মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পঞ্চায়েত ভোটের আগে তপনের (Dakshin Dinajpur) দুটি এলাকায় তৃণমূল ছেড়ে প্রায় ১৭০টি পরিবার বিজেপিতে যোগদান করল। আবার বামফ্রন্ট থেকেও কিছু পরিবার বিজপিতে যোগদান করে বলে জানা গেছে। এর ফলে এলাকায় বিজেপি আরও শক্তিশালী হল বলে দাবি করছে বিজেপি।
কীভাবে হল যোগদান?
রবিবার বিকেলে দক্ষিণ দিনাজপুর (Dakshin Dinajpur) জেলার গুড়াইল গ্রাম পঞ্চায়েতের শ্যামপুর ও গুড়াইল বুথে বিজেপির যোগদান সভা অনুষ্ঠিত হয়। এদিন সদ্য যোগদানকারীদের হাতে দলীয় পতাকা তুলে দেন বিজেপির জেলা সভাপতি স্বরূপ চৌধুরী। এছাড়াও যোগদান শিবিরে উপস্থিত ছিলেন তপনের বিজেপি বিধায়ক বুধরাই টুডু সহ অন্যান্য বিজেপি নেতৃত্ব। যোগদান অনুষ্ঠানে মূলত আদিবাসী সম্প্রদায়ের মানুষ বাম ও তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগদান করেন। তাঁরা জানিয়েছেন, এলাকায় উন্নয়নের কাজ হয়নি বলেই এদিন তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগদান করলেন তাঁরা৷ গুরাইল গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রাক্তন প্রধানের ছেলে রাজেন মুর্মুর নেতৃত্বে এই যোগদান শিবির অনুষ্ঠিত হয় বলে জানা গেছে। পঞ্চায়েত ভোটের আগে তপনে বিজেপিতে বড়সড় যোগদানের ফলে দলের সাংগঠনিক ক্ষমতা অনেকটাই বাড়ল বলে জেলা নেতৃত্ব দাবি করেছে।
যোগদানকারীর বক্তব্য
এই বিষয়ে যোগাদানকারী এক ব্যক্তি বলেন, আমরা এতদিন ধরে তৃণমূল দল করে আসছি। কিন্তু আজ পর্যন্ত এলাকায় (Dakshin Dinajpur) কোনও সুযোগসুবিধা ও কোনও উন্নয়ন পাইনি। তাই আমরা আজ সবাই মিলে বিজেপিতে যোগদান করলাম।
বিজেপির বক্তব্য
এই বিষয়ে বিজেপির জেলা সভাপতি স্বরূপ চৌধুরী বলেন, তপনের গুরাইল ও শ্যামপুর গ্রামে (Dakshin Dinajpur) তৃণমূল ছেড়ে অনেক পরিবার বিজেপিতে যোগাদান করেছে। তাদের মধ্যে বেশ কিছু আদিবাসী পরিবারও রয়েছে। তারা এতদিন ধরে তৃণমূল দল করে এসেছিল। কিন্তু শাসক দলের দুর্নীতির কারণে সবাই তৃণমূল ছেড়েছে। তিনি আরও বলেন, এই যোগদানের ফলে আমাদের পঞ্চায়েত নির্বাচনের ফলাফল আরও ভালো হবে।
তৃণমূলের বক্তব্য
যোগদানের বিষয়ে জেলা (Dakshin Dinajpur) তৃণমূলের সহ সভাপতি সুভাষ চাকি জানান, কয়েকশো লোক নয়, মাত্র গুটিকয়েক লোক হয়তো বিজেপিতে যোগদান করেছেন। যাঁরা যোগদান করেছেন, তাঁরা তৃণমূলের নয়, বামফ্রন্টের হতে পারে। তৃণমূলের কেউ বিজেপিতে যোগদান করেনি বলে সাফ জানিয়েছেন তিনি।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।
Leave a Reply