মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তৃণমূল কাউন্সিলারের ছেলের দাদাগিরি। আর সেই ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়া ভাইরাল হতেই শোরগোল মালদা (Malda) জেলা জুড়ে। যদিও ভিডিওর সত্যতা যাচাই করেনি মাধ্যম। প্রতিবেশী আইনজীবীর বাড়িতে ঢুকে সদ্য প্রসূতিকে মারধর ও ভাঙচুর করার অভিযোগ। বাবার ক্ষমতার অপব্যবহার করে এলাকায় দলবল নিয়ে হামলা করার অভিযোগে নাম জড়াল মালদার পুরাতন মালদা পৌরসভার ৫ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলার বশিষ্ঠ ত্রিবেদীর ছেলে সুতিম ত্রিবেদীর বিরুদ্ধে।
কেন হামলা? (Malda)
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, পুরাতন মালদা (Malda) পৌরসভার ৫ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা পেশায় আইনজীবী অমরেশ দত্তের ছোট ছেলে অভিষেক দত্তের জন্মদিনের অনুষ্ঠান ছিল। সেই অনুষ্ঠানে স্থানীয় তৃণমূল কাউন্সিলারের ছেলেকে নিমন্ত্রণ করা হয়নি। এটাই অপরাধ। সেই জন্মদিনে অনুষ্ঠানে আইনজীবীর বড় ছেলে অর্কপ্রভ দত্ত ও তার স্ত্রী এবং অন্যান্য আত্মীয়রা আসেন। হঠাৎ অতর্কিতভাবে তৃণমূল কাউন্সিলারের ছেলে সুতিম ত্রিবেদী দলবল নিয়ে বাড়িতে চড়াও হয়। অভিষেক দত্ত নামে আক্রান্ত যুবক বলেন, আমার জন্মদিনে কেন নিমন্ত্রণ করা হয়নি তা জানতে চান। আমি নিমন্ত্রণ করিনি বলে ঝামেলা করা শুরু করে। বাড়িতে থাকা সমস্ত খাবার ফেলে দেয়। আমাদের উপর চড়াও হয়। তৃণমূল নেতার ছেলে বলে যা খুশি করবে। জানা গিয়েছে, আইনজীবীর বড় ছেলে অর্কপ্রভ দত্ত ও তাঁর স্ত্রী মৌসুমী মন্ডলকে বাবার বাড়িতে রেখে আসলে, সেখানে গিয়ে রাত্রি ১ টা নাগাদ প্রথমে পেটে লাথি ও চুলের মুঠি ধরে তাঁর স্ত্রী কে মারধর করার অভিযোগ ওঠে। আরে এই গোটা ঘটনা নিয়ে মালদা থানায় দারস্থ হয়েছেন আইনজীবীর পরিবার। অভিযুক্ত তৃণমূল কাউন্সিলারের ছেলের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। যদিও ঘটনার তদন্তে নেমেছে মালদা থানার পুলিশ।
তৃণমূল কাউন্সিলার কী সাফাই দিলেন?
এদিকে এই ঘটনা নিয়ে তৃণমূল কাউন্সিলার বশিষ্ঠ ত্রিবেদী বলেন, মিথ্যা অভিযোগ করা হচ্ছে আমার ছেলের বিরুদ্ধে। এরকম কোনও ঘটনায় ঘটেনি। ওইদিন রাতে সেখানে একজন পুরসভার অস্থায়ী কর্মী মারা গিয়েছিল, সে কারণে গোটা এলাকা শোকোস্তব্ধ ছিল। যারা অভিযোগ করছে তারাই মাইক বাজিয়ে সেখানে পার্টি করছিল। আর তাতেই স্থানীয়রা বাধা দিতে যায় এবং গন্ডগোল হয়। এখন আমার ছেলের বিরুদ্ধে যারা অভিযোগ করছে, অভিযোগ যদি সত্য প্রমাণিত হয় তাহলে আইন আইনের পথে চলবে।
তৃণমূল নেতৃত্বের কী বক্তব্য?
যদিও পাল্টা সাফাই জেলা তৃণমূলের সহ-সভাপতি শুভময় বসুর, ঘটনাটি শুনেছি। প্রশাসনিক যদি কোনও অভিযোগ হয়ে থাকে, তাহলে দলের যে কোনও স্তরের নেতা কর্মী যাই হোক না কেন প্রশাসন সঠিক ঘটনার তদন্ত করে উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।
বিজেপি নেতৃত্ব কী বললেন?
এই ঘটনাকে নিয়ে কড়া ভাষায় নিন্দা করেছে মালদা (Malda) বিধানসভা কেন্দ্রের বিজেপি বিধায়ক গোপাল চন্দ্র সাহা। তিনি বলেন, ঘটনাটি শুনেছি। অনুষ্ঠানে কে কাকে ডাকবে সে তার ব্যক্তিগত ব্যাপার, সেখানে গিয়ে তৃণমূলের কাউন্সিলার এর ছেলের এই সমস্ত করাটা ঠিক হয়নি। আসলে তৃণমূলের এটাই কালচার। সারা রাজ্য জুড়ে চলছে। অভিযোগ হয়েছে পুলিশ তদন্ত করবে।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।
Leave a Reply