Atishi Marlena: ‘‘যমুনা মায়ের অভিশাপেই আপনারা হেরেছেন’’, অতিশীকে বললেন লেফটেন্যান্ট গভর্নর

you lost because of the curse of yamuna said lieutenant governor vk saksena to atishi marlena

মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ৮ ফেব্রুয়ারি দিল্লির মসনদ দখল করেছে বিজেপি। আপের পরাজয়ের কারণ হিসেবে ইতিমধ্যে উঠে আসছে নানা তত্ত্ব। গতকাল রবিবার রাজভবনে লেফটেন্যান্ট গভর্নরের কাছে পদত্যাগ পত্র জমা দিতে যান বিদায়ী মুখ্যমন্ত্রী অতিশী (Atishi Marlena)। সেই সময়ই দিল্লির গভর্নর তাঁকে বলেন, ‘‘যমুনা মায়ের অভিশাপেই আপনারা হেরেছেন।’’ জানা গিয়েছে, গভর্নর আতিশী মারলেনাকে (Atishi Marlena) আরও বলেন, সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে নদী পরিষ্কারের একটি প্রকল্প বন্ধ করে দেওয়ার পর তিনি অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে যমুনার অভিশাপ সম্পর্কে সতর্ক করেছিলেন। একটি সর্বভারতীয় সংবাদ সংস্থার প্রতিবেদন অনুযায়ী অতিশী মারলেনা (Atishi Marlena) অবশ্য লেফটেন্যান্ট গভর্নরের এই বক্তব্যের কোনও প্রতিক্রিয়া জানাননি। তাছাড়া, লেফটেন্যান্ট গভর্নরের সচিবালয় থেকেও এই কথোপকথনের বিষয়ে কোনও মন্তব্য করা হয়নি।

২০২৩ সালের জানুয়ারিতে কমিটি গঠন

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, যমুনা নদীতে দূষণের মাত্রা বৃদ্ধির ঘটনায় ২০২৩ সালের জানুয়ারিতে জাতীয় পরিবেশ আদালত নদী পরিষ্কার পর্যবেক্ষণের জন্য লেফটেন্যান্ট গভর্নরের অধীনে একটি উচ্চ-স্তরের কমিটি গঠন করে। পরবর্তীকালে এই কমিটি কাজ শুরু করার সঙ্গে সঙ্গে কেজরিওয়াল সমর্থন জানিয়েছিলেন এবং সাহায্যের প্রস্তাব দেন। পরে দিল্লি সরকার জাতীয় পরিবেশ আদালতের নির্দেশকে সুপ্রিম কোর্টে চ্যালেঞ্জ করে। এই সময়ই আপ আইনজীবী রাখে কংগ্রেস নেতা তথা সিনিয়র আইনজীবী অভিষেক মনু সিংভিকে। তিনি যুক্তি দেন যে একজন বিশেষজ্ঞকে কমিটির প্রধান করা উচিত। এরপর তাতে নিষেধাজ্ঞা জারি করে সুপ্রিম কোর্ট। প্রসঙ্গত, এই নিষেধাজ্ঞা দুই বছরেরও বেশি সময় ধরে কার্যকর রয়েছে।

ভোটাররা বিজেপিকে ভোট দিয়েছেন

জানা গিয়েছে, পরবর্তীকালে সুপ্রিম কোর্টের রায়ের পর কেজরিওয়ালের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় লেফটেন্যান্ট গভর্নর (Vk Saksena) আপ সুপ্রিমোকে বলেছিলেন যে তাঁকে যমুনার অভিশাপের মুখোমুখি হতে হবে। ২০১৫ সালের নির্বাচনের আগে কেজরিওয়াল পাঁচ বছরের মধ্যে যমুনা পরিষ্কার করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। কিন্তু প্রতিশ্রুতি পূরণে তাঁর ব্যাপক ব্যর্থতা নির্বাচনী প্রচারে একটি প্রধান ইস্যু হয়ে ওঠে। বিজেপি এই জন্য তাঁকে কটাক্ষও শুরু করে। ভোট-পরবর্তী বিশ্লেষণে দেখা গিয়েছে যে পূর্বাঞ্চলের একটি বড় অংশই বিজেপিকে ভোট দিয়েছে। গত দুটি বিধানসভা নির্বাচনে এখান থেকেই ব্যাপক জনসমর্থন পেয়েছিল বিজেপি।

Please follow and like us:

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

LinkedIn
Share