মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নদী ভাঙনের আতঙ্কে রাতের ঘুম উড়েছে আলিপুরদুয়ারের (Alipurduar) বালাটারি গ্রামের বাসিন্দাদের। প্রতিদিন নদীর ধার ভেঙে জলে তলিয়ে যাচ্ছে। আর গ্রামের দিকে এগিয়ে আসছে নদী। গ্রামবাসীদের উদ্বেগের বিষয়টি জানতে পেরে ভাঙন কবলিত এলাকা পরিদর্শনে যান বিজেপি বিধায়ক মনোজ ওঁরাও।
আন্দোলনে নামার ডাক বাসিন্দাদের! (Alipurduar)
এমনিতেই গত কয়েকদিন ধরে এক নাগাড়ে বৃষ্টি হচ্ছে উত্তরবঙ্গে। তার জেরেই জল বাড়তে শুরু করেছে উত্তরের সব জেলার নদীগুলিতে। বাদ নেই কুমারগ্রাম (Alipurduar) বিধানসভা এলাকার রায়ডাক নদী। জলে থৈ থৈ করছে নদী। কয়েকদিন ধরেই নদীর ধার ভাঙতে শুরু করেছে। স্থানীয় বাসিন্দারা বলেন, "ভাঙনের ফলে গ্রামের বসতির কাছে নদী চলে এসেছে। আমরা চরম আতঙ্কে রয়েছি। প্রশাসনের পক্ষ থেকে ভাঙন রোধে ব্যবস্থা না নেওয়া হলে গ্রামের অধিকাংশ বাড়ি তলিয়ে যাবে। আমরা চরম দুশ্চিন্তায় রয়েছি। রাতে ঠিক মতো ঘুমোতে পারছি না।" স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেন, "এর আগে এই এলাকায় বিধায়ক কোটার টাকা দিয়ে বাঁধের কাজ হয়েছিল। এখন বেশ কিছু এলাকায় বাঁধের অবস্থা খারাপ। বিধায়ক এসে দেখে গেলেন। আমরা চাই অবিলম্বে বাঁধের কাজ করা হোক। তা না হলে আমাদের ভিটে মাটি সব নদীগর্ভে চলে যাবে।" আগামীদিনে গ্রামবাসীরা মহকুমাশাসককে স্মারকলিপি লিপি জমা দেবেন। তারপরও প্রশাসনের টনক না নড়লে এ নিয়ে বড় আন্দোলনে নামার হুমকি দিলেন তাঁরা।
আরও পড়ুন: ৮ কোটি কর্মসংস্থান! আরবিআইয়ের রিপোর্টে মুখ বন্ধ হয়েছে বিরোধীদের, তোপ মোদির
গ্রাম তলিয়ে যাওয়ার আশঙ্কায় বিজেপি বিধায়ক
কুমারগ্রামের ভল্কা-বারবিশা গ্রাম পঞ্চায়েতের বালাটারি গ্রাম পরিদর্শন করে এলাকার মানুষজনের সঙ্গে কথা বলেন কুমারগ্রামের বিজেপি (BJP) বিধায়ক মনোজ ওরাও। তিনি (BJP) বলেন, "রায়ডাক নদীতে অপরিকল্পিতভাবে খনন হয়েছে। যার জেরে নদী গতিপথ পরিবর্তন করেছে। এখনই ব্যবস্থা না নিলে আগামীদিনে বিলীন হয়ে যাবে এই গ্রাম। পূর্ব চকচকার পর বারবিশা গ্রামও নিশ্চিহ্ন হয়ে যাবে। এই বিষয়ে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সেচমন্ত্রীর পাশাপাশি মুখ্যমন্ত্রীকে আমি জানাব।"
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Whatsapp, Facebook, Twitter, Telegram এবং Google News পেজ।
+ There are no comments
Add yours