Waqf Land: ‘‘যেখানে নমাজ পড়া হবে, সেটাই ওয়াকফ সম্পত্তি’’! বিতর্কিত মন্তব্য কল্যাণের, তুলোধনা বিজেপির

Waqf_Land

মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ওয়াকফ বিলের (Waqf Land) সংশোধনের বিরোধিতায় কলকাতার রানি রাসমণি রোডে তৃণমূলের সংখ্যালঘু সেলের পক্ষ থেকে সমাবেশ করা হয়। সেখান থেকে ওয়াকফ বিল সংশোধনের প্রসঙ্গে বিজেপিকে নিশানা করতে গিয়ে বেফাঁস মন্তব্য করে বসেন তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর বিতর্কিত মন্তব্য নিয়ে রাজনৈতিক মহলে শোরগোল পড়ে গিয়েছে। বিজেপি নেতৃত্ব বেজায় ক্ষুব্ধ। কল্যাণের কড়া সমালোচনা করেন বিজেপি নেতারা।

যেখানে নমাজ পড়া হবে, সেটাই ওয়াকফ সম্পত্তি হয়ে যাবে (Waqf Land)

দলীয় সমাবেশে বক্তব্য রাখতে গিয়ে কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘আপনি যেখানে নমাজ পড়বেন বা যাঁরাই নমাজ পড়বেন কোনও এক জায়গায়, সেটাই ওয়াকফ সম্পত্তি (Waqf Land) হিসেবে বিবেচিত হবে। যে কোনও একটা জায়গায় যদি ২০ জন বা ২৫ জন বা ১৫ জন বা পাঁচজন নিয়মিত নমাজ পড়েন, সেটাকে ওয়াকফ সম্পত্তি হিসেবে বিবেচনা করা হবে। আর নমাজ যে মসজিদে পড়তে হয়, সেটার কোনও বাধ্যবাধকতা নেই।’’

আরও পড়ুন: বাংলাদেশে হিন্দুদের নিরাপত্তার দাবিতে পেট্রাপোল সীমান্তে আজ প্রতিবাদ-সভা শুভেন্দুর

তীব্র কটাক্ষ করলেন সুকান্ত

কল্যাণের এই বিতর্কিত বক্তব্য নিয়ে বেজায় ক্ষুব্ধ বিজেপি নেতৃত্ব। বঙ্গ বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদার দাবি করেছেন, শ্রীরামপুরের তৃণমূল সাংসদ যে মন্তব্য করেছেন, তাতে কলকাতার একটা বড় অংশই ওয়াকফ সম্পত্তি হিসেবে বিবেচনা করা হবে। কল্যাণের ব্যাখ্যা অনুযায়ী, বিমানবন্দর, পার্ক, রেললাইনের মতো জায়গাকেও ওয়াকফ সম্পত্তি হিসেবে বিবেচনা করা হতে পারে। তাঁর দাবি, ‘‘পাকিস্তান এবং বাংলাদেশের মতো বাংলায় হিন্দুদের সম্পূর্ণ নির্মূল নিশ্চিত করার বিষয়টি নিশ্চিত করে ছাড়বেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তৃণমূল কংগ্রেস। ’’বিষয়টি আরও ব্যাখ্যা করে বঙ্গ বিজেপির সভাপতি বলেন, ‘‘এটার (কল্যাণের মন্তব্য) অর্থ হল, যে কোনও অজুহাতে রাস্তা, রেললাইন, বিমানবন্দর, পার্ক-সহ অন্যান্য জায়গায় নমাজ পড়া হলে সেটাকে ওয়াকফ জমি (Waqf Land) হিসেবে দাবি করা যেতে পারে। এই ব্যাখ্যা অনুযায়ী, কলকাতার একটা বড় অংশ মুসলিম সম্প্রদায়ের হাতে চলে যাবে।’’ তিনি তৃণমূল সাংসদের বক্তব্যটি পোস্টও করেছেন।

কল্যাণকে খোঁচা যুব মোর্চার

সত্যিটা বলার জন্য ধন্যবাদ, কল্যাণকে খোঁচা দেন বঙ্গ বিজেপির যুব মোর্চার সহ-সভাপতি তরুণজ্যোতি তিওয়ারি। তিনি বলেন, ‘‘সত্যিটা এত সোজাভাবে বলে দেওয়ার জন্য তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় মহাশয়কে ধন্যবাদ। তাঁর কথা শুনলে বোঝা যায়, কীভাবে ওয়াকফের মাধ্যমে জমি দখল হয়।’’ সেইসঙ্গে তিনি বলেন, ‘‘এখন এরা দাবি করছে যে ভারতবর্ষের বেশিরভাগ গুরুত্বপূর্ণ স্থান তাদের। পুরো দক্ষিণ কলকাতা, ধর্মতলা-সহ পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন জায়গা নাকি এদের। ওয়াকফ আইনের মাধ্যমে এরা ভারতবর্ষ দখল করার একটা কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। ভারতবর্ষ দখলের এদের এই পরিকল্পনায় সম্পূর্ণ সাহায্য করছে তৃণমূল, কংগ্রেস এবং বামপন্থী দলগুলো। ওয়াকফ কতটা ভয়ংকর, সেটা আপনারা একটু খোঁজ নিলেই বুঝতে পারবেন।’’

 

দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

Please follow and like us:

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

LinkedIn
Share