Typhoid Fever: বর্ষায় বিপদ বাড়াচ্ছে টাইফয়েড! কী ধরনের জটিলতা হচ্ছে?

বর্ষায় কীভাবে টাইফয়েড থেকে সতর্ক হবেন? 
Typhoid_Fever
Typhoid_Fever

তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

ডেঙ্গি-ম্যালেরিয়ার মতো মশাবাহিত রোগের দাপট রয়েছে। তার সঙ্গে জোট বেঁধেছে ইনফ্লুয়েঞ্জা। তাতেই শেষ নয়। এই বর্ষায় ঝড়ো ব্যাটিং করছে টাইফয়েড! তাই বাড়ছে উদ্বেগ!

টাইফয়েড কেন বাড়ছে? 

চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, চলতি মরশুমে দাপট বাড়াচ্ছে টাইফয়েড। বর্ষায় জলবাহিত নানা সমস্যার মধ্যে একটা বড় বিপদ এই টাইফয়েড। অপরিশ্রুত জল থেকেই টাইফয়েডের জীবাণু রোগীর শরীরে বাসা বাঁধে। বর্ষায় একাধিক জায়গায় জমা জল, নিকাশি ব্যবস্থা ভেঙে পড়ার জেরেই জলবাহিত রোগের দাপট বাড়ছে। তাই এই বর্ষায় টাইফয়েডে আক্রান্তের সংখ্যা ক্রমশ বাড়ছে।

কীভাবে রোগ চিহ্নিত হয়? 

চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, টাইফয়েড হলে দেহের তাপমাত্রা মারাত্মক বেড়ে যায়। ১০৩-১০৪ ডিগ্রি ফারেনহাইট তাপমাত্রা হয়ে যায়। লাগাতার জ্বর, সর্দি-কাশির পাশপাশি ভয়ানক পেটের সমস্যা দেখা দেয়। মলত্যাগে অসুবিধা হয়। কোষ্ঠকাঠিন্য হয়। এমনকী মলত্যাগের সময় রক্তপাতের মতো উপসর্গ দেখা দেয়। পেটে যন্ত্রণা, বমির মতো উপসর্গ দেখা দেয়। পাশপাশি, হাত-পায়ের জোর কমে। ভীষণ ক্লান্ত বোধ হয়। 
বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, জ্বর সাত দিনেও না কমলে তখন চিকিৎসকের পরামর্শ মতো প্রয়োজনীয় শারীরিক পরীক্ষা করে টাইফয়েড কিনা তা নিশ্চিত হওয়া জরুরি। কারণ, প্রথম থেকে চিকিৎসা শুরু না করলে টাইফয়েড মারাত্মক বিপদ তৈরি করে। সাধারণ, সময় মতো টাইফয়েডের চিকিৎসা শুরু না হলে ৭০ শতাংশ রোগী মারা যান। কারণ, এই রোগ মানুষের অন্ত্রের উপরে সরাসরি প্রভাব ফেলে। ফলে, একাধিক শারীরিক জটিলতা তৈরি হতে থাকে। লিভার, পাকস্থলী কাজ করা বন্ধ করে দেয়। কিন্তু সময় মতো চিকিৎসা শুরু হলে ২০ থেকে ৩০ দিনের মধ্যে সম্পূর্ণ সুস্থ হয়ে ওঠা সম্ভব। তাই দ্রুত চিকিৎসা শুরু জরুরি।

টাইফয়েড রুখতে কী করবেন? 

টাইফয়েডে আক্রান্ত হলে চিকিৎসকের পরামর্শ মতো ওষুধ ও অন্যান্য উপকরণেই একমাত্র রোগ মুক্তি সম্ভব। কিন্তু টাইফয়েড এড়াতে একাধিক ঘরোয়া পদ্ধতি রয়েছে। এমনই জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞ মহল। তাঁরা জানাচ্ছেন, বর্ষায় কয়েকটি ঘরোয়া বিষয় নজরে রাখলেই টাইফয়েডের মতো মারাত্মক রোগের আক্রমণ এড়ানো সহজ হবে। 
বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ, রসুন খুব উপকারী। রসুনে থাকে অ্যান্টি অক্সিডেন্ট, যা রোগ মোকাবিলায় সাহায্য করে। পাশপাশি, শরীরে কোনও ব্যাকটেরিয়া, ভাইরাসের দাপট বাড়াতে দেয় না। তাই বর্ষায় নিয়মিত রসুন ভাত কিংবা রুটির সঙ্গে খেলে টাইফয়েডের মতো রোগের মোকাবিলা সহজ হবে। 
তাছাড়া, প্রত্যেক দিন গোলমরিচ এবং তুলসি পাতা খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞ মহল। তাঁরা জানাচ্ছেন, গরম জলে তুলসি পাতা এবং গোলমরিচ একসঙ্গে ফুটিয়ে রাখতে হবে। সেই জল প্রত্যেক দিন সকালে খেলে টাইফয়েডের মতো রোগের দাপট এড়ানো সহজ হবে। কারণ, এই দুই ঘরোয়া উপাদান যে কোনও ব্যাকটেরিয়ার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে বাড়তি শক্তি জোগায়। 
এছাড়া, ভিনিগারে ভেজানো আপেল শরীরের জন্য উপকারী। বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, ভিনিগারে ভেজানো আপেল রোগ প্রতিরোধ শক্তি বাড়াতে সাহায্য করে। 
তবে, সবচেয়ে বেশি নজর দিতে হবে জলে। বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ, পানীয় জল পরিশ্রুত কিনা সেদিকে নজরদারি সবচেয়ে জরুরি। তবেই রোগ প্রতিরোধ সম্ভব।

 

DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

Share:

Facebook
Twitter
WhatsApp
LinkedIn

You may also like

+ There are no comments

Add yours

Recent Articles