মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বোর্ড গঠনের দিনই তৃণমূলের (TMC) গোষ্ঠী কোন্দল একেবারে প্রকাশ্যে চলে এল। ব্লক নেতৃত্বের বিরুদ্ধে আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগ এনে সরব হলেন দলেরই একাংশ। বুধবার ঘটনাটি ঘটেছে মালদার চাঁচল গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায়। বোর্ড গঠনের আগেই প্রকাশ্যে তৃণমূলের দলীয় কোন্দল একেবারে প্রকাশ্যে চলে আসে।
ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে?
খেলেনপুর বুথ থেকে তৃণমূলের (TMC) জয়ী প্রার্থী হেলি খাতুনকে উপ প্রধান করা হয়েছে। তাঁর অনুগামীদের দাবি, উপপ্রধান হিসেবে রাজ্য নেতৃত্ব হেলি খাতুনের নাম পাঠিয়েছে। কিন্তু, সেই সিদ্ধান্ত অমান্য করে ব্লক নেতৃত্ব বিরস্থল বুথ থেকে জয়ী তৃণমূল প্রার্থী মুক্তার হোসেনকে উপপ্রধান করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এর প্রতিবাদে বোর্ড গঠনের প্রক্রিয়া শুরু হওয়ার আগেই চাঁচল গ্রাম পঞ্চায়েতের সামনে ধর্ণা দিয়ে বিক্ষোভ দেখান হেলি খাতুনের অনুগামীরা। পঞ্চায়েতের সামনে হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়েন তৃণমূলের নেতারা। পরিস্থিতি সামাল দিতে চাঁচল থানার বিশাল পুলিশ বাহিনী মোতায়েন করা হয়।
বিক্ষুব্ধ তৃণমূল কর্মীদের কী বক্তব্য?
বিক্ষুব্ধ তৃণমূল (TMC) কর্মীদের বক্তব্য, রাজ্য নেতৃত্বের পাঠানো তালিকায় এদিন সকাল পর্যন্ত উপ প্রধান হিসেবে হেলি খাতুনের নাম ছিল। এক ঘণ্টার মধ্যে ব্লক নেতৃত্ব খাম পরিবর্তন করে দেন। টাকার বিনিময়ে ব্লক নেতৃত্ব সব করেছে। আমরা এই উপ প্রধানকে মানব না।
বোর্ড গঠন নিয়ে কালিয়াচকে উত্তেজনা
পঞ্চায়েত ভোট গঠন নিয়ে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়ালো মালদার কালিয়াচকের আলিপুর- ২ গ্রাম পঞ্চায়েতে। এদিন ওই ঘটনাকে কেন্দ্র করে তৃণমূলের (TMC) পক্ষের মধ্যে ব্যাপক হাতাহাতি ও ধস্তাধস্তি হয়। পরিস্থিতি সামাল দিতে বিশাল পুলিশ বাহিনী মোতায়ন করা হয়। জানা গিয়েছে, আলিপুর গ্রাম পঞ্চায়েতে মোট আসন সংখ্যা ২৪টি। এর মধ্যে কংগ্রেস পায় দশটি আসন, নির্দল একটি, সিপিআইএম একটি আসন এবং তৃণমূল কংগ্রেস পায় ১২টি আসন। বুধবার বোর্ড গঠনের সময় কংগ্রেস পক্ষ দাবি করে তাদের সমর্থন করছে সিপিএম ও নির্দল ছাড়াও একজন তৃণমূল জয়ী সদস্য। স্বভাবতই তাদের দল থেকেই প্রধান পদের দাবী জানানো হয়। অন্যদিকে, তৃণমূল কংগ্রেসের দাবি তাদের পক্ষেই রয়েছে সংখ্যা গরিষ্ঠ সমর্থন। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে প্রথমে বিরোধীদের সঙ্গে ও পরে নিজেদের দলেরই অপর গোষ্ঠীর সঙ্গে দ্বন্দ্বে জড়িয়ে পড়ে তৃণমূল কংগ্রেস। নেতাকর্মীরা ঘটনার জেরে এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়ায়। স্থগিত করে দেওয়া হয় বোর্ড গঠন প্রক্রিয়া। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে মোতায়ন করা হয় বিশাল পুলিশ বাহিনী।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।
+ There are no comments
Add yours