মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দুই বান্ধবী এমন ঘটনা ঘটালো যে, তাদের খুঁজে পেতে কালঘাম ছুটল পুলিশের। পরিবারে নাকি বাবা-মায়ের কড়া শাসন ও বকুনি। আর তা থেকে রেহাই পেতেই নাকি বাড়ি ছেড়েছিল (Minor Schoolgirl Missing) দুই সহপাঠী। কিন্তু তারা যে একরকম নাকানি-চোবানি খাওয়াবে, তা কে জানতো। তাদের উদ্ধার করতে কালঘাম ছুটল মালদার চাঁচল থানার পুলিশের। কার্যত পুলিশের সঙ্গে লুকোচুরি খেলল দুই সহপাঠী। অবশেষে সিসিটিভি ফুটেজের সাহায্যে নাগালে এল দুই বান্ধবী। এখন আদালতের নির্দেশে দুই সহপাঠীর স্থান হয়েছে মালদা শিশু সুরক্ষা কমিশনের হোমে।
কীভাবে পালিয়ে গেল দুই কিশোরী?
ঘাড়ে ব্যাগ নিয়ে বাড়ি থেকে বেরিয়েছিল (Minor Schoolgirl Missing) নাবালিকা দুই সহপাঠী। একই স্কুলে অষ্টম শ্রেণিতে পাঠরত তারা। তাদের বাড়িও চাঁচলে। ৭ এপ্রিল পরিবারের উপর অভিমান করে এবং বাড়ি না ফেরার জেদ নিয়ে দুই বান্ধবী চাঁচলের একটি লজে আত্মগোপন করার চেষ্টা করে। কিন্তু দুজনই নাবালিকা হওয়ায় লজ কর্তৃপক্ষ তাদের ঠাঁই দেয়নি। পরে তারা সামসি স্টেশনে দীর্ঘক্ষণ বসে থাকে।
কীভাবে তারা এল পুলিশের নাগালে?
সারাদিন বাড়ি না ফেরায় পরিবারের সদস্যরা চাঁচল থানায় নিখোঁজের (Minor Schoolgirl Missing) অভিযোগ করেন। শুরু হয় তল্লাশি। সন্ধ্যায় পুলিশ নিখোঁজ দুই সহপাঠীর আত্মীয়কে নিয়ে সামসি স্টেশনেও খোঁজ নিতে যায়। কিশোরীরা আড়াল থেকে আত্মীয়কে দেখে অন্যত্র লুকিয়ে যায়। তদন্তকারী পুলিশ আধিকারিক জানান, ওই দুই নাবালিকা স্থানীয় একটি রিসর্টে লুকিয়ে রাত কাটায়। পরের দিন সকালেও থাকে। ৮ এপ্রিল বিকেল নাগাদ আবার চাঁচলে আসে। চাঁচলের একটি বাড়িতে পেয়িং গেস্ট হিসেবে আত্মগোপন করে। কিন্তু ওই দুই বান্ধবী স্কুল ও টিউশনিতে না গিয়ে ঘরবন্দি হয়ে থাকে দুদিন। বাড়ির মালিকের সন্দেহ হয়। এরপর বাড়ির মালিকও তাদের তাড়িয়ে দেয় ১১ এপ্রিল। দিশেহারা হয়ে চাঁচল শহরের বুকে ঘোরাফেরা করে দুই বান্ধবী। অবশেষে গতকাল রাতে তারা পুলিশের নাগালে আসে।
কী জানালেন পুলিশ সুপার?
মালদহের পুলিশ সুপার প্রদীপকুমার যাদব জানান, গতকাল ওই দুই নাবালিকাকে (Minor Schoolgirl Missing) উদ্ধার করে চাঁচল মহকুমা আদালতে তোলা হয়। আদালতের নির্দেশে আজ দুই নাবালিকাকে পাঠানো হয় মালদা শিশু সুরক্ষা কমিশনের হোমে।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।
+ There are no comments
Add yours