাসের একাধিক সেল ফাটানো হয়। গোটা এলাকা কার্যত অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে। পুলিশের নির্বিচারে লাঠিচার্জের প্রতিবাদে সুকান্তর নেতৃত্বে অবস্থান বিক্ষোভ শুরু করা হয়। জেলা পুলিশের এক আধিকারিক বলেন, দুহাজার কর্মী জমায়েত করে ওরা। পুলিশ কর্মীদের উদ্দেশে ইট, পাথর ছোড়া হয়। তাতে বেশ কয়েকজন পুলিশ কর্মী জখম হন। এরপরই পুলিশ লাঠিচার্জ করে। কাঁদানে গ্যাসের সেল ফাটানো হয়। বিজেপি কর্মীদের বক্তব্য, পুলিশ শান্তিপূর্ণ মিছিলের ওপর নির্বিচারে লাঠিচার্জ করা হয়। বহু কর্মী জখম হয়েছেন। অনেকের পা ভেঙে গিয়েছে। মহিলারা জখম হয়েছে। মমতার পুলিশ এলাকায় সন্ত্রাস চালিয়েছে।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।
+ There are no comments
Add yours