মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তৃণমূল সরকারের আমলে দুর্নীতি যেমন ছত্রে ছত্রে, তেমনি তার রকমফের দেখলেও অবাক হতে হয়। এক অ্যাকাউন্টের টাকা অন্য জায়গায় চলে যাওয়ার ঘটনা তো আকছারই ঘটে। এবার যা হয়েছে, তাতে অনেকেরই চক্ষু ছানাবড়া। যে প্রকল্প পুরোপুরি মহিলাদের জন্য, এবার তার টাকা দীর্ঘদিন ধরে চলে গেল একজন পুরুষের অ্যাকাউন্টে (Nadia)। কী করে এটা হতে পারে, সেটাই অনেকে বুঝে উঠতে পারছেন না। যদিও এর পিছনেও সেই দুর্নীতিই জড়িয়ে, এমনটাই মনে করছেন ভুক্তভোগীরা।
কতদিন ধরে হচ্ছে? (Nadia)
লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের টাকা ঢুকছে নারায়ণের ঘরে! তাও আবার বাড়ির নারায়ণ হলে না হয় তেমন শোরগোল পড়ত না। গ্রাম পেরিয়ে শান্তিপুর শহরে বসবাসকারী অজানা-অচেনা বিশ্বজিৎ বিশ্বাস নামে এক ব্যক্তির বেসরকারি ব্যাঙ্কের অ্যাকাউন্টে সেই টাকা ঢুকেছে। অথচ বছর খানেক আগে দুয়ারে সরকারে লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের জন্য শান্তিপুর ব্লকের (Nadia) বাবলা পঞ্চায়েতের কন্দখোলা গ্রামের গৃহবধূ রিম্পা দাস মজুমদার স্টেট ব্যাঙ্কের অ্যাকাউন্ট নম্বর দিয়েছিলেন। তাঁর নামে সরকারি এই লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্প মঞ্জুর হলেও দীর্ঘ ১১ মাস ধরে প্রথম দশ মাস ৫০০ টাকা করে, পরবর্তীতে এক মাসে এক হাজার টাকা অর্থাৎ মোট ৬ হাজার টাকা ওই অপরিচিত ব্যক্তির ব্যক্তির অ্যাকাউন্টে ঢুকেছে।
কীভাবে জানা গেল? (Nadia)
রিম্পাদেবীর বক্তব্য, কোনও একটি মহিলার অ্যাকাউন্টে টাকা ঢুকে গেলেও না হয় ভুলভ্রান্তি বলে মানা যায়। কিন্তু সরকারি দফতরে হাজার হাজার মহিলা অ্যাকাউন্টের মধ্যে এ ধরনের পুরুষের নাম মিললে বিষয়টি নজরে পড়ার কথা এবং এ নিয়ে শোরগোল পড়ে যাওয়ার কথা। তাহলে কি এই ধরনের আরও অনেক পুরুষের অ্যাকাউন্টে আমার মতো লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের টাকা না ঢোকা মহিলাদের টাকা গিয়েছে! বিষয়টি নিয়ে তিনি এবার বিডিও (Nadia) সহ উচ্চ পর্যায়ের প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের দ্বারস্থ হতে চলেছেন। কারণ এর আগে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা তাঁকে শুধু সান্ত্বনাই দিয়েছেন। তাঁর আরও বক্তব্য, মুখ্যমন্ত্রী মহিলাদের দেওয়ার উদ্দেশ্যে এই টাকা পাঠাচ্ছেন। আর তা যদি পুরুষ কোনও উপভোক্তা পান, সেটা নিশ্চয়ই তিনিও চাইবেন না। তবে রিম্পা দাস মজুমদারের পরিবারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, দীর্ঘদিন ধরে এই ভাতা না মেলায় তিনি দু-দুবার কাগজ জমা করেছেন দুয়ারে সরকারে। গতকাল অধৈর্য হয়েই মূলত একটি সাইবার ক্যাফেতে গিয়ে চক্ষু চড়কগাছ! লক্ষ্য করেন বেনিফিশিয়ারি হিসেবে তাঁর নাম-ঠিকানা সব ঠিকঠাক থাকলেও অ্যাকাউন্ট নম্বর রয়েছে একটি বেসরকারি ব্যাঙ্কের এবং তা'ও অজ্ঞাত পরিচয় শান্তিপুর নিবাসী বিশ্বজিৎ বিশ্বাসের।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।
+ There are no comments
Add yours